বদরুল ইসলাম মাসুদ, বান্দরবান ও মংবোয়াইচিং মারমা অনুপম, থানচি
।
এদিকে রেমাক্রী ইউনিয়নের সাতটি পাড়ায় ডায়রিয়া ও ম্যালেরিয়ার প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ায় জরুরি ভিত্তিতে গতকাল বুধবার থানচি উপজেলা পরিদর্শনে যান বান্দরবানের সিভিল সার্জন নীহার রঞ্জন নন্দী। এ সময় সিভিল সার্জন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জনপ্রতিনিধি চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে মত বিনিময় করেন। এ সময় রেমাক্রী ইউপি চেয়ারম্যান রেমাক্রীর বড় মদকে একটি কমিউনিটি ক্লিনিক ও আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তাসহ (আরএমও) প্রয়োজনীয় লোকবল দেওয়ার দাবি জানান।
স্বাস্থ্য বিভাগ, জনপ্রতিনিধি এবং স্থানীয়দের সূত্রে জানা গেছে, ৬ জুন থানচির দুর্গম রেমাক্রী ইউনিয়নের কয়েকটি পাড়ায় ডায়রিয়া দেখা দেয়। ইউনিয়নের সাতটি পাড়ায় অন্তত ৬০ জন আক্রান্ত হয়। এর মধ্যে গত শনিবার প্রথম ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে পাড়া কার্বারিসহ তিনজন মারা যান। আর গত পাঁচ দিনে রেমাক্রীর বিভিন্ন পাড়ায় কার্বারি, শিশুসহ মোট ৯জন মারা যান।
একই সময় এসব পাড়ায় ম্যালেরিয়াও ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যমতে, এসব পাড়ায় অন্তত ১৫ জন ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কারও মৃত্যু হয়নি।
সিভিল সার্জন ও উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জানান, রেমাক্রীর ডায়রিয়া ও ম্যালেরিয়া আক্রান্ত এলাকায় স্বাস্থ্য বিভাগের দুটি দল চিকিৎসাসেবা দিয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া বলিপাড়া ৩৮ বিজিবির চিকিৎসা দলও আক্রান্ত এলাকায় চিকিৎসা দিচ্ছে।
এদিকে বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টায় স্বাস্থ্য বিভাগের আয়োজনে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সিভিল সার্জন ডা. নীহার রঞ্জন নন্দী। সভায় রেমাক্রী ইউপি চেয়ারম্যান মুইশৈথুই মারমা রনি রেমাক্রী ইউনিয়নের বড় মদক অঞ্চলের জনগণের জন্য বড় মদকবাজারে একটি কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন, একজন আবাসিক চিকিৎসকসহ প্রয়োজনীয় জনবল ও ওষুধ রাখার দাবি জানান। এ ছাড়া ডায়রিয়া হলে করণীয় নিয়ে প্রচারের দাবি তুলেছেন।
সভায় সভাপতি স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. ওয়াহিদুজ্জামান মুরাদ বলেন, রেমাক্রী ইউনিয়নের বড় মদক থেকে প্রায় এক শ কিলোমিটার ওপরে দূরত্বে একজন ডায়রিয়া রোগীকে থানচি সদরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পর্যন্ত ইঞ্জিনচালিত নৌকায় আনা-নেওয়া অনেক কষ্টকর ব্যাপার ও ব্যয়বহুল। তাই সেখানে একটি মিনি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গড়ে তোলায় মত দেন তিনি।
স্বাস্থ্য বিভাগের ঊর্ধ্বতন পর্যায়ে মতবিনিময় সভায় অন্য বক্তারা বলেন, বর্তমান সরকার তৃণমূলের দুর্গম পাড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে আন্তরিক। সে জন্য থানচি সদর থেকে রেমাক্রী, বড় মদক হয়ে মিয়ানমার সীমান্তে লিটক্রে পর্যন্ত যোগাযোগের জন্য সড়ক নির্মাণকাজ চলমান রয়েছে। নির্মাণকাজ সম্পন্ন হলে দ্রুত চিকিৎসাসেবা দেওয়া সম্ভব হবে।
বক্তারা বলেন, এ জন্য উপজেলায় বসবাসরত জনপ্রতিনিধি, হেডম্যান, কার্বারি, প্রজন্ম শিক্ষার্থীরা, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সুশীল সমাজের নেতারা, সাংবাদিকসহ সবার সহযোগিতার জন্য আহ্বান জানান। মতবিনিময় সভায় উপজেলা ৪ ইউপি চেয়ারম্যান, আবাসিক চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্য পরিদর্শক, এনজিওকর্মী ও সাংবাদিকেরা অংশ নেন।
এদিকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ম্যালেরিয়া আক্রান্ত রোগীর অবস্থা দেখতে দুটি ওয়ার্ড পরিদর্শন করেন সিভিল সার্জন ডা. নীহার রঞ্জন নন্দী। সিভিল সার্জন আজকের পত্রিকাকে বলেন, শুষ্ক মৌসুমে দুর্গম এলাকায় বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দেয়। এ সময় স্থানীয় লোকজন খাল-ঝিরির দূষিত পানি পান করে ডায়রিয়া আক্রান্ত হচ্ছে। তবে স্বাস্থ্য বিভাগ চিকিৎসাসেবা অব্যাহত রেখেছে। বর্তমানে ডায়রিয়া পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আগে যা হয়েছে, নতুন করে আর কেউ আক্রান্ত হয়নি।
।
এদিকে রেমাক্রী ইউনিয়নের সাতটি পাড়ায় ডায়রিয়া ও ম্যালেরিয়ার প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ায় জরুরি ভিত্তিতে গতকাল বুধবার থানচি উপজেলা পরিদর্শনে যান বান্দরবানের সিভিল সার্জন নীহার রঞ্জন নন্দী। এ সময় সিভিল সার্জন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জনপ্রতিনিধি চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে মত বিনিময় করেন। এ সময় রেমাক্রী ইউপি চেয়ারম্যান রেমাক্রীর বড় মদকে একটি কমিউনিটি ক্লিনিক ও আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তাসহ (আরএমও) প্রয়োজনীয় লোকবল দেওয়ার দাবি জানান।
স্বাস্থ্য বিভাগ, জনপ্রতিনিধি এবং স্থানীয়দের সূত্রে জানা গেছে, ৬ জুন থানচির দুর্গম রেমাক্রী ইউনিয়নের কয়েকটি পাড়ায় ডায়রিয়া দেখা দেয়। ইউনিয়নের সাতটি পাড়ায় অন্তত ৬০ জন আক্রান্ত হয়। এর মধ্যে গত শনিবার প্রথম ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে পাড়া কার্বারিসহ তিনজন মারা যান। আর গত পাঁচ দিনে রেমাক্রীর বিভিন্ন পাড়ায় কার্বারি, শিশুসহ মোট ৯জন মারা যান।
একই সময় এসব পাড়ায় ম্যালেরিয়াও ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যমতে, এসব পাড়ায় অন্তত ১৫ জন ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কারও মৃত্যু হয়নি।
সিভিল সার্জন ও উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জানান, রেমাক্রীর ডায়রিয়া ও ম্যালেরিয়া আক্রান্ত এলাকায় স্বাস্থ্য বিভাগের দুটি দল চিকিৎসাসেবা দিয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া বলিপাড়া ৩৮ বিজিবির চিকিৎসা দলও আক্রান্ত এলাকায় চিকিৎসা দিচ্ছে।
এদিকে বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টায় স্বাস্থ্য বিভাগের আয়োজনে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সিভিল সার্জন ডা. নীহার রঞ্জন নন্দী। সভায় রেমাক্রী ইউপি চেয়ারম্যান মুইশৈথুই মারমা রনি রেমাক্রী ইউনিয়নের বড় মদক অঞ্চলের জনগণের জন্য বড় মদকবাজারে একটি কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন, একজন আবাসিক চিকিৎসকসহ প্রয়োজনীয় জনবল ও ওষুধ রাখার দাবি জানান। এ ছাড়া ডায়রিয়া হলে করণীয় নিয়ে প্রচারের দাবি তুলেছেন।
সভায় সভাপতি স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. ওয়াহিদুজ্জামান মুরাদ বলেন, রেমাক্রী ইউনিয়নের বড় মদক থেকে প্রায় এক শ কিলোমিটার ওপরে দূরত্বে একজন ডায়রিয়া রোগীকে থানচি সদরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পর্যন্ত ইঞ্জিনচালিত নৌকায় আনা-নেওয়া অনেক কষ্টকর ব্যাপার ও ব্যয়বহুল। তাই সেখানে একটি মিনি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গড়ে তোলায় মত দেন তিনি।
স্বাস্থ্য বিভাগের ঊর্ধ্বতন পর্যায়ে মতবিনিময় সভায় অন্য বক্তারা বলেন, বর্তমান সরকার তৃণমূলের দুর্গম পাড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে আন্তরিক। সে জন্য থানচি সদর থেকে রেমাক্রী, বড় মদক হয়ে মিয়ানমার সীমান্তে লিটক্রে পর্যন্ত যোগাযোগের জন্য সড়ক নির্মাণকাজ চলমান রয়েছে। নির্মাণকাজ সম্পন্ন হলে দ্রুত চিকিৎসাসেবা দেওয়া সম্ভব হবে।
বক্তারা বলেন, এ জন্য উপজেলায় বসবাসরত জনপ্রতিনিধি, হেডম্যান, কার্বারি, প্রজন্ম শিক্ষার্থীরা, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সুশীল সমাজের নেতারা, সাংবাদিকসহ সবার সহযোগিতার জন্য আহ্বান জানান। মতবিনিময় সভায় উপজেলা ৪ ইউপি চেয়ারম্যান, আবাসিক চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্য পরিদর্শক, এনজিওকর্মী ও সাংবাদিকেরা অংশ নেন।
এদিকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ম্যালেরিয়া আক্রান্ত রোগীর অবস্থা দেখতে দুটি ওয়ার্ড পরিদর্শন করেন সিভিল সার্জন ডা. নীহার রঞ্জন নন্দী। সিভিল সার্জন আজকের পত্রিকাকে বলেন, শুষ্ক মৌসুমে দুর্গম এলাকায় বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দেয়। এ সময় স্থানীয় লোকজন খাল-ঝিরির দূষিত পানি পান করে ডায়রিয়া আক্রান্ত হচ্ছে। তবে স্বাস্থ্য বিভাগ চিকিৎসাসেবা অব্যাহত রেখেছে। বর্তমানে ডায়রিয়া পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আগে যা হয়েছে, নতুন করে আর কেউ আক্রান্ত হয়নি।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
৩ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪