ফয়সাল পারভেজ, মাগুরা
মাগুরার ছানার সন্দেশ সাকিব আল হাসানের মতো ছক্কা মেরে বিখ্যাত হয়ে গেছে মিষ্টিপ্রিয় মানুষের কাছে। কথিত আছে, রাজা সীতারাম রায় খাঁটি দুধের তৈরি ছানার সন্দেশ খাইয়ে ভিনদেশি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে সুনাম কুড়িয়েছিলেন একসময়। এই সন্দেশ তৈরির পুরোনো কারিগরেরা এখন আর বেঁচে নেই। তবে মাগুরার প্রবীণদের কাছ থেকে জানা যায়, ১৯৫০ সালের দিকে মাগুরা শহরের পুরোনো বাজার মধুমিতা হলের সামনে তারাপদ নামে এক মিষ্টি ব্যবসায়ী তাঁর দোকানে ছানার সন্দেশ বানাতেন। তখন এই অঞ্চলের মানুষের মাঝে তারাপদের সন্দেশ খ্যাতি লাভ করে।
সেই তারাপদ মারা গেলে সন্দেশ বানানো শুরু করে মাগুরা শহরের চলন্তিকা হোটেল। হোটেলটি এখনো আছে। তবে সন্দেশের মান কমে যাওয়ায় এর বিকল্প দাঁড়িয়ে গেছে সুগন্ধা হোটেলের সন্দেশ। এটিই মাগুরার সেই পুরোনো সন্দেশের স্বাদ ধরে রেখেছে বলে অনেকে জানিয়েছেন। অবসরপ্রাপ্ত সরকারি চাকরিজীবী সেতারা বেগম বলেন, ‘তারাপদদার ছানার মিষ্টি আমরা বালিকা বিদ্যালয়ে পড়তে যাওয়ার সময় দুই আনায় কিনতাম। যেমন সুগন্ধ, তেমনই স্বাদ। সেটা ১৯৬০ সালের দিকের কথা। তখন ১৩ আনা ছিল ছানার মিষ্টির কেজি।’
গবেষক ডা. তাসিবুজ্জামান জানান, রাজা সীতারাম রায়ের রাজত্বকালে বা এর আগে থেকেই মাগুরায় সন্দেশ তৈরি হচ্ছে। ইংরেজ শাসনামল থেকে এখন পর্যন্ত মাগুরার ঐতিহ্যবাহী দুধের তৈরি ক্ষীরের সন্দেশ দেশ-বিদেশে অত্যন্ত সমাদৃত।
১৯৬০ সালের দিকে প্রতিষ্ঠিত সুগন্ধা হোটেলের সন্দেশ এখন বেশ খ্যাতি পেয়েছে। রেস্তোরাঁটির ঐতিহ্য ধরে রেখেছে মালিকপক্ষের তৃতীয় প্রজন্ম। সুগন্ধা হোটেলের সুকান্ত ঘোষ জানান, তাঁদের পারিবারিক পেশা মিষ্টি বানানো। তাঁর দাদা ও বাবাও এ ব্যবসা করে গেছেন। তাঁরা স্থানীয় রাধানগর এলাকার গরুর খাঁটি দুধ সংগ্রহ করেন। সেই দুধ দিয়েই বানানো হয় সন্দেশসহ বিভিন্ন মিষ্টি। শীতকালে খেজুরের গুড় দিয়েও সন্দেশ বানানো হয়।
মাগুরা শহরে চলন্তিকা হোটেল, সুগন্ধা হোটেল, ঘোষ হোটেল, রাজশাহী মিষ্টান্নসহ প্রায় ৭টি হোটেলে সন্দেশ তৈরি হয়। বিভিন্ন অনলাইন পেজের মাধ্যমে মাগুরার সন্দেশ পেতে পারেন ঢাকায় বসেও। তাতে দামের কিছু হেরফের হবে।
দরদাম
মাগুরার সব দোকানেই মিষ্টির দাম একই রকম। প্রতি কেজি ক্ষীরের সন্দেশ ৪০০ টাকা, কাঁচাগোল্লা ৩৫০ টাকা, প্যাড়া সন্দেশ ৩৮০ টাকা এবং কাজু সন্দেশের দাম ৪৫৫ টাকা।
মাগুরার ছানার সন্দেশ সাকিব আল হাসানের মতো ছক্কা মেরে বিখ্যাত হয়ে গেছে মিষ্টিপ্রিয় মানুষের কাছে। কথিত আছে, রাজা সীতারাম রায় খাঁটি দুধের তৈরি ছানার সন্দেশ খাইয়ে ভিনদেশি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে সুনাম কুড়িয়েছিলেন একসময়। এই সন্দেশ তৈরির পুরোনো কারিগরেরা এখন আর বেঁচে নেই। তবে মাগুরার প্রবীণদের কাছ থেকে জানা যায়, ১৯৫০ সালের দিকে মাগুরা শহরের পুরোনো বাজার মধুমিতা হলের সামনে তারাপদ নামে এক মিষ্টি ব্যবসায়ী তাঁর দোকানে ছানার সন্দেশ বানাতেন। তখন এই অঞ্চলের মানুষের মাঝে তারাপদের সন্দেশ খ্যাতি লাভ করে।
সেই তারাপদ মারা গেলে সন্দেশ বানানো শুরু করে মাগুরা শহরের চলন্তিকা হোটেল। হোটেলটি এখনো আছে। তবে সন্দেশের মান কমে যাওয়ায় এর বিকল্প দাঁড়িয়ে গেছে সুগন্ধা হোটেলের সন্দেশ। এটিই মাগুরার সেই পুরোনো সন্দেশের স্বাদ ধরে রেখেছে বলে অনেকে জানিয়েছেন। অবসরপ্রাপ্ত সরকারি চাকরিজীবী সেতারা বেগম বলেন, ‘তারাপদদার ছানার মিষ্টি আমরা বালিকা বিদ্যালয়ে পড়তে যাওয়ার সময় দুই আনায় কিনতাম। যেমন সুগন্ধ, তেমনই স্বাদ। সেটা ১৯৬০ সালের দিকের কথা। তখন ১৩ আনা ছিল ছানার মিষ্টির কেজি।’
গবেষক ডা. তাসিবুজ্জামান জানান, রাজা সীতারাম রায়ের রাজত্বকালে বা এর আগে থেকেই মাগুরায় সন্দেশ তৈরি হচ্ছে। ইংরেজ শাসনামল থেকে এখন পর্যন্ত মাগুরার ঐতিহ্যবাহী দুধের তৈরি ক্ষীরের সন্দেশ দেশ-বিদেশে অত্যন্ত সমাদৃত।
১৯৬০ সালের দিকে প্রতিষ্ঠিত সুগন্ধা হোটেলের সন্দেশ এখন বেশ খ্যাতি পেয়েছে। রেস্তোরাঁটির ঐতিহ্য ধরে রেখেছে মালিকপক্ষের তৃতীয় প্রজন্ম। সুগন্ধা হোটেলের সুকান্ত ঘোষ জানান, তাঁদের পারিবারিক পেশা মিষ্টি বানানো। তাঁর দাদা ও বাবাও এ ব্যবসা করে গেছেন। তাঁরা স্থানীয় রাধানগর এলাকার গরুর খাঁটি দুধ সংগ্রহ করেন। সেই দুধ দিয়েই বানানো হয় সন্দেশসহ বিভিন্ন মিষ্টি। শীতকালে খেজুরের গুড় দিয়েও সন্দেশ বানানো হয়।
মাগুরা শহরে চলন্তিকা হোটেল, সুগন্ধা হোটেল, ঘোষ হোটেল, রাজশাহী মিষ্টান্নসহ প্রায় ৭টি হোটেলে সন্দেশ তৈরি হয়। বিভিন্ন অনলাইন পেজের মাধ্যমে মাগুরার সন্দেশ পেতে পারেন ঢাকায় বসেও। তাতে দামের কিছু হেরফের হবে।
দরদাম
মাগুরার সব দোকানেই মিষ্টির দাম একই রকম। প্রতি কেজি ক্ষীরের সন্দেশ ৪০০ টাকা, কাঁচাগোল্লা ৩৫০ টাকা, প্যাড়া সন্দেশ ৩৮০ টাকা এবং কাজু সন্দেশের দাম ৪৫৫ টাকা।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
৩ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪