মো. হুমায়ূন কবীর
সদ্য সমাপ্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট পড়ার হার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ), যুক্তরাষ্ট্রের ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই) এবং ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউট (এনডিআই)। গতকাল সোমবার নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে তারা প্রতি ঘণ্টায় ভোট পড়ার হারের বিষয়ে ইসির কাছে তথ্য চেয়েছে। ইসির পক্ষ থেকেও এসব তথ্য সরবরাহ করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ইউরোপীয় ইউনিয়নের টেকনিক্যাল টিম এবং এনডিআই ও আইআরআইয়ের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। তারা মূলত নির্বাচনসংশ্লিষ্ট বিষয়ে জানতে চেয়েছিল। বিভিন্ন পরিসংখ্যান নিতে আসছিল। আমরা বিভিন্ন বিষয়ে যে ব্যাখ্যা দিয়েছি, তাতে তারা সন্তুষ্ট।’
সূত্র জানায়, ইইউয়ের টেকনিক্যাল টিমের সঙ্গে আলাদা বৈঠক হয়। আর আইআরআই ও এনডিআইয়ের প্রতিনিধিরা একসঙ্গে ইসির সঙ্গে বৈঠক করেন।
জানা যায়, বৈঠকে ইইউ ও মার্কিন দুই সংস্থা নির্বাচনে ভোট পড়ার হার ও ইসির অ্যাপস নিয়ে বেশি কথা বলেছে। পাশাপাশি অ্যাপসের কার্যক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে চেয়েছে এবং অ্যাপসের কার্যক্রম ভালো করে বোঝার চেষ্টা করেছে।
সূত্র জানায়, তারা বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবর পড়ে মনে করেছে ভোটে অনিয়ম হয়েছে। ইসির পক্ষ থেকে তখন বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়।
ইসিসংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, প্রতি ঘণ্টায় কয়জন ডেটা ইনপুট দিয়েছে, কয়জন দিতে পারেনি—এই তথ্য চাচ্ছে বিদেশিরা। কমিশনের পক্ষ থেকে অ্যাপসের মাধ্যমে দেখানো হয়েছে। কিন্তু ওরা কপি চেয়েছে।
সূত্র আরও জানায়, বিদেশিদের কাছে তথ্য তুলে ধরে ইসির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে ভোটের দিন অনেকেই নির্ধারিত সময়ে ডেটা এন্ট্রি দিতে পারেনি। তিনটি জেলায় মোটেই দিতে পারেনি। পরে তারা প্রতি ঘণ্টায় অ্যাপসে কতজন এন্ট্রি দিয়েছে পুরো স্টেটমেন্ট চেয়েছে। কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, দেওয়া হবে। কারণ কমিশন মনে করে সবকিছু স্বচ্ছভাবেই করা হয়েছে। গণমাধ্যমে বিভিন্নভাবে আসাতে বিদেশিরা সংশয়ের মধ্যে পড়েছে বলে মনে করছে ইসির সংশ্লিষ্টরা।
৭ জানুয়ারি ভোট গ্রহণ চলার সময় গণমাধ্যমের কাছে তিন দফা ভোট পড়ার হার জানায় ইসি। সেদিন প্রথম দুই দফা ইসি সচিব এবং ভোট শেষে সিইসি গণমাধ্যমে ব্রিফ করেন। সেই হিসাব অনুযায়ী, দুপুর ১২টা ১০ মিনিট পর্যন্ত গড়ে ১৮.৫ শতাংশ, এরপর বেলা ৩টার পর জানানো হয় ২৬.৩৭ শতাংশ এবং বিকেল ৪টায় ভোট শেষ হওয়ার ঘণ্টা দেড়েক পর ৪০ শতাংশের মতো ভোট পড়েছে বলে জানানো হয়। তবে সিইসি তখন এটাও বলেন যে এটি নিশ্চিত হিসাব নয়। বাড়তে পারে, নাও পারে।
এরপর ভোটের পরদিন সোমবার সিইসি জানান, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৪১.৮ শতাংশ ভোট পড়েছে। তখন ভোট পড়ার হারসহ ফলাফল নিয়ে সন্দেহ থাকলে চ্যালেঞ্জ করার আহ্বান জানান সিইসি।
এ ছাড়া গতকালের বৈঠকে সংখ্যালঘুদের হুমকি দিয়ে কোনো প্রার্থী বক্তব্য দিয়েছেন এমন একটি বিষয়ও তারা উপস্থাপন করেছে বলে জানা গেছে। তবে কমিশনের কাছে এমন কোনো তথ্য বা এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ আসেনি বলে জানানো হয়।
সদ্য সমাপ্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট পড়ার হার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ), যুক্তরাষ্ট্রের ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই) এবং ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউট (এনডিআই)। গতকাল সোমবার নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে তারা প্রতি ঘণ্টায় ভোট পড়ার হারের বিষয়ে ইসির কাছে তথ্য চেয়েছে। ইসির পক্ষ থেকেও এসব তথ্য সরবরাহ করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ইউরোপীয় ইউনিয়নের টেকনিক্যাল টিম এবং এনডিআই ও আইআরআইয়ের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। তারা মূলত নির্বাচনসংশ্লিষ্ট বিষয়ে জানতে চেয়েছিল। বিভিন্ন পরিসংখ্যান নিতে আসছিল। আমরা বিভিন্ন বিষয়ে যে ব্যাখ্যা দিয়েছি, তাতে তারা সন্তুষ্ট।’
সূত্র জানায়, ইইউয়ের টেকনিক্যাল টিমের সঙ্গে আলাদা বৈঠক হয়। আর আইআরআই ও এনডিআইয়ের প্রতিনিধিরা একসঙ্গে ইসির সঙ্গে বৈঠক করেন।
জানা যায়, বৈঠকে ইইউ ও মার্কিন দুই সংস্থা নির্বাচনে ভোট পড়ার হার ও ইসির অ্যাপস নিয়ে বেশি কথা বলেছে। পাশাপাশি অ্যাপসের কার্যক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে চেয়েছে এবং অ্যাপসের কার্যক্রম ভালো করে বোঝার চেষ্টা করেছে।
সূত্র জানায়, তারা বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবর পড়ে মনে করেছে ভোটে অনিয়ম হয়েছে। ইসির পক্ষ থেকে তখন বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়।
ইসিসংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, প্রতি ঘণ্টায় কয়জন ডেটা ইনপুট দিয়েছে, কয়জন দিতে পারেনি—এই তথ্য চাচ্ছে বিদেশিরা। কমিশনের পক্ষ থেকে অ্যাপসের মাধ্যমে দেখানো হয়েছে। কিন্তু ওরা কপি চেয়েছে।
সূত্র আরও জানায়, বিদেশিদের কাছে তথ্য তুলে ধরে ইসির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে ভোটের দিন অনেকেই নির্ধারিত সময়ে ডেটা এন্ট্রি দিতে পারেনি। তিনটি জেলায় মোটেই দিতে পারেনি। পরে তারা প্রতি ঘণ্টায় অ্যাপসে কতজন এন্ট্রি দিয়েছে পুরো স্টেটমেন্ট চেয়েছে। কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, দেওয়া হবে। কারণ কমিশন মনে করে সবকিছু স্বচ্ছভাবেই করা হয়েছে। গণমাধ্যমে বিভিন্নভাবে আসাতে বিদেশিরা সংশয়ের মধ্যে পড়েছে বলে মনে করছে ইসির সংশ্লিষ্টরা।
৭ জানুয়ারি ভোট গ্রহণ চলার সময় গণমাধ্যমের কাছে তিন দফা ভোট পড়ার হার জানায় ইসি। সেদিন প্রথম দুই দফা ইসি সচিব এবং ভোট শেষে সিইসি গণমাধ্যমে ব্রিফ করেন। সেই হিসাব অনুযায়ী, দুপুর ১২টা ১০ মিনিট পর্যন্ত গড়ে ১৮.৫ শতাংশ, এরপর বেলা ৩টার পর জানানো হয় ২৬.৩৭ শতাংশ এবং বিকেল ৪টায় ভোট শেষ হওয়ার ঘণ্টা দেড়েক পর ৪০ শতাংশের মতো ভোট পড়েছে বলে জানানো হয়। তবে সিইসি তখন এটাও বলেন যে এটি নিশ্চিত হিসাব নয়। বাড়তে পারে, নাও পারে।
এরপর ভোটের পরদিন সোমবার সিইসি জানান, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৪১.৮ শতাংশ ভোট পড়েছে। তখন ভোট পড়ার হারসহ ফলাফল নিয়ে সন্দেহ থাকলে চ্যালেঞ্জ করার আহ্বান জানান সিইসি।
এ ছাড়া গতকালের বৈঠকে সংখ্যালঘুদের হুমকি দিয়ে কোনো প্রার্থী বক্তব্য দিয়েছেন এমন একটি বিষয়ও তারা উপস্থাপন করেছে বলে জানা গেছে। তবে কমিশনের কাছে এমন কোনো তথ্য বা এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ আসেনি বলে জানানো হয়।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
২ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪