রাশেদ নিজাম, ঢাকা
বিএনপি-জামায়াতসহ বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের তথ্য হালনাগাদ শুরু হয়েছে। এ জন্য মাঠে নেমেছে পুলিশ। জেলায় জেলায় এ ব্যাপারে বিশেষ বার্তাও পাঠানো হয়েছে। তবে এসব তালিকা দিয়ে কী হবে, সে ব্যাপারে কেউ কিছু বলতে পারেননি। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, নির্বাচন সামনে রেখে পুলিশ এসব তালিকা করছে।
তালিকার ব্যাপারে জানতে চেয়ে পুলিশ সদর দপ্তরের উপ-মহাপুলিশ পরিদর্শক (ডিআইজি) মোশতাক আহমেদ খানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ডিআইজি অপারেশনসের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন। ওই পদে থাকা হায়দার আলী খানের বক্তব্য নিতে যোগাযোগ করলে তিনি সহকারী মহাপুলিশ পরিদর্শকের (এআইজি-মিডিয়া) সঙ্গে কথা বলতে বলেন। পরে পুলিশ সদর দপ্তরের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা কামরুল আহসান জানান, এ পদে এখন কেউ নেই।
তবে পুলিশের সাবেক আইজিপি এ কে এম শহীদুল হক বলেছেন, এমন তথ্য নেওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়। সব জেলারই ভিআইপি, শীর্ষ ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদ, গণ্যমান্য ব্যক্তি এবং অপরাধীদের তথ্য সংগ্রহ করা পুলিশের রুটিন কাজ। এতে নাগরিক অধিকার লঙ্ঘনের মতো কোনো কিছু হওয়ার কারণ নেই।
পুলিশ সদর দপ্তরের সূত্র জানিয়েছে, চলতি মাসের শেষের দিকে দেশের সব পুলিশ সুপারকে বিরোধী নেতা-কর্মীদের তথ্য চেয়ে চিঠি ও মৌখিক নির্দেশনা দেওয়া হয়। অধীন সব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে সেই সূত্রে নির্দেশনা দেন জেলা পুলিশ সুপাররা।
নির্দেশনায় বলা হয়, বিএনপিসহ অন্যান্য বিরোধী দলের কর্মসূচি সফল করতে যেসব ব্যক্তি অর্থ জোগান দেবেন, তাঁদের মধ্যে জেলা থেকে আটজন এবং উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন থেকে কমপক্ষে পাঁচজনের নাম-ঠিকানা পাঠাতে হবে।
এই নির্দেশনার ব্যাপারে জানতে চাইলে দেশের সীমান্তবর্তী একটি জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) আজকের পত্রিকাকে বলেন, যে চিঠিটি ইস্যু করা হয়েছিল, এখন এর কার্যক্রম স্থগিত রাখা হয়েছে। কেন স্থগিত, তা তিনি জানেন না।
তবে এই চিঠি নিয়ে কয়েকজন পুলিশ সুপারের সঙ্গে কথা হয় আজকের পত্রিকার। তাঁরা সবাই বলেছেন, পুলিশের বিশেষ শাখার এ রকম একটি চিঠি সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফাঁস হয়ে যায়। অনেকে সেই চিঠি ফেসবুকেও তুলে দেন। এরপরই এভাবে তথ্য সংগ্রহ স্থগিত করা হয়। তাঁরা বলেন, এই তথ্য সংগ্রহে পুলিশ এখন কিছুটা ‘ধীরে চলো’ নীতিতে চলছে।
দেশের পশ্চিমাঞ্চলের এক জেলার পুলিশ সুপার বলেন, ‘আমার জেলার মতো অনেক জেলায় এই চিঠি আসেনি। হয়তো সে সব জেলায় মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে।’
এদিকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) ২০১৩ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত সব ধরনের মামলার তথ্য হালনাগাদ করতে শুরু করেছে। চলতি সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম দিকে এই কাজ শুরু হয়। ঢাকার আটটি অপরাধ বিভাগের উপকমিশনার কার্যালয়ে পুলিশ সদর দপ্তরের মাধ্যমে এ তথ্য চাওয়া হয়। পুলিশের সূত্র থেকে জানা গেছে, ২০১৩ এবং ২০১৪ সালে বিএনপি, জামায়াত ও হেফাজতের মামলাগুলোর বিষয়ে আলাদা নজর দেওয়া হচ্ছে।
জানতে চাইলে ডিএমপির একটি বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) বলেন, ‘রাজনৈতিক মামলাগুলোর ক্ষেত্রে ওপরের নির্দেশনা অনুসরণ করে তদন্ত হয়। নিয়মিত কাজের অংশ হিসেবে মুলতবি মামলা নিয়ে তিন মাস পরপরই তথ্য হালনাগাদ হয়। তবে নির্বাচন সামনে রেখে হয়তো নতুন করে আলাদা তথ্য চাওয়া হচ্ছে। এসব তথ্য আমরা ডিএমপি সদর দপ্তরে পাঠাচ্ছি, ওখান থেকে পুলিশ সদর দপ্তরে পাঠানো হবে।’
ডিসি কার্যালয় থেকে পাওয়া তথ্যে জানা যায়, রাজনৈতিক দলগুলোর মহানগর, থানা ও ওয়ার্ড পর্যায়ের বিভিন্ন কমিটির সদস্য এবং এলাকার ইউনিট পর্যন্ত নেতা-কর্মীদের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। আওয়ামী লীগের পরে জনসমর্থনের দিক থেকে বড় দল হিসেবে বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন এবং জামায়াতের নেতা-কর্মীদের তথ্যের বিষয় গুরুত্ব পাচ্ছে বেশি।
ডিএমপি সদর দপ্তরের সূত্র বলছে, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সরকারবিরোধী আন্দোলনের নামে নাশকতা ঘটালে, যেন কম সময়ের মধ্যে অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনা যায়, সেই বিষয় মাথায় রেখেই এই তালিকা করা হচ্ছে।
জানতে চাইলে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ) এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, ‘কোনো রাজনৈতিক তালিকা আমরা করছি না। কোন থানায় কারা বসবাস করেন, রাজনীতি থেকে গুরুত্বপূর্ণ পেশার ব্যক্তি কে কোথায় থাকেন, সেগুলোই হালনাগাদ করা হচ্ছে। বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা সব সময়ই এটা করে। নিয়মিত কাজের অংশ হিসেবেই ওসিদের এমন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
মামলার তথ্য হালনাগাদের বিষয়ে হাফিজ আক্তার বলেন, শেষবার তালিকায় নানা ধরনের ভুল হয়েছিল। মৃত ব্যক্তির নামও এসেছিল। সমালোচনা হয়েছে। এবার সেই ভুল এড়ানোর লক্ষ্যে নির্ভুল তালিকা তৈরির কাজ চলছে।
এদিকে ২১ সেপ্টেম্বর গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে নেতা-কর্মীদের ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহের নামে পুলিশি হয়রানির অভিযোগ করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। পুলিশের এই তৎপরতা সংবিধান ও আইনসিদ্ধ নয় দাবি করে এই অবস্থার অবসান চান বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, এ ধরনের কার্যক্রম একদিকে যেমন নাগরিকের গোপনীয়তার অধিকার ক্ষুণ্ন করছে, অন্যদিকে নাগরিকের আইনি অধিকার ভোগ করা এবং তাঁর ব্যক্তিস্বাধীনতার ওপর নগ্ন হস্তক্ষেপ বলে প্রতীয়মান হয়। তিনি বলেন, বিভাগীয় পর্যায় থেকে উপজেলা পর্যন্ত সবখানেই ভালো সমাবেশ হচ্ছে, সম্পৃক্ততা বাড়ছে। সে কারণে নেতা-কর্মীদের ভয়ভীতি দেখানোর উদ্দেশ্যে এটা করা হচ্ছে।
পুলিশের কাছে ব্যক্তিগত তথ্য না দিতে দলের নেতা-কর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, দেশে কি ঔপনিবেশিক শাসন চলছে যে পুলিশ বাড়ি বাড়ি গিয়ে ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করবে। পুলিশের এই তৎপরতা দেশের শাসনতন্ত্রের সঙ্গে সাংঘর্ষিক এবং মানবাধিকারের লঙ্ঘন।
জানতে চাইলে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, পুলিশের এমন উদ্যোগ পক্ষপাতদুষ্ট, দলীয় স্বার্থ রক্ষার জন্য। এটা সংবিধানে দেওয়া মানুষের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা অধিকারের লঙ্ঘন।
বিএনপি-জামায়াতসহ বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের তথ্য হালনাগাদ শুরু হয়েছে। এ জন্য মাঠে নেমেছে পুলিশ। জেলায় জেলায় এ ব্যাপারে বিশেষ বার্তাও পাঠানো হয়েছে। তবে এসব তালিকা দিয়ে কী হবে, সে ব্যাপারে কেউ কিছু বলতে পারেননি। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, নির্বাচন সামনে রেখে পুলিশ এসব তালিকা করছে।
তালিকার ব্যাপারে জানতে চেয়ে পুলিশ সদর দপ্তরের উপ-মহাপুলিশ পরিদর্শক (ডিআইজি) মোশতাক আহমেদ খানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ডিআইজি অপারেশনসের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন। ওই পদে থাকা হায়দার আলী খানের বক্তব্য নিতে যোগাযোগ করলে তিনি সহকারী মহাপুলিশ পরিদর্শকের (এআইজি-মিডিয়া) সঙ্গে কথা বলতে বলেন। পরে পুলিশ সদর দপ্তরের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা কামরুল আহসান জানান, এ পদে এখন কেউ নেই।
তবে পুলিশের সাবেক আইজিপি এ কে এম শহীদুল হক বলেছেন, এমন তথ্য নেওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়। সব জেলারই ভিআইপি, শীর্ষ ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদ, গণ্যমান্য ব্যক্তি এবং অপরাধীদের তথ্য সংগ্রহ করা পুলিশের রুটিন কাজ। এতে নাগরিক অধিকার লঙ্ঘনের মতো কোনো কিছু হওয়ার কারণ নেই।
পুলিশ সদর দপ্তরের সূত্র জানিয়েছে, চলতি মাসের শেষের দিকে দেশের সব পুলিশ সুপারকে বিরোধী নেতা-কর্মীদের তথ্য চেয়ে চিঠি ও মৌখিক নির্দেশনা দেওয়া হয়। অধীন সব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে সেই সূত্রে নির্দেশনা দেন জেলা পুলিশ সুপাররা।
নির্দেশনায় বলা হয়, বিএনপিসহ অন্যান্য বিরোধী দলের কর্মসূচি সফল করতে যেসব ব্যক্তি অর্থ জোগান দেবেন, তাঁদের মধ্যে জেলা থেকে আটজন এবং উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন থেকে কমপক্ষে পাঁচজনের নাম-ঠিকানা পাঠাতে হবে।
এই নির্দেশনার ব্যাপারে জানতে চাইলে দেশের সীমান্তবর্তী একটি জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) আজকের পত্রিকাকে বলেন, যে চিঠিটি ইস্যু করা হয়েছিল, এখন এর কার্যক্রম স্থগিত রাখা হয়েছে। কেন স্থগিত, তা তিনি জানেন না।
তবে এই চিঠি নিয়ে কয়েকজন পুলিশ সুপারের সঙ্গে কথা হয় আজকের পত্রিকার। তাঁরা সবাই বলেছেন, পুলিশের বিশেষ শাখার এ রকম একটি চিঠি সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফাঁস হয়ে যায়। অনেকে সেই চিঠি ফেসবুকেও তুলে দেন। এরপরই এভাবে তথ্য সংগ্রহ স্থগিত করা হয়। তাঁরা বলেন, এই তথ্য সংগ্রহে পুলিশ এখন কিছুটা ‘ধীরে চলো’ নীতিতে চলছে।
দেশের পশ্চিমাঞ্চলের এক জেলার পুলিশ সুপার বলেন, ‘আমার জেলার মতো অনেক জেলায় এই চিঠি আসেনি। হয়তো সে সব জেলায় মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে।’
এদিকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) ২০১৩ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত সব ধরনের মামলার তথ্য হালনাগাদ করতে শুরু করেছে। চলতি সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম দিকে এই কাজ শুরু হয়। ঢাকার আটটি অপরাধ বিভাগের উপকমিশনার কার্যালয়ে পুলিশ সদর দপ্তরের মাধ্যমে এ তথ্য চাওয়া হয়। পুলিশের সূত্র থেকে জানা গেছে, ২০১৩ এবং ২০১৪ সালে বিএনপি, জামায়াত ও হেফাজতের মামলাগুলোর বিষয়ে আলাদা নজর দেওয়া হচ্ছে।
জানতে চাইলে ডিএমপির একটি বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) বলেন, ‘রাজনৈতিক মামলাগুলোর ক্ষেত্রে ওপরের নির্দেশনা অনুসরণ করে তদন্ত হয়। নিয়মিত কাজের অংশ হিসেবে মুলতবি মামলা নিয়ে তিন মাস পরপরই তথ্য হালনাগাদ হয়। তবে নির্বাচন সামনে রেখে হয়তো নতুন করে আলাদা তথ্য চাওয়া হচ্ছে। এসব তথ্য আমরা ডিএমপি সদর দপ্তরে পাঠাচ্ছি, ওখান থেকে পুলিশ সদর দপ্তরে পাঠানো হবে।’
ডিসি কার্যালয় থেকে পাওয়া তথ্যে জানা যায়, রাজনৈতিক দলগুলোর মহানগর, থানা ও ওয়ার্ড পর্যায়ের বিভিন্ন কমিটির সদস্য এবং এলাকার ইউনিট পর্যন্ত নেতা-কর্মীদের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। আওয়ামী লীগের পরে জনসমর্থনের দিক থেকে বড় দল হিসেবে বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন এবং জামায়াতের নেতা-কর্মীদের তথ্যের বিষয় গুরুত্ব পাচ্ছে বেশি।
ডিএমপি সদর দপ্তরের সূত্র বলছে, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সরকারবিরোধী আন্দোলনের নামে নাশকতা ঘটালে, যেন কম সময়ের মধ্যে অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনা যায়, সেই বিষয় মাথায় রেখেই এই তালিকা করা হচ্ছে।
জানতে চাইলে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ) এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, ‘কোনো রাজনৈতিক তালিকা আমরা করছি না। কোন থানায় কারা বসবাস করেন, রাজনীতি থেকে গুরুত্বপূর্ণ পেশার ব্যক্তি কে কোথায় থাকেন, সেগুলোই হালনাগাদ করা হচ্ছে। বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা সব সময়ই এটা করে। নিয়মিত কাজের অংশ হিসেবেই ওসিদের এমন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
মামলার তথ্য হালনাগাদের বিষয়ে হাফিজ আক্তার বলেন, শেষবার তালিকায় নানা ধরনের ভুল হয়েছিল। মৃত ব্যক্তির নামও এসেছিল। সমালোচনা হয়েছে। এবার সেই ভুল এড়ানোর লক্ষ্যে নির্ভুল তালিকা তৈরির কাজ চলছে।
এদিকে ২১ সেপ্টেম্বর গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে নেতা-কর্মীদের ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহের নামে পুলিশি হয়রানির অভিযোগ করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। পুলিশের এই তৎপরতা সংবিধান ও আইনসিদ্ধ নয় দাবি করে এই অবস্থার অবসান চান বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, এ ধরনের কার্যক্রম একদিকে যেমন নাগরিকের গোপনীয়তার অধিকার ক্ষুণ্ন করছে, অন্যদিকে নাগরিকের আইনি অধিকার ভোগ করা এবং তাঁর ব্যক্তিস্বাধীনতার ওপর নগ্ন হস্তক্ষেপ বলে প্রতীয়মান হয়। তিনি বলেন, বিভাগীয় পর্যায় থেকে উপজেলা পর্যন্ত সবখানেই ভালো সমাবেশ হচ্ছে, সম্পৃক্ততা বাড়ছে। সে কারণে নেতা-কর্মীদের ভয়ভীতি দেখানোর উদ্দেশ্যে এটা করা হচ্ছে।
পুলিশের কাছে ব্যক্তিগত তথ্য না দিতে দলের নেতা-কর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, দেশে কি ঔপনিবেশিক শাসন চলছে যে পুলিশ বাড়ি বাড়ি গিয়ে ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করবে। পুলিশের এই তৎপরতা দেশের শাসনতন্ত্রের সঙ্গে সাংঘর্ষিক এবং মানবাধিকারের লঙ্ঘন।
জানতে চাইলে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, পুলিশের এমন উদ্যোগ পক্ষপাতদুষ্ট, দলীয় স্বার্থ রক্ষার জন্য। এটা সংবিধানে দেওয়া মানুষের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা অধিকারের লঙ্ঘন।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৫ দিন আগে