সম্পাদকীয়
বর্তমানে দেশে আমনের ভরা মৌসুম চলছে। আমনের এই ভরা মৌসুমে মোকাম, পাইকারি ও খুচরা বাজার—কোথাও কোনো চালের সংকট নেই। পাশাপাশি এই মৌসুমে পর্যাপ্ত ধানও উৎপাদন হয়েছে। তারপরও হঠাৎ করে চালের দাম বেড়েছে। আজকের পত্রিকায় রোববার ‘খামার ভরা ধানের মৌসুমে বাড়ছে চালের দাম’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
জানা গেছে, ৮-১০ দিনের ব্যবধানে বিভিন্ন ধরনের চালের দাম বেড়েছে কেজিতে ৩ থেকে ৫ টাকা পর্যন্ত। এই দাম বাড়ার মূল কারণ অবৈধ মজুত।
নির্বাচনের সময় বিরোধী দলের হরতাল ও অবরোধের কারণে স্বাভাবিক ছিল না পরিবহনব্যবস্থা। সে কারণে হয়তো চাল সরবরাহে সমস্যা ছিল। সে সময় চালের দাম বাড়ার একটি অজুহাত ছিল। কিন্তু নির্বাচনের পর হরতাল ও অবরোধ নেই। পরিবহনব্যবস্থা স্বাভাবিক হওয়ার পর কেন হঠাৎ চালের দাম বাড়ল? এই প্রশ্নের জবাব কে দেবে?
চাল আমাদের প্রধান খাদ্য। চাল উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বের মধ্যে তৃতীয়। উৎপাদন ভালো হলেও বাংলাদেশের বাজারে অদৃশ্য সিন্ডিকেটের কারসাজিতে চালের দাম নিয়ন্ত্রণ হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। এ ক্ষেত্রে উৎপাদন ও সরবরাহ বেশি থাকলে পণ্যের দাম কমে—অর্থনীতির এ নিয়ম চালের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয় না কেন? সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা অযৌক্তিক মুনাফা করে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নেন।
আবার চালের দাম বাড়ার কারণে অন্যান্য পণ্যের দামও বেড়ে যায়। তাই চালের বাজার অস্থিতিশীল হয়ে ভোক্তাদের ওপর নানা মাত্রার প্রভাব পড়ে।
এ অভিযোগ নতুন নয় যে সিন্ডিকেটের কারণে বাজার অস্থিতিশীল হয়ে ওঠে। যথাযথ সরকারি তদারকির অভাবে দাম বাড়ানোর যোগ্য কারিগরেরা সব সময়ই ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকেন। এটাই একটা স্বাভাবিক নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে।
শনিবার টুঙ্গিপাড়ায় এক মতবিনিময় সভায় রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখার নির্দেশ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের মানুষ যাতে স্বস্তিতে থাকতে পারে, সেই ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। রমজানের সময়, বিশেষ করে বড় মজুতদারেরা যাতে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির জন্য জরুরি পণ্য মজুত করতে না পারেন, সে ব্যাপারে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দেন। মজুতবিরোধী অভিযান নিয়মিত পরিচালনারও নির্দেশ দেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর কথা চালকল মালিক ও ব্যবসায়ীরা কতটুকু মেনে নেবেন? এর চেয়েও জরুরি হলো, তাঁর কথা না মানলে সরকারের জনপ্রিয়তা কমে যেতে পারে। সরকারের জনপ্রিয়তার স্বার্থে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনাকে গুরুত্ব দিতে হবে।
অতীতের ধারাবাহিকতায় দেখা গেছে, চালের বাজারে এ ধরনের সংকট নতুন নয়। দেশের খাদ্যনিরাপত্তার স্বার্থে এ পরিস্থিতি থেকে মুক্তির জন্য উপায় বের করা দরকার। সরকারি ব্যবস্থাপনায় টিসিবির মাধ্যমে খোলাবাজারে নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য চাল বিক্রির কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এ উদ্যোগকে আরও বিস্তৃত করতে হবে। পাশাপাশি কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশকে (ক্যাব) আরও সক্রিয় করতে হবে। এ ছাড়া বাজার মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা জোরদার করার বিকল্প নেই।
বর্তমানে দেশে আমনের ভরা মৌসুম চলছে। আমনের এই ভরা মৌসুমে মোকাম, পাইকারি ও খুচরা বাজার—কোথাও কোনো চালের সংকট নেই। পাশাপাশি এই মৌসুমে পর্যাপ্ত ধানও উৎপাদন হয়েছে। তারপরও হঠাৎ করে চালের দাম বেড়েছে। আজকের পত্রিকায় রোববার ‘খামার ভরা ধানের মৌসুমে বাড়ছে চালের দাম’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
জানা গেছে, ৮-১০ দিনের ব্যবধানে বিভিন্ন ধরনের চালের দাম বেড়েছে কেজিতে ৩ থেকে ৫ টাকা পর্যন্ত। এই দাম বাড়ার মূল কারণ অবৈধ মজুত।
নির্বাচনের সময় বিরোধী দলের হরতাল ও অবরোধের কারণে স্বাভাবিক ছিল না পরিবহনব্যবস্থা। সে কারণে হয়তো চাল সরবরাহে সমস্যা ছিল। সে সময় চালের দাম বাড়ার একটি অজুহাত ছিল। কিন্তু নির্বাচনের পর হরতাল ও অবরোধ নেই। পরিবহনব্যবস্থা স্বাভাবিক হওয়ার পর কেন হঠাৎ চালের দাম বাড়ল? এই প্রশ্নের জবাব কে দেবে?
চাল আমাদের প্রধান খাদ্য। চাল উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বের মধ্যে তৃতীয়। উৎপাদন ভালো হলেও বাংলাদেশের বাজারে অদৃশ্য সিন্ডিকেটের কারসাজিতে চালের দাম নিয়ন্ত্রণ হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। এ ক্ষেত্রে উৎপাদন ও সরবরাহ বেশি থাকলে পণ্যের দাম কমে—অর্থনীতির এ নিয়ম চালের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয় না কেন? সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা অযৌক্তিক মুনাফা করে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নেন।
আবার চালের দাম বাড়ার কারণে অন্যান্য পণ্যের দামও বেড়ে যায়। তাই চালের বাজার অস্থিতিশীল হয়ে ভোক্তাদের ওপর নানা মাত্রার প্রভাব পড়ে।
এ অভিযোগ নতুন নয় যে সিন্ডিকেটের কারণে বাজার অস্থিতিশীল হয়ে ওঠে। যথাযথ সরকারি তদারকির অভাবে দাম বাড়ানোর যোগ্য কারিগরেরা সব সময়ই ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকেন। এটাই একটা স্বাভাবিক নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে।
শনিবার টুঙ্গিপাড়ায় এক মতবিনিময় সভায় রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখার নির্দেশ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের মানুষ যাতে স্বস্তিতে থাকতে পারে, সেই ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। রমজানের সময়, বিশেষ করে বড় মজুতদারেরা যাতে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির জন্য জরুরি পণ্য মজুত করতে না পারেন, সে ব্যাপারে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দেন। মজুতবিরোধী অভিযান নিয়মিত পরিচালনারও নির্দেশ দেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর কথা চালকল মালিক ও ব্যবসায়ীরা কতটুকু মেনে নেবেন? এর চেয়েও জরুরি হলো, তাঁর কথা না মানলে সরকারের জনপ্রিয়তা কমে যেতে পারে। সরকারের জনপ্রিয়তার স্বার্থে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনাকে গুরুত্ব দিতে হবে।
অতীতের ধারাবাহিকতায় দেখা গেছে, চালের বাজারে এ ধরনের সংকট নতুন নয়। দেশের খাদ্যনিরাপত্তার স্বার্থে এ পরিস্থিতি থেকে মুক্তির জন্য উপায় বের করা দরকার। সরকারি ব্যবস্থাপনায় টিসিবির মাধ্যমে খোলাবাজারে নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য চাল বিক্রির কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এ উদ্যোগকে আরও বিস্তৃত করতে হবে। পাশাপাশি কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশকে (ক্যাব) আরও সক্রিয় করতে হবে। এ ছাড়া বাজার মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা জোরদার করার বিকল্প নেই।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২ ঘণ্টা আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৪ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৪ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৪ দিন আগে