জাককানইবি প্রতিনিধি
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে খাবারের সমস্যা দীর্ঘদিনের। তবে সাম্প্রতিক সময়ে প্রকট হয়েছে এ সমস্যা। খাবারের নিম্নমানের পাশাপাশি দাম নিয়েও ক্ষোভ রয়েছে শিক্ষার্থীদের মধ্যে। তাঁদের অভিযোগ, খাবারের দাম ও মান নিয়ে বারবার অভিযোগ করা হলেও কার্যকর ব্যবস্থা নেয় না কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের চারটি হল ও একমাত্র ক্যাফেটেরিয়া ‘চক্রবাকে’ একই অবস্থা। খাবারের মান নিয়ে কথা বললে ডাইনিং থেকে বলা হয়, ‘খাইলে খান না খাইলে চলে যান।’
সরেজমিনে দেখা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্নিবীণা হল, দোলনচাঁপা হল, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ও বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল মিলিয়ে আবাসিক শিক্ষার্থী প্রায় আড়াই হাজার।
এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশের মেসগুলোতে থাকেন অনেক শিক্ষার্থী, যাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়া কিংবা হলের ডাইনিংয়ের খাবারের ওপর নির্ভরশীল। বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা হলে দীর্ঘদিন ধরে ডাইনিং বন্ধ থাকায় বঙ্গবন্ধু হলের প্রায় এক হাজার শিক্ষার্থী অগ্নিবীণা হলে ও বঙ্গমাতা হলেরও সমানসংখ্যক শিক্ষার্থীকে দোলনচাঁপা হলে খাবার খেতে হয়। কেউ কেউ ক্যাফেটেরিয়াতেও খেয়ে থাকেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র ক্যাফেটেরিয়াটি অত্যন্ত ছোট। এখানকার খাবারের দাম ও মান নিয়ে অভিযোগের শেষ নেই শিক্ষার্থীদের। সব সময় পাওয়া যায় না খাবার, পানি পাওয়াও দুষ্কর হয়ে উঠেছে।
এর আগে অগ্নিবীণা ছাত্র হলের খাবার খেয়ে অসুস্থতার অভিযোগও করেছেন বেশ কিছু শিক্ষার্থী। এ ছাড়া দিন দিন বেড়েই চলেছে খাবারের দাম, কমছে মান। জয় নন্দী নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘অগ্নিবীণায় ভাতের প্লেট বেড়ে আট টাকা হলো, পরিমাণ খুবই নগণ্য। দেড় প্লেট বলে তারা ভাত দেয়, কিন্তু দেখা যায় পরিপূর্ণ এক প্লেটও হয় না। মাছ আর মুরগির টুকরোর কথা না হয় বাদই দিলাম। স্বাদের কথা বললে এক কথায় বলতে হয়-কোনোমতে খেয়ে বেঁচে আছি।’
এ কারণে অনেক শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসের বাইরের হোটেলগুলোতে চড়া দামে খাবার খেতে বাধ্য হন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘বাইরের হোটেলগুলোতে এত দামে স্বাদহীন খাবার খাই, সেটাও সব সময় পাওয়া যায় না। এক দোকান থেকে অন্য দোকানে ঘুরতে হয়। খাবার পেলেও সিট পেতে বেগ পেতে হয়।’
খাবারের সংকট নিয়ে বৃষ্টি পাঠান নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘ডাইনিংগুলোতে বলে ‘‘খাইলে খান না খাইলে চলে যান।’’ এখন ডাইনিংয়ে যাওয়াই বন্ধ করে দিছি। আর খাবারের কথা বলে শেষ করা যাবে না।’
হলে খাবারের মান ও দাম নিয়ে অগ্নিবীণা হলের প্রভোস্ট কল্যানাংশু নাহা বলেন, ‘অগ্নিবীণা হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ২৪০ জন, আবাসিক ছাত্রদের জন্যই খাবারের ব্যবস্থা করা হয়। অথচ হলে প্রতিদিন খাবার খায় অন্তত দেড় থেকে দুই হাজার শিক্ষার্থী। এ জন্যই নানা সংকটে পড়তে হচ্ছে।’
হলের ডাইনিং বন্ধ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে বঙ্গমাতা হলের প্রভোস্ট নুসরাত শারমিন তানিয়া বলেন, ‘আমরা ডাইনিং চালু করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি, কোনো কুলকিনারা পাচ্ছি না। বিশ্ববিদ্যালয় প্রণোদনা বা ভর্তুকি না দিলে কেউ ডাইনিং নিতে চাচ্ছে না।’
অগ্নিবীণা হলের প্রভোস্ট কল্যানাংশু নাহা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে অগ্নিবীণা হল ব্যতীত বাকি সব হলের ক্যানটিন এখনো বন্ধ। অগ্নিবীণা হলে মোট আবাসিক শিক্ষার্থী প্রায় ২৪০ জন। হল ক্যানটিনে শুধুমাত্র আবাসিক শিক্ষার্থীদের খাবারের ব্যবস্থা করা হলেও এখানে প্রতিদিন গড়ে ২০০০-২৫০০ জন শিক্ষার্থী খাবার খায়। খাবারের মান বাজে হলে এত বেশি শিক্ষার্থী খায় কেন?
বঙ্গবন্ধু হলের প্রভোস্ট মাসুম হাওলাদার বলেন, ‘তেমন যোগ্য কেউ হলগুলোর ডাইনিং চালানোর আগ্রহ প্রকাশ করছেন না। ঈদের আগে যে ডাইনিং চালিয়েছে সেও অপারগতা প্রকাশ করেছে। আমরা যোগ্য কাউকে খুঁজছি। আশা করছি, শিগগিরই চালু করতে পারব।’ দোলনচাঁপা হলের প্রভোস্ট সিরাজাম মুনিরাকে একাধিক ফোন দিয়েও পাওয়া যায়নি।
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে খাবারের সমস্যা দীর্ঘদিনের। তবে সাম্প্রতিক সময়ে প্রকট হয়েছে এ সমস্যা। খাবারের নিম্নমানের পাশাপাশি দাম নিয়েও ক্ষোভ রয়েছে শিক্ষার্থীদের মধ্যে। তাঁদের অভিযোগ, খাবারের দাম ও মান নিয়ে বারবার অভিযোগ করা হলেও কার্যকর ব্যবস্থা নেয় না কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের চারটি হল ও একমাত্র ক্যাফেটেরিয়া ‘চক্রবাকে’ একই অবস্থা। খাবারের মান নিয়ে কথা বললে ডাইনিং থেকে বলা হয়, ‘খাইলে খান না খাইলে চলে যান।’
সরেজমিনে দেখা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্নিবীণা হল, দোলনচাঁপা হল, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ও বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল মিলিয়ে আবাসিক শিক্ষার্থী প্রায় আড়াই হাজার।
এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশের মেসগুলোতে থাকেন অনেক শিক্ষার্থী, যাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়া কিংবা হলের ডাইনিংয়ের খাবারের ওপর নির্ভরশীল। বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা হলে দীর্ঘদিন ধরে ডাইনিং বন্ধ থাকায় বঙ্গবন্ধু হলের প্রায় এক হাজার শিক্ষার্থী অগ্নিবীণা হলে ও বঙ্গমাতা হলেরও সমানসংখ্যক শিক্ষার্থীকে দোলনচাঁপা হলে খাবার খেতে হয়। কেউ কেউ ক্যাফেটেরিয়াতেও খেয়ে থাকেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র ক্যাফেটেরিয়াটি অত্যন্ত ছোট। এখানকার খাবারের দাম ও মান নিয়ে অভিযোগের শেষ নেই শিক্ষার্থীদের। সব সময় পাওয়া যায় না খাবার, পানি পাওয়াও দুষ্কর হয়ে উঠেছে।
এর আগে অগ্নিবীণা ছাত্র হলের খাবার খেয়ে অসুস্থতার অভিযোগও করেছেন বেশ কিছু শিক্ষার্থী। এ ছাড়া দিন দিন বেড়েই চলেছে খাবারের দাম, কমছে মান। জয় নন্দী নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘অগ্নিবীণায় ভাতের প্লেট বেড়ে আট টাকা হলো, পরিমাণ খুবই নগণ্য। দেড় প্লেট বলে তারা ভাত দেয়, কিন্তু দেখা যায় পরিপূর্ণ এক প্লেটও হয় না। মাছ আর মুরগির টুকরোর কথা না হয় বাদই দিলাম। স্বাদের কথা বললে এক কথায় বলতে হয়-কোনোমতে খেয়ে বেঁচে আছি।’
এ কারণে অনেক শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসের বাইরের হোটেলগুলোতে চড়া দামে খাবার খেতে বাধ্য হন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘বাইরের হোটেলগুলোতে এত দামে স্বাদহীন খাবার খাই, সেটাও সব সময় পাওয়া যায় না। এক দোকান থেকে অন্য দোকানে ঘুরতে হয়। খাবার পেলেও সিট পেতে বেগ পেতে হয়।’
খাবারের সংকট নিয়ে বৃষ্টি পাঠান নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘ডাইনিংগুলোতে বলে ‘‘খাইলে খান না খাইলে চলে যান।’’ এখন ডাইনিংয়ে যাওয়াই বন্ধ করে দিছি। আর খাবারের কথা বলে শেষ করা যাবে না।’
হলে খাবারের মান ও দাম নিয়ে অগ্নিবীণা হলের প্রভোস্ট কল্যানাংশু নাহা বলেন, ‘অগ্নিবীণা হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ২৪০ জন, আবাসিক ছাত্রদের জন্যই খাবারের ব্যবস্থা করা হয়। অথচ হলে প্রতিদিন খাবার খায় অন্তত দেড় থেকে দুই হাজার শিক্ষার্থী। এ জন্যই নানা সংকটে পড়তে হচ্ছে।’
হলের ডাইনিং বন্ধ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে বঙ্গমাতা হলের প্রভোস্ট নুসরাত শারমিন তানিয়া বলেন, ‘আমরা ডাইনিং চালু করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি, কোনো কুলকিনারা পাচ্ছি না। বিশ্ববিদ্যালয় প্রণোদনা বা ভর্তুকি না দিলে কেউ ডাইনিং নিতে চাচ্ছে না।’
অগ্নিবীণা হলের প্রভোস্ট কল্যানাংশু নাহা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে অগ্নিবীণা হল ব্যতীত বাকি সব হলের ক্যানটিন এখনো বন্ধ। অগ্নিবীণা হলে মোট আবাসিক শিক্ষার্থী প্রায় ২৪০ জন। হল ক্যানটিনে শুধুমাত্র আবাসিক শিক্ষার্থীদের খাবারের ব্যবস্থা করা হলেও এখানে প্রতিদিন গড়ে ২০০০-২৫০০ জন শিক্ষার্থী খাবার খায়। খাবারের মান বাজে হলে এত বেশি শিক্ষার্থী খায় কেন?
বঙ্গবন্ধু হলের প্রভোস্ট মাসুম হাওলাদার বলেন, ‘তেমন যোগ্য কেউ হলগুলোর ডাইনিং চালানোর আগ্রহ প্রকাশ করছেন না। ঈদের আগে যে ডাইনিং চালিয়েছে সেও অপারগতা প্রকাশ করেছে। আমরা যোগ্য কাউকে খুঁজছি। আশা করছি, শিগগিরই চালু করতে পারব।’ দোলনচাঁপা হলের প্রভোস্ট সিরাজাম মুনিরাকে একাধিক ফোন দিয়েও পাওয়া যায়নি।
পর্দার নায়িকারা নিজেদের বয়স আড়ালে রাখা পছন্দ করেন। এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম আজমেরী হক বাঁধন। প্রতিবছর নিজের জন্মদিনে জানান দেন তাঁর বয়স। গতকাল ছিল বাঁধনের ৪১তম জন্মদিন। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই জানালেন এই তথ্য।
২ দিন আগে১০ বছরের বেশি সময় ধরে শোবিজে কাজ করছেন অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। নাটকের পাশাপাশি ওটিটিতে দেখা গেছে তাঁকে। সরকারি অনুদানের ‘দেবী’ নামের একটি সিনেমায়ও অভিনয় করেছেন। প্রশংসিত হলেও সিনেমায় আর দেখা মেলেনি তাঁর। ছোট পর্দাতেও অনেক দিন ধরে অনিয়মিত তিনি। এবার শবনম ফারিয়া হাজির হচ্ছেন নতুন পরিচয়ে। কমেডি রিয়েলিটি
২ দিন আগেআমাদের লোকসংস্কৃতির অন্যতম ঐতিহ্য যাত্রাপালা। গণমানুষের সংস্কৃতি হিসেবে বিবেচিত এই যাত্রাপালা নিয়ে শিল্পকলা একাডেমি আয়োজন করছে ‘যাত্রা উৎসব-২০২৪’। আগামী ১ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চে শুরু হবে ৭ দিনব্যাপী এই উৎসব।
২ দিন আগে‘বঙ্গবন্ধু’ পদবি বিলীন হবে না। হতে পারে না। যেমনটি ‘দেশবন্ধু’ চিত্তরঞ্জন দাশের পদবি বিলীন হয়নি। ইতিহাসে এসব পদবি অম্লান ও অক্ষয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ব্যক্তিত্ব ছিল অনন্যসাধারণ। আপনজনকে তো অবশ্যই, শত্রুপক্ষের লোকেরাও ব্যক্তিগত পর্যায়ে তাঁর প্রতি আকৃষ্ট হতেন। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর উচ্চপদের
২ দিন আগে