জিয়াউল হকের দাড়ি কামানো

বিরস
প্রকাশ : ২০ অক্টোবর ২০২১, ০৮: ২২
আপডেট : ২০ অক্টোবর ২০২১, ১৪: ০১

পাকিস্তানের সাবেক সামরিক শাসক জেনারেল জিয়াউল হক সার্ক সম্মেলনে যোগ দেওয়ার জন্য ভারত যাবেন। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে তাঁর ব্যক্তিগত নাপিত অসুস্থ। তিনি আবার ক্লিন শেভড না হলে কোনো আলোচনায় মন বসাতে পারেন না। তখন তার অসুস্থ নাপিত জানাল, ‘স্যার আপনি ভাববেন না, ওখানে আমার এক পরিচিত জ্ঞাতি ভাই আছে, সেও ভালো নাপিত। তাঁকে আমি খবর দিয়ে দিয়েছি, সে আপনাকে ক্লিন শেভড করে দেবে আমার মতোই।’

প্রেসিডেন্ট জিয়া নিশ্চিত হয়ে রওনা হলেন ভারতে। ওখানে পৌঁছে ক্লিন শেভড হতেও সমস্যা হলো না। ভালো শেভ করল সেই জ্ঞাতি ভাই।

পরে জিয়াউল হকের ব্যক্তিগত নাপিত তাঁর জ্ঞাতি ভাইকে একদিন ফোনে জিজ্ঞেস করল—

‘তুমি আসলে কীভাবে আমাদের প্রেসিডেন্টের ক্লিন শেভড করলে?’

জ্ঞাতি ভাইয়ের জবাব, ‘কেন, তুমি যেভাবে করতে।’

‘আমি কীভাবে করি সেটা তুমি জানলে কেমন করে?’

‘তুমি একদিন কথা প্রসঙ্গে আমাকে বলেছিলে যে “নির্বাচন কবে দিচ্ছেন?” এই প্রশ্ন করলেই তোমাদের প্রেসিডেন্টের সব দাড়ি-গোঁফের গোড়া শক্ত হয়ে দাঁড়িয়ে যায়। আমিও তাঁকে সে প্রশ্ন করায় একই প্রতিক্রিয়া হলো এবং তখন আমি আরামসে ক্ষুর চালিয়ে কাজ শেষ করি।’

খ. একজন চোরকে পাকড়াও করে থানায় ফেরার পথে হঠাৎ প্রবল বাতাসে পুলিশের মাথার টুপি উড়ে দূরে গিয়ে পড়ে। তখন চোর বলে: স্যার, আপনি অনুমতি দিলে আমি এক দৌড়ে আপনার টুপিটা এনে দিতে পারি।

চোরের কথা শুনে পুলিশের তাৎক্ষণিক জবাব: ব্যাটা তো ভারি চালাক। আমাকে বোকা ভেবেছিস? তুই টুপি আনার কথা বলে দৌড়ে পালাতে চাস? তোর চালাকি আমি ধরতে পারিনি ভেবেছিস? ব্যাটা চালাকের বিচি, এখানে চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাক। আমি টুপিটা নিয়ে আসছি।

গ. এলাকার এক নামকরা সন্ত্রাসী ঘটা করে একটি রাজনৈতিক দলে যোগ দিল। এ উপলক্ষে একটি সংবর্ধনা সভার আয়োজন করা হলো। তবে সভায় তেমন জনসমাগম হলো না। সাকল্যে শখানেক মানুষ ছড়িয়ে-ছিটিয়ে বসে আছে। গলায় কাগজের ফুলের মালা ঝুলিয়ে বুক ফুলিয়ে সন্ত্রাসী-কাম রাজনীতিক বক্তৃতা দিতে ওঠামাত্র হঠাৎ বোমা ফাটার বিকট শব্দ। ভয়ে শ্রোতাদের অর্ধেক দৌড়ে পালাল। সন্ত্রাসী নেতা গলা ফাটিয়ে চিৎকার করে উঠলেন: বোমা ফাটিয়ে আমাকে ভয় দেখানো যাবে না। অস্ত্র আমার কাছেও আছে। দলে ঢুকেছি, কিন্তু অস্ত্র ছাড়িনি। একাত্তরে মুক্তিযোদ্ধারা দেশ স্বাধীন হওয়ার পর অস্ত্র জমা দিয়েছিলেন, ট্রেনিং জমা দেননি। আমি ট্রেনিং এবং অস্ত্রসমেত রাজনীতিতে ঢুকেছি। তারপর কোমর থেকে পিস্তল বের করে দুই রাউন্ড গুলি ছুড়তেই বাকি শ্রোতারাও ভেগে গেল।

এরপর মাঠ ফাঁকা। ফাঁকা মাঠে গোল দেওয়ার বন্দোবস্ত পাকা।

ঘ. শিবরাম চক্রবর্তী ছিলেন রসের রাজা। তাঁর লেখা যেমন রসে ঠাসা, তেমনি চলনে বলনেও তিনি ছিলেন মজার মানুষ। একবার এক নেমন্তন্ন বাড়িতে খেতে খেতে শিবরাম বললেন, খাসির মাংসটা সুস্বাদু হওয়ায় একটু বেশি খেয়েছি। প্রেশারটা হাই হয়ে গেল মনে হচ্ছে’। বলেই পকেট থেকে বের করে কয়েকটি ট্যাবলেট টপাটপ খেয়ে নিয়ে আবার মাংস খেতে শুরু করলেন। একজন তাঁর দিকে সবিস্ময়ে তাকাতেই বললেন, ‘ওষুধ খেয়ে মনে হলো প্রেশারটা লো হয়ে গেল। তাই আরও কয়েক টুকরা মাংস খেয়ে প্রেশারটা নরমাল করে নিচ্ছি।’

ঙ. একজন শিক্ষার্থী তার সহপাঠীকে জিজ্ঞেস করল, হিটলার কেন আত্মহত্যা করেছিল জানিস?

-‘জানি, আইখম্যানের কারণে।’

-‘কেন আইখম্যান কি করেছিল?’

-‘গ্যাস চেম্বারের বিল দাখিল করেছিল হিটলারের কাছে। বিলে অঙ্ক দেখেই হিটলার...’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আবু সাঈদকে ৪–৫ ঘণ্টা পরে হাসপাতালে নেওয়া হয়—শেখ হাসিনার দাবির সত্যতা কতটুকু

মেট্রোরেল থেকে আমলাদের বিদায়, অগ্রাধিকার প্রকৌশলীদের

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

বিমানবন্দরে সাংবাদিক নূরুল কবীরকে হয়রানির তদন্তের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

কবি নজরুল ও সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ৩৫ কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত