হারুনুর রশিদ, রায়পুরা
নরসিংদীর রায়পুরায় সরকারি নিয়মকে তোয়াক্কা করে অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে নামে বেনামে শতাধিক অবৈধ করাতকল। পরিবেশ ও বন বিভাগের ছাড়পত্র ও লাইসেন্স ছাড়াই যেখানে-সেখানে গড়ে উঠেছে করাত কলগুলো। উপজেলা বন বিভাগের তথ্য মতে, ২০২০ পর্যন্ত ৬৩টি করাতকল হয়েছে। এর মধ্যে ১০ টির লাইসেন্স থাকলেও নবায়ন করা হয় না দীর্ঘ দিন। লাইসেন্সর আবেদন পরেছে ১৩টি। এর পর আর কোনো জরিপ করা হয়নি।
বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বন আইন অনুযায়ী কোনো করাতকল মালিক লাইসেন্স না নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারবেন না। লাইসেন্স নেওয়ার পর প্রতিবছর নবায়ন করতে হবে। করাতকল স্থাপনের জন্য বন বিভাগের লাইসেন্স পাওয়ার পর পরিবেশ অধিদপ্তরের ক্যাঁচ থেকেও ছাড়পত্র নিতে হয়। এসব কাগজপত্র ছাড়া করাতকল স্থাপন করা যাবে না।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রয়োজনীয় নজরধারীর অভাবে করাতকল স্থাপন করে কাঠের ব্যবসা করছেন। করাতকলের তথ্যের জন্য উপজেলা বন কর্মকর্তার অফিসে গেলে, প্রায়ই বন্ধ পাওয়া যায়। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলা বন কর্মকর্তার পদ শূন্য থাকায় জেলা বন অফিস থেকে একজন কর্মকর্তা অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন এখানে। তাই মাঝে মধ্যে তিনি অফিস করেন। গত এক বছর ধরে করা হয়নি কোনো জরিপ। বর্তমানে উপজেলায় কত করাত কল রয়েছে তার সঠিক তথ্য নেই অফিসে।
উপজেলার বিভিন্ন করাত কল ঘুরে দেখা গেছে, দীর্ঘ দিন ধরে অনুমোদন ছাড়াই চলছে অনেক করাতকল। এ সব করাত কল চত্বরে গেলে দেখা যায় বিভিন্ন প্রজাতির গাছ মজুত করে রাখা হয়েছে। ভোর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত এসব করাতকলে বিরামহীন চলে কাঠ কাটার কাজ।
সাপমারা এলাকার ভাই ভাই করাতকলের মালিক শাহ জালালকে মোবাইল ফোনে লাইসেন্স নিয়ে জিজ্ঞেস করলে সাংবাদিক পরিচয় শুনে কিছু না বলেই কেটে দেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক করাতকল মালিক বলেন, ‘দীর্ঘ দিন ধরে আমাদের সমিল চলছে। অনুমোদনের জন্য আবেদন করেছি তবে এখনো অনুমোদন পাইনি। করাতকল চালু করে তো বন্ধ রাখতে পারি না । তাই এ ভাবেই চালাচ্ছি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরও কয়েকজন করাতকল মালিকের কাছে অনুমোদন বিষয়ে জানতে চাইলে তাঁরা বলেন, আবেদন করেছেন। তবে অনুমোদন পেয়েছেন কিনা তা জানতে চাইলে কথা না বলে বিষয়টি তাঁরা এড়িয়ে যান।
কাঠ ব্যবসায়ী মোস্তফা বলেন, ‘আমরা কাঠের ব্যবসা করি। বিভিন্ন এলাকার গাছ মালিকদের কাছ থেকে কিনে মিলে এনে বিক্রি করি। এ ব্যাবসা করে আমাদের সংসার চলে।’
এই ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা বন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আব্দুর রশিদ মোবাইল ফোনে বলেন, বর্তমানে সঠিক কত করাত কল আছে তার কোনো পরিসংখ্যান নাই। আপনি যা জানেন তাই সঠিক। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছাড়া অবৈধভাবে করাতকল স্থাপন বা চালানোর কোন সুযোগ নেই। অবৈধ করাত কলের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে ভ্র্যাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো . আজগর হোসেন বলেন, এটা সম্পুর্ন বন বিভাগের কাজ। তবে লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্তা নিতে পারি। বন বিভাগ উপজেলা প্রশাসনের কাছে যে কোনো সহযোগিতা চাইলে সব সময় দিতে প্রস্তুত।
নরসিংদীর রায়পুরায় সরকারি নিয়মকে তোয়াক্কা করে অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে নামে বেনামে শতাধিক অবৈধ করাতকল। পরিবেশ ও বন বিভাগের ছাড়পত্র ও লাইসেন্স ছাড়াই যেখানে-সেখানে গড়ে উঠেছে করাত কলগুলো। উপজেলা বন বিভাগের তথ্য মতে, ২০২০ পর্যন্ত ৬৩টি করাতকল হয়েছে। এর মধ্যে ১০ টির লাইসেন্স থাকলেও নবায়ন করা হয় না দীর্ঘ দিন। লাইসেন্সর আবেদন পরেছে ১৩টি। এর পর আর কোনো জরিপ করা হয়নি।
বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বন আইন অনুযায়ী কোনো করাতকল মালিক লাইসেন্স না নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারবেন না। লাইসেন্স নেওয়ার পর প্রতিবছর নবায়ন করতে হবে। করাতকল স্থাপনের জন্য বন বিভাগের লাইসেন্স পাওয়ার পর পরিবেশ অধিদপ্তরের ক্যাঁচ থেকেও ছাড়পত্র নিতে হয়। এসব কাগজপত্র ছাড়া করাতকল স্থাপন করা যাবে না।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রয়োজনীয় নজরধারীর অভাবে করাতকল স্থাপন করে কাঠের ব্যবসা করছেন। করাতকলের তথ্যের জন্য উপজেলা বন কর্মকর্তার অফিসে গেলে, প্রায়ই বন্ধ পাওয়া যায়। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলা বন কর্মকর্তার পদ শূন্য থাকায় জেলা বন অফিস থেকে একজন কর্মকর্তা অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন এখানে। তাই মাঝে মধ্যে তিনি অফিস করেন। গত এক বছর ধরে করা হয়নি কোনো জরিপ। বর্তমানে উপজেলায় কত করাত কল রয়েছে তার সঠিক তথ্য নেই অফিসে।
উপজেলার বিভিন্ন করাত কল ঘুরে দেখা গেছে, দীর্ঘ দিন ধরে অনুমোদন ছাড়াই চলছে অনেক করাতকল। এ সব করাত কল চত্বরে গেলে দেখা যায় বিভিন্ন প্রজাতির গাছ মজুত করে রাখা হয়েছে। ভোর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত এসব করাতকলে বিরামহীন চলে কাঠ কাটার কাজ।
সাপমারা এলাকার ভাই ভাই করাতকলের মালিক শাহ জালালকে মোবাইল ফোনে লাইসেন্স নিয়ে জিজ্ঞেস করলে সাংবাদিক পরিচয় শুনে কিছু না বলেই কেটে দেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক করাতকল মালিক বলেন, ‘দীর্ঘ দিন ধরে আমাদের সমিল চলছে। অনুমোদনের জন্য আবেদন করেছি তবে এখনো অনুমোদন পাইনি। করাতকল চালু করে তো বন্ধ রাখতে পারি না । তাই এ ভাবেই চালাচ্ছি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরও কয়েকজন করাতকল মালিকের কাছে অনুমোদন বিষয়ে জানতে চাইলে তাঁরা বলেন, আবেদন করেছেন। তবে অনুমোদন পেয়েছেন কিনা তা জানতে চাইলে কথা না বলে বিষয়টি তাঁরা এড়িয়ে যান।
কাঠ ব্যবসায়ী মোস্তফা বলেন, ‘আমরা কাঠের ব্যবসা করি। বিভিন্ন এলাকার গাছ মালিকদের কাছ থেকে কিনে মিলে এনে বিক্রি করি। এ ব্যাবসা করে আমাদের সংসার চলে।’
এই ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা বন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আব্দুর রশিদ মোবাইল ফোনে বলেন, বর্তমানে সঠিক কত করাত কল আছে তার কোনো পরিসংখ্যান নাই। আপনি যা জানেন তাই সঠিক। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছাড়া অবৈধভাবে করাতকল স্থাপন বা চালানোর কোন সুযোগ নেই। অবৈধ করাত কলের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে ভ্র্যাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো . আজগর হোসেন বলেন, এটা সম্পুর্ন বন বিভাগের কাজ। তবে লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্তা নিতে পারি। বন বিভাগ উপজেলা প্রশাসনের কাছে যে কোনো সহযোগিতা চাইলে সব সময় দিতে প্রস্তুত।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৪ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৮ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৮ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৮ দিন আগে