রুদ্র রুহান, বরগুনা
‘সিজনের শুরুতে ৬৫ দিন নিষেধাজ্ঞায় ঘরে বইয়া আছিলাম। এরপর ইলিশ শিকারে সাগরে গিয়া ঝড়ের কবলে পইড়া কোনোমতে জানডা লইয়্যা বাড়িতে ফিরছি। হেরপর ডরে আর সাগরে যাইতে পারি নায়। এহন আবার মাছ ধরা ২২ দিন নিষেধ। এহনো যদি চাউল দুগ্গা না পাই তয় গুরাগারা লইয়া কী খামু।’ আক্ষেপ করে বলছিলেন বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার তাফালবাড়িয়া ইউনিয়নের জেলে আবদুল খালেক।
৪০ বছর ধরে বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করেন খালেক। মাছের প্রধান প্রজনন মৌসুমে সরকারের নিষেধাজ্ঞা মেনে হাত গুটিয়ে ঘরে বসে আছেন। কিন্তু এখনো পাননি সরকারি সহায়তার চাল।
খালেকের মতো উপকূলীয় বরগুনা জেলার বাসিন্দাদের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ মৎস্যজীবী। একাংশ গভীর সমুদ্রগামী আর একটি অংশ স্থানীয় নদ-নদীতে সারা বছরই মাছ শিকার করেন। এই জেলেদের প্রান্তিক জেলে বলা হয়। গভীর সমুদ্রগামী জেলেরা সাধারণত বর্ষা ও শীত মৌসুমে সাগরে ইলিশ শিকার করেন। তাঁরা মাছ শিকার ছাড়া আর কোনো কাজ করেন না। কিন্তু প্রান্তিক জেলেরা মাছ শিকারের পাশাপাশি অবসরে দিনমজুর ও নিজেদের জমিতে কৃষিকাজও করেন।
জেলা মৎস্য বিভাগের তথ্যমতে, বরগুনা জেলায় নিবন্ধিত জেলের সংখ্যা প্রায় ৫০ হাজার। তবে স্থানীয় বাসিন্দা ও এনজিও প্রতিনিধিরা বলছেন, এ সংখ্যা দ্বিগুণ হবে। সে হিসাবে নিষেধাজ্ঞাকালীন মোট জেলের এক-তৃতীয়াংশ খাদ্যসহায়তার আওতায় চাল পেয়ে থাকেন।মৎস্য কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, বরগুনা জেলায় মোট ৩৭ হাজার ৭৭০ জন জেলে খাদ্যসহায়তার আওতায় ২৫ কেজি চাল পাবেন। তবে এখন পর্যন্ত খাদ্যসহায়তা দেওয়া হয়নি।
পাথরঘাটার বলেশ্বর নদের বাঁধ ধরে চলতে চলতে দেখা যায়, জেলেদের কেউ রাস্তার পাশে টং দোকানে বসে অলস সময় পার করছেন। পশ্চিম চরলাঠিমারা বেড়িবাঁধ এলাকার ফারুক মিয়া বলেন, ‘মোগো কাম লাগবে। কাম ছাড়া মোরা কী লইয়া বাঁচমু।’
তালতলীর নিশানবাড়িয়া এলাকার জেলে আবদুর রব বলেন, ‘সরকার জেলেদের মাসে ৩০ কেজি করে চাল দেয়। কিন্তু ৩০ কেজি চালে ৫ সদস্যের কয় দিন চলে?’
বরগুনা সদর, আমতলী ও পাথরঘাটার অন্তত ২৫টি জেলে পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মোটামুটি প্রতিটি জেলে পরিবারই ঋণগ্রস্ত। কেউ একাধিক এনজিও থেকে ঋণ নিয়েছেন। তবে জেলেদের মধ্যে মহাজনি দাদন নেওয়ার প্রবণতাও রয়েছে। ইলিশ প্রজনন মৌসুমে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞার সময়ও জেলেদের হাতে কাজ থাকে না।
জেলা ট্রলার শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক দুলাল মাঝি বলেন, পাথরঘাটার প্রায় ২০ হাজার জেলে শুধু সাগরে ইলিশ শিকার করেন। জেলায় মোট ৩৭ হাজার জেলে খাদ্যসহায়তার আওতায়। বাকি জেলেরা খুব অভাব-অনটন, খেয়ে না-খেয়ে কাটান।
জেলা মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি আবদুল খালেক দফাদার বলেন, ‘জেলায় যে খাদ্যসহায়তা দেওয়া হয়, জেলেদের তুলনায় তা অর্ধেক। খাদ্যসহায়তা বাড়ানোর জন্য আমরা মৎস্য বিভাগকে একাধিকবার বলেছি। বিশেষ করে খাদ্যসহায়তা যা দেওয়া হয়, তা যদি নিষেধাজ্ঞার আগে বিতরণ করা হয় তবুও জেলেরা কিছুটা স্বস্তিতে থাকতে পারে। কিন্তু বরাবরই নিষেধাজ্ঞা শুরুর অনেক পরে চাল দেওয়া হয়।’
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার জানান, কোস্টগার্ড, নৌ পুলিশ ও মৎস্য বিভাগের সমন্বয়ে প্রতিদিন বরগুনার বিষখালী, বলেশ্বর ও পায়রা নদী এবং বঙ্গোপসাগরের মোহনায় অভিযান পরিচালনা করছে জেলা মৎস্য বিভাগ। শিগগিরই জেলেদের খাদ্যসহায়তা বিতরণ করা হবে বলে তিনি জানান।
‘সিজনের শুরুতে ৬৫ দিন নিষেধাজ্ঞায় ঘরে বইয়া আছিলাম। এরপর ইলিশ শিকারে সাগরে গিয়া ঝড়ের কবলে পইড়া কোনোমতে জানডা লইয়্যা বাড়িতে ফিরছি। হেরপর ডরে আর সাগরে যাইতে পারি নায়। এহন আবার মাছ ধরা ২২ দিন নিষেধ। এহনো যদি চাউল দুগ্গা না পাই তয় গুরাগারা লইয়া কী খামু।’ আক্ষেপ করে বলছিলেন বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার তাফালবাড়িয়া ইউনিয়নের জেলে আবদুল খালেক।
৪০ বছর ধরে বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করেন খালেক। মাছের প্রধান প্রজনন মৌসুমে সরকারের নিষেধাজ্ঞা মেনে হাত গুটিয়ে ঘরে বসে আছেন। কিন্তু এখনো পাননি সরকারি সহায়তার চাল।
খালেকের মতো উপকূলীয় বরগুনা জেলার বাসিন্দাদের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ মৎস্যজীবী। একাংশ গভীর সমুদ্রগামী আর একটি অংশ স্থানীয় নদ-নদীতে সারা বছরই মাছ শিকার করেন। এই জেলেদের প্রান্তিক জেলে বলা হয়। গভীর সমুদ্রগামী জেলেরা সাধারণত বর্ষা ও শীত মৌসুমে সাগরে ইলিশ শিকার করেন। তাঁরা মাছ শিকার ছাড়া আর কোনো কাজ করেন না। কিন্তু প্রান্তিক জেলেরা মাছ শিকারের পাশাপাশি অবসরে দিনমজুর ও নিজেদের জমিতে কৃষিকাজও করেন।
জেলা মৎস্য বিভাগের তথ্যমতে, বরগুনা জেলায় নিবন্ধিত জেলের সংখ্যা প্রায় ৫০ হাজার। তবে স্থানীয় বাসিন্দা ও এনজিও প্রতিনিধিরা বলছেন, এ সংখ্যা দ্বিগুণ হবে। সে হিসাবে নিষেধাজ্ঞাকালীন মোট জেলের এক-তৃতীয়াংশ খাদ্যসহায়তার আওতায় চাল পেয়ে থাকেন।মৎস্য কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, বরগুনা জেলায় মোট ৩৭ হাজার ৭৭০ জন জেলে খাদ্যসহায়তার আওতায় ২৫ কেজি চাল পাবেন। তবে এখন পর্যন্ত খাদ্যসহায়তা দেওয়া হয়নি।
পাথরঘাটার বলেশ্বর নদের বাঁধ ধরে চলতে চলতে দেখা যায়, জেলেদের কেউ রাস্তার পাশে টং দোকানে বসে অলস সময় পার করছেন। পশ্চিম চরলাঠিমারা বেড়িবাঁধ এলাকার ফারুক মিয়া বলেন, ‘মোগো কাম লাগবে। কাম ছাড়া মোরা কী লইয়া বাঁচমু।’
তালতলীর নিশানবাড়িয়া এলাকার জেলে আবদুর রব বলেন, ‘সরকার জেলেদের মাসে ৩০ কেজি করে চাল দেয়। কিন্তু ৩০ কেজি চালে ৫ সদস্যের কয় দিন চলে?’
বরগুনা সদর, আমতলী ও পাথরঘাটার অন্তত ২৫টি জেলে পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মোটামুটি প্রতিটি জেলে পরিবারই ঋণগ্রস্ত। কেউ একাধিক এনজিও থেকে ঋণ নিয়েছেন। তবে জেলেদের মধ্যে মহাজনি দাদন নেওয়ার প্রবণতাও রয়েছে। ইলিশ প্রজনন মৌসুমে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞার সময়ও জেলেদের হাতে কাজ থাকে না।
জেলা ট্রলার শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক দুলাল মাঝি বলেন, পাথরঘাটার প্রায় ২০ হাজার জেলে শুধু সাগরে ইলিশ শিকার করেন। জেলায় মোট ৩৭ হাজার জেলে খাদ্যসহায়তার আওতায়। বাকি জেলেরা খুব অভাব-অনটন, খেয়ে না-খেয়ে কাটান।
জেলা মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি আবদুল খালেক দফাদার বলেন, ‘জেলায় যে খাদ্যসহায়তা দেওয়া হয়, জেলেদের তুলনায় তা অর্ধেক। খাদ্যসহায়তা বাড়ানোর জন্য আমরা মৎস্য বিভাগকে একাধিকবার বলেছি। বিশেষ করে খাদ্যসহায়তা যা দেওয়া হয়, তা যদি নিষেধাজ্ঞার আগে বিতরণ করা হয় তবুও জেলেরা কিছুটা স্বস্তিতে থাকতে পারে। কিন্তু বরাবরই নিষেধাজ্ঞা শুরুর অনেক পরে চাল দেওয়া হয়।’
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার জানান, কোস্টগার্ড, নৌ পুলিশ ও মৎস্য বিভাগের সমন্বয়ে প্রতিদিন বরগুনার বিষখালী, বলেশ্বর ও পায়রা নদী এবং বঙ্গোপসাগরের মোহনায় অভিযান পরিচালনা করছে জেলা মৎস্য বিভাগ। শিগগিরই জেলেদের খাদ্যসহায়তা বিতরণ করা হবে বলে তিনি জানান।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে