মো. রবিউল ইসলাম, অভয়নগর
যশোর-খুলনা মহাসড়কের নির্মাণকাজ শেষ হতে না হতেই করা হয় সংস্কার। আবার সেই সংস্কারের দুই মাস না যেতেই ফের অসংখ্য খানা-খন্দের সৃষ্টি হয়েছে। ৩২১ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত যশোর-খুলনা মহাসড়ক ফের চলাচলের অনুপযোগি হতে চলেছে।
সরেজমিনে জানা গেছে, দেশের বৃহত্তম নৌ-বন্দর মোংলা ও নওয়াপাড়ার সঙ্গে সরাসরি সংযোগ ঘটেছে এ সড়কটির মাধ্যমে। নওয়াপাড়া শহরের বুক চিরে বয়ে যাওয়া এ সড়কটি যতটা গুরুত্বপূর্ণ ততটাই যেন অবহেলিত যুগ যুগ ধরে। এ সড়কটি দিয়েই প্রতিদিন লাখ-লাখ মানুষ মানুষ যাতায়াত করে। দেশের ৭০ শতাংশ সার বিভিন্ন অঞ্চলে নওয়াপাড়া হতে এ সড়ক দিয়েই সরবরাহ করা হয়। হাজার হাজার কোটি টাকার কয়লা নওয়াপাড়া বন্দর হতে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এ সড়ক দিয়েই সরবরাহ করা হয়।
এ ছাড়া, খৈল, ভুট্টা, ভুসি, মাছের খাবার, চাল-ডালসহ যাবতীয় পণ্য এ সড়ক দিয়েই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যায়। বছরের পর বছর বেহাল অবস্থায় পড়ে থাকা এ সড়কটির গুরুত্ব বিবেচনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সড়কটির উন্নয়নের পরিকল্পনা হাতে নেন। সে মোতাবেক ৩২১ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০১৮ সালের মে মাসে সড়কটির সংস্কার কাজ শুরু করে ‘তমা কনস্ট্রাকশন’ ও ‘মাহাবুব অ্যান্ড ব্রাদার্স’ নামের দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
২০২০ সালের জুন মাসে মহাসড়কের কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলে কাজ শেষ হয় ডিসেম্বরে। কিন্তু কাজ শেষ হতে না হতেই তমা কন্সট্রাকশনের বানানো অংশে (পদ্মবীলা থেকে অভয়নগরের শেষ সীমানা) পর্যন্ত সড়কটি ফুলে ফেঁপে বেহাল হয়ে পড়ে।
বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রীসহ সড়ক বিভাগে শুরু হয় তোলপাড়। সরব হয়ে ওঠে গণমাধ্যম। অতিরিক্ত তাপমাত্রার সময় সড়কে বিটুমিনের কাজ করায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে এমনটা জানায় সড়ক বিভাগ।
পরে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সড়ক পরিদর্শন শেষে বর্ষা মৌসুমের আগে সড়ক সংস্কার করে দ্রুত কাজ শেষ করার ঘোষণা দেন। এরপর গত দেড় মাস আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে সড়কের কাজ দ্রুত শেষ করার নির্দেশ দেন।
বিষয়টি নিয়ে চারদিকে তোলপাড় শুরু হলে সড়ক বিভাগের দায়িত্বরত কর্মকর্তারা ও তমা কনস্ট্রাকশন সড়কের ফুলে ওঠা অংশগুলো তুলে ফেলে সড়ক সমান করার কাজে লাগে। কোথাও কোথাও নামমাত্র বিটুমিন ছিঁটিয়ে দেয়। ফুলে ওঠা অংশ তুলে ফেলায় সেসব অংশে এখন ধীরে ধীরে বড় গর্তের সৃষ্টি হচ্ছে। সড়ক জুড়ে ইতিমধ্যে অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। তা ছাড়া পিচ উঠে গেছে। ব্যস্তময় এই মহাসড়কে চলাচল করা আন্তজেলা ও দূরপাল্লার যানবাহনসহ পণ্যবাহী গাড়ি চলাচলের ক্ষেত্রে খুবই সমস্যা হচ্ছে।
অতি দ্রুত মহাসড়কটি পুনরায় মেরামত করা না হলে রাস্তাটি যানবাহন চলাচলের জন্য একেবারেই অনুপযোগী হয়ে পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে সড়ক ও জনপদের নির্বাহী প্রকৌশলী এস এম মোয়াজ্জেম হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ‘ইতিমধ্যে তমা কন্সট্রাকশন পদ্মবিলা থেকে সড়ক মেরামতের কাজ শুরু করেছে। আশা করছি খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে মেরামতের কাজ শেষ হবে।’
এ বিষয়ে অভয়নগর উপজেলা চেয়ারম্যান শাহ্ ফরিদ জাহাঙ্গীরের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ‘এই গুরুত্বপূর্ণ সড়কে যানবাহন এবং যাত্রী সাধারণ চরম ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। দীর্ঘদিন ধরে এ সড়কে সমস্যা রয়েই গেল।’
যশোর-খুলনা মহাসড়কের নির্মাণকাজ শেষ হতে না হতেই করা হয় সংস্কার। আবার সেই সংস্কারের দুই মাস না যেতেই ফের অসংখ্য খানা-খন্দের সৃষ্টি হয়েছে। ৩২১ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত যশোর-খুলনা মহাসড়ক ফের চলাচলের অনুপযোগি হতে চলেছে।
সরেজমিনে জানা গেছে, দেশের বৃহত্তম নৌ-বন্দর মোংলা ও নওয়াপাড়ার সঙ্গে সরাসরি সংযোগ ঘটেছে এ সড়কটির মাধ্যমে। নওয়াপাড়া শহরের বুক চিরে বয়ে যাওয়া এ সড়কটি যতটা গুরুত্বপূর্ণ ততটাই যেন অবহেলিত যুগ যুগ ধরে। এ সড়কটি দিয়েই প্রতিদিন লাখ-লাখ মানুষ মানুষ যাতায়াত করে। দেশের ৭০ শতাংশ সার বিভিন্ন অঞ্চলে নওয়াপাড়া হতে এ সড়ক দিয়েই সরবরাহ করা হয়। হাজার হাজার কোটি টাকার কয়লা নওয়াপাড়া বন্দর হতে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এ সড়ক দিয়েই সরবরাহ করা হয়।
এ ছাড়া, খৈল, ভুট্টা, ভুসি, মাছের খাবার, চাল-ডালসহ যাবতীয় পণ্য এ সড়ক দিয়েই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যায়। বছরের পর বছর বেহাল অবস্থায় পড়ে থাকা এ সড়কটির গুরুত্ব বিবেচনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সড়কটির উন্নয়নের পরিকল্পনা হাতে নেন। সে মোতাবেক ৩২১ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০১৮ সালের মে মাসে সড়কটির সংস্কার কাজ শুরু করে ‘তমা কনস্ট্রাকশন’ ও ‘মাহাবুব অ্যান্ড ব্রাদার্স’ নামের দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
২০২০ সালের জুন মাসে মহাসড়কের কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলে কাজ শেষ হয় ডিসেম্বরে। কিন্তু কাজ শেষ হতে না হতেই তমা কন্সট্রাকশনের বানানো অংশে (পদ্মবীলা থেকে অভয়নগরের শেষ সীমানা) পর্যন্ত সড়কটি ফুলে ফেঁপে বেহাল হয়ে পড়ে।
বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রীসহ সড়ক বিভাগে শুরু হয় তোলপাড়। সরব হয়ে ওঠে গণমাধ্যম। অতিরিক্ত তাপমাত্রার সময় সড়কে বিটুমিনের কাজ করায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে এমনটা জানায় সড়ক বিভাগ।
পরে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সড়ক পরিদর্শন শেষে বর্ষা মৌসুমের আগে সড়ক সংস্কার করে দ্রুত কাজ শেষ করার ঘোষণা দেন। এরপর গত দেড় মাস আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে সড়কের কাজ দ্রুত শেষ করার নির্দেশ দেন।
বিষয়টি নিয়ে চারদিকে তোলপাড় শুরু হলে সড়ক বিভাগের দায়িত্বরত কর্মকর্তারা ও তমা কনস্ট্রাকশন সড়কের ফুলে ওঠা অংশগুলো তুলে ফেলে সড়ক সমান করার কাজে লাগে। কোথাও কোথাও নামমাত্র বিটুমিন ছিঁটিয়ে দেয়। ফুলে ওঠা অংশ তুলে ফেলায় সেসব অংশে এখন ধীরে ধীরে বড় গর্তের সৃষ্টি হচ্ছে। সড়ক জুড়ে ইতিমধ্যে অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। তা ছাড়া পিচ উঠে গেছে। ব্যস্তময় এই মহাসড়কে চলাচল করা আন্তজেলা ও দূরপাল্লার যানবাহনসহ পণ্যবাহী গাড়ি চলাচলের ক্ষেত্রে খুবই সমস্যা হচ্ছে।
অতি দ্রুত মহাসড়কটি পুনরায় মেরামত করা না হলে রাস্তাটি যানবাহন চলাচলের জন্য একেবারেই অনুপযোগী হয়ে পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে সড়ক ও জনপদের নির্বাহী প্রকৌশলী এস এম মোয়াজ্জেম হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ‘ইতিমধ্যে তমা কন্সট্রাকশন পদ্মবিলা থেকে সড়ক মেরামতের কাজ শুরু করেছে। আশা করছি খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে মেরামতের কাজ শেষ হবে।’
এ বিষয়ে অভয়নগর উপজেলা চেয়ারম্যান শাহ্ ফরিদ জাহাঙ্গীরের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ‘এই গুরুত্বপূর্ণ সড়কে যানবাহন এবং যাত্রী সাধারণ চরম ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। দীর্ঘদিন ধরে এ সড়কে সমস্যা রয়েই গেল।’
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৩ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৭ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৭ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৭ দিন আগে