রেজা করিম, ঢাকা
মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় সরকার চাপে পড়ায় খানিকটা স্বস্তি ফিরেছিল নানা দিক থেকে সমস্যায় থাকা বিএনপিতে। তবে মাত্র কয়েক দিনের ব্যবধানে দলটির বিরুদ্ধে বিদেশে লবিস্ট নিয়োগের অভিযোগ ওঠায় সেই স্বস্তি কিছুটা উবে গেছে। অভিযোগের পক্ষে শক্ত অবস্থান নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে বিএনপি রাষ্ট্রদ্রোহিতামূলক কাজ করেছে, এ বিষয়ে জোরালো তদন্ত করা হবে। অন্যদিকে অভিযোগ অস্বীকার করলেও বিষয়টি নিয়ে চাপেই আছে বিএনপি। আর সেই চাপ কাটিয়ে উঠতে উপায় খুঁজছে দলটি।
যদিও রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, লবিস্ট নিয়োগ নিয়ে দুই দলের এই বাহাস নতুন কিছু নয়। এটা একেবারেই রাজনৈতিক। অন্য ইস্যু এলে এটা ধামাচাপা পড়ে যাবে।
১ ফেব্রুয়ারি গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে লবিস্ট নিয়োগের অভিযোগ প্রসঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সেখানে তিনি লবিস্ট নিয়োগের অভিযোগ নাকচ করে দেন। তবে উন্নয়ন-সহযোগীদের কাছে বিএনপির চিঠি দেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘আন্দোলন-সংগ্রামের অংশ হিসেবে দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি জানিয়ে উন্নয়ন-সহযোগীদের চিঠি দিয়েছে বিএনপি। কোনো লবিস্ট নিয়োগ করেনি।’
বিএনপির ওই চিঠির বিষয়টি সামনে এনে পরের দিন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বাংলাদেশকে সাহায্য বন্ধ করার জন্য, দেশের রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ করার জন্য এবং দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য তারা বিদেশিদের কাছে যে চিঠি লিখেছে, দেশকে বিব্রত করার জন্য তারা যে লবিস্ট নিয়োগ করেছে, তা নিয়ে দেশব্যাপী সমালোচনার মুখে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সংবাদ সম্মেলন করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি আত্মরক্ষার চেষ্টা করেছেন। তবে সংবাদ সম্মেলনে তিনি যে চিঠি লিখেছেন, বিদেশিদের কাছে—এটি স্বীকার করেছেন। তিনি যেটা অস্বীকার করেছেন, সেটা হচ্ছে সাহায্য বন্ধের কথা। বিএনপির কর্মকাণ্ডকে ‘রাষ্ট্রদ্রোহিতামূলক কাজ’ আখ্যা দিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এগুলো রাষ্ট্রদ্রোহিতামূলক কাজ। সরকারের বিভিন্ন সংস্থা যেগুলো এ বিষয়ে তদন্ত করে, তারা ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছে।’
লবিস্ট নিয়োগ বিষয়ে সরকারের শক্ত অবস্থানকে ‘উদ্দেশ্যমূলক’ বললেও এই ইস্যুতে বিএনপি বেশ চাপে পড়েছে বলে স্বীকার করেছেন দলের অনেক নেতা। তাঁদের আশঙ্কা, লবিস্ট নিয়োগের বিষয়ে সরকার যদি তাদের অভিযোগকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারে, তবে বিএনপি ক্ষতির মুখে পড়বে। সেই ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়া কঠিন হয়ে পড়বে। তাঁরা বলছেন, দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও তাঁর বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে দেশব্যাপী নানা কর্মসূচি পালনের মধ্য দিয়ে এরই মধ্যে বিএনপি জনগণের কাছাকাছি চলে গেছে। আগামী দিনের আন্দোলনের জন্য প্রস্তুতি চলছে, বৃহৎ জোট গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এমন এক সময়ে এই ইস্যুর ওপর ভর করে সরকার ফায়দা লুটতে পারে। এই অবস্থায় সঠিক পরিকল্পনা করে পরিস্থিতি মোকাবিলা করা এখন সময়ের দাবি।
দলকে যাতে নাজুক অবস্থায় পড়তে না হয়, সে জন্য ‘লবিস্ট নিয়োগ’ ইস্যু নিয়ে নড়েচড়ে বসেছেন বিএনপির নীতিনির্ধারকেরাও। পরিস্থিতি মোকাবিলায় কর্মপন্থা নির্ধারণে কাজ শুরু করেছেন তাঁরা। বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা সবকিছুই রাজনৈতিকভাবে, গণতান্ত্রিক পথে মোকাবিলা করছি। একইভাবে এবারও মোকাবিলা করব।’ তিনি বলেন, ‘লবিস্ট নিয়োগের প্রকৃত বিষয়ে জনগণকে তথ্য দিয়ে অবহিত করেছি। এখন সরকার কী করতে চায়, দেখব। দেখার পরে আমরা কৌশল ঠিক করব।’
বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের অভিযোগ, সরকার নিজেদের অপকর্ম আড়াল করতে বিরোধী দলের ওপর অন্যায়ভাবে, জবরদস্তিমূলকভাবে দোষ চাপাতে চায়। এটা করে তারা জনগণকে বিভ্রান্ত করতে চায় এবং বিএনপিকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়। সরকার তার অনুগত দুর্নীতি দমন কমিশন, নির্বাচন কমিশনের কাছে এই অভিযোগগুলো দিয়ে বিএনপিকে পরিকল্পিতভাবে সমস্যায় ফেলতে চেষ্টা করছে।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান খান দুদু বলেন, ‘এমন চাপ নতুন কোনো ব্যাপার না। আমরা আমাদের অবস্থান থেকে যা বলার ইতিমধ্যে বলেছি। লবিস্ট নিয়োগের বিষয়টি নিয়ে যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, আমরা রাজনৈতিকভাবেই তা মোকাবিলা করব। ভবিষ্যতে সময় বুঝে পদক্ষেপ নেব।’
বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান সালেহ্ প্রিন্স বলেন, এই সরকার বিএনপির জন্য যে গর্ত খুঁড়েছে, সেই গর্তে তারা নিজেরাই পড়বে।
মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় সরকার চাপে পড়ায় খানিকটা স্বস্তি ফিরেছিল নানা দিক থেকে সমস্যায় থাকা বিএনপিতে। তবে মাত্র কয়েক দিনের ব্যবধানে দলটির বিরুদ্ধে বিদেশে লবিস্ট নিয়োগের অভিযোগ ওঠায় সেই স্বস্তি কিছুটা উবে গেছে। অভিযোগের পক্ষে শক্ত অবস্থান নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে বিএনপি রাষ্ট্রদ্রোহিতামূলক কাজ করেছে, এ বিষয়ে জোরালো তদন্ত করা হবে। অন্যদিকে অভিযোগ অস্বীকার করলেও বিষয়টি নিয়ে চাপেই আছে বিএনপি। আর সেই চাপ কাটিয়ে উঠতে উপায় খুঁজছে দলটি।
যদিও রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, লবিস্ট নিয়োগ নিয়ে দুই দলের এই বাহাস নতুন কিছু নয়। এটা একেবারেই রাজনৈতিক। অন্য ইস্যু এলে এটা ধামাচাপা পড়ে যাবে।
১ ফেব্রুয়ারি গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে লবিস্ট নিয়োগের অভিযোগ প্রসঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সেখানে তিনি লবিস্ট নিয়োগের অভিযোগ নাকচ করে দেন। তবে উন্নয়ন-সহযোগীদের কাছে বিএনপির চিঠি দেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘আন্দোলন-সংগ্রামের অংশ হিসেবে দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি জানিয়ে উন্নয়ন-সহযোগীদের চিঠি দিয়েছে বিএনপি। কোনো লবিস্ট নিয়োগ করেনি।’
বিএনপির ওই চিঠির বিষয়টি সামনে এনে পরের দিন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বাংলাদেশকে সাহায্য বন্ধ করার জন্য, দেশের রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ করার জন্য এবং দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য তারা বিদেশিদের কাছে যে চিঠি লিখেছে, দেশকে বিব্রত করার জন্য তারা যে লবিস্ট নিয়োগ করেছে, তা নিয়ে দেশব্যাপী সমালোচনার মুখে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সংবাদ সম্মেলন করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি আত্মরক্ষার চেষ্টা করেছেন। তবে সংবাদ সম্মেলনে তিনি যে চিঠি লিখেছেন, বিদেশিদের কাছে—এটি স্বীকার করেছেন। তিনি যেটা অস্বীকার করেছেন, সেটা হচ্ছে সাহায্য বন্ধের কথা। বিএনপির কর্মকাণ্ডকে ‘রাষ্ট্রদ্রোহিতামূলক কাজ’ আখ্যা দিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এগুলো রাষ্ট্রদ্রোহিতামূলক কাজ। সরকারের বিভিন্ন সংস্থা যেগুলো এ বিষয়ে তদন্ত করে, তারা ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছে।’
লবিস্ট নিয়োগ বিষয়ে সরকারের শক্ত অবস্থানকে ‘উদ্দেশ্যমূলক’ বললেও এই ইস্যুতে বিএনপি বেশ চাপে পড়েছে বলে স্বীকার করেছেন দলের অনেক নেতা। তাঁদের আশঙ্কা, লবিস্ট নিয়োগের বিষয়ে সরকার যদি তাদের অভিযোগকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারে, তবে বিএনপি ক্ষতির মুখে পড়বে। সেই ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়া কঠিন হয়ে পড়বে। তাঁরা বলছেন, দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও তাঁর বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে দেশব্যাপী নানা কর্মসূচি পালনের মধ্য দিয়ে এরই মধ্যে বিএনপি জনগণের কাছাকাছি চলে গেছে। আগামী দিনের আন্দোলনের জন্য প্রস্তুতি চলছে, বৃহৎ জোট গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এমন এক সময়ে এই ইস্যুর ওপর ভর করে সরকার ফায়দা লুটতে পারে। এই অবস্থায় সঠিক পরিকল্পনা করে পরিস্থিতি মোকাবিলা করা এখন সময়ের দাবি।
দলকে যাতে নাজুক অবস্থায় পড়তে না হয়, সে জন্য ‘লবিস্ট নিয়োগ’ ইস্যু নিয়ে নড়েচড়ে বসেছেন বিএনপির নীতিনির্ধারকেরাও। পরিস্থিতি মোকাবিলায় কর্মপন্থা নির্ধারণে কাজ শুরু করেছেন তাঁরা। বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা সবকিছুই রাজনৈতিকভাবে, গণতান্ত্রিক পথে মোকাবিলা করছি। একইভাবে এবারও মোকাবিলা করব।’ তিনি বলেন, ‘লবিস্ট নিয়োগের প্রকৃত বিষয়ে জনগণকে তথ্য দিয়ে অবহিত করেছি। এখন সরকার কী করতে চায়, দেখব। দেখার পরে আমরা কৌশল ঠিক করব।’
বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের অভিযোগ, সরকার নিজেদের অপকর্ম আড়াল করতে বিরোধী দলের ওপর অন্যায়ভাবে, জবরদস্তিমূলকভাবে দোষ চাপাতে চায়। এটা করে তারা জনগণকে বিভ্রান্ত করতে চায় এবং বিএনপিকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়। সরকার তার অনুগত দুর্নীতি দমন কমিশন, নির্বাচন কমিশনের কাছে এই অভিযোগগুলো দিয়ে বিএনপিকে পরিকল্পিতভাবে সমস্যায় ফেলতে চেষ্টা করছে।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান খান দুদু বলেন, ‘এমন চাপ নতুন কোনো ব্যাপার না। আমরা আমাদের অবস্থান থেকে যা বলার ইতিমধ্যে বলেছি। লবিস্ট নিয়োগের বিষয়টি নিয়ে যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, আমরা রাজনৈতিকভাবেই তা মোকাবিলা করব। ভবিষ্যতে সময় বুঝে পদক্ষেপ নেব।’
বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান সালেহ্ প্রিন্স বলেন, এই সরকার বিএনপির জন্য যে গর্ত খুঁড়েছে, সেই গর্তে তারা নিজেরাই পড়বে।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৫ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৯ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৯ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৯ দিন আগে