কাশফিয়া আলম ঝিলিক, ঢাকা
স্কুলশিক্ষক তাবাসসুম শিল্পী দিনকয়েক আগে বাসে করে যাচ্ছিলেন কর্মস্থল মোহাম্মদপুরে। বাস চলা শুরু করলে তিনি লক্ষ করেন, একটি লোক তাঁর দিকে হাঁ করে তাকিয়ে আছেন। চোখাচোখি হতেই তিনি চোখ নামিয়ে নিলেন। একটু পরে আবার তাকালেন, এবারেও লোকটি তাকিয়েই আছেন। গন্তব্যে না পৌঁছানো পর্যন্ত তিনি লক্ষ করলেন, লোকটি তাঁর দিকেই তাকিয়ে আছেন। বাস থেকে নামলেন, দেখেন তবু লোকটি তাকিয়েই রয়েছেন।
তাবাসসুম শিল্পী বললেন, মানুষের দিকে তাকানো কোনো দোষের নয়, কিন্তু অযাচিত চাহনি খুবই বিব্রতকর। মনের ওপর ভীষণভাবে দাগ কেটে যায়। সে দিনের কথা স্মরণ করে বললেন, ওই দিন কোনো কাজে তিনি মন বসাতে পারেননি। তাঁর কাছে এটা নির্যাতনের মতো মনে হয়েছিল।
এই অভিজ্ঞতা শুধু তাবাসসুমের একার নয়, রাজধানীর রাস্তায় পাবলিক যানবাহনে চলাফেরা করেন–এমন অনেক নারীই এ ধরনের বিড়ম্বনার কথা বলেছেন। তাঁরা বলেন, চলতি পথে পুরুষদের এ ধরনের তাকানো নিয়ে কারও কাছে অভিযোগ করা যায় না। সবাই ধরে নিয়েছেন মানুষ একে অন্যের দিকে তাকাবে—এটা খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার। কিন্তু একজন নারীর জন্য সেটা খুবই বিব্রতকর।
দেশে প্রচলিত যৌন হয়রানি প্রতিরোধের যে আইন আছে, তাতে যেকোনো প্রকারের অনাকাঙ্ক্ষিত শারীরিক, বাচনিক বা ইঙ্গিতমূলক অভিব্যক্তি, মন্তব্য বা ইশারা যৌন হয়রানি বলে বিবেচিত। কিন্তু তাকিয়ে থাকাটা সেখানে কোনো দোষের নয়। অবশ্য ২০০৯ সালের ১৪ মে হাইকোর্টের একটি রায়ে খারাপ দৃষ্টিতে তাকানোকে যৌন হয়রানি বলা হলেও সেটা প্রমাণ করা মোটেই সহজ নয়। তাহলে এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসার কি কোনো পথ নেই?
সাবেক প্রতিমন্ত্রী, আইনজীবী ও সমাজকর্মী তারানা হালিম বলছেন, শুধু তাকিয়ে থাকা কোনো অঙ্গ প্রদর্শনের মধ্যে পড়ে না। সে কারণে এ নিয়ে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া সহজ নয়। কিন্তু এই ইঙ্গিত যখন নারীকে অনিরাপদ করে, তখন সেটা অবশ্যই অপরাধ। নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতা প্রতিরোধ সুরক্ষা আইন অনুযায়ী এমন কোনো আকার-ইঙ্গিত বা অঙ্গ প্রদর্শন যার মাধ্যমে নারীর অবমাননা করা হয়, তাহলে সেটাই যৌন হয়রানি। তিনি বলেন, শুধু আইন দিয়ে হবে না, এ জন্য দরকার সামাজিক প্রতিরোধ। সবাই মিলে সেই প্রতিরোধ গড়তে হবে।
গৃহিণী রাইদা ইয়াসমিন তাঁর মেয়েকে নিয়ে প্রতিদিন স্কুলে যাতায়াত করেন। বললেন, ‘নিজের খারাপ অভিজ্ঞতার কারণে মেয়েরা সব সময় নিজের বাচ্চার জন্যও নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন। তাঁরা এতটাই মানসিক চাপে পড়েন যে নিজের শিশুটিকে বাইরে অরক্ষিত ও অনিরাপদ মনে করেন। এতে মানসিক অশান্তি আরও বেড়ে যায়।’
ন্যাশনাল কলেজ অব হোম ইকোনমিকসের শিক্ষার্থী শিশির রায় রিতু ছাত্র পড়াতে আসাদ গেট থেকে যাচ্ছিলেন কল্যাণপুরের দিকে। তাঁর অভিযোগ, প্রায় ফাঁকা বাসটিতে গা ঘেঁষে দাঁড়ানো পুরুষ যাত্রীকে সরে দাঁড়াতে বললেই খেপে যান। প্রতিবাদ করলে তাঁর গলার স্বর আরও কঠিন হয়ে ওঠে। একদিন পরিস্থিতি এমন হয়েছিল যে, লোকটি বাস থেকে নেমে যাওয়ার সময় শাসিয়ে যান। শিশির বললেন, ‘ওই দিন বাস থেকে নেমে অনেকক্ষণ কেঁদেছিলাম।’
নাহিদা আক্তার ধানমন্ডিতে পোশাকের শোরুমে কাজ করেন। বললেন, ‘তাঁদের কাজ শেষ হতে হতে রাত ১১টা বেজে যায়। এরপর তিনি মোহাম্মদপুরে বাড়িতে ফেরেন। ওই সময় বাসে তেমন যাত্রী থাকে না। এতে নিজেকে বেশ অনিরাপদ মনে হয় তাঁর। একদিন রাতে বাড়ি ফেরার সময় একজন মধ্যবয়স্ক লোক আমার পাশে বসলেন। বাসে সিট পাশাপাশি থাকে। অপরিচিত কেউ হলে একটু সংযত হয়ে বসা উচিত। কিন্তু আমার পাশের লোকটি ইচ্ছাকৃতভাবে আমার দিকে বেশি সরে আসছিলেন। হেলপার ব্যাপারটা লক্ষ করে ওই লোককে অন্য সিটে বসতে বলেন। এতে তিনি হেলপারের সঙ্গেই ঝগড়া শুরু করে দেন।’
গৃহিণী অর্পিতা দে বললেন, বাসের নারীদের জন্য সিট থাকে ইঞ্জিনের পাশে। সেখানে অনেক গরম। এসব সিটে কিছুক্ষণ বসার পরেই পা রাখতে অসুবিধা হয়। মনে হয় পুড়ে যাচ্ছে। কিন্তু কোনো কিছু বলার থাকে না। নারীর জন্য রাখা সিট পছন্দ না হলে কেউ অন্য সিটে বসতে পারেন না। আমেনা বেগম বসুন্ধরার সামনে কাপড় বিক্রি করেন। জানালেন, বাসে উঠলেই লোকে জন্তু দেখার মতো করে নারীর দিকে তাকিয়ে থাকেন। কেউ কেউ আজেবাজে কথা বলেন অন্য দিকে তাকিয়ে।
জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক ডা. শাহানা পারভিন বলেছেন, এটা আসলে মানসিক বিকৃতি। শারীরিক কারণ বা শিক্ষার অভাবে মানুষ এমন আচরণ করে। তিনি বলেন, একজন মানুষ একবার অন্যজনের দিকে তাকাতেই পারেন। কিন্তু কারও দিকে টানা তাকিয়ে থাকাটা কোনোভাবে গ্রহণযোগ্য নয়। এমন আচরণের কারণে ভুক্তভোগী নারীদের একধরনের মানসিক চাপ তৈরি হয়। তাঁরা ঘর থেকে বের হতে চান না।
একই অভিযোগ কলেজছাত্রী যারীন তাসনিমের। জানালেন তাঁদের পাঁচ বান্ধবীর ঘুরতে যাওয়ার একটি ঘটনা। বাসে একটি লোক বারবার পেছন ফিরে তাকাচ্ছিল তাঁদের দিকে। সমস্যা কী—জানতে চাওয়ায় লোকটি এমন ভাব করলেন যে কিছুই শুনতে পাননি। যারীন তাসনিম বললেন, বারবার অকারণেই তাকাচ্ছিল লোকটা। ওই দিন হয়তো অনেক বান্ধবী একসঙ্গে ছিলাম, এ জন্য ব্যাপারটা বেশি ভাবায়নি। কিন্তু একা থাকলে অবশ্যই এটা মানসিক একটা কষ্ট দিত।
জানতে চাইলে মানবাধিকারকর্মী সুলতানা কামাল বলেন, মানবাধিকার ও সাংবিধানিক দিক থেকে এমন আচরণ একেবারেই অগ্রহণযোগ্য। এ ধরনের আচরণের ক্ষেত্রে ভুক্তভোগীদের এগিয়ে আসতে হবে, তাদের অভিযোগ করতে হবে। আবার এ ধরনের ঘটনা খুব বেশি হলে সে ক্ষেত্রে জনস্বার্থে মামলা হতে পারে। তবে পুরুষের এ ধরনের আচরণের বিরুদ্ধে অবশ্যই গণসচেতনতা তৈরি করতে হবে। এ জন্য সবার আগে গণমাধ্যমকে এগিয়ে আসতে হবে।
স্কুলশিক্ষক তাবাসসুম শিল্পী দিনকয়েক আগে বাসে করে যাচ্ছিলেন কর্মস্থল মোহাম্মদপুরে। বাস চলা শুরু করলে তিনি লক্ষ করেন, একটি লোক তাঁর দিকে হাঁ করে তাকিয়ে আছেন। চোখাচোখি হতেই তিনি চোখ নামিয়ে নিলেন। একটু পরে আবার তাকালেন, এবারেও লোকটি তাকিয়েই আছেন। গন্তব্যে না পৌঁছানো পর্যন্ত তিনি লক্ষ করলেন, লোকটি তাঁর দিকেই তাকিয়ে আছেন। বাস থেকে নামলেন, দেখেন তবু লোকটি তাকিয়েই রয়েছেন।
তাবাসসুম শিল্পী বললেন, মানুষের দিকে তাকানো কোনো দোষের নয়, কিন্তু অযাচিত চাহনি খুবই বিব্রতকর। মনের ওপর ভীষণভাবে দাগ কেটে যায়। সে দিনের কথা স্মরণ করে বললেন, ওই দিন কোনো কাজে তিনি মন বসাতে পারেননি। তাঁর কাছে এটা নির্যাতনের মতো মনে হয়েছিল।
এই অভিজ্ঞতা শুধু তাবাসসুমের একার নয়, রাজধানীর রাস্তায় পাবলিক যানবাহনে চলাফেরা করেন–এমন অনেক নারীই এ ধরনের বিড়ম্বনার কথা বলেছেন। তাঁরা বলেন, চলতি পথে পুরুষদের এ ধরনের তাকানো নিয়ে কারও কাছে অভিযোগ করা যায় না। সবাই ধরে নিয়েছেন মানুষ একে অন্যের দিকে তাকাবে—এটা খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার। কিন্তু একজন নারীর জন্য সেটা খুবই বিব্রতকর।
দেশে প্রচলিত যৌন হয়রানি প্রতিরোধের যে আইন আছে, তাতে যেকোনো প্রকারের অনাকাঙ্ক্ষিত শারীরিক, বাচনিক বা ইঙ্গিতমূলক অভিব্যক্তি, মন্তব্য বা ইশারা যৌন হয়রানি বলে বিবেচিত। কিন্তু তাকিয়ে থাকাটা সেখানে কোনো দোষের নয়। অবশ্য ২০০৯ সালের ১৪ মে হাইকোর্টের একটি রায়ে খারাপ দৃষ্টিতে তাকানোকে যৌন হয়রানি বলা হলেও সেটা প্রমাণ করা মোটেই সহজ নয়। তাহলে এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসার কি কোনো পথ নেই?
সাবেক প্রতিমন্ত্রী, আইনজীবী ও সমাজকর্মী তারানা হালিম বলছেন, শুধু তাকিয়ে থাকা কোনো অঙ্গ প্রদর্শনের মধ্যে পড়ে না। সে কারণে এ নিয়ে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া সহজ নয়। কিন্তু এই ইঙ্গিত যখন নারীকে অনিরাপদ করে, তখন সেটা অবশ্যই অপরাধ। নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতা প্রতিরোধ সুরক্ষা আইন অনুযায়ী এমন কোনো আকার-ইঙ্গিত বা অঙ্গ প্রদর্শন যার মাধ্যমে নারীর অবমাননা করা হয়, তাহলে সেটাই যৌন হয়রানি। তিনি বলেন, শুধু আইন দিয়ে হবে না, এ জন্য দরকার সামাজিক প্রতিরোধ। সবাই মিলে সেই প্রতিরোধ গড়তে হবে।
গৃহিণী রাইদা ইয়াসমিন তাঁর মেয়েকে নিয়ে প্রতিদিন স্কুলে যাতায়াত করেন। বললেন, ‘নিজের খারাপ অভিজ্ঞতার কারণে মেয়েরা সব সময় নিজের বাচ্চার জন্যও নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন। তাঁরা এতটাই মানসিক চাপে পড়েন যে নিজের শিশুটিকে বাইরে অরক্ষিত ও অনিরাপদ মনে করেন। এতে মানসিক অশান্তি আরও বেড়ে যায়।’
ন্যাশনাল কলেজ অব হোম ইকোনমিকসের শিক্ষার্থী শিশির রায় রিতু ছাত্র পড়াতে আসাদ গেট থেকে যাচ্ছিলেন কল্যাণপুরের দিকে। তাঁর অভিযোগ, প্রায় ফাঁকা বাসটিতে গা ঘেঁষে দাঁড়ানো পুরুষ যাত্রীকে সরে দাঁড়াতে বললেই খেপে যান। প্রতিবাদ করলে তাঁর গলার স্বর আরও কঠিন হয়ে ওঠে। একদিন পরিস্থিতি এমন হয়েছিল যে, লোকটি বাস থেকে নেমে যাওয়ার সময় শাসিয়ে যান। শিশির বললেন, ‘ওই দিন বাস থেকে নেমে অনেকক্ষণ কেঁদেছিলাম।’
নাহিদা আক্তার ধানমন্ডিতে পোশাকের শোরুমে কাজ করেন। বললেন, ‘তাঁদের কাজ শেষ হতে হতে রাত ১১টা বেজে যায়। এরপর তিনি মোহাম্মদপুরে বাড়িতে ফেরেন। ওই সময় বাসে তেমন যাত্রী থাকে না। এতে নিজেকে বেশ অনিরাপদ মনে হয় তাঁর। একদিন রাতে বাড়ি ফেরার সময় একজন মধ্যবয়স্ক লোক আমার পাশে বসলেন। বাসে সিট পাশাপাশি থাকে। অপরিচিত কেউ হলে একটু সংযত হয়ে বসা উচিত। কিন্তু আমার পাশের লোকটি ইচ্ছাকৃতভাবে আমার দিকে বেশি সরে আসছিলেন। হেলপার ব্যাপারটা লক্ষ করে ওই লোককে অন্য সিটে বসতে বলেন। এতে তিনি হেলপারের সঙ্গেই ঝগড়া শুরু করে দেন।’
গৃহিণী অর্পিতা দে বললেন, বাসের নারীদের জন্য সিট থাকে ইঞ্জিনের পাশে। সেখানে অনেক গরম। এসব সিটে কিছুক্ষণ বসার পরেই পা রাখতে অসুবিধা হয়। মনে হয় পুড়ে যাচ্ছে। কিন্তু কোনো কিছু বলার থাকে না। নারীর জন্য রাখা সিট পছন্দ না হলে কেউ অন্য সিটে বসতে পারেন না। আমেনা বেগম বসুন্ধরার সামনে কাপড় বিক্রি করেন। জানালেন, বাসে উঠলেই লোকে জন্তু দেখার মতো করে নারীর দিকে তাকিয়ে থাকেন। কেউ কেউ আজেবাজে কথা বলেন অন্য দিকে তাকিয়ে।
জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক ডা. শাহানা পারভিন বলেছেন, এটা আসলে মানসিক বিকৃতি। শারীরিক কারণ বা শিক্ষার অভাবে মানুষ এমন আচরণ করে। তিনি বলেন, একজন মানুষ একবার অন্যজনের দিকে তাকাতেই পারেন। কিন্তু কারও দিকে টানা তাকিয়ে থাকাটা কোনোভাবে গ্রহণযোগ্য নয়। এমন আচরণের কারণে ভুক্তভোগী নারীদের একধরনের মানসিক চাপ তৈরি হয়। তাঁরা ঘর থেকে বের হতে চান না।
একই অভিযোগ কলেজছাত্রী যারীন তাসনিমের। জানালেন তাঁদের পাঁচ বান্ধবীর ঘুরতে যাওয়ার একটি ঘটনা। বাসে একটি লোক বারবার পেছন ফিরে তাকাচ্ছিল তাঁদের দিকে। সমস্যা কী—জানতে চাওয়ায় লোকটি এমন ভাব করলেন যে কিছুই শুনতে পাননি। যারীন তাসনিম বললেন, বারবার অকারণেই তাকাচ্ছিল লোকটা। ওই দিন হয়তো অনেক বান্ধবী একসঙ্গে ছিলাম, এ জন্য ব্যাপারটা বেশি ভাবায়নি। কিন্তু একা থাকলে অবশ্যই এটা মানসিক একটা কষ্ট দিত।
জানতে চাইলে মানবাধিকারকর্মী সুলতানা কামাল বলেন, মানবাধিকার ও সাংবিধানিক দিক থেকে এমন আচরণ একেবারেই অগ্রহণযোগ্য। এ ধরনের আচরণের ক্ষেত্রে ভুক্তভোগীদের এগিয়ে আসতে হবে, তাদের অভিযোগ করতে হবে। আবার এ ধরনের ঘটনা খুব বেশি হলে সে ক্ষেত্রে জনস্বার্থে মামলা হতে পারে। তবে পুরুষের এ ধরনের আচরণের বিরুদ্ধে অবশ্যই গণসচেতনতা তৈরি করতে হবে। এ জন্য সবার আগে গণমাধ্যমকে এগিয়ে আসতে হবে।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৫ দিন আগে