কোরআন চর্চার মাস রমজান

মুফতি আবু আবদুল্লাহ আহমদ
প্রকাশ : ২০ এপ্রিল ২০২২, ০৬: ৫১
আপডেট : ২০ এপ্রিল ২০২২, ২১: ১৮

কোরআন তিলাওয়াত অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ ইবাদত। অসংখ্য হাদিসে এর ফজিলত বর্ণিত হয়েছে। মহানবী (সা.) এরশাদ করেন, ‘তোমরা কোরআন তিলাওয়াত করো, কেননা কিয়ামতের দিন কোরআন তার তিলাওয়াতকারীদের জন্য সুপারিশ করবে।’ (মুসলিম) আরেক হাদিসে তিনি বলেন, ‘যে কোরআন থেকে একটি অক্ষর পাঠ করবে, সে দশটি সওয়াব পাবে।’ (তিরমিজি) বিশেষ করে রমজানে কোরআন তিলাওয়াতের গুরুত্ব অপরিসীম। কারণ এ মাসেই কোরআন অবতীর্ণ হয়েছে। আল্লাহ বলেন, ‘রমজান মাস, যে মাসে কোরআন নাজিল করা হয়েছে...’ (সুরা বাকারা: ১৮৫) রমজানে মহানবী (সা.) অধিক হারে কোরআন তিলাওয়াত করতেন। হাদিসে এসেছে, ‘প্রতি রমজানের রাতে হজরত জিবরাইল (আ.) রাসুল (সা.)-এর সঙ্গে দেখা করতেন, এরপর দুজন মিলে কোরআন পড়তেন।’ (বুখারি)

তাই মুসলিম মনীষীরা রমজান মাস এলেই কোরআনের সঙ্গে গভীর সম্পর্কে জড়িয়ে যেতেন। কাতাদাহ (রা.) পুরো রমজান মাসে কোরআনের দরস দিতেন। রমজান এলে জুহরি (রহ.) বলতেন, ‘এটা কোরআন তিলাওয়াত ও মানুষকে খাওয়ানোর মাস।’ ইমাম মালিক (রহ.) রমজান মাসে হাদিসের দরস ও অন্যান্য ব্যস্ততা থেকে মুক্ত থেকে অধিক হারে কোরআন তিলাওয়াত করতেন। সুফইয়ান সাওরি (রহ.) রমজানে অন্যান্য নফল ইবাদত বাদ দিয়ে কোরআন তিলাওয়াতে মগ্ন থাকতেন। ইমাম আবু হানিফা ও শাফিয়ি (রহ.) প্রতি রমজানে ৬১ বার কোরআন খতম করতেন। (লাতায়িফুল মাআরিফ)

তাই রমজানে বেশি বেশি কোরআন তিলাওয়াত করতে হবে। আর এই তিলাওয়াতের উদ্দেশ্যই হলো, পবিত্র কোরআনের সুরক্ষা নিশ্চিত করা এবং এর শিক্ষাগুলো বাস্তবজীবনে প্রয়োগ করা। তাই তিলাওয়াতের পাশাপাশি পঠিত আয়াতগুলোর মর্ম অনুধাবন এবং সে অনুযায়ী আমল করার যথাসাধ্য চেষ্টা করতে হবে।

মুফতি আবু আবদুল্লাহ আহমদ, ইসলামবিষয়ক গবেষক

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত