ঘাটাইল প্রতিনিধি
ঘাটাইল উপজেলার আনেহলা ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমর্থক চেয়ারম্যান প্রার্থীর (চশমা প্রতীক) কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে দুই দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের সাতটি মোটরসাইকেল ও আওয়ামী লীগ প্রার্থীর নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর করা হয়। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের পাঁচজন কর্মী আহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার বিকেলে খায়েরপাড়া বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এর পর পরই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষের ঘটনায় দুই প্রার্থী একে অপরকে দায়ী করে স্থানীয় প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আনেহলা ইউনিয়নের খায়েরপাড়া বাজার ও বগাজান এলাকায় নির্বাচনী প্রচারের সময় নৌকা ও চশমা প্রতীকের প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। এ সময় উভয় পক্ষের সাত থেকে আটটি মোটরসাইকেল এবং নৌকার নির্বাচনী অফিস ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী তালুকদার মো. শাহজাহান বলেন, ‘স্বতন্ত্র প্রার্থী শফিউর রহমান মুক্তার কর্মীরা বগাজান এলাকায় আমার নির্বাচনী অফিস এবং খায়েরপাড়া বাজারে বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেছে। এ সময় আমার চারজন কর্মী আহত হয়েছেন।’
অপরদিকে চশমা প্রতীকের প্রার্থী শফিউর রহমান মুক্তা বলেন, ‘শুরু থেকেই নৌকার প্রার্থী আমার কর্মীদের ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন এবং প্রচারকাজে বাধা দিচ্ছেন। শুক্রবার নৌকার কর্মীরা খায়েরপাড়া বাজারে আমার কর্মীদের ওপর হামলা চালায়। এতে এলাকার লোকজন উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। এর ফলে উভয় পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।’
প্রত্যক্ষদর্শী বগাজান গ্রামের রফিকুল ইসলাম বলেন, শফিউর রহমান মুক্তার লোকজন প্রচার চালাতে গেলে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর কর্মী সমর্থকেরা তাঁদের ধাওয়া করে। এতে এলাকায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পরে উভয় পক্ষ মারপিটে জড়িয়ে পড়ে।
এ বিষয়ে ঘাটাইলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা ইয়াসমিন বলেন, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে প্রশাসন যে কোনো পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত রয়েছে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা সহ্য করা হবে না।
ঘাটাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আজহারুল ইসলাম সরকার বলেন, ঘটনার পর পরই স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে পরিবেশ স্বাভাবিক রয়েছে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার লোকেরপাড়া ইউপির নৌকার প্রার্থী শরীফ হোসেনের সমর্থক ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী শহিদুল হক মিলনের সমর্থকদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের ১০ জন কর্মী আহত হন এবং সাতটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়।
এ ছাড়া গত বুধবার দেউলাবাড়ি ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের সমর্থকেরা স্বতন্ত্র প্রার্থী রফিকুল ইসলামের নির্বাচনী মিছিল ছত্রভঙ্গ করে দেয় বলে তিনি অভিযোগ করেন। পরিস্থিতি দেখে অনেক ভোটার সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যাপারে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
লোকেরপাড়া ইউনিয়নের চরবীরসিংহ গ্রামের আব্দুল মোমেন বলেন, উত্তেজনা ও সহিংসতা দেখে ভয় হচ্ছে সুষ্ঠু ভোট হবে কিনা।
একই আশঙ্কা প্রকাশ করেন দেউলাবাড়ি ইউনিয়নের ঝুনকাইল গ্রামের বাসিন্দা সাইফুল ইসলামসহ অনেকেই।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বলছেন, পরিবেশ শান্তিপূর্ণ রাখতে নির্বাচন কমিশন কাজ করে যাচ্ছে।
আগামীকাল রোববার চতুর্থ ধাপে ঘাটাইল উপজেলার সাতটি ইউপিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এতে চেয়ারম্যান পদে ৪০ জন, ৬৩টি সাধারণ সদস্য পদে ২৪০ জন, ২১টি সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ৮৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
ঘাটাইল উপজেলার আনেহলা ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমর্থক চেয়ারম্যান প্রার্থীর (চশমা প্রতীক) কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে দুই দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের সাতটি মোটরসাইকেল ও আওয়ামী লীগ প্রার্থীর নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর করা হয়। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের পাঁচজন কর্মী আহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার বিকেলে খায়েরপাড়া বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এর পর পরই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষের ঘটনায় দুই প্রার্থী একে অপরকে দায়ী করে স্থানীয় প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আনেহলা ইউনিয়নের খায়েরপাড়া বাজার ও বগাজান এলাকায় নির্বাচনী প্রচারের সময় নৌকা ও চশমা প্রতীকের প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। এ সময় উভয় পক্ষের সাত থেকে আটটি মোটরসাইকেল এবং নৌকার নির্বাচনী অফিস ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী তালুকদার মো. শাহজাহান বলেন, ‘স্বতন্ত্র প্রার্থী শফিউর রহমান মুক্তার কর্মীরা বগাজান এলাকায় আমার নির্বাচনী অফিস এবং খায়েরপাড়া বাজারে বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেছে। এ সময় আমার চারজন কর্মী আহত হয়েছেন।’
অপরদিকে চশমা প্রতীকের প্রার্থী শফিউর রহমান মুক্তা বলেন, ‘শুরু থেকেই নৌকার প্রার্থী আমার কর্মীদের ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন এবং প্রচারকাজে বাধা দিচ্ছেন। শুক্রবার নৌকার কর্মীরা খায়েরপাড়া বাজারে আমার কর্মীদের ওপর হামলা চালায়। এতে এলাকার লোকজন উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। এর ফলে উভয় পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।’
প্রত্যক্ষদর্শী বগাজান গ্রামের রফিকুল ইসলাম বলেন, শফিউর রহমান মুক্তার লোকজন প্রচার চালাতে গেলে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর কর্মী সমর্থকেরা তাঁদের ধাওয়া করে। এতে এলাকায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পরে উভয় পক্ষ মারপিটে জড়িয়ে পড়ে।
এ বিষয়ে ঘাটাইলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা ইয়াসমিন বলেন, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে প্রশাসন যে কোনো পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত রয়েছে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা সহ্য করা হবে না।
ঘাটাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আজহারুল ইসলাম সরকার বলেন, ঘটনার পর পরই স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে পরিবেশ স্বাভাবিক রয়েছে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার লোকেরপাড়া ইউপির নৌকার প্রার্থী শরীফ হোসেনের সমর্থক ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী শহিদুল হক মিলনের সমর্থকদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের ১০ জন কর্মী আহত হন এবং সাতটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়।
এ ছাড়া গত বুধবার দেউলাবাড়ি ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের সমর্থকেরা স্বতন্ত্র প্রার্থী রফিকুল ইসলামের নির্বাচনী মিছিল ছত্রভঙ্গ করে দেয় বলে তিনি অভিযোগ করেন। পরিস্থিতি দেখে অনেক ভোটার সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যাপারে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
লোকেরপাড়া ইউনিয়নের চরবীরসিংহ গ্রামের আব্দুল মোমেন বলেন, উত্তেজনা ও সহিংসতা দেখে ভয় হচ্ছে সুষ্ঠু ভোট হবে কিনা।
একই আশঙ্কা প্রকাশ করেন দেউলাবাড়ি ইউনিয়নের ঝুনকাইল গ্রামের বাসিন্দা সাইফুল ইসলামসহ অনেকেই।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বলছেন, পরিবেশ শান্তিপূর্ণ রাখতে নির্বাচন কমিশন কাজ করে যাচ্ছে।
আগামীকাল রোববার চতুর্থ ধাপে ঘাটাইল উপজেলার সাতটি ইউপিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এতে চেয়ারম্যান পদে ৪০ জন, ৬৩টি সাধারণ সদস্য পদে ২৪০ জন, ২১টি সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ৮৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২১ ঘণ্টা আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৫ দিন আগে