নেত্রকোনা প্রতিনিধি
নেত্রকোনার পূর্বধলা, দুর্গাপুর, কলমাকান্দায় তৃতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীসহ ৪১ জন চেয়ারম্যান প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছেন পূর্বধলায় ২০, দুর্গাপুরে ৫ জন এবং কলমাকান্দায় ১৬ জন।
জামানত হারানোর তালিকায় যারা আছেন তারা হলেন পূর্বধলা সদর ইউপিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আবদুল কাদির। তিনি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। এবারের ইউপি নির্বাচনে দলের মনোনীত প্রার্থী হয়ে তিনি পরাজিত হন। তার প্রাপ্ত ভোট ৩৫৯টি। ওই ইউপিতে বৈধ ভোটের সংখ্যা ১৭ হাজার ১২১। ইউপি নির্বাচন বিধিমালা অনুযায়ী, নির্বাচনে ভোটারদের দেওয়া মোট বৈধ ভোটের আট ভাগের এক ভাগ না পেলে প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় ও দলীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৮ নভেম্বর জেলার তিনটি উপজেলার ২৫টি ইউপিতে ভোট হয়। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ১০৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
এর মধ্যে কলমাকান্দার খারনৈ ইউপিতে একটি কেন্দ্রে ব্যালট পেপার ছিনতাইয়ের ঘটনায় ফলাফল স্থগিত করা হয়। তাই ২৪টি ইউপির ১০৫ জন প্রার্থীর মধ্যে ৪১ জন প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত করা হয়।
যাদের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছেন তারা হলেন- পূর্বধলা সদর ইউপির নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মো. আবদুল কাদির, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মো. আবদুর রাশিদ, স্বতন্ত্র প্রার্থী এরশাদুল হক ও মো. আজিম উদ্দিন খান, আগিয়া ইউপির ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. সালেহ্ ও বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি সাবিকুল আনিছ, নারান্দিয়া ইউপির ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. তোফাজ্জল ইসলাম, জারিয়া ইউপির স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. কাজল মিয়া, বিশকাকুনি ইউপির ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. আবদুল মজিদ, ঘাগড়া ইউপির ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. নজরুল ইসলাম, বৈরাটি ইউপির ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মোহাম্মদ আলী তালুকদার ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. জহিরুল ইসলাম জজ মিয়া, হোগলা ইউপির ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মোহাম্মদ আবদুল গফুর, স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. ফারুক খান, হুমায়ূন কবির ও বুলবুল মির, গোহালাকান্দা ইউপির জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মো. শফিকুল ইসলাম ও স্বতন্ত্র প্রার্থী এম আর বি জাকির হোসেন তালুকদার, খলিশাউড় ইউপির ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. মাজহারুল ইসলাম ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ইয়াকুব আলী।
কলমাকান্দায় ৭টি ইউপির জামানত হারানো ১৬ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী হলেন- কলমাকান্দা সদর ইউপির স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আবদুল মোমেন, মো. সাখাওয়াত হোসেন ও জাকের পার্টির মো. কামাল মিয়া, নাজিরপুর ইউপির স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. রাজু আহম্মেদ, পোগলা ইউনিয়নে মোজাম্মেল আলম খান, মো. রতন মিয়া, মো. শামছুল ইসলাম ও রাসেল মিয়া, বড়খাপন ইউপির স্বতন্ত্র প্রার্থী অঞ্জন সরকার, লেংগুরা ইউপির মুফতি ফয়জুল্লাহ ও মো. আবু রায়হান, কৈলাটি ইউপির স্বতন্ত্র প্রার্থী বাসির উদ্দিন, রংছাতি ইউপির স্বতন্ত্র প্রার্থী আফতাব উদ্দিন, মীর আইয়ুব নবী, মো. আবদুর রাজ্জাক ও মো. সুরুজ মিয়া।
দুর্গাপুরে তিনটি ইউপির পাঁচজন হলেন- বিরিশিরি ইউপির স্বতন্ত্র প্রার্থী নিবাস সরকার, গাঁওকান্দিয়া ইউপির ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. মোস্তফা কামাল, স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফ হোসেন, কাকৈরগড়া ইউপির স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল হামিদ বেগ ও মো. ফজলুল কাদের।
এ ব্যাপারে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবদুল লতিফ শেখ বলেন, ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় প্রত্যেক প্রার্থীকে সরকারি কোষাগারে পাঁচ হাজার টাকা করে জামানত দিতে হয়। সেই জামানতের টাকা ফেরত পেতে প্রার্থীকে ওই ইউপিতে প্রদত্ত মোট ভোটের আট ভাগের এক ভাগ পেতে হয়। যেসব প্রার্থী এই পরিমাণ ভোট পাবেন না, তাদের জামানত বাজেয়াপ্ত হবে।
জামানত বাজেয়াপ্ত হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. আবদুল কাদির বলেন, ‘দলের নেতা-কর্মীরা দুই গ্রুপের হওয়ায় আমার পক্ষে একজনও কাজ করেন নাই।
এই ইউপিতে সাতজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। গতবার নির্বাচনেও নেত্রী আমাকে নৌকা দিয়েছিলেন। তখনো দলের দুই পক্ষ পছন্দের বিদ্রোহীদের মদদ দিয়েছিলেন। এবারও তা করেছেন। তাই নির্বাচনে আমার এই বিপর্যয়।’ তবে পৃথক দুটি পক্ষের নেতাদের নাম জানতে চাইলে তিনি বলতে রাজি হননি।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এরশাদ হোসেন বলেন, ‘আবদুল কাদিরের ধারণা সত্য নয়। দলের মধ্যে কোনও বিভাজন নেই। নৌকার পক্ষে আওয়ামী লীগের নেতারা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করেছেন। জনগণ যাকে পছন্দ করেছেন, তাকেই নির্বাচিত করেছেন।
নেত্রকোনার পূর্বধলা, দুর্গাপুর, কলমাকান্দায় তৃতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীসহ ৪১ জন চেয়ারম্যান প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছেন পূর্বধলায় ২০, দুর্গাপুরে ৫ জন এবং কলমাকান্দায় ১৬ জন।
জামানত হারানোর তালিকায় যারা আছেন তারা হলেন পূর্বধলা সদর ইউপিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আবদুল কাদির। তিনি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। এবারের ইউপি নির্বাচনে দলের মনোনীত প্রার্থী হয়ে তিনি পরাজিত হন। তার প্রাপ্ত ভোট ৩৫৯টি। ওই ইউপিতে বৈধ ভোটের সংখ্যা ১৭ হাজার ১২১। ইউপি নির্বাচন বিধিমালা অনুযায়ী, নির্বাচনে ভোটারদের দেওয়া মোট বৈধ ভোটের আট ভাগের এক ভাগ না পেলে প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় ও দলীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৮ নভেম্বর জেলার তিনটি উপজেলার ২৫টি ইউপিতে ভোট হয়। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ১০৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
এর মধ্যে কলমাকান্দার খারনৈ ইউপিতে একটি কেন্দ্রে ব্যালট পেপার ছিনতাইয়ের ঘটনায় ফলাফল স্থগিত করা হয়। তাই ২৪টি ইউপির ১০৫ জন প্রার্থীর মধ্যে ৪১ জন প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত করা হয়।
যাদের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছেন তারা হলেন- পূর্বধলা সদর ইউপির নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মো. আবদুল কাদির, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মো. আবদুর রাশিদ, স্বতন্ত্র প্রার্থী এরশাদুল হক ও মো. আজিম উদ্দিন খান, আগিয়া ইউপির ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. সালেহ্ ও বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি সাবিকুল আনিছ, নারান্দিয়া ইউপির ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. তোফাজ্জল ইসলাম, জারিয়া ইউপির স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. কাজল মিয়া, বিশকাকুনি ইউপির ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. আবদুল মজিদ, ঘাগড়া ইউপির ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. নজরুল ইসলাম, বৈরাটি ইউপির ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মোহাম্মদ আলী তালুকদার ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. জহিরুল ইসলাম জজ মিয়া, হোগলা ইউপির ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মোহাম্মদ আবদুল গফুর, স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. ফারুক খান, হুমায়ূন কবির ও বুলবুল মির, গোহালাকান্দা ইউপির জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মো. শফিকুল ইসলাম ও স্বতন্ত্র প্রার্থী এম আর বি জাকির হোসেন তালুকদার, খলিশাউড় ইউপির ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. মাজহারুল ইসলাম ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ইয়াকুব আলী।
কলমাকান্দায় ৭টি ইউপির জামানত হারানো ১৬ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী হলেন- কলমাকান্দা সদর ইউপির স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আবদুল মোমেন, মো. সাখাওয়াত হোসেন ও জাকের পার্টির মো. কামাল মিয়া, নাজিরপুর ইউপির স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. রাজু আহম্মেদ, পোগলা ইউনিয়নে মোজাম্মেল আলম খান, মো. রতন মিয়া, মো. শামছুল ইসলাম ও রাসেল মিয়া, বড়খাপন ইউপির স্বতন্ত্র প্রার্থী অঞ্জন সরকার, লেংগুরা ইউপির মুফতি ফয়জুল্লাহ ও মো. আবু রায়হান, কৈলাটি ইউপির স্বতন্ত্র প্রার্থী বাসির উদ্দিন, রংছাতি ইউপির স্বতন্ত্র প্রার্থী আফতাব উদ্দিন, মীর আইয়ুব নবী, মো. আবদুর রাজ্জাক ও মো. সুরুজ মিয়া।
দুর্গাপুরে তিনটি ইউপির পাঁচজন হলেন- বিরিশিরি ইউপির স্বতন্ত্র প্রার্থী নিবাস সরকার, গাঁওকান্দিয়া ইউপির ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. মোস্তফা কামাল, স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফ হোসেন, কাকৈরগড়া ইউপির স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল হামিদ বেগ ও মো. ফজলুল কাদের।
এ ব্যাপারে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবদুল লতিফ শেখ বলেন, ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় প্রত্যেক প্রার্থীকে সরকারি কোষাগারে পাঁচ হাজার টাকা করে জামানত দিতে হয়। সেই জামানতের টাকা ফেরত পেতে প্রার্থীকে ওই ইউপিতে প্রদত্ত মোট ভোটের আট ভাগের এক ভাগ পেতে হয়। যেসব প্রার্থী এই পরিমাণ ভোট পাবেন না, তাদের জামানত বাজেয়াপ্ত হবে।
জামানত বাজেয়াপ্ত হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. আবদুল কাদির বলেন, ‘দলের নেতা-কর্মীরা দুই গ্রুপের হওয়ায় আমার পক্ষে একজনও কাজ করেন নাই।
এই ইউপিতে সাতজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। গতবার নির্বাচনেও নেত্রী আমাকে নৌকা দিয়েছিলেন। তখনো দলের দুই পক্ষ পছন্দের বিদ্রোহীদের মদদ দিয়েছিলেন। এবারও তা করেছেন। তাই নির্বাচনে আমার এই বিপর্যয়।’ তবে পৃথক দুটি পক্ষের নেতাদের নাম জানতে চাইলে তিনি বলতে রাজি হননি।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এরশাদ হোসেন বলেন, ‘আবদুল কাদিরের ধারণা সত্য নয়। দলের মধ্যে কোনও বিভাজন নেই। নৌকার পক্ষে আওয়ামী লীগের নেতারা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করেছেন। জনগণ যাকে পছন্দ করেছেন, তাকেই নির্বাচিত করেছেন।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৩ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৭ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৭ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৭ দিন আগে