ঢাকার সাভারের শাহীবাগের আইচনোয়াদ্দা থেকে ১১ নভেম্বর নিখোঁজ হয় ১১ ও ১৪ বছর বয়সী দুই শিশু। প্রতিবেশী এ দুই শিশুকে অপহরণের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয় জারিফুল ইসলাম ওরফে শরিফুল ওরফে রফিকুলকে (২৭)। গ্রেপ্তারের পর জারিফুলকে তিন দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন আদালত। রিমান্ড শেষে তাঁকে পাঠানো হয় কারাগারে।

নিখোঁজের আট দিনের মাথায় ১৪ বছর বয়সী শিশুর খালাবাড়ি থেকে তাদের দুজনকে উদ্ধার করা হয়। গত শুক্রবার মানিকগঞ্জের দৌলতপুর থানার কল্যাণপুরে খালাবাড়ি থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারের পর দুই শিশু জানায়, তাদের কেউ অপহরণ করেনি। নিজ ইচ্ছাতেই তারা বেড়াতে এসেছে।

তার আগে, দুই শিশুকে অপহরণের অভিযোগে সাভার মডেল থানায় জারিফুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন নিখোঁজ ১১ বছর বয়সী শিশুর মা। অভিযোগে বলা হয়, সাভারের বাসা থেকে ঘুরতে বের হয় ওই দুই শিশু। এ সময় প্রাইভেট কারে তুলে নিয়ে অপহরণ করেন জারিফুল। অভিযোগের ভিত্তিতে ১৪ নভেম্বর সাভারের শিমুলতলা এলাকা থেকে জারিফুলকে আটক করা হয়।

পরের দিন ১৫ নভেম্বর জারিফুলের বিরুদ্ধে মামলা করেন ওই নারী। তাঁকে সে মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়। পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত জারিফুলের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড শেষে গত বৃহস্পতিবার তাঁকে কারাগারে পাঠান আদালত।

মামলার বাদী বলেন, ‘আমার মেয়ের সন্ধান পেয়েছি। তাঁকে উদ্ধারও করেছে পুলিশ। সে নিখোঁজ থাকা অপর শিশুর খালার বাসায় নিজের ইচ্ছায় গিয়েছিল। তারা হয়তো ঘুরতে গিয়েছিল।’

জারিফুলের বিরুদ্ধে তাহলে অপহরণের অভিযোগ কেন? এমন প্রশ্নে বাদী বলেন, ‘আমি তো কিছুই জানি না। আমার মেয়ে ওই শিশুর (১৪ বছর বয়সী শিশু) সঙ্গে বাসা থেকে বের হয়েছে। যখন খুঁজে পাচ্ছিলাম না তখন তার বোনের কাছে যাই। সেই আমাদের বলে জারিফুল তাদের অপহরণ করেছে। সেই কথামতো থানায় অভিযোগ দিয়েছিলাম।’

মামলার বাদী বলেন, ‘আমার অভিভাবক আছেন। তাঁরা সিদ্ধান্ত নেবেন।’

ওই শিশুর দুলাভাই বলেন, গত বৃহস্পতিবার জানা যায় যে, তারা নিজের ইচ্ছায় খালার বাসায় গিয়েছিল।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সাভার থানার উপপরিদর্শক মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বলেন, ওই দুই শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে। এক শিশুর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতেই জারিফুলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।