মাঈনুদ্দিন খালেদ, নাইক্ষ্যংছড়ি (বান্দরবান)
পাম তেল গাছের সম্ভাবনাময় এলাকা পার্বত্য জেলা বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা। এখানে রয়েছে অনেক অনাবাদি জমি। এই জমিতে পাম তেল গাছ চাষ করে পর্যাপ্ত পরিমাণ তেল উৎপাদন সম্ভব। ২০১১ সালে কৃষি বিভাগ এবং কয়েকটি কোম্পানি এমনই সম্ভাবনার গল্প শুনিয়েছিল নাইক্ষ্যংছড়ির কৃষি উদ্যোক্তাদের। তখন অনেকেই এগিয়ে এসেছিলেন। কেউ কেউ শুরু করেছিলেন পামবাগানের।
তাঁদেরই একজন উদ্যোক্তা হলেন সোনাইছড়ি ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব হেডম্যান পাড়ার কৃষক নাজের হোসেন। ১১ বছর আগে তাঁর রোপণ করা ৩২০টি পাম তেল গাছ এখন গলার কাটা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সাফল্যের সম্ভাবনার গল্প শোনানো কৃষি বিভাগ কিংবা বেসরকারি কোনো প্রতিষ্ঠান এখন আর পাশে নেই উদ্যোক্তা নাজেরের। সঠিক ব্যবস্থাপনা ও পাম তেল প্রক্রিয়াজাত করার অভাবে পাম তেল চাষ শিল্পে রূপ পায়নি আজও। উল্টো হতাশ হয়ে পড়েছেন এই উদ্যোক্তা।
নাজের হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘২০১১ সালে ৮ একর পাহাড়ি জমিতে ৩২০টি পামগাছের চারা চাষ করি। ১১ বছর ধরে এসব গাছের পরিচর্যা করে আসছি। আয় তো নেই-ই, উল্টো বাগানের খরচ বহনে গরু থেকে শুরু করে স্ত্রীর স্বর্ণালংকার পর্যন্ত বিক্রি করতে হয়েছে।’
কৃষক নাজের আরও বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে পামগাছ চাষে লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখিয়েছিল কৃষি বিভাগসহ দু-একটি কোম্পানি। তাদের প্রলোভনে আমিসহ এই উপজেলার অনেকে পাম চাষে পা বাড়িয়েছিলাম। সে সময়ে লাভের স্বপ্ন দেখানো একটি কোম্পানির কাছ থেকে ৩০০ টাকা দরে ৩২০টি চারা কিনে রোপণ করি।’
হতাশা নিয়ে এই কৃষক বলেন, ‘চারা রোপণের ১৬ মাসের মাথায় প্রতিটি গাছে ফুল ও ফল ধরেছিল; কিন্তু সেই ফল থেকে তেল প্রক্রিয়াজাত মেশিন না থাকায় পাম তেল আর প্রক্রিয়াজাত করা সম্ভব হয়নি। এখন প্রতিবছর পামগাছে ফল ধরে, পেকে পচে বাগানেই নষ্ট হয়ে যায়। এ বছরও বাগানে পাম ফল পচে নষ্ট হচ্ছে।’
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য জাফর আলম বাংগালী বলেন, ‘তেল উৎপাদনে যেতে হলে প্রক্রিয়াকরণ মেশিন দরকার। পাম চাষের সম্ভাবনা, প্রক্রিয়া নিয়ে গবেষণার প্রয়োজন। বিনিয়োগের আগে ব্যবসায়ীরা আদৌ লাভবান হবেন, নাকি ক্ষতির মুখে পড়বেন, তা যাচাই-বাছাই করে সব কাজ করতে হয়। এখন সব হারিয়ে নাজের হোসেন বড় বিপদে পড়েছেন।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সালমা ফেরদৌস বলেন, ‘এ মুহূর্তে আমার কাছে পাম তেল বাগান নিয়ে কোনো প্রকল্প নেই। তবু নাজের হোসেনের বিষয়টি ঊর্ধ্বতনদের জানাব পামগাছের ফল প্রক্রিয়াজাত করে তেল উৎপাদনের উদ্যোগ নেওয়া যায় কি না।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এনামুল হক বলেন, কৃষি বিভাগের এমন কোনো প্রকল্প চালু নেই। প্রকল্প পেলে উদ্যোক্তা নাজেরের জন্য যা যা করা দরকার, সেসব করা হবে।
পাম তেল গাছের সম্ভাবনাময় এলাকা পার্বত্য জেলা বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা। এখানে রয়েছে অনেক অনাবাদি জমি। এই জমিতে পাম তেল গাছ চাষ করে পর্যাপ্ত পরিমাণ তেল উৎপাদন সম্ভব। ২০১১ সালে কৃষি বিভাগ এবং কয়েকটি কোম্পানি এমনই সম্ভাবনার গল্প শুনিয়েছিল নাইক্ষ্যংছড়ির কৃষি উদ্যোক্তাদের। তখন অনেকেই এগিয়ে এসেছিলেন। কেউ কেউ শুরু করেছিলেন পামবাগানের।
তাঁদেরই একজন উদ্যোক্তা হলেন সোনাইছড়ি ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব হেডম্যান পাড়ার কৃষক নাজের হোসেন। ১১ বছর আগে তাঁর রোপণ করা ৩২০টি পাম তেল গাছ এখন গলার কাটা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সাফল্যের সম্ভাবনার গল্প শোনানো কৃষি বিভাগ কিংবা বেসরকারি কোনো প্রতিষ্ঠান এখন আর পাশে নেই উদ্যোক্তা নাজেরের। সঠিক ব্যবস্থাপনা ও পাম তেল প্রক্রিয়াজাত করার অভাবে পাম তেল চাষ শিল্পে রূপ পায়নি আজও। উল্টো হতাশ হয়ে পড়েছেন এই উদ্যোক্তা।
নাজের হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘২০১১ সালে ৮ একর পাহাড়ি জমিতে ৩২০টি পামগাছের চারা চাষ করি। ১১ বছর ধরে এসব গাছের পরিচর্যা করে আসছি। আয় তো নেই-ই, উল্টো বাগানের খরচ বহনে গরু থেকে শুরু করে স্ত্রীর স্বর্ণালংকার পর্যন্ত বিক্রি করতে হয়েছে।’
কৃষক নাজের আরও বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে পামগাছ চাষে লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখিয়েছিল কৃষি বিভাগসহ দু-একটি কোম্পানি। তাদের প্রলোভনে আমিসহ এই উপজেলার অনেকে পাম চাষে পা বাড়িয়েছিলাম। সে সময়ে লাভের স্বপ্ন দেখানো একটি কোম্পানির কাছ থেকে ৩০০ টাকা দরে ৩২০টি চারা কিনে রোপণ করি।’
হতাশা নিয়ে এই কৃষক বলেন, ‘চারা রোপণের ১৬ মাসের মাথায় প্রতিটি গাছে ফুল ও ফল ধরেছিল; কিন্তু সেই ফল থেকে তেল প্রক্রিয়াজাত মেশিন না থাকায় পাম তেল আর প্রক্রিয়াজাত করা সম্ভব হয়নি। এখন প্রতিবছর পামগাছে ফল ধরে, পেকে পচে বাগানেই নষ্ট হয়ে যায়। এ বছরও বাগানে পাম ফল পচে নষ্ট হচ্ছে।’
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য জাফর আলম বাংগালী বলেন, ‘তেল উৎপাদনে যেতে হলে প্রক্রিয়াকরণ মেশিন দরকার। পাম চাষের সম্ভাবনা, প্রক্রিয়া নিয়ে গবেষণার প্রয়োজন। বিনিয়োগের আগে ব্যবসায়ীরা আদৌ লাভবান হবেন, নাকি ক্ষতির মুখে পড়বেন, তা যাচাই-বাছাই করে সব কাজ করতে হয়। এখন সব হারিয়ে নাজের হোসেন বড় বিপদে পড়েছেন।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সালমা ফেরদৌস বলেন, ‘এ মুহূর্তে আমার কাছে পাম তেল বাগান নিয়ে কোনো প্রকল্প নেই। তবু নাজের হোসেনের বিষয়টি ঊর্ধ্বতনদের জানাব পামগাছের ফল প্রক্রিয়াজাত করে তেল উৎপাদনের উদ্যোগ নেওয়া যায় কি না।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এনামুল হক বলেন, কৃষি বিভাগের এমন কোনো প্রকল্প চালু নেই। প্রকল্প পেলে উদ্যোক্তা নাজেরের জন্য যা যা করা দরকার, সেসব করা হবে।
পর্দার নায়িকারা নিজেদের বয়স আড়ালে রাখা পছন্দ করেন। এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম আজমেরী হক বাঁধন। প্রতিবছর নিজের জন্মদিনে জানান দেন তাঁর বয়স। গতকাল ছিল বাঁধনের ৪১তম জন্মদিন। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই জানালেন এই তথ্য।
২ দিন আগে১০ বছরের বেশি সময় ধরে শোবিজে কাজ করছেন অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। নাটকের পাশাপাশি ওটিটিতে দেখা গেছে তাঁকে। সরকারি অনুদানের ‘দেবী’ নামের একটি সিনেমায়ও অভিনয় করেছেন। প্রশংসিত হলেও সিনেমায় আর দেখা মেলেনি তাঁর। ছোট পর্দাতেও অনেক দিন ধরে অনিয়মিত তিনি। এবার শবনম ফারিয়া হাজির হচ্ছেন নতুন পরিচয়ে। কমেডি রিয়েলিটি
২ দিন আগেআমাদের লোকসংস্কৃতির অন্যতম ঐতিহ্য যাত্রাপালা। গণমানুষের সংস্কৃতি হিসেবে বিবেচিত এই যাত্রাপালা নিয়ে শিল্পকলা একাডেমি আয়োজন করছে ‘যাত্রা উৎসব-২০২৪’। আগামী ১ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চে শুরু হবে ৭ দিনব্যাপী এই উৎসব।
২ দিন আগে‘বঙ্গবন্ধু’ পদবি বিলীন হবে না। হতে পারে না। যেমনটি ‘দেশবন্ধু’ চিত্তরঞ্জন দাশের পদবি বিলীন হয়নি। ইতিহাসে এসব পদবি অম্লান ও অক্ষয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ব্যক্তিত্ব ছিল অনন্যসাধারণ। আপনজনকে তো অবশ্যই, শত্রুপক্ষের লোকেরাও ব্যক্তিগত পর্যায়ে তাঁর প্রতি আকৃষ্ট হতেন। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর উচ্চপদের
২ দিন আগে