বেতনের দাবিতে কর্মবিরতি

দিনাজপুর ও ফুলবাড়ী প্রতিনিধি
Thumbnail image

বকেয়া বেতন ও কাজে যোগদানসহ স্বাভাবিক চলাচলের অনুমতির দাবিতে একযোগে কর্মবিরতি ও বিক্ষোভ করেন দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি শ্রমিক-কর্মচারীরা। একই দাবিতে খনির ভেতরে কর্মবিরতি অব্যাহত রাখেন শ্রমিকেরা। ফলে গত তিন দিন খনিতে বন্ধ রয়েছে কয়লা উৎপাদন। 
গতকাল শুক্রবার তৃতীয় দিনের মতো খনি গেটের ভেতরে-বাইয়ে অবস্থান ও বিক্ষোভ করেন তাঁরা। এর আগে গত বুধবার থেকে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন শ্রমিকেরা।

খনির ভেতরে শ্রমিক সমাবেশে বক্তব্য দেন আমিন হোসেন, সেরাজুল ইসলাম, জাকির হোসেন প্রমুখ। বাইরের সমাবেশে বক্তব্য দেন বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. রবিউল ইসলাম, শ্রমিক নেতা মো. সাইফুল ইসলাম, ফরহাদ হোসেন প্রমুখ।

শ্রমিকেরা জানান, তাঁরা চায়না ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অধীনে খনির শুরু থেকে কয়লা উত্তোলন করেন। করোনার সময়ে কয়লা খনি লকডাউন ঘোষণা করলে তাঁরা নিজ নিজ বাড়িতে অবস্থান করেন এবং ওই সময়ে কিছুসংখ্যক শ্রমিক দিয়ে কয়লা উত্তোলন চালু থাকে। কিন্তু বর্তমানে খনি কর্তৃপক্ষ এক-তৃতীয়াংশ শ্রমিক নিয়ে উৎপাদন চালিয়ে যাচ্ছে। এতে প্রায় ৭০০ শ্রমিক কাজে যোগদান করতে না পেরে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। সেই সঙ্গে ভেতরে কর্মরত প্রায় ৪০০ শ্রমিক অবরুদ্ধ জীবন যাপন করছেন।

তাঁদের অভিযোগ, দেশে করোনা স্বাভাবিক হলেও খনি অভ্যন্তরে বিধিনিষেধ জারি থাকায় তাঁরা পরিবারের সঙ্গে মিলিত হতে পারছে না। অসুস্থ হলে সুচিকিৎসাও মিলছে না।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শ্রমিক আজকের পত্রিকাকে জানান, খনির অভ্যন্তরে তাঁদের কারাগারের মতো বন্দী অবস্থায় রাখা হয়েছে। চলাচলের স্থানটিও কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে। নেই স্বাভাবিক চলাচলের স্বাধীনতা।

কয়লা খনি শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. রবিউল ইসলাম বলেন, ‘আমরা ৭০০ শ্রমিক দুই বছর ধরে বাইরে অবস্থান করছি। এখন কর্তৃপক্ষ রোটেশনে কাজ দিতে চায়। কিন্তু আমাদের দাবি সব শ্রমিককে কাজে যোগদান করাতে হবে। সেই সঙ্গে বকেয়া বেতন-ভাতা দিতে হবে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।’

বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির জেনারেল ম্যানেজার (খনি-অপারেশন) মো. সাইফুল ইসলাম সরকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা সমস্যা সমাধানে উভয় পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করছি। চীনা কর্তৃপক্ষ প্রয়োজন অনুপাতে শ্রমিকদের রোটেশনে কাজে নিতে চায়। কিন্তু বিধিনিষেধ শিথিল করা কিংবা চলাচল উন্মুক্ত করার ব্যাপারে তারা রাজি নয়।’

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরাও চাই গেট উন্মুক্ত হোক। শ্রমিকেরা স্বাভাবিক চলাচল করুক। কিন্তু চায়নিজরা করোনার ব্যাপারে এখনো উদ্বিগ্ন।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত