রুদ্র রুহান, বরগুনা
বরগুনা সদর উপজেলার ঢালুয়া ইউনিয়ন। শহর থেকে বরগুনা বড়ইতলা সড়ক ধরে মাত্র দুই কিলোমিটার পশ্চিমে সড়কের বাঁকে হাতের ডানে দুটি সাইনবোর্ড দিকনির্দেশক একটি চিহ্ন আঁকা, যেখানে লেখা আছে ‘গণকবর এইদিকে’। এর ঠিক পাশেই বৈদ্যুতিক খুঁটিসংলগ্ন ছোট একটি সাইনবোর্ডে লেখা আছে ‘অভিযান ১০ লঞ্চ আগুনে পুড়ে নিহতদের গণকবর এইদিকে’। ইটের পাকা সড়ক ধরে খানিকটা সামনে এগোলেই চোখে পড়বে সারি সারি কবর।
এখানেই ১৯টি কবরে সুগন্ধা ট্র্যাজেডিতে নিহত পরিচয় শনাক্ত না হওয়া ২৩টি মরদেহ সমাহিত করা হয়েছিল। কবরগুলোর প্রত্যেকটিতে একটি খুঁটির সঙ্গে সাদা কাগজে পরিচয় হিসেবে লেখা আছে শুধু থানার সাধারণ ডায়েরি নম্বর।
বরগুনা জেলা প্রশাসনের দেওয়া তথ্যমতে, ২৩ ডিসেম্বর ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে এমভি অভিযান-১০ লঞ্চ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বরগুনার ৩৭ জনের লাশ উদ্ধার করা করা হয়। এর মধ্যে ১৪ জনের পরিচয় মিলছে। বাকি ২৩টি লাশ বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করা হয়েছে। এ ছাড়া পরবর্তী সময়ে উদ্ধার হওয়া একটি মরদেহ দাফন করা হয়েছে ঝালকাঠিতে।
২৮ ডিসেম্বর বরগুনা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ঢাকা থেকে সিআইডির ফরেনসিক বিভাগ আসে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহে। এতে নিখোঁজ ২৪ জনের জন্য ৩৫ স্বজন ডিএনএ টেস্টের জন্য নমুনা দেন। দুই মাস অতিবাহিত হলেও এখনো প্রকাশ হয়নি ফলাফল।
প্রতিনিয়ত গণকবরে স্বজনদের কবর জিয়ারত করতে আসেন নিখোঁজ পরিবারের সদস্যরা। দুর্ঘটনায় নিখোঁজদের লাশ স্বজনেরা এক প্রকার সান্ত্বনা হিসেবে গ্রহণ করতে চাইলেও এখনো ডিএনএ টেস্টের ফলাফল না পাওয়ায় সেই সান্ত্বনা থেকেও বঞ্চিত স্বজনহারা মানুষগুলো।
বরগুনার পাথরঘাটার চরদুয়ানী ইউনিয়নের ছোট টেংরা গ্রামের আফজাল হোসেনের মেয়ে ফজিলা আক্তার পপির সন্ধান মেলেনি। একমাত্র মেয়ে লামিয়াকে (১৩) পপির বৃদ্ধ বাবা আফজাল হোসেন লালন-পালন করছেন। আফজাল হোসেন বলেন, ‘একমাত্র মাইয়াডারে হারালাইম। কয় পড়লেও দেখতে পারলাম না, ডিএনএ নমুনা আসলে কবরডা অন্তত দেখতে পারতাম।’
লঞ্চ দুর্ঘটনায় নিখোঁজ বরগুনার তালতলী উপজেলার জুনাইদের (৭) বাবা মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘আমার ছেলের লাশটা ওইখানে দাফন করা হয়েছে কি না, যদি সেটাও জানতে পারতাম, তবু সান্ত্বনা পাইতাম।’
সন্তান ও স্ত্রীকে খুঁজে পাননি বরগুনা সদর উপজেলার ঢলুয়া ইউনিয়নের মোল্লার হোড়া গ্রামের বাসিন্দা শিমুল সরদার। তিনি বলেন, ডিএনএ নমুনা দিয়েছি দুই মাস, এখনো পরীক্ষার ফল আসেনি। পরীক্ষার ফল পাইলেও তো বুঝতে পারতাম, আমার বউ পোলার কবরডা এখানে আছে।
এমনকি দুর্ঘটনার দুই মাস পার হলেও নিখোঁজদের শনাক্ত না হওয়ায় কোনো সহায়তা পায়নি তাঁদের পরিবার। এতে একমাত্র উপার্জনক্ষম নিখোঁজ ব্যক্তির পরিবারের সদস্যরা পড়েছেন চরম বিপাকে। তাই খেয়ে না খেয়েই দিন কাটছে এসব পরিবারের সদস্যদের। লাশ শনাক্ত না হওয়ায় নিখোঁজদের পরিবারকে সহায়তা করা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছে বরগুনা জেলা প্রশাসন।
বরগুনা জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান বলেন, আমরা ঢাকার সিআইডির ফরেনসিক বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছি যাতে দ্রুত ফলাফল পাওয়া যায়। ফলাফল আসলে এর পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।
এ বিষয়ে সিআইডি ফরেনসিক বিভাগের বিশেষ পুলিশ সুপার রুমানা আক্তার বলেন, আমাদের ডিএনএ নমুনা বিশ্লেষণের কাজ চলমান আছে। আশা করছি মার্চের মধ্যেই আমরা ডিএনএ ফলাফল দিয়ে দিতে সক্ষম হব।
বরগুনা সদর উপজেলার ঢালুয়া ইউনিয়ন। শহর থেকে বরগুনা বড়ইতলা সড়ক ধরে মাত্র দুই কিলোমিটার পশ্চিমে সড়কের বাঁকে হাতের ডানে দুটি সাইনবোর্ড দিকনির্দেশক একটি চিহ্ন আঁকা, যেখানে লেখা আছে ‘গণকবর এইদিকে’। এর ঠিক পাশেই বৈদ্যুতিক খুঁটিসংলগ্ন ছোট একটি সাইনবোর্ডে লেখা আছে ‘অভিযান ১০ লঞ্চ আগুনে পুড়ে নিহতদের গণকবর এইদিকে’। ইটের পাকা সড়ক ধরে খানিকটা সামনে এগোলেই চোখে পড়বে সারি সারি কবর।
এখানেই ১৯টি কবরে সুগন্ধা ট্র্যাজেডিতে নিহত পরিচয় শনাক্ত না হওয়া ২৩টি মরদেহ সমাহিত করা হয়েছিল। কবরগুলোর প্রত্যেকটিতে একটি খুঁটির সঙ্গে সাদা কাগজে পরিচয় হিসেবে লেখা আছে শুধু থানার সাধারণ ডায়েরি নম্বর।
বরগুনা জেলা প্রশাসনের দেওয়া তথ্যমতে, ২৩ ডিসেম্বর ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে এমভি অভিযান-১০ লঞ্চ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বরগুনার ৩৭ জনের লাশ উদ্ধার করা করা হয়। এর মধ্যে ১৪ জনের পরিচয় মিলছে। বাকি ২৩টি লাশ বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করা হয়েছে। এ ছাড়া পরবর্তী সময়ে উদ্ধার হওয়া একটি মরদেহ দাফন করা হয়েছে ঝালকাঠিতে।
২৮ ডিসেম্বর বরগুনা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ঢাকা থেকে সিআইডির ফরেনসিক বিভাগ আসে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহে। এতে নিখোঁজ ২৪ জনের জন্য ৩৫ স্বজন ডিএনএ টেস্টের জন্য নমুনা দেন। দুই মাস অতিবাহিত হলেও এখনো প্রকাশ হয়নি ফলাফল।
প্রতিনিয়ত গণকবরে স্বজনদের কবর জিয়ারত করতে আসেন নিখোঁজ পরিবারের সদস্যরা। দুর্ঘটনায় নিখোঁজদের লাশ স্বজনেরা এক প্রকার সান্ত্বনা হিসেবে গ্রহণ করতে চাইলেও এখনো ডিএনএ টেস্টের ফলাফল না পাওয়ায় সেই সান্ত্বনা থেকেও বঞ্চিত স্বজনহারা মানুষগুলো।
বরগুনার পাথরঘাটার চরদুয়ানী ইউনিয়নের ছোট টেংরা গ্রামের আফজাল হোসেনের মেয়ে ফজিলা আক্তার পপির সন্ধান মেলেনি। একমাত্র মেয়ে লামিয়াকে (১৩) পপির বৃদ্ধ বাবা আফজাল হোসেন লালন-পালন করছেন। আফজাল হোসেন বলেন, ‘একমাত্র মাইয়াডারে হারালাইম। কয় পড়লেও দেখতে পারলাম না, ডিএনএ নমুনা আসলে কবরডা অন্তত দেখতে পারতাম।’
লঞ্চ দুর্ঘটনায় নিখোঁজ বরগুনার তালতলী উপজেলার জুনাইদের (৭) বাবা মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘আমার ছেলের লাশটা ওইখানে দাফন করা হয়েছে কি না, যদি সেটাও জানতে পারতাম, তবু সান্ত্বনা পাইতাম।’
সন্তান ও স্ত্রীকে খুঁজে পাননি বরগুনা সদর উপজেলার ঢলুয়া ইউনিয়নের মোল্লার হোড়া গ্রামের বাসিন্দা শিমুল সরদার। তিনি বলেন, ডিএনএ নমুনা দিয়েছি দুই মাস, এখনো পরীক্ষার ফল আসেনি। পরীক্ষার ফল পাইলেও তো বুঝতে পারতাম, আমার বউ পোলার কবরডা এখানে আছে।
এমনকি দুর্ঘটনার দুই মাস পার হলেও নিখোঁজদের শনাক্ত না হওয়ায় কোনো সহায়তা পায়নি তাঁদের পরিবার। এতে একমাত্র উপার্জনক্ষম নিখোঁজ ব্যক্তির পরিবারের সদস্যরা পড়েছেন চরম বিপাকে। তাই খেয়ে না খেয়েই দিন কাটছে এসব পরিবারের সদস্যদের। লাশ শনাক্ত না হওয়ায় নিখোঁজদের পরিবারকে সহায়তা করা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছে বরগুনা জেলা প্রশাসন।
বরগুনা জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান বলেন, আমরা ঢাকার সিআইডির ফরেনসিক বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছি যাতে দ্রুত ফলাফল পাওয়া যায়। ফলাফল আসলে এর পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।
এ বিষয়ে সিআইডি ফরেনসিক বিভাগের বিশেষ পুলিশ সুপার রুমানা আক্তার বলেন, আমাদের ডিএনএ নমুনা বিশ্লেষণের কাজ চলমান আছে। আশা করছি মার্চের মধ্যেই আমরা ডিএনএ ফলাফল দিয়ে দিতে সক্ষম হব।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১৬ ঘণ্টা আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৫ দিন আগে