হুমায়ুন মাসুদ, চট্টগ্রাম
বিএসটিআইয়ের অনুমোদন ছাড়াই চট্টগ্রামে খাদ্য পণ্য প্রস্তুত ও বাজারজাত করে আসছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনার কথা থাকলেও কোনো তদারকি নেই সংস্থাটির। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে চট্টগ্রামে প্রতিনিয়ত বাড়ছে ভেজাল খাদ্যের বেচা-কেনা। বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের নামে এখানে চলছে মানহীন পানির অবৈধ বাণিজ্য। খাওয়ানো হচ্ছে দূষিত পানি।
কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) নেতাদের অভিযোগ, বিএসটিআইয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিয়মিত কারখানা পরিদর্শন করেন না। এ ছাড়া ভেজাল পণ্যের বিরুদ্ধে অভিযান না চালানোয় ভেজাল পণ্যে সয়লাব হয়ে যাচ্ছে বাজার।
শীতকালে বাজারে খেজুর গুড়ের চাহিদা বেড়ে। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে বর্তমানে বাজারে নকল খেজুর গুড় বিক্রি করছেন অসাধু ব্যবসায়ীরা। কিন্তু তাঁদের বিরুদ্ধে এখনো কোনো অভিযান পরিচালনা করেনি বিএসটিআই। তবে সংস্থাটির কর্মকর্তারা বলছেন, ভেজাল পণ্যের বিরুদ্ধে তাঁরা সব সময় কঠোর অবস্থানে আছেন। নিজস্ব ম্যাজিস্ট্রেট না থাকায় নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করতে পারছেন না।
বাজার থেকে খেজুর গুড় কেনা কয়েকজন ভোক্তার অভিযোগ, বাজারে এখন যেসব খেজুর গুড় পাওয়া যাচ্ছে—এর অধিকাংশই নকল। সামান্য খেজুর রসের সঙ্গে চিনি, ময়দা, ভুট্টার গুঁড়া, সোডাসহ বিপজ্জনক রাসায়নিক পদার্থ দিয়ে এসব গুড় তৈরি করা হচ্ছে। বাসায় নিয়ে পিঠা তৈরি করতে গেলে সেটি টের পাওয়া যায়। দেখতে খেজুর গুড়ের মতো হলেও পিঠা খেতে গেলে খেজুরের রসের স্বাদ-গন্ধ কিছুই মেলে না। অন্যদিকে মিনারেল ওয়াটারের ক্ষেত্রেও একই অবস্থা। বাজারে মিনারেল ওয়াটার উৎপাদন ও বাজারজাতকরণে বিএসটিআইর ১৯টি অত্যাবশ্যকীয় শর্ত থাকলেও তা মানছে না কেউই। অনুমতি ছাড়াই মানহীন পানি বাজারজাত করছে বহু প্রতিষ্ঠান।
জানতে চাইলে ক্যাব চট্টগ্রামের সভাপতি এস এম নাজের হোসাইন বলেন, অভিযান পরিচালনা না করার পেছনে তাঁরা সব সময় ম্যাজিস্ট্রেট না থাকার অজুহাত দেখান। এর আগে তো কারখানা পরিদর্শনে যেতে হয়। বিএসটিআই কর্মকর্তারা কি এই কাজটাও ঠিকমতো করেন? তাঁদের যোগসাজশেই অবৈধ কারখানাগুলো পণ্য উৎপাদন করে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। পাশাপাশি বিএসটিআই কর্মকর্তাদের কর্তব্যে অবহেলার অভিযোগ করেন। তবে বিএসটিআই কর্ম পরিধি যেহেতু অনেক বেশি, তাই প্রত্যেক বিভাগীয় কার্যালয়ে একজন করে ম্যাজিস্ট্রেট থাকা উচিত বলে মন্তব্য করেন এস এম নাজের হোসাইন।
এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বিএসটিআইয়ের সহকারী পরিচালক (সিএম) নুর মোহাম্মদ মোস্তফা বলেন, ‘আমরা সব সময় অবৈধ কারখানার বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা পক্ষে। প্রতি মাসে ১০-১৫টি অভিযান পরিচালনা করি। নিজস্ব ম্যাজিস্ট্রেট থাকলে এই সংখ্যাটা আরও বেড়ে যেত। তখন প্রতিদিনই অভিযান পরিচালনা করা যেত।’ তাঁদের সদিচ্ছা আছে বলেও মন্তব্য করেন এই কর্মকর্তা।
সংস্থাটির সহকারী পরিচালক (তথ্য অধিকার কর্মকর্তা) প্রকৌশলী শশী কান্ত দাসের কাছে এক বছরে মোট কটি অভিযান চালানো হয়েছে জানতে চাইলে বলেন, এ তথ্য দিতে কয়েক দিন সময় লাগবে। তথ্যগুলো মাসভিত্তিক সাজানো নেই জানিয়ে তথ্য সরবরাহে অপারগতা প্রকাশ করেন তিনি।
এ বিষয়ে বিএসটিআইয়ের চট্টগ্রাম অফিস প্রধান উপপরিচালক (সিএম) প্রকৌশলী মো. নুরুল ইসলাম বলেন, ‘দুটি কারণে আমরা নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করতে পারছি না। তার একটি হলো, আমাদের এখানে নিজস্ব ম্যাজিস্ট্রেট নেই। অভিযানের জন্য আমাদের জেলা প্রশাসনকে শিডিউল জানাতে হয়। এরপর সেখান থেকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে অ্যাসাইন করার পর অভিযান চালাতে হয়। আরেকটি কারণ হচ্ছে দেশে আমদানি করা পণ্যের ৮০ থেকে ৯০ ভাগ চট্টগ্রাম বন্দর হয়ে আসে। এসব পণ্যের পরীক্ষা-নিরীক্ষাও বিএসটিআই করে। তাই আমাদের আমদানি করা পণ্যের পেছনে বেশি সময় দিতে হয়। তাই আমরা চাইলেও নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করতে পারি না।’
তাঁদের প্রতিষ্ঠানে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দেওয়া হলে প্রতিদিনই অভিযান চালানো যেত বলেও মন্তব্য করেন এই কর্মকর্তা।
বিএসটিআইয়ের অনুমোদন ছাড়াই চট্টগ্রামে খাদ্য পণ্য প্রস্তুত ও বাজারজাত করে আসছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনার কথা থাকলেও কোনো তদারকি নেই সংস্থাটির। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে চট্টগ্রামে প্রতিনিয়ত বাড়ছে ভেজাল খাদ্যের বেচা-কেনা। বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের নামে এখানে চলছে মানহীন পানির অবৈধ বাণিজ্য। খাওয়ানো হচ্ছে দূষিত পানি।
কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) নেতাদের অভিযোগ, বিএসটিআইয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিয়মিত কারখানা পরিদর্শন করেন না। এ ছাড়া ভেজাল পণ্যের বিরুদ্ধে অভিযান না চালানোয় ভেজাল পণ্যে সয়লাব হয়ে যাচ্ছে বাজার।
শীতকালে বাজারে খেজুর গুড়ের চাহিদা বেড়ে। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে বর্তমানে বাজারে নকল খেজুর গুড় বিক্রি করছেন অসাধু ব্যবসায়ীরা। কিন্তু তাঁদের বিরুদ্ধে এখনো কোনো অভিযান পরিচালনা করেনি বিএসটিআই। তবে সংস্থাটির কর্মকর্তারা বলছেন, ভেজাল পণ্যের বিরুদ্ধে তাঁরা সব সময় কঠোর অবস্থানে আছেন। নিজস্ব ম্যাজিস্ট্রেট না থাকায় নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করতে পারছেন না।
বাজার থেকে খেজুর গুড় কেনা কয়েকজন ভোক্তার অভিযোগ, বাজারে এখন যেসব খেজুর গুড় পাওয়া যাচ্ছে—এর অধিকাংশই নকল। সামান্য খেজুর রসের সঙ্গে চিনি, ময়দা, ভুট্টার গুঁড়া, সোডাসহ বিপজ্জনক রাসায়নিক পদার্থ দিয়ে এসব গুড় তৈরি করা হচ্ছে। বাসায় নিয়ে পিঠা তৈরি করতে গেলে সেটি টের পাওয়া যায়। দেখতে খেজুর গুড়ের মতো হলেও পিঠা খেতে গেলে খেজুরের রসের স্বাদ-গন্ধ কিছুই মেলে না। অন্যদিকে মিনারেল ওয়াটারের ক্ষেত্রেও একই অবস্থা। বাজারে মিনারেল ওয়াটার উৎপাদন ও বাজারজাতকরণে বিএসটিআইর ১৯টি অত্যাবশ্যকীয় শর্ত থাকলেও তা মানছে না কেউই। অনুমতি ছাড়াই মানহীন পানি বাজারজাত করছে বহু প্রতিষ্ঠান।
জানতে চাইলে ক্যাব চট্টগ্রামের সভাপতি এস এম নাজের হোসাইন বলেন, অভিযান পরিচালনা না করার পেছনে তাঁরা সব সময় ম্যাজিস্ট্রেট না থাকার অজুহাত দেখান। এর আগে তো কারখানা পরিদর্শনে যেতে হয়। বিএসটিআই কর্মকর্তারা কি এই কাজটাও ঠিকমতো করেন? তাঁদের যোগসাজশেই অবৈধ কারখানাগুলো পণ্য উৎপাদন করে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। পাশাপাশি বিএসটিআই কর্মকর্তাদের কর্তব্যে অবহেলার অভিযোগ করেন। তবে বিএসটিআই কর্ম পরিধি যেহেতু অনেক বেশি, তাই প্রত্যেক বিভাগীয় কার্যালয়ে একজন করে ম্যাজিস্ট্রেট থাকা উচিত বলে মন্তব্য করেন এস এম নাজের হোসাইন।
এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বিএসটিআইয়ের সহকারী পরিচালক (সিএম) নুর মোহাম্মদ মোস্তফা বলেন, ‘আমরা সব সময় অবৈধ কারখানার বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা পক্ষে। প্রতি মাসে ১০-১৫টি অভিযান পরিচালনা করি। নিজস্ব ম্যাজিস্ট্রেট থাকলে এই সংখ্যাটা আরও বেড়ে যেত। তখন প্রতিদিনই অভিযান পরিচালনা করা যেত।’ তাঁদের সদিচ্ছা আছে বলেও মন্তব্য করেন এই কর্মকর্তা।
সংস্থাটির সহকারী পরিচালক (তথ্য অধিকার কর্মকর্তা) প্রকৌশলী শশী কান্ত দাসের কাছে এক বছরে মোট কটি অভিযান চালানো হয়েছে জানতে চাইলে বলেন, এ তথ্য দিতে কয়েক দিন সময় লাগবে। তথ্যগুলো মাসভিত্তিক সাজানো নেই জানিয়ে তথ্য সরবরাহে অপারগতা প্রকাশ করেন তিনি।
এ বিষয়ে বিএসটিআইয়ের চট্টগ্রাম অফিস প্রধান উপপরিচালক (সিএম) প্রকৌশলী মো. নুরুল ইসলাম বলেন, ‘দুটি কারণে আমরা নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করতে পারছি না। তার একটি হলো, আমাদের এখানে নিজস্ব ম্যাজিস্ট্রেট নেই। অভিযানের জন্য আমাদের জেলা প্রশাসনকে শিডিউল জানাতে হয়। এরপর সেখান থেকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে অ্যাসাইন করার পর অভিযান চালাতে হয়। আরেকটি কারণ হচ্ছে দেশে আমদানি করা পণ্যের ৮০ থেকে ৯০ ভাগ চট্টগ্রাম বন্দর হয়ে আসে। এসব পণ্যের পরীক্ষা-নিরীক্ষাও বিএসটিআই করে। তাই আমাদের আমদানি করা পণ্যের পেছনে বেশি সময় দিতে হয়। তাই আমরা চাইলেও নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করতে পারি না।’
তাঁদের প্রতিষ্ঠানে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দেওয়া হলে প্রতিদিনই অভিযান চালানো যেত বলেও মন্তব্য করেন এই কর্মকর্তা।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৩ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৭ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৭ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৭ দিন আগে