সানজিদা সামরিন, ঢাকা
সমুদ্রপাড়ের ভেজা বালুতে পায়ের ছাপ ফেলে ঘুরে বেড়ানোর সময় ঠিক গোড়ালির পাশে পড়ে থাকা মৃত শামুকের খোলস হাতে তুলে নেন না এমন মানুষের সংখ্যা খুব কম। পকেটে পুরে নেওয়া সেই ছোট্ট শামুকটি শহরে ফিরেও যত্নে তুলে রাখেন বাক্সে, সাজঘরের আয়নার সামনেও শোভা পায় সেই খাঁজকাটা খোলস। হলুদাভ সাদায় মেশানো শামুকটা ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে দেখতে দেখতে নস্টালজিয়ায় ডুবে যাই আমরাও। সমুদ্রের ধরনভেদে পাল্টায় এই শাঁসের রং ও ধরন।
সি-শেল বা সামুদ্রিক শাঁস বরাবরই মানুষকে ভাবিয়েছে, অভিভূত করেছে তো বটেই। এসব কড়ি, ঝিনুক, শামুক, করতাল নিয়ে যুগে যুগে কতশত ভাবনায় ডুবেছে মানুষের মন, গড়ে উঠেছে কতই না কল্পকাহিনি। লোকে ভাবতে ভালোবাসে, চাঁদের রুপালি আলোর প্রভাবে বুঝি কড়ি, ঝিনুক, শামুক, করতাল ইত্যাদি সামুদ্রিক শাঁসের রং এমন চকচকে। আবার শামুকের ভেতর লুকিয়ে থাকা রাজকন্যা আর ঝিনুকের মধ্যে থাকা জিরোধনী নামের ছোট্ট মেয়ের গল্পও ফুটেছে নানা দেশের মানুষের মুখে মুখে।
বিভিন্ন দেশের সাগর ও মহাসাগরে জন্মানো সামুদ্রিক শাঁস যুগে যুগে মানুষের বিনিময়ের মাধ্যম, বিশ্বাস বা শুভশক্তির ধারক হিসেবেও ব্যবহৃত হয়েছে, হচ্ছেও বটে। শুধু কি তা-ই, এখন ঘরের সৌন্দর্যবর্ধনের উপকরণ ও গয়নাতেও ব্যবহৃত হচ্ছে এই রহস্যময় সামুদ্রিক শাঁস।
কয়েক বছরের ফ্যাশন দুনিয়ায় চোখ রাখলে দেখা যাবে হীরা, রুবি, সোনা, রুপার পাশাপাশি সামুদ্রিক শাঁস দিয়ে তৈরি গয়নাও সাজবাক্সে সগর্বে জায়গা করে নিয়েছে; বিশেষ করে তরুণীরা লুফে নিচ্ছেন অভিনব এই গয়না। সংরক্ষণ করা সহজ, সব ধরনের পোশাকের সঙ্গে মানানসই বলে সামুদ্রিক শাঁস দিয়ে তৈরি গয়না অনেক বেশি গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠছে।
সাগরবক্ষ থেকে সংগৃহীত শাঁস নিয়ে গয়না তৈরি করছে মনসিজ ক্র্যাফট। এসব গয়না তৈরিতে মূলত প্রাকৃতিক কড়ি, শামুক, ঝিনুক, করতাল, চাষ করা মুক্তা ও পাথর ব্যবহার করা হয়েছে। অলংকারের নকশায় কখনো জ্যামিতিক প্যাটার্ন, আবার কখনো প্রাকৃতিক প্যাটার্ন প্রাধান্য পেয়েছে।
মনসিজ ক্র্যাফটের কর্ণধার ও শিল্পী সাদিয়া শারমিন জানান, এখন বিয়ের মতো জাঁকজমক অনুষ্ঠান থেকে শুরু করে প্রতিদিন বাইরে বের হওয়ার জন্য শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ বা পশ্চিমা পোশাকের সঙ্গে কড়ি, শামুক, ঝিনুকের গয়না ব্যবহার করছেন নারীরা; বিশেষ করে সুতি, খাদি, বাটিক, টাইডাই, তসরের কাপড়ের সঙ্গে এ ধরনের গয়না দারুণ মানিয়ে যায়। সাদিয়া শারমিন বলেন, ‘সামুদ্রিক শাঁস দিয়ে আমরা কানের দুল, লকেট, নেকলেস তৈরি করেছি, সেগুলোর দামও হাতের নাগালে।’ সর্বনিম্ন ৩০০ থেকে সর্বোচ্চ ৩ হাজার টাকার মধ্যে পাওয়া যাবে এগুলো।
মনসিজ ক্র্যাফট ছাড়াও দেশীয় ফ্যাশন হাউসগুলো তাদের তৈরি গয়নায় সামুদ্রিক শাঁস, বিশেষ করে কড়ির ব্যবহার করছে। অনলাইনের গয়নার বিভিন্ন পেজ, যেমন টেনটেরালী, ত্রিনিত্রি, জায়া, বৃত্ত তাদের তৈরি কাস্টমাইজ আংটি, কানের দুল, নেকলেস, হাতের বালায় সামুদ্রিক শাঁসের ব্যবহার করছে। নিজের সংগ্রহে জমিয়ে রাখা শামুক, ঝিনুক, মুক্তা, কড়ি দিয়ে অনেকে নিজেই বানিয়ে নিচ্ছেন নিজের পছন্দমতো গয়না।
সামুদ্রিক শাঁসের উপযুক্ত ব্যবহার প্রসঙ্গে সাদিয়া শারমিন বলেন, ‘শামুক ও ঝিনুক পরিবেশ রক্ষায় বিশেষ অবদান রাখে। তাই পর্যটক কিংবা শেল সংগ্রাহক ও ব্যবসায়ীদের উচিত, জীবিত সামুদ্রিক শাঁস ধ্বংস না করে শুধু ভেসে আসা মৃত শাঁসগুলো ব্যবসায়িক কাজে ব্যবহার করা।’
সমুদ্রপাড়ের ভেজা বালুতে পায়ের ছাপ ফেলে ঘুরে বেড়ানোর সময় ঠিক গোড়ালির পাশে পড়ে থাকা মৃত শামুকের খোলস হাতে তুলে নেন না এমন মানুষের সংখ্যা খুব কম। পকেটে পুরে নেওয়া সেই ছোট্ট শামুকটি শহরে ফিরেও যত্নে তুলে রাখেন বাক্সে, সাজঘরের আয়নার সামনেও শোভা পায় সেই খাঁজকাটা খোলস। হলুদাভ সাদায় মেশানো শামুকটা ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে দেখতে দেখতে নস্টালজিয়ায় ডুবে যাই আমরাও। সমুদ্রের ধরনভেদে পাল্টায় এই শাঁসের রং ও ধরন।
সি-শেল বা সামুদ্রিক শাঁস বরাবরই মানুষকে ভাবিয়েছে, অভিভূত করেছে তো বটেই। এসব কড়ি, ঝিনুক, শামুক, করতাল নিয়ে যুগে যুগে কতশত ভাবনায় ডুবেছে মানুষের মন, গড়ে উঠেছে কতই না কল্পকাহিনি। লোকে ভাবতে ভালোবাসে, চাঁদের রুপালি আলোর প্রভাবে বুঝি কড়ি, ঝিনুক, শামুক, করতাল ইত্যাদি সামুদ্রিক শাঁসের রং এমন চকচকে। আবার শামুকের ভেতর লুকিয়ে থাকা রাজকন্যা আর ঝিনুকের মধ্যে থাকা জিরোধনী নামের ছোট্ট মেয়ের গল্পও ফুটেছে নানা দেশের মানুষের মুখে মুখে।
বিভিন্ন দেশের সাগর ও মহাসাগরে জন্মানো সামুদ্রিক শাঁস যুগে যুগে মানুষের বিনিময়ের মাধ্যম, বিশ্বাস বা শুভশক্তির ধারক হিসেবেও ব্যবহৃত হয়েছে, হচ্ছেও বটে। শুধু কি তা-ই, এখন ঘরের সৌন্দর্যবর্ধনের উপকরণ ও গয়নাতেও ব্যবহৃত হচ্ছে এই রহস্যময় সামুদ্রিক শাঁস।
কয়েক বছরের ফ্যাশন দুনিয়ায় চোখ রাখলে দেখা যাবে হীরা, রুবি, সোনা, রুপার পাশাপাশি সামুদ্রিক শাঁস দিয়ে তৈরি গয়নাও সাজবাক্সে সগর্বে জায়গা করে নিয়েছে; বিশেষ করে তরুণীরা লুফে নিচ্ছেন অভিনব এই গয়না। সংরক্ষণ করা সহজ, সব ধরনের পোশাকের সঙ্গে মানানসই বলে সামুদ্রিক শাঁস দিয়ে তৈরি গয়না অনেক বেশি গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠছে।
সাগরবক্ষ থেকে সংগৃহীত শাঁস নিয়ে গয়না তৈরি করছে মনসিজ ক্র্যাফট। এসব গয়না তৈরিতে মূলত প্রাকৃতিক কড়ি, শামুক, ঝিনুক, করতাল, চাষ করা মুক্তা ও পাথর ব্যবহার করা হয়েছে। অলংকারের নকশায় কখনো জ্যামিতিক প্যাটার্ন, আবার কখনো প্রাকৃতিক প্যাটার্ন প্রাধান্য পেয়েছে।
মনসিজ ক্র্যাফটের কর্ণধার ও শিল্পী সাদিয়া শারমিন জানান, এখন বিয়ের মতো জাঁকজমক অনুষ্ঠান থেকে শুরু করে প্রতিদিন বাইরে বের হওয়ার জন্য শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ বা পশ্চিমা পোশাকের সঙ্গে কড়ি, শামুক, ঝিনুকের গয়না ব্যবহার করছেন নারীরা; বিশেষ করে সুতি, খাদি, বাটিক, টাইডাই, তসরের কাপড়ের সঙ্গে এ ধরনের গয়না দারুণ মানিয়ে যায়। সাদিয়া শারমিন বলেন, ‘সামুদ্রিক শাঁস দিয়ে আমরা কানের দুল, লকেট, নেকলেস তৈরি করেছি, সেগুলোর দামও হাতের নাগালে।’ সর্বনিম্ন ৩০০ থেকে সর্বোচ্চ ৩ হাজার টাকার মধ্যে পাওয়া যাবে এগুলো।
মনসিজ ক্র্যাফট ছাড়াও দেশীয় ফ্যাশন হাউসগুলো তাদের তৈরি গয়নায় সামুদ্রিক শাঁস, বিশেষ করে কড়ির ব্যবহার করছে। অনলাইনের গয়নার বিভিন্ন পেজ, যেমন টেনটেরালী, ত্রিনিত্রি, জায়া, বৃত্ত তাদের তৈরি কাস্টমাইজ আংটি, কানের দুল, নেকলেস, হাতের বালায় সামুদ্রিক শাঁসের ব্যবহার করছে। নিজের সংগ্রহে জমিয়ে রাখা শামুক, ঝিনুক, মুক্তা, কড়ি দিয়ে অনেকে নিজেই বানিয়ে নিচ্ছেন নিজের পছন্দমতো গয়না।
সামুদ্রিক শাঁসের উপযুক্ত ব্যবহার প্রসঙ্গে সাদিয়া শারমিন বলেন, ‘শামুক ও ঝিনুক পরিবেশ রক্ষায় বিশেষ অবদান রাখে। তাই পর্যটক কিংবা শেল সংগ্রাহক ও ব্যবসায়ীদের উচিত, জীবিত সামুদ্রিক শাঁস ধ্বংস না করে শুধু ভেসে আসা মৃত শাঁসগুলো ব্যবসায়িক কাজে ব্যবহার করা।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
১ দিন আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪