সন্তানের প্রতি মা-বাবার ১০ কর্তব্য

মুফতি তাজুল ইসলাম কাওসার
প্রকাশ : ০৯ মার্চ ২০২৩, ১৬: ৫০
আপডেট : ০৯ মার্চ ২০২৩, ১৭: ৩১

সন্তান মা-বাবার জন্য আল্লাহ তাআলার উপহার। ছেলেমেয়েরা মা-বাবার চোখের শীতলতা এবং হৃদয়ের প্রশান্তির কারণ। তবে সন্তানকে আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার ব্যাপারে সচেতন থাকতে হবে। তাহলেই সন্তান নিয়ামতে পরিণত হবে। সন্তান লালনপালনে ইসলামে যেসব শিষ্টাচারের প্রতি লক্ষ রাখার কথা বলা হয়েছে, তা থেকে গুরুত্বপূর্ণ দশটি শিষ্টাচার কথা এখানে তুলে ধরা হলো—

১. জন্মের পরপরই মৃদুস্বরে ডান কানে আজান ও বাম কানে একামত দেওয়া। (তিরমিজি: ১৫১৪)

২. সুন্দর নাম রাখা। (আবু দাউদ: ৪৯৪৮)

৩. ছেলেসন্তানের জন্য দুইটি এবং মেয়েসন্তানের জন্য একটি ছাগল আকিকা করা। (তিরমিজি: ১৫১৩)

৪. শিশুকে পুরো দুই বছর বুকের দুধ পান করানো। (সুরা লুকমান: ১৪)

৫. সন্তানের লালনপালন ও ব্যয়ভার বহন করা। (তিরমিজি: ১৭০৫)

৬. কন্যাসন্তানদের ব্যয়ভার বহনে অধিক গুরুত্ব দেওয়া। (মুসলিম: ২৬৩১)

৭. ধর্ম শেখানো। (ইবনে মাজাহ: ৩৬৭১)

৮. সন্তানদের সঙ্গে সুন্দর ব্যবহার করা এবং স্নেহ করা। একদিন রাসুল (সা.) নাতি হাসান ও হোসাইন (রা)-কে চুমু দিলেন। সেখানে আকবা বিন হাবিস (রা.) উপস্থিত ছিলেন। তিনি বললেন, আমার দশজন সন্তান আছে। আমি তাদের কাউকেই কখনো চুমু দিইনি। এ কথা শুনে রাসুল (সা.) তাঁর দিকে তাকিয়ে বললেন, ‘যে ব্যক্তি কাউকে দয়া করে না, আল্লাহ তাআলাও তাকে দয়া করেন না।’ (বুখারি: ৫৯৯৭)

৯. সব সন্তানের প্রতি সমতা ও ন্যায় বজায় রাখা। (বুখারি: ২৫৮৭)

১০. বিয়ের উপযুক্ত হলে বিয়ের ব্যবস্থা করা।

সন্তানদের লালনপালনে কোনো ধরনের অবহেলা কাম্য নয়। মা-বাবার একটু অবহেলা সন্তানের সর্বনাশ করতে পারে। পরকালে আল্লাহর কাছেও এ জন্য জবাবদিহি করতে হবে। আল্লাহ আমাদের সন্তানদের আদর্শ মানুষ হিসেবে কবুল করুন।

লেখক: মুফতি তাজুল ইসলাম কাওসার, ইসলামবিষয়ক গবেষক

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত