সম্পাদকীয়
আবদুল জব্বার থাকতেন ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার পাঁচুয়া গ্রামে। পড়াশোনা এগোয়নি। পনের বছর বয়স পর্যন্ত বাবাকে চাষবাসে সহযোগিতা করছিলেন। এরপর বাড়ির কাউকে কিছু না জানিয়ে তিনি একদিন ট্রেনে চড়ে নারায়ণগঞ্জে চলে এলেন। নারায়ণগঞ্জের জাহাজঘাটেই এক সাহেবের সঙ্গে দেখা হলো আবদুল জব্বারের। সাহেবের সহায়তায় একটি চাকরি নিয়ে জব্বার চলে গেলেন বার্মায়। সেখানে আয়ত্ত করলেন ইংরেজি ভাষা। সেখানে ১২ বছর থেকে দেশে ফিরে এলেন।
তত দিনে বিয়ে করেছেন জব্বার। তাঁর স্ত্রীর নাম আমেনা খাতুন ও ছেলের নাম নূরুল ইসলাম বাদল। এরপর ১৯৫২ সালে তিনি এলেন ঢাকায়। সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী আর শাশুড়ি। ক্যানসার-আক্রান্ত শাশুড়িকে ভর্তি করিয়েছিলেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। তখন চলছে ভাষা আন্দোলন।
একুশে ফেব্রুয়ারি সকালে তিনি আবদুল হাইকে নিয়ে শাশুড়ির সঙ্গে দেখা করার জন্য হাসপাতালে যান। বেলা ২টায় আবদুল জব্বার মেডিকেল কলেজ হোস্টেলে আসেন ডাক্তারের সঙ্গে দেখা করতে। সে সময় ঢাকা মেডিকেল কলেজের সামনে পুলিশ এবং ছাত্র-জনতা মারমুখী অবস্থান নেয়।
ডক্টর সিরাজের সঙ্গে কথা বলে আবদুল জব্বার বেলা ৩টার পর রাস্তায় বের হন এবং ছাত্র-জনতার মিছিলে মিশে যান। পুলিশ তখন ছাত্র-জনতাকে ছত্রভঙ্গ করার জন্য টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপের পাশাপাশি গুলি ছুড়তে শুরু করে। প্রথমে গুলি লাগে আবদুল জব্বারের ডান হাঁটুতে। একের পর এক গুলি চলতে থাকলে ছাত্র-জনতা ছত্রভঙ্গ হয়ে যেতে শুরু করে। আবদুল জব্বার গুলিবিদ্ধ অবস্থায় খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে এলাকা থেকে সরে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় আরেকটি গুলি এসে তাঁর কোমরে লাগে। ছাত্র-জনতা তাঁকে ধরাধরি করে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যায়। চিকিৎসকেরা অপারেশনের আগেই তাঁর জীবনের আশা প্রায় ছেড়ে দিয়েছিলেন। হাঁটু থেকে গুলি বের করা হয় কিন্তু কোমরের আঘাতকে কোনোভাবেই চিকিৎসকেরা সামাল দিতে পারেননি। রাত ৮টার পর আবদুল জব্বারের মৃত্যু হয়। আজিমপুর গোরস্থানে তাঁর দাফন হয়।
সূত্র: জাহীদ রেজা নূর, ভাষাশহীদদের কথা, কিশোর আলো, ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯
আবদুল জব্বার থাকতেন ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার পাঁচুয়া গ্রামে। পড়াশোনা এগোয়নি। পনের বছর বয়স পর্যন্ত বাবাকে চাষবাসে সহযোগিতা করছিলেন। এরপর বাড়ির কাউকে কিছু না জানিয়ে তিনি একদিন ট্রেনে চড়ে নারায়ণগঞ্জে চলে এলেন। নারায়ণগঞ্জের জাহাজঘাটেই এক সাহেবের সঙ্গে দেখা হলো আবদুল জব্বারের। সাহেবের সহায়তায় একটি চাকরি নিয়ে জব্বার চলে গেলেন বার্মায়। সেখানে আয়ত্ত করলেন ইংরেজি ভাষা। সেখানে ১২ বছর থেকে দেশে ফিরে এলেন।
তত দিনে বিয়ে করেছেন জব্বার। তাঁর স্ত্রীর নাম আমেনা খাতুন ও ছেলের নাম নূরুল ইসলাম বাদল। এরপর ১৯৫২ সালে তিনি এলেন ঢাকায়। সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী আর শাশুড়ি। ক্যানসার-আক্রান্ত শাশুড়িকে ভর্তি করিয়েছিলেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। তখন চলছে ভাষা আন্দোলন।
একুশে ফেব্রুয়ারি সকালে তিনি আবদুল হাইকে নিয়ে শাশুড়ির সঙ্গে দেখা করার জন্য হাসপাতালে যান। বেলা ২টায় আবদুল জব্বার মেডিকেল কলেজ হোস্টেলে আসেন ডাক্তারের সঙ্গে দেখা করতে। সে সময় ঢাকা মেডিকেল কলেজের সামনে পুলিশ এবং ছাত্র-জনতা মারমুখী অবস্থান নেয়।
ডক্টর সিরাজের সঙ্গে কথা বলে আবদুল জব্বার বেলা ৩টার পর রাস্তায় বের হন এবং ছাত্র-জনতার মিছিলে মিশে যান। পুলিশ তখন ছাত্র-জনতাকে ছত্রভঙ্গ করার জন্য টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপের পাশাপাশি গুলি ছুড়তে শুরু করে। প্রথমে গুলি লাগে আবদুল জব্বারের ডান হাঁটুতে। একের পর এক গুলি চলতে থাকলে ছাত্র-জনতা ছত্রভঙ্গ হয়ে যেতে শুরু করে। আবদুল জব্বার গুলিবিদ্ধ অবস্থায় খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে এলাকা থেকে সরে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় আরেকটি গুলি এসে তাঁর কোমরে লাগে। ছাত্র-জনতা তাঁকে ধরাধরি করে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যায়। চিকিৎসকেরা অপারেশনের আগেই তাঁর জীবনের আশা প্রায় ছেড়ে দিয়েছিলেন। হাঁটু থেকে গুলি বের করা হয় কিন্তু কোমরের আঘাতকে কোনোভাবেই চিকিৎসকেরা সামাল দিতে পারেননি। রাত ৮টার পর আবদুল জব্বারের মৃত্যু হয়। আজিমপুর গোরস্থানে তাঁর দাফন হয়।
সূত্র: জাহীদ রেজা নূর, ভাষাশহীদদের কথা, কিশোর আলো, ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৩ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৭ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৭ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৭ দিন আগে