গরমে ডাবের পানিতে স্বস্তি, দামে অস্বস্তি

রোবেল মাহমুদ, গফরগাঁও
আপডেট : ০১ আগস্ট ২০২২, ১৩: ০০
Thumbnail image

ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে ভ্যাপসা গরমে বেড়েছে ডাবের চাহিদা। গরমে স্বস্তি ফিরে পেতে অনেকেই পান করছেন ডাবের পানি। তবে স্বস্তি নেই ডাবের দামে। একটি ডাব কিনতে গুনতে হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা। এদিকে দাম বাড়ার কারণ হিসেবে বিক্রেতারা বলছেন, ডাবের চাহিদা বাড়ায় জোগান কমেছে।

পৌর এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বেশ কয়েকটি সড়কে ভ্যানে করে ডাব বিক্রি করা হচ্ছে। ডাব ব্যবসায়ীরা জানান, এই গরমে ডাবের চাহিদা বেড়েছে দ্বিগুণ।

চাহিদা বাড়লেও বাজারে ডাবের জোগান কম। পাইকারি দামে একটি ডাব কেনা পড়ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকায়। কিছুদিন আগেও এই ডাব ৫০ থেকে ৬০ টাকায় পাইকারি কিনতেন দোকানিরা।

ডাব বিক্রেতা জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘গেল রমজানের সময় থেকে তাপদাহের কারণে বাজারে ডাবের চাহিদা বেড়েছে। স্থানীয়ভাবে পাইকারেরা ব্যবসায়ীদের ডাবের জোগান দিতে পারছেন না। তাই এসব ডাব জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে সংগ্রহ করে আনতে বেশি খরচ পড়ছে।’

গফরগাঁও ইউনিয়নের পাইকারি ডাব ব্যবসায়ী মাইনুদ্দিন বলেন, ‘আগে এলাকার গ্রামে গ্রামে গিয়ে নারকেলগাছ চুক্তিতে কিনে নিতাম, এখন গরমের কারণে ডাবের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় গাছ মালিকেরা স্থানীয় বাজারে বিক্রি করে দেন। এলাকার বাইরে থেকে ডাব কিনে পরিবহন খরচের কারণে দাম বেশি পড়ে।’

ফয়জুল হক নামের এক ক্রেতা স্টেশন রোডে ফলের দোকান থেকে বেশ কিছুক্ষণ তর্ক করে এক জোড়া ডাব কিনেছেন ২২০ টাকায়। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘গরমের কারণে ডাবের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় দোকানিরা দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। এক মাস আগেও এই সাইজের ডাব একটি ৬০ টাকায় কেনা যেত। এখন দ্বিগুণ দামে বিক্রি করছে।’

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাইনউদ্দিন খান মানিক বলেন, ‘গরমের কারণে শরীরে পানিস্বল্পতা দেখা দিতে পারে। ডাবের পানি সম্পূর্ণ একটি প্রাকৃতিক পানীয়। ডাবের পানিতে থাকা পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম হৃৎপিণ্ডের সুস্থতা বজায় রাখে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত