সৌগত বসু, ঢাকা
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গত ১৮ জুলাই থেকে বন্ধ রয়েছে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে আন্তদেশীয় যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল। ৪ সেপ্টেম্বর থেকে দুই দেশের মধ্যে পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল আবার শুরু হলেও যাত্রীবাহী ট্রেন কবে থেকে চলবে, তা ঠিক হয়নি। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ রেলওয়ে ও রেলপথ মন্ত্রণালয়ও কোনো তথ্য জানাতে পারেনি।
বাংলাদেশ রেলওয়ে বলছে, আন্তদেশীয় যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল আবার শুরু করতে হলে ঢাকায় বন্ধ থাকা ভারতীয় ভিসার প্রক্রিয়া চালু করতে হবে। আবার চলাচল শুরুর অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দিলেও এখনো সাড়া দেয়নি ভারতের রেল কর্তৃপক্ষ।
বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, বাংলাদেশ-ভারত ট্রেন চলাচল নিয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। রেলপথ মন্ত্রণালয় থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এ বিষয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এখন এটি তাদের (পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়) বিষয়। তিনি বলেন, ভারতের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। ট্রেন চলাচল শুরুর বিষয়ে তাদের মতামত চাওয়া হয়েছে। মতামত পেলে ট্রেন চালু করা হবে।
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে যাত্রীবাহী তিনটি ট্রেন চলাচল করে। এগুলো হলো ঢাকা-নিউ জলপাইগুড়ি পথে মিতালী এক্সপ্রেস, ঢাকা-কলকাতা পথে মৈত্রী এক্সপ্রেস এবং খুলনা-কলকাতা পথে বন্ধন এক্সপ্রেস। মিতালী এক্সপ্রেস ঢাকা থেকে সোম ও বৃহস্পতিবার এবং নিউ জলপাইগুড়ি থেকে রবি ও বুধবার চলাচল করে। মৈত্রী এক্সপ্রেস ঢাকা থেকে শুক্র, শনি, রবি, মঙ্গল ও বুধবার এবং কলকাতা থেকে শুক্র, শনি, সোম, মঙ্গল ও বুধবার ছাড়ত। বন্ধন এক্সপ্রেস রবি ও বৃহস্পতিবার চলত।
রেলসূত্র জানায়, সর্বশেষ গত ১৭ জুলাই রাতে মিতালী এক্সপ্রেস নিউ জলপাইগুড়ি থেকে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট স্টেশনে আসে। ট্রেনটির পরদিন রাতে নিউ জলপাইগুড়ির উদ্দেশে যাত্রার কথা থাকলেও ওই দিন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীরা রেলপথ অবরোধ করায়
সারা দেশে ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে ১৫ আগস্ট সারা দেশে ট্রেন চলাচল শুরু হলেও ভারতের সঙ্গে চলাচল বন্ধ থাকে।
১৭ জুলাই রাতে আসা মিতালী এক্সপ্রেসের খালি রেকটি (ইঞ্জিন ছাড়া সব বগি) ঢাকা রেলওয়ে (কমলাপুর) স্টেশনে দাঁড়িয়ে আছে বলে জানান ওই স্টেশনের স্টেশন ম্যানেজার মাসুদ সারওয়ার। ওই স্টেশন সূত্র জানায়, আগেই ভারতীয় ভিসা পাওয়া মানুষদের অনেকে প্রতিদিন স্টেশনের কাউন্টারে এসে আন্তদেশীয় ট্রেন চলাচল কবে শুরু হবে, তা জানতে চাইছেন। তাঁরা ট্রেন দ্রুত চালুর তাগিদ দিচ্ছেন।
রেলওয়ে সূত্র বলছে, ১৯ আগস্ট বাংলাদেশ রেলওয়ের পরিচালন বিভাগের এক চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে দুই দেশের মধ্যে পণ্যবাহী ট্রেন চালুর অনুমতি দেয় ভারত। ওই রাতেই পণ্যবাহী ট্রেন চলাচলে অনাপত্তি পায় বাংলাদেশ। এর পরিপ্রেক্ষিতে ৪ সেপ্টেম্বর থেকে পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হয়। যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু করতে বাংলাদেশের রেল কর্তৃপক্ষ ভারতের রেল মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানালেও এখনো সাড়া দেয়নি।
ভারতীয় গণমাধ্যমে দেশটির রেল মন্ত্রণালয় বিভিন্ন কর্মকর্তার বরাতে বলেছে, মূলত নিরাপত্তাঝুঁকির কথা জানিয়ে তারা এখনই আন্তদেশীয় যাত্রীবাহী ট্রেন চালাতে চাইছে না। ভারতের রেলওয়ে বোর্ড কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে এই ট্রেন চালানোর প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরতে চায়। তবে সিদ্ধান্ত কবে আসবে, তা কেউ জানাতে পারেননি। এদিকে গত শনিবার ভারতের সংবাদমাধ্যম আইএএনএসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্বল্প বিরতির পর দুই দেশের মধ্যে আকাশপথ ও সড়কপথে যোগাযোগ আবার চালু হলেও বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার রেল যোগাযোগ আবার চালুর বিষয়ে কিছুটা অনাগ্রহী।
আন্তদেশীয় ট্রেন চলাচল আবার শুরুর বিষয়ে জানতে চেয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ এশিয়া-১ বিভাগের মহাপরিচালক ইশরাত জাহানকে গতকাল রোববার মোবাইলে তিনবার ফোন দিলেও তিনি ধরেননি। বিভাগটির পরিচালক মো. মনোয়ার মোকাররমকে বিকেল পাঁচটায় ফোন দিলে তিনি প্রশ্ন পাঠাতে বলেন। তবে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত তিনি জবাব পাঠাননি।
দুই দেশের মধ্যে ১৯৬৫ সাল থেকে ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। ২০০৮ সালে মৈত্রী এক্সপ্রেস চালু হয়। পরে ২০১৭ সালে খুলনা-কলকাতা পথে যাত্রীবাহী ট্রেন চালু হয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গত ১৮ জুলাই থেকে বন্ধ রয়েছে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে আন্তদেশীয় যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল। ৪ সেপ্টেম্বর থেকে দুই দেশের মধ্যে পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল আবার শুরু হলেও যাত্রীবাহী ট্রেন কবে থেকে চলবে, তা ঠিক হয়নি। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ রেলওয়ে ও রেলপথ মন্ত্রণালয়ও কোনো তথ্য জানাতে পারেনি।
বাংলাদেশ রেলওয়ে বলছে, আন্তদেশীয় যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল আবার শুরু করতে হলে ঢাকায় বন্ধ থাকা ভারতীয় ভিসার প্রক্রিয়া চালু করতে হবে। আবার চলাচল শুরুর অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দিলেও এখনো সাড়া দেয়নি ভারতের রেল কর্তৃপক্ষ।
বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, বাংলাদেশ-ভারত ট্রেন চলাচল নিয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। রেলপথ মন্ত্রণালয় থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এ বিষয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এখন এটি তাদের (পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়) বিষয়। তিনি বলেন, ভারতের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। ট্রেন চলাচল শুরুর বিষয়ে তাদের মতামত চাওয়া হয়েছে। মতামত পেলে ট্রেন চালু করা হবে।
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে যাত্রীবাহী তিনটি ট্রেন চলাচল করে। এগুলো হলো ঢাকা-নিউ জলপাইগুড়ি পথে মিতালী এক্সপ্রেস, ঢাকা-কলকাতা পথে মৈত্রী এক্সপ্রেস এবং খুলনা-কলকাতা পথে বন্ধন এক্সপ্রেস। মিতালী এক্সপ্রেস ঢাকা থেকে সোম ও বৃহস্পতিবার এবং নিউ জলপাইগুড়ি থেকে রবি ও বুধবার চলাচল করে। মৈত্রী এক্সপ্রেস ঢাকা থেকে শুক্র, শনি, রবি, মঙ্গল ও বুধবার এবং কলকাতা থেকে শুক্র, শনি, সোম, মঙ্গল ও বুধবার ছাড়ত। বন্ধন এক্সপ্রেস রবি ও বৃহস্পতিবার চলত।
রেলসূত্র জানায়, সর্বশেষ গত ১৭ জুলাই রাতে মিতালী এক্সপ্রেস নিউ জলপাইগুড়ি থেকে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট স্টেশনে আসে। ট্রেনটির পরদিন রাতে নিউ জলপাইগুড়ির উদ্দেশে যাত্রার কথা থাকলেও ওই দিন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীরা রেলপথ অবরোধ করায়
সারা দেশে ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে ১৫ আগস্ট সারা দেশে ট্রেন চলাচল শুরু হলেও ভারতের সঙ্গে চলাচল বন্ধ থাকে।
১৭ জুলাই রাতে আসা মিতালী এক্সপ্রেসের খালি রেকটি (ইঞ্জিন ছাড়া সব বগি) ঢাকা রেলওয়ে (কমলাপুর) স্টেশনে দাঁড়িয়ে আছে বলে জানান ওই স্টেশনের স্টেশন ম্যানেজার মাসুদ সারওয়ার। ওই স্টেশন সূত্র জানায়, আগেই ভারতীয় ভিসা পাওয়া মানুষদের অনেকে প্রতিদিন স্টেশনের কাউন্টারে এসে আন্তদেশীয় ট্রেন চলাচল কবে শুরু হবে, তা জানতে চাইছেন। তাঁরা ট্রেন দ্রুত চালুর তাগিদ দিচ্ছেন।
রেলওয়ে সূত্র বলছে, ১৯ আগস্ট বাংলাদেশ রেলওয়ের পরিচালন বিভাগের এক চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে দুই দেশের মধ্যে পণ্যবাহী ট্রেন চালুর অনুমতি দেয় ভারত। ওই রাতেই পণ্যবাহী ট্রেন চলাচলে অনাপত্তি পায় বাংলাদেশ। এর পরিপ্রেক্ষিতে ৪ সেপ্টেম্বর থেকে পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হয়। যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু করতে বাংলাদেশের রেল কর্তৃপক্ষ ভারতের রেল মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানালেও এখনো সাড়া দেয়নি।
ভারতীয় গণমাধ্যমে দেশটির রেল মন্ত্রণালয় বিভিন্ন কর্মকর্তার বরাতে বলেছে, মূলত নিরাপত্তাঝুঁকির কথা জানিয়ে তারা এখনই আন্তদেশীয় যাত্রীবাহী ট্রেন চালাতে চাইছে না। ভারতের রেলওয়ে বোর্ড কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে এই ট্রেন চালানোর প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরতে চায়। তবে সিদ্ধান্ত কবে আসবে, তা কেউ জানাতে পারেননি। এদিকে গত শনিবার ভারতের সংবাদমাধ্যম আইএএনএসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্বল্প বিরতির পর দুই দেশের মধ্যে আকাশপথ ও সড়কপথে যোগাযোগ আবার চালু হলেও বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার রেল যোগাযোগ আবার চালুর বিষয়ে কিছুটা অনাগ্রহী।
আন্তদেশীয় ট্রেন চলাচল আবার শুরুর বিষয়ে জানতে চেয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ এশিয়া-১ বিভাগের মহাপরিচালক ইশরাত জাহানকে গতকাল রোববার মোবাইলে তিনবার ফোন দিলেও তিনি ধরেননি। বিভাগটির পরিচালক মো. মনোয়ার মোকাররমকে বিকেল পাঁচটায় ফোন দিলে তিনি প্রশ্ন পাঠাতে বলেন। তবে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত তিনি জবাব পাঠাননি।
দুই দেশের মধ্যে ১৯৬৫ সাল থেকে ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। ২০০৮ সালে মৈত্রী এক্সপ্রেস চালু হয়। পরে ২০১৭ সালে খুলনা-কলকাতা পথে যাত্রীবাহী ট্রেন চালু হয়।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
২ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
২ দিন আগে