মাছবাহী ট্রাকের পানিতে বেহাল সড়ক, দুর্ভোগ

এইচ এম শাহনেওয়াজ, পুঠিয়া
প্রকাশ : ১৮ জানুয়ারি ২০২২, ০৮: ৪৪
আপডেট : ১৮ জানুয়ারি ২০২২, ১৫: ০৯

বিশেষ কায়দায় ট্রাকে পানি ভর্তি করে রাজশাহী অঞ্চলের তাজা মাছ সরবরাহ করা হচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থানে। সেই ট্রাকগুলোর উপরিভাগে পানি নিয়ন্ত্রণে নেই কোনো ব্যবস্থা। ফলে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কসহ আঞ্চলিক সড়কগুলোতে পড়ছে মাছের পানি। এতে সড়কে চলাচলকারী যানবাহন ও যাতায়াতকারী মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। দুর্ভোগ লাঘবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় জনমনে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।

পবা হাইওয়ে থানা সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিন দুপুর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত পুঠিয়া, বাগমারা, চারঘাট, বাঘা, দুর্গাপুর, পবা, বোয়ালিয়া, গোদাগাড়ী, মোহনপুর, তানোরসহ চাঁপাইনবাবগঞ্জ এলাকা থেকে শতশত পানিভর্তি মাছের ট্রাক এই মহাসড়ক দিয়ে যাতায়াত করে। তবে মাছবাহী ট্রাকগুলোর পানি নিয়ন্ত্রণে কোনো ব্যবস্থা নেই।

মৎস্য সরবরাহকারীদের তথ্যমতে, রাজশাহীর বিভিন্ন উপজেলা থেকে প্রতিদিন ট্রাকভর্তি তাজা মাছ সরবরাহ করা হচ্ছে রাজধানীসহ সারা দেশে। আর সেই মাছ তাজা রাখতে ট্রাকগুলো বিশেষ কায়দায় পানিভর্তি করে রাখতে হয়। এরপর পুকুর থেকে তাজা মাছ তুলে সেগুলো ট্রাকে রাখা পানিতে ছেড়ে দেওয়া হয়।

সরেজমিন দেখা গেছে, প্রতিটি ছোট-বড় মাছবাহী ট্রাকের উপরিভাগে পানি নিয়ন্ত্রণের জন্য কোনো ব্যবস্থা নেই। ফলে ওই ট্রাকগুলোর পানি মহাসড়কসহ আঞ্চলিক সড়কজুড়ে পড়তে থাকে। সড়কে গর্ত থাকলে বা কোথাও ওই মাছবাহী ট্রাক ব্রেক করলে সেখানেই উপচে পড়ে পানি। সড়কে যাতায়াতকারীদের ওপরও কখনো কখনো পড়ে মাছের পানি।

পুঠিয়া সদর এলাকার ব্যবসায়ী আব্দুল কাদের বলেন, ‘বর্ষা মৌসুম শেষ হওয়ার পর আমাদের এলাকায় আর কোনো ভারী বৃষ্টিপাত হয়নি। তবে মাছের ট্রাকের পানি প্রতিদিন পড়ে মহাসড়ক বেহাল হয়েছে।’

এ বিষয়ে পবা হাইওয়ে (শিবপুরহাট) থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও পুলিশ পরিদর্শক মোফাকারুল ইসলাম বলেন, ‘মাছের ট্রাকের পানিতে জনদুর্ভোগ বা মহাসড়কের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে, তা দেখতে পাচ্ছি। কিন্তু করোনার প্রাদুর্ভাবের কারণে পানিভর্তি মাছের ট্রাক চলাচলে বাধা দেওয়া বা আইনি ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তবে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত