বোরহান জাবেদ, ঢাকা
অস্ট্রেলিয়ানরা হারার আগে হারে না—প্রচলিত কথাটা ধ্রুব সত্য হয়ে গেছে অনেক আগেই। তা ম্যাথু ওয়েডও তো একজন অস্ট্রেলিয়ান। তিনিই-বা কেন বিনা যুদ্ধে হার মানবেন? মাত্র ১৬ বছর বয়সে ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছিলেন, সেই যুদ্ধে হার মানেননি। আরেকবার যখন ক্যারিয়ার বাঁচানোর প্রশ্ন উঠে গেছে, এবারও ওয়েড জয়ীর বেশেই ফিরলেন।
মঞ্চটা প্রস্তুতই ছিল ওয়েডের জন্য। পুরো ক্যারিয়ারে সে অর্থে পাদপ্রদীপের আলোয় আসতে পারেননি। ২০১১ সালে কেপটাউনে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সঙ্গে পরিচয়। শুরুর এক-দেড় বছর সামর্থ্যের প্রমাণ দিলেও ধারাবাহিকতা দেখাতে পারেননি কখনোই। দলে আসা-যাওয়ার মধ্য দিয়েই গেছেন বেশির ভাগ সময়। ২০১৭ সালের পর তো সব সংস্করণের দল থেকেই বাদ পড়ে যান।
অ্যালেক্স ক্যারি, পিটার হ্যান্ডসকম্ব, টিম পেইনরা ওয়েডের ফেরাটা কঠিনই করেছেন। তাঁদের ভিড়ে হয়তো অস্ট্রেলিয়ার জার্সি গায়ে ক্যারিয়ারের শেষটাই দেখে ফেলেছিলেন! যেমনটা দুবাইয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে দলকে ফাইনালে তোলা ইনিংসের পর বলছিলেন, ‘ভেবেছিলাম, এটিই হয়তো অস্ট্রেলিয়ার জার্সিতে আমার শেষ ম্যাচ।’ ঘরের মাঠে ২০১৯ সালের অ্যাশেজ দিয়ে দলে ফিরেছিলেন। ওয়েডের জন্য এবার টিকে থাকার চ্যালেঞ্জটা ছিল আরও কঠিন। উইকেটকিপার-ব্যাটার থেকে দলে ঢুকেছেন শুধুই ব্যাটার হিসেবে। দুই সেঞ্চুরিতে কঠিন পরীক্ষাটা স্মরণীয় করে উতরে যান।
তবে যে জন্য ওয়েডকে নিয়ে লেখা, সেই টি-টোয়েন্টিতে গত বছরের ডিসেম্বরে সিডনিতে ভারতের বিপক্ষে ৮০ রানের ইনিংসের পর ব্যাট কথা বলছিল না ঠিকঠাক। বিশ্বকাপ দলে জায়গা পাওয়াটাও ছিল প্রশ্নবিদ্ধ। তাঁর জায়গায় বিগ ব্যাশ মাতানো জশ ইংলিশকে কেন নিয়মিত সুযোগ দেওয়া হচ্ছিল না, সেই আলোচনা চলেছে জোরেশোরে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে মার্কাস স্টয়নিসকে সঙ্গ দিয়ে দলকে জেতান। পরের দুই ম্যাচে আবার সেই পুরোনো ওয়েড, শেষ দুই ম্যাচে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পাননি। সেমিফাইনালে আরেকবার যখন সুযোগ পেলেন, সঙ্গী সেই স্টয়নিস। এরপর কী হয়েছে, সেটা তো এখনো তরতাজাই।
তবে ওয়েডের এই রোলারকোস্টার যাত্রাটা হয়তো থেমে যেতে পারত ১৬ বছর বয়সেই। তখনো ক্যানসার জয়ের উদাহরণ হননি যুবরাজ সিং কিংবা কিংবদন্তি সাইক্লিস্ট ল্যান্স আর্মস্ট্রং। রাজ্যের জুনিয়র ফুটবল দলের হয়ে খেলার সময় একদিন কুঁচকিতে বলের আঘাত পান। গুরুতর না হলেও কিছুদিন পর সেই আঘাত ওয়েডকে হাসপাতাল পর্যন্ত টেনে আনে। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে জানতে পারেন, শরীরে টেস্টিকুলার ক্যানসার। শুরু হয় চিকিৎসা। ধকল নেওয়াটা ওয়েড শিখে যান সেই তরুণ বয়সেই, কেমো থেরাপির ধকল। দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর কেমো থেরাপি শেষে কিছুদিনের মধ্যেই সুস্থ হয়ে ওঠেন।
ক্যানসার ওয়েডের পেশাদার খেলোয়াড় হওয়ার স্বপ্নে ধাক্কা দেয়। দুঃসহ সময়ের পর জীবনকে উপভোগ করতে তবু খেলা চালিয়ে যান। সেখান থেকে সুযোগ পান তাসমানিয়ার রাজ্যে দলে। ফুটবল বাদ দিয়ে ক্রিকেটকে ধ্যানজ্ঞান করেন। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে খুব কম সময় দলের প্রথম পছন্দ হতে পেরেছেন। এখানেও সেই বিপত্তি, উইকেটকিপার হিসেবে তাসমানিয়া দলে নির্বাচকদের প্রথম পছন্দ ছিলেন এখনকার অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট অধিনায়ক পেইন। হাল না ছেড়ে ওয়েড পাড়ি জমান ৫৬০ কিলোমিটার দূরের ভিক্টোরিয়া রাজ্যে। যখন ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছেন, তখন জানতেন কীভাবে ফিরতে হয়। এখনো জানেন কীভাবে জেতাতে হয়। জেতাটা তো ওয়েড শিখে গিয়েছিলেন সেদিনই!
অস্ট্রেলিয়ানরা হারার আগে হারে না—প্রচলিত কথাটা ধ্রুব সত্য হয়ে গেছে অনেক আগেই। তা ম্যাথু ওয়েডও তো একজন অস্ট্রেলিয়ান। তিনিই-বা কেন বিনা যুদ্ধে হার মানবেন? মাত্র ১৬ বছর বয়সে ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছিলেন, সেই যুদ্ধে হার মানেননি। আরেকবার যখন ক্যারিয়ার বাঁচানোর প্রশ্ন উঠে গেছে, এবারও ওয়েড জয়ীর বেশেই ফিরলেন।
মঞ্চটা প্রস্তুতই ছিল ওয়েডের জন্য। পুরো ক্যারিয়ারে সে অর্থে পাদপ্রদীপের আলোয় আসতে পারেননি। ২০১১ সালে কেপটাউনে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সঙ্গে পরিচয়। শুরুর এক-দেড় বছর সামর্থ্যের প্রমাণ দিলেও ধারাবাহিকতা দেখাতে পারেননি কখনোই। দলে আসা-যাওয়ার মধ্য দিয়েই গেছেন বেশির ভাগ সময়। ২০১৭ সালের পর তো সব সংস্করণের দল থেকেই বাদ পড়ে যান।
অ্যালেক্স ক্যারি, পিটার হ্যান্ডসকম্ব, টিম পেইনরা ওয়েডের ফেরাটা কঠিনই করেছেন। তাঁদের ভিড়ে হয়তো অস্ট্রেলিয়ার জার্সি গায়ে ক্যারিয়ারের শেষটাই দেখে ফেলেছিলেন! যেমনটা দুবাইয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে দলকে ফাইনালে তোলা ইনিংসের পর বলছিলেন, ‘ভেবেছিলাম, এটিই হয়তো অস্ট্রেলিয়ার জার্সিতে আমার শেষ ম্যাচ।’ ঘরের মাঠে ২০১৯ সালের অ্যাশেজ দিয়ে দলে ফিরেছিলেন। ওয়েডের জন্য এবার টিকে থাকার চ্যালেঞ্জটা ছিল আরও কঠিন। উইকেটকিপার-ব্যাটার থেকে দলে ঢুকেছেন শুধুই ব্যাটার হিসেবে। দুই সেঞ্চুরিতে কঠিন পরীক্ষাটা স্মরণীয় করে উতরে যান।
তবে যে জন্য ওয়েডকে নিয়ে লেখা, সেই টি-টোয়েন্টিতে গত বছরের ডিসেম্বরে সিডনিতে ভারতের বিপক্ষে ৮০ রানের ইনিংসের পর ব্যাট কথা বলছিল না ঠিকঠাক। বিশ্বকাপ দলে জায়গা পাওয়াটাও ছিল প্রশ্নবিদ্ধ। তাঁর জায়গায় বিগ ব্যাশ মাতানো জশ ইংলিশকে কেন নিয়মিত সুযোগ দেওয়া হচ্ছিল না, সেই আলোচনা চলেছে জোরেশোরে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে মার্কাস স্টয়নিসকে সঙ্গ দিয়ে দলকে জেতান। পরের দুই ম্যাচে আবার সেই পুরোনো ওয়েড, শেষ দুই ম্যাচে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পাননি। সেমিফাইনালে আরেকবার যখন সুযোগ পেলেন, সঙ্গী সেই স্টয়নিস। এরপর কী হয়েছে, সেটা তো এখনো তরতাজাই।
তবে ওয়েডের এই রোলারকোস্টার যাত্রাটা হয়তো থেমে যেতে পারত ১৬ বছর বয়সেই। তখনো ক্যানসার জয়ের উদাহরণ হননি যুবরাজ সিং কিংবা কিংবদন্তি সাইক্লিস্ট ল্যান্স আর্মস্ট্রং। রাজ্যের জুনিয়র ফুটবল দলের হয়ে খেলার সময় একদিন কুঁচকিতে বলের আঘাত পান। গুরুতর না হলেও কিছুদিন পর সেই আঘাত ওয়েডকে হাসপাতাল পর্যন্ত টেনে আনে। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে জানতে পারেন, শরীরে টেস্টিকুলার ক্যানসার। শুরু হয় চিকিৎসা। ধকল নেওয়াটা ওয়েড শিখে যান সেই তরুণ বয়সেই, কেমো থেরাপির ধকল। দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর কেমো থেরাপি শেষে কিছুদিনের মধ্যেই সুস্থ হয়ে ওঠেন।
ক্যানসার ওয়েডের পেশাদার খেলোয়াড় হওয়ার স্বপ্নে ধাক্কা দেয়। দুঃসহ সময়ের পর জীবনকে উপভোগ করতে তবু খেলা চালিয়ে যান। সেখান থেকে সুযোগ পান তাসমানিয়ার রাজ্যে দলে। ফুটবল বাদ দিয়ে ক্রিকেটকে ধ্যানজ্ঞান করেন। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে খুব কম সময় দলের প্রথম পছন্দ হতে পেরেছেন। এখানেও সেই বিপত্তি, উইকেটকিপার হিসেবে তাসমানিয়া দলে নির্বাচকদের প্রথম পছন্দ ছিলেন এখনকার অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট অধিনায়ক পেইন। হাল না ছেড়ে ওয়েড পাড়ি জমান ৫৬০ কিলোমিটার দূরের ভিক্টোরিয়া রাজ্যে। যখন ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছেন, তখন জানতেন কীভাবে ফিরতে হয়। এখনো জানেন কীভাবে জেতাতে হয়। জেতাটা তো ওয়েড শিখে গিয়েছিলেন সেদিনই!
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৩ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৭ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৭ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৭ দিন আগে