Ajker Patrika

নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে দিশেহারা ক্রেতা

ডামুড্যা (শরীয়তপুর) প্রতিনিধি
আপডেট : ০৭ এপ্রিল ২০২২, ০৯: ৫১
নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে দিশেহারা ক্রেতা

রমজান মাস শুরু হওয়ার পর থেকে লাগামহীন মাছ, মাংস ও সবজির বাজার। নিত্যপণ্যের দাম বাড়তেই থাকায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো।

ডামুড্যা বাজারের বিভিন্ন দোকান ঘুরে পাওয়া তথ্যমতে, হাড়ছাড়া গরুর মাংস ৭৫০ টাকা কেজি। আর হাড়সহ ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা। খাসির মাংস যেন সোনার হরিণ। দাম বেশি হওয়ায় কসাইরা এখন আর খোলাবাজারে খাসির মাংস বিক্রি করছেন না। তবে কেউ যদি অর্ডার করেন তাহলে ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ১৫০ টাকা প্রতি কেজি খাসির মাংসের দাম ধরা হয়।

সবজির বাজারে ঘুরে দেখা যায়, বেগুন প্রকারভেদে ৯০ থেকে ১২০টা কেজি, শসা যা কি না গত ৩ দিন আগেও ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে, সেটা ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি। এদিকে লেবুর দামও থেমে নেই, ৪ দিন আগে যে লেবু ২০ থেকে ২৫ টাকা হালিতে বিক্রি হয়েছে, তা এখন বেড়ে গিয়ে ৫০ থেকে ৬০ টাকা হয়েছে। এ ছাড়া করলা কেজিপ্রতি দাম বেড়েছে ২০ থেকে ৩০ টাকা, ঢ্যাঁড়স ৩০ থেকে ৩৫ টাকা। এমন করে প্রতিটি সবজির দামই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে।

তবে ঠিক কী কারণে হঠাৎ নিত্যপণ্যের দাম বাড়ল, তা বলতে পারেননি কেউ। খুচরা দোকানিরা বলছেন পাইকারি বাজারে দাম বেড়েছে। এদিকে পাইকারি বিক্রেতা আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আড়তদারেরা দাম বাড়িয়েছেন, তাই তাঁরাও বাধ্য হচ্ছেন বেশি দামে বিক্রি করতে।

ডামুড্যা মাছবাজারের চিত্রও প্রায় একই রকম। ডামুড্যা মাছবাজার ঘুরে দেখা যায়, বড় মাছ থেকে ছোট মাছের চাহিদা বেশি। এ সুযোগে মাছ ব্যবসায়ীরা ছোট মাছের দাম কেজিপ্রতি ১০০ টাকা করে বাড়িয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন ক্রেতারা।

আবুল হোসেন নামক এক ক্রেতা বলেন, ‘গত সপ্তাহে কাচকি গুঁড়া ৫০০ টাকা কেজিতে নিয়েছি। আজ দেখি তা ৬০০ টাকা কেজি হয়েছে।’

রমজানের শুরুতে এভাবে জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়ায় চরম বেকায়দায় পরেছে নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষেরা।

স্থানীয় এক কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষক জামাল উদ্দীন বলেন, ‘মা-বাবা, ছেলেমেয়ে নিয়ে দুবেলা খাবার জোগাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এরপর আবার নিত্যপণ্যের দাম লাগামহীনভাবে বাড়ছে। জানি না কীভাবে সংসার চালাব! মাস শেষে যে কয় টাকা কামাই করি; চাল, ডাল, তেল কিনতেই তা শেষ হয়ে যায়। এরপর মায়ের ওষুধ, ছেলের দুধ, মেয়ের পড়াশোনার খরচ কীভাবে মেটাবে জানি না। ধারকর্জ করতে করতে এখন আর কেউ টাকা ধার দিতে চান না!’

এ বিষয়ে ডামুড্যা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিয়ান আহমেদ বলেন, ‘আমরা নিয়মিত বাজার মনিটরিং করে যাচ্ছি। তা ছাড়া সরকারে পক্ষ থেকে নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য টিসিবির পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। কোনো ধরনের সিন্ডিকেট বরদাশত করা হবে না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

গণপিটুনিতে নিহত জামায়াত কর্মী নেজাম ও তাঁর বাহিনী গুলি ছোড়ে, মিলেছে বিদেশি পিস্তল: পুলিশ

রাজধানীতে ছিনতাইকারী সন্দেহে ইরানের দুই নাগরিককে মারধর

বিএনপির দুই পেশাজীবী সংগঠনের কমিটি বিলুপ্ত

ফরিদপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ: ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণা, নিষিদ্ধের দাবি শিক্ষার্থীদের

ভারত-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচে পন্টিংয়ের আরেকটি রেকর্ড ভাঙলেন কোহলি

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত