বরগুনা ও পাথরঘাটা প্রতিনিধি
উপকূলীয় বরগুনার জেলেরা মাছ আহরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখলেও প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ, পরামর্শ ও সহযোগিতা প্রয়োজন বলে মনে করছেন জেলে ও মৎস্যজীবীরা। জেলেরা জানান, মান্ধাতার পদ্ধতিতে মাছ শিকারে তাঁদের অনেক পণ্ডশ্রমের পাশাপাশি মাছও কম শিকার হয়। আর তাই মৎস্য-অধ্যুষিত এই জেলায় মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট স্থাপনের দাবি তাঁদের।
বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি আবদুল খালেক বলেন, উপকূলীয় জেলা বরগুনার সিংহভাগ বাসিন্দা মৎস্যজীবী। কৃষির পাশাপাশি মৎস্য এ জেলার বাসিন্দা দ্বিতীয় প্রধান পেশা; বিশেষ করে ইলিশের চাহিদা মেটাতে সামুদ্রিক মৎস্য আহরণের ক্ষেত্রে বরগুনা জেলার মৎস্যজীবীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, মৎস্যসমৃদ্ধ এ জেলায় মাছ গবেষণা ইনস্টিটিউট স্থাপনের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। এতে জাতীয় পর্যায়ে মাছের উৎপাদনে এ জেলা আরও ভূমিকা রাখতে পারবে।
মৎস্য বিভাগের তথ্যমতে, গত ১১ বছরে ইলিশের উৎপাদন বেড়েছে প্রায় ৮৪ শতাংশ। ওয়ার্ল্ড ফিশের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, বিশ্বের মোট ইলিশের প্রায় ৮৫ শতাংশ উৎপাদিত হয় বাংলাদেশে। আর এর মধ্যে ইলিশ উৎপাদনের হিসাবে বরিশাল বিভাগের শীর্ষে দুটি জেলার মধ্যে বরগুনা জেলা দ্বিতীয়। ২০২০-২১ অর্থবছরে এই জেলা থেকে আহরিত ইলিশের মোট পরিমাণ ছিল প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন। বরগুনার প্রধান তিনটি নদ-নদী বিষখালী, বুড়িশ্বর (পায়রা) ও বলেশ্বর থেকে আহরণ করা হয় ৪ হাজার ৯০০ মেট্রিক টন এবং সাগর থেকে ৯১ হাজার মেট্রিক টন।
জেলে সেন্টু মিয়া বলেন, ‘মোগো কোনো টেরনিং (প্রশিক্ষণ) নাই, মোরা আগেও যেই রহম কায়দায় (পদ্ধতিতে) মাছ ধরতাম, এহনো হেইরহমই আছি। টেরনিং পাইলে মোরাও আরও সহজে মাছ ধরতে পারতাম, মাছও বেশি পাইতাম।’
বরগুনার পাথরঘাটায় বর্তমান বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র অবস্থিত। জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি মোস্তফা চৌধুরী বলেন, ‘মৌসুমে দেশের সব উপকূলীয় জেলার জেলেরা ট্রলার নিয়ে পাথরঘাটায় এসে অবস্থান নেন। এখান থেকে বরফ, ডিজেল কিনে এবং বাজার সওদা করে সাগরে মাছ শিকারে যাত্রা শুরু করেন।’ তিনি বলেন, ‘মৌসুমে প্রায় ২০ হাজার ট্রলার গড়ে বরগুনা জেলা থেকে সাগরে মাছ শিকারে যায়। এ ছাড়া স্থানীয় তিনটি নদ-নদী ও বঙ্গোপসাগরের মোহনায় প্রান্তিক জেলেরা সারা বছরই মাছ শিকার করে। কিন্তু আমাদের জেলেদের কোনো প্রশিক্ষণ নেই, মৎস্য বিভাগের পরামর্শ ও সহায়তা নেই। আমি মনে করি, এখানে মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট স্থাপিত হলে জেলেরা যেমন এসব সহযোগিতা পাবেন, তেমনি গবেষণায় যুগান্তকারী অবদান রাখা সম্ভব হবে।’
জেলা পাবলিক পলিসি ফোরামের আহ্বায়ক হাসানুর রহমান ঝন্টু বলেন, ‘বরগুনা জেলায় প্রায় ১৪ লাখ বাসিন্দার সিংহভাগ মাছ শিকারের সঙ্গে জড়িত। এখানে কৃষির পাশাপাশি মৎস্য গুরুত্বপূর্ণ পেশা। অর্থাৎ নদীতীরবর্তী বাসিন্দাদের যার হাল আছে, তারই নৌকা আছে। এই জেলার জেলেরা জাতীয় পর্যায়ে মাছ উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করলেও কার্যত তাঁরা সরকারের যথাযথ সহযোগিতা থেকে বঞ্চিত। আর এ সমস্যা সমাধানে ও মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধিতে গবেষণা ইনস্টিটিউট স্থাপনের জোর দাবি জানাই আমরা।’
বরগুনার জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান বলেন, ‘বরগুনা জেলা উপকূলীয় মৎস্য সমৃদ্ধ একটি জেলা। এ জেলায় মৎস্য গবেষণার ও জেলেদের যথাযথ প্রশিক্ষণ, উপকরণ ও মাছ শিকারের পদ্ধতি ইত্যাদি সম্পর্কে সহযোগিতায় মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট স্থাপন করা উচিত। আমি সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগে এ বিষয়ে প্রস্তাব পাঠাব।’
উপকূলীয় বরগুনার জেলেরা মাছ আহরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখলেও প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ, পরামর্শ ও সহযোগিতা প্রয়োজন বলে মনে করছেন জেলে ও মৎস্যজীবীরা। জেলেরা জানান, মান্ধাতার পদ্ধতিতে মাছ শিকারে তাঁদের অনেক পণ্ডশ্রমের পাশাপাশি মাছও কম শিকার হয়। আর তাই মৎস্য-অধ্যুষিত এই জেলায় মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট স্থাপনের দাবি তাঁদের।
বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি আবদুল খালেক বলেন, উপকূলীয় জেলা বরগুনার সিংহভাগ বাসিন্দা মৎস্যজীবী। কৃষির পাশাপাশি মৎস্য এ জেলার বাসিন্দা দ্বিতীয় প্রধান পেশা; বিশেষ করে ইলিশের চাহিদা মেটাতে সামুদ্রিক মৎস্য আহরণের ক্ষেত্রে বরগুনা জেলার মৎস্যজীবীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, মৎস্যসমৃদ্ধ এ জেলায় মাছ গবেষণা ইনস্টিটিউট স্থাপনের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। এতে জাতীয় পর্যায়ে মাছের উৎপাদনে এ জেলা আরও ভূমিকা রাখতে পারবে।
মৎস্য বিভাগের তথ্যমতে, গত ১১ বছরে ইলিশের উৎপাদন বেড়েছে প্রায় ৮৪ শতাংশ। ওয়ার্ল্ড ফিশের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, বিশ্বের মোট ইলিশের প্রায় ৮৫ শতাংশ উৎপাদিত হয় বাংলাদেশে। আর এর মধ্যে ইলিশ উৎপাদনের হিসাবে বরিশাল বিভাগের শীর্ষে দুটি জেলার মধ্যে বরগুনা জেলা দ্বিতীয়। ২০২০-২১ অর্থবছরে এই জেলা থেকে আহরিত ইলিশের মোট পরিমাণ ছিল প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন। বরগুনার প্রধান তিনটি নদ-নদী বিষখালী, বুড়িশ্বর (পায়রা) ও বলেশ্বর থেকে আহরণ করা হয় ৪ হাজার ৯০০ মেট্রিক টন এবং সাগর থেকে ৯১ হাজার মেট্রিক টন।
জেলে সেন্টু মিয়া বলেন, ‘মোগো কোনো টেরনিং (প্রশিক্ষণ) নাই, মোরা আগেও যেই রহম কায়দায় (পদ্ধতিতে) মাছ ধরতাম, এহনো হেইরহমই আছি। টেরনিং পাইলে মোরাও আরও সহজে মাছ ধরতে পারতাম, মাছও বেশি পাইতাম।’
বরগুনার পাথরঘাটায় বর্তমান বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র অবস্থিত। জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি মোস্তফা চৌধুরী বলেন, ‘মৌসুমে দেশের সব উপকূলীয় জেলার জেলেরা ট্রলার নিয়ে পাথরঘাটায় এসে অবস্থান নেন। এখান থেকে বরফ, ডিজেল কিনে এবং বাজার সওদা করে সাগরে মাছ শিকারে যাত্রা শুরু করেন।’ তিনি বলেন, ‘মৌসুমে প্রায় ২০ হাজার ট্রলার গড়ে বরগুনা জেলা থেকে সাগরে মাছ শিকারে যায়। এ ছাড়া স্থানীয় তিনটি নদ-নদী ও বঙ্গোপসাগরের মোহনায় প্রান্তিক জেলেরা সারা বছরই মাছ শিকার করে। কিন্তু আমাদের জেলেদের কোনো প্রশিক্ষণ নেই, মৎস্য বিভাগের পরামর্শ ও সহায়তা নেই। আমি মনে করি, এখানে মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট স্থাপিত হলে জেলেরা যেমন এসব সহযোগিতা পাবেন, তেমনি গবেষণায় যুগান্তকারী অবদান রাখা সম্ভব হবে।’
জেলা পাবলিক পলিসি ফোরামের আহ্বায়ক হাসানুর রহমান ঝন্টু বলেন, ‘বরগুনা জেলায় প্রায় ১৪ লাখ বাসিন্দার সিংহভাগ মাছ শিকারের সঙ্গে জড়িত। এখানে কৃষির পাশাপাশি মৎস্য গুরুত্বপূর্ণ পেশা। অর্থাৎ নদীতীরবর্তী বাসিন্দাদের যার হাল আছে, তারই নৌকা আছে। এই জেলার জেলেরা জাতীয় পর্যায়ে মাছ উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করলেও কার্যত তাঁরা সরকারের যথাযথ সহযোগিতা থেকে বঞ্চিত। আর এ সমস্যা সমাধানে ও মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধিতে গবেষণা ইনস্টিটিউট স্থাপনের জোর দাবি জানাই আমরা।’
বরগুনার জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান বলেন, ‘বরগুনা জেলা উপকূলীয় মৎস্য সমৃদ্ধ একটি জেলা। এ জেলায় মৎস্য গবেষণার ও জেলেদের যথাযথ প্রশিক্ষণ, উপকরণ ও মাছ শিকারের পদ্ধতি ইত্যাদি সম্পর্কে সহযোগিতায় মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট স্থাপন করা উচিত। আমি সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগে এ বিষয়ে প্রস্তাব পাঠাব।’
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৬ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৬ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৬ দিন আগে