সচিবালয়ে কমছে উন্মুক্ত স্থান

তোফাজ্জল হোসেন রুবেল, ঢাকা
প্রকাশ : ০৩ মে ২০২৩, ০৯: ৩০

সরকারের প্রশাসনিক সদর দপ্তর বাংলাদেশ সচিবালয়ে ক্রমেই উন্মুক্ত স্থান কমছে। সচিবালয় শেরেবাংলা নগরে স্থানান্তরিত হওয়ার পরিকল্পনা বাতিল হওয়ার পর ইতিমধ্যে দুটি ২০ তলা ভবন হয়েছে। এখন নতুন করে কার পার্কিংয়ের জন্য ১৬ তলা উচ্চতার আরও দুটি ভবন করার পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে।

প্রায় ২৪৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হবে এই ভবন দুটি। ভবন দুটিতে একসঙ্গে সাড়ে পাঁচ শ গাড়ি পার্ক করতে পারবে। আজ বুধবার প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটি (পিইসি) সভায় এ-সংক্রান্ত প্রকল্পটি উঠতে পারে বলে জানা গেছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ ভবন দুটি নির্মিত হলে সচিবালয়ে যতটুকু খোলামেলা জায়গা আছে, তা আরও কমবে।

জানা যায়, ১৯৪৭ সালে নির্মিত একগুচ্ছ ভবন নিয়ে সচিবালয় গঠিত হয়, যা ১৯৭১ সাল পর্যন্ত পূর্ব পাকিস্তানের প্রাদেশিক সরকারের সচিবালয় হিসেবে ব্যবহৃত হলেও পরে বাংলাদেশ সরকারের নির্বাহী বিভাগের সদর দপ্তর হিসেবে ব্যবহার করছে। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কাজের পরিধি বাড়ায় সেখানে কর্মকর্তাদের অফিসের জায়গাও বাড়ানোর তাগিদ ছিল। ফলে একসময়ের বেশ খোলামেলা পরিবেশের স্থানটি এখন ক্রমেই কংক্রিটে ঢেকে যাচ্ছে।

নতুন করে একটি ভবন হবে ৬ নম্বর ভবন থেকে ৫ নম্বর ভবনের পল্টন অংশে। আর অন্যটি হবে ৪ নম্বর ভবনের পেছনে অর্থাৎ তোপখানা রোডের পাশ ঘেঁষে। এ দুটি ভবন হলে কর্মকর্তারা রুম থেকে এখন আর খুব বেশি খোলা আকাশের দৃশ্য দেখতে পারবেন না।

গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, সচিবালয়ে আসা কর্মকর্তাদের যানবাহনের জন্য পার্কিং নিশ্চিত করতে দুটি ভবন করা হবে। ২৪৪ কোটি ৯৪ লাখ ব্যয়ে ‘বাংলাদেশ সচিবালয়ের অভ্যন্তরে দুটি বহুতল মেকানিক্যাল কার পার্কে ভবন নির্মাণ’ প্রকল্পটি বাস্তবায়নকাল ধরা হয়েছে ২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে ২০২৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে গণপূর্ত অধিদপ্তর। স্ট্রিল স্ট্রাকচারের ওপর ১৬ তলা ভবনের ভূগর্ভস্থ জলাধার, সাব-স্টেশন, সোলার সিস্টেম ও আরবরিকালচার থাকবে।

সচিবালয়ে বর্তমানে মোট ১০টি ভবন রয়েছে। এই ভবনগুলোর গাড়ি পার্কিং সুবিধা নেই। বর্তমানে দুটি বেসমেন্টসহ একটি নতুন ২০ তলা ভবনের নির্মাণকাজ চলমান।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত