বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
১৯ সেপ্টেম্বর ছিল ঢালিউডের অকালপ্রয়াত নায়ক সালমান শাহর ৫৩তম জন্মবার্ষিকী। ক্যারিয়ারের তুঙ্গে থাকা অবস্থায় ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর নিজ বাসায় আত্মহত্যা করেন সালমান। তবে তাঁর পরিবারের দাবি, হত্যা করা হয়েছিল সালমানকে। সেপ্টেম্বর এলেই সামনে আসে প্রয়াত এই নায়কের মৃত্যুরহস্য। সালমান শাহ কি সত্যিই আত্মহত্যা করেছিলেন? এ নিয়ে এখনো কৌতূহল দর্শকদের। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সালমান শাহর মৃত্যু নিয়ে কথা বলেছেন তাঁর সাবেক স্ত্রী সামিরা খান। তাঁর বক্তব্যে নতুন করে উঠে এসেছে পুরোনো দিনের কিছু কথা।
আত্মহত্যা করেছেন সালমান
ইমনের (সালমান শাহ) মৃত্যুর বিষয়টি ঘোলাটে থাকা উচিত নয়। ডিবি, সিআইডি, আদালত—সব জায়গায় বলা হয়েছে আত্মহত্যা। আমি ওপেন চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি, এটা সুইসাইড কেস। কারণ, তার মৃত্যুর পর পোস্টমর্টেমসহ নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা তা-ই বলে। আরেকটি বিষয় হলো, সালমান মেন্টালি সুইসাইডাল বাই নেচার। এর আগে তিনবার সুইসাইডের চেষ্টা করেছে। মেট্রোপলিটান হাসপাতালের রেকর্ড বুক চেক করলেই সেটা জানা যাবে। ওখানে দুবারের রেকর্ড আছে। আরেক হাসপাতালে রয়েছে আরও একবারের রেকর্ড। তিনটাই আমার বিয়ের আগে। তিনটা ঘটনাই আমি জানি। একবার আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিল মায়ের সঙ্গে ঝগড়া করে। আরেকবার আমাকে বিয়েতে রাজি করানোর জন্য। আরেকবার ওর কিছু একটা হয়েছিল, সেটার জন্য।
সালমানের সঙ্গে শাবনূরের সম্পর্ক
বিষয়টা এত সংক্ষিপ্ত করে বলা যায় না। এর পেছনে অনেক বড় গল্প আছে। সেই গল্প শুরু করলে শেষ করতে আমার অনেক সময় লেগে যাবে। তবে সহজে কেউ যদি জানতে চান, সালমান শাহ ও শাবনূরের মধ্যে কোনো সম্পর্ক ছিল কি না? তাহলে একবাক্যে বলব—হ্যাঁ, তাদের সম্পর্ক ছিল। বিষয়টা নিয়ে আমাদের সমস্যা হয়েছিল। আমি রাগ করে বাবার বাসাতেও চলে গিয়েছিলাম। সালমান আমাকে অনেক বুঝিয়েছিল, মাফও চেয়েছিল। সে আমাকে বলেছিল, শাবনূরের সঙ্গে যে সিনেমাগুলোর চুক্তি আছে, সেগুলো শেষ হলেই তার সঙ্গে আর কোনো সিনেমায় কাজ করবে না।
আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের গল্প মনগড়া
আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের সঙ্গে আমাকে জড়ানো হয়েছে শুধু বিষয়টি হাইলাইট করার জন্য। পুরো বিষয়টি নীলা চৌধুরীর মনগড়া। ডন টাইপের কোনো একজনকে যদি এই গল্পে না নেওয়া হয়, তাহলে তো এই গল্প জমবে না। এ কারণেই আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের সঙ্গে আমাকে জড়িয়ে নীলা চৌধুরী নানা কথা ছড়িয়েছেন। এই ঘটনার যদি সত্যতা থাকত, তাহলে সেটা কখনোই চাপা থাকত না। সে সময় সালমান যেমন সুপারস্টার ছিল, তেমনি আজিজ মোহাম্মদের নামটাও সবাই জানত। ওনাদের দুজনের মধ্যে যদি কোনো বিষয়ে ঝামেলা হয়েই থাকত, তাহলে পত্রিকায় কেন এল না? কারণ, এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি।
ঘোলাটের জন্য নীলা চৌধুরী দায়ী
সালমান আত্মহত্যা করেছে, নাকি হত্যা করা হয়েছে, এই ঘোলাটে পরিস্থিতির জন্য একমাত্র নীলা চৌধুরী দায়ী। পরিস্থিতি তখন ঘোলাটে হলো, যখন নীলা চৌধুরী আমার দিকে আঙুল তুললেন দোষী বলে। সেটার বিভিন্ন কারণও ছিল। প্রথমত তিনি সিমপ্যাথি চাচ্ছিলেন। সেই মুহূর্তে সারা দেশের মানুষ সালমান শাহর মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছিল। মানুষের সেই আবেগ কাজে লাগাতে চেয়েছিলেন তিনি। প্রথম দিন তিনি আমাকে কোনো দোষ দেননি। দ্বিতীয় দিন সব দোষ আমার ঘাড়ে দিচ্ছিলেন। নিজের সন্তানের মৃত্যুকে ইস্যু করে নিজে লাইমলাইটে থাকতে চেয়েছেন বলেই হত্যার গল্প সাজিয়েছেন। প্রতিবছর সেপ্টেম্বর এলেই তিনি ভিন্ন গল্প নিয়ে আসেন। ভারতের সুশান্ত সিং তো আত্মহত্যা করেছেন। কই, তাঁর মায়ের নাম তো কেউ জানে না। তাহলে সালমানের মায়ের নাম সবাই জানেন কীভাবে? ২৮ বছর ধরে একজন মা হয়ে তিনি তাঁর ছেলেকে কমার্শিয়ালি ব্যবহার করে আসছেন।
গায়ে হাত তোলার অভিযোগ
বিয়ের পর নীলা চৌধুরী যখন জানতে পারলেন, আমার পরিবার এই বিয়েতে রাজি ছিল না, তখন থেকেই তাঁর মধ্যে পরিবর্তন আসে। আমাকে মানসিকভাবে যন্ত্রণা দেওয়া শুরু করেন। তিনি অ্যারোগেন্ট হয়ে ওঠেন, বকাঝকা করতেন, আমাকে টাকা নিয়ে আসতে বলতেন। আমার গায়েও হাত তুলেছেন। আমি সেই বাসায় ৯ মাস থাকতে পেরেছি শুধু ইমন আমাকে সাপোর্ট দিয়েছে বলে। ‘স্নেহ’ সিনেমার শুটিং থেকে ফিরে ইমন জানতে পারে, আমাকে মেরেছে। এরপর আমাকে নিয়ে আলাদা বাসায় ওঠে সে।
১৯ সেপ্টেম্বর ছিল ঢালিউডের অকালপ্রয়াত নায়ক সালমান শাহর ৫৩তম জন্মবার্ষিকী। ক্যারিয়ারের তুঙ্গে থাকা অবস্থায় ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর নিজ বাসায় আত্মহত্যা করেন সালমান। তবে তাঁর পরিবারের দাবি, হত্যা করা হয়েছিল সালমানকে। সেপ্টেম্বর এলেই সামনে আসে প্রয়াত এই নায়কের মৃত্যুরহস্য। সালমান শাহ কি সত্যিই আত্মহত্যা করেছিলেন? এ নিয়ে এখনো কৌতূহল দর্শকদের। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সালমান শাহর মৃত্যু নিয়ে কথা বলেছেন তাঁর সাবেক স্ত্রী সামিরা খান। তাঁর বক্তব্যে নতুন করে উঠে এসেছে পুরোনো দিনের কিছু কথা।
আত্মহত্যা করেছেন সালমান
ইমনের (সালমান শাহ) মৃত্যুর বিষয়টি ঘোলাটে থাকা উচিত নয়। ডিবি, সিআইডি, আদালত—সব জায়গায় বলা হয়েছে আত্মহত্যা। আমি ওপেন চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি, এটা সুইসাইড কেস। কারণ, তার মৃত্যুর পর পোস্টমর্টেমসহ নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা তা-ই বলে। আরেকটি বিষয় হলো, সালমান মেন্টালি সুইসাইডাল বাই নেচার। এর আগে তিনবার সুইসাইডের চেষ্টা করেছে। মেট্রোপলিটান হাসপাতালের রেকর্ড বুক চেক করলেই সেটা জানা যাবে। ওখানে দুবারের রেকর্ড আছে। আরেক হাসপাতালে রয়েছে আরও একবারের রেকর্ড। তিনটাই আমার বিয়ের আগে। তিনটা ঘটনাই আমি জানি। একবার আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিল মায়ের সঙ্গে ঝগড়া করে। আরেকবার আমাকে বিয়েতে রাজি করানোর জন্য। আরেকবার ওর কিছু একটা হয়েছিল, সেটার জন্য।
সালমানের সঙ্গে শাবনূরের সম্পর্ক
বিষয়টা এত সংক্ষিপ্ত করে বলা যায় না। এর পেছনে অনেক বড় গল্প আছে। সেই গল্প শুরু করলে শেষ করতে আমার অনেক সময় লেগে যাবে। তবে সহজে কেউ যদি জানতে চান, সালমান শাহ ও শাবনূরের মধ্যে কোনো সম্পর্ক ছিল কি না? তাহলে একবাক্যে বলব—হ্যাঁ, তাদের সম্পর্ক ছিল। বিষয়টা নিয়ে আমাদের সমস্যা হয়েছিল। আমি রাগ করে বাবার বাসাতেও চলে গিয়েছিলাম। সালমান আমাকে অনেক বুঝিয়েছিল, মাফও চেয়েছিল। সে আমাকে বলেছিল, শাবনূরের সঙ্গে যে সিনেমাগুলোর চুক্তি আছে, সেগুলো শেষ হলেই তার সঙ্গে আর কোনো সিনেমায় কাজ করবে না।
আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের গল্প মনগড়া
আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের সঙ্গে আমাকে জড়ানো হয়েছে শুধু বিষয়টি হাইলাইট করার জন্য। পুরো বিষয়টি নীলা চৌধুরীর মনগড়া। ডন টাইপের কোনো একজনকে যদি এই গল্পে না নেওয়া হয়, তাহলে তো এই গল্প জমবে না। এ কারণেই আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের সঙ্গে আমাকে জড়িয়ে নীলা চৌধুরী নানা কথা ছড়িয়েছেন। এই ঘটনার যদি সত্যতা থাকত, তাহলে সেটা কখনোই চাপা থাকত না। সে সময় সালমান যেমন সুপারস্টার ছিল, তেমনি আজিজ মোহাম্মদের নামটাও সবাই জানত। ওনাদের দুজনের মধ্যে যদি কোনো বিষয়ে ঝামেলা হয়েই থাকত, তাহলে পত্রিকায় কেন এল না? কারণ, এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি।
ঘোলাটের জন্য নীলা চৌধুরী দায়ী
সালমান আত্মহত্যা করেছে, নাকি হত্যা করা হয়েছে, এই ঘোলাটে পরিস্থিতির জন্য একমাত্র নীলা চৌধুরী দায়ী। পরিস্থিতি তখন ঘোলাটে হলো, যখন নীলা চৌধুরী আমার দিকে আঙুল তুললেন দোষী বলে। সেটার বিভিন্ন কারণও ছিল। প্রথমত তিনি সিমপ্যাথি চাচ্ছিলেন। সেই মুহূর্তে সারা দেশের মানুষ সালমান শাহর মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছিল। মানুষের সেই আবেগ কাজে লাগাতে চেয়েছিলেন তিনি। প্রথম দিন তিনি আমাকে কোনো দোষ দেননি। দ্বিতীয় দিন সব দোষ আমার ঘাড়ে দিচ্ছিলেন। নিজের সন্তানের মৃত্যুকে ইস্যু করে নিজে লাইমলাইটে থাকতে চেয়েছেন বলেই হত্যার গল্প সাজিয়েছেন। প্রতিবছর সেপ্টেম্বর এলেই তিনি ভিন্ন গল্প নিয়ে আসেন। ভারতের সুশান্ত সিং তো আত্মহত্যা করেছেন। কই, তাঁর মায়ের নাম তো কেউ জানে না। তাহলে সালমানের মায়ের নাম সবাই জানেন কীভাবে? ২৮ বছর ধরে একজন মা হয়ে তিনি তাঁর ছেলেকে কমার্শিয়ালি ব্যবহার করে আসছেন।
গায়ে হাত তোলার অভিযোগ
বিয়ের পর নীলা চৌধুরী যখন জানতে পারলেন, আমার পরিবার এই বিয়েতে রাজি ছিল না, তখন থেকেই তাঁর মধ্যে পরিবর্তন আসে। আমাকে মানসিকভাবে যন্ত্রণা দেওয়া শুরু করেন। তিনি অ্যারোগেন্ট হয়ে ওঠেন, বকাঝকা করতেন, আমাকে টাকা নিয়ে আসতে বলতেন। আমার গায়েও হাত তুলেছেন। আমি সেই বাসায় ৯ মাস থাকতে পেরেছি শুধু ইমন আমাকে সাপোর্ট দিয়েছে বলে। ‘স্নেহ’ সিনেমার শুটিং থেকে ফিরে ইমন জানতে পারে, আমাকে মেরেছে। এরপর আমাকে নিয়ে আলাদা বাসায় ওঠে সে।
পর্দার নায়িকারা নিজেদের বয়স আড়ালে রাখা পছন্দ করেন। এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম আজমেরী হক বাঁধন। প্রতিবছর নিজের জন্মদিনে জানান দেন তাঁর বয়স। গতকাল ছিল বাঁধনের ৪১তম জন্মদিন। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই জানালেন এই তথ্য।
২ দিন আগে১০ বছরের বেশি সময় ধরে শোবিজে কাজ করছেন অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। নাটকের পাশাপাশি ওটিটিতে দেখা গেছে তাঁকে। সরকারি অনুদানের ‘দেবী’ নামের একটি সিনেমায়ও অভিনয় করেছেন। প্রশংসিত হলেও সিনেমায় আর দেখা মেলেনি তাঁর। ছোট পর্দাতেও অনেক দিন ধরে অনিয়মিত তিনি। এবার শবনম ফারিয়া হাজির হচ্ছেন নতুন পরিচয়ে। কমেডি রিয়েলিটি
২ দিন আগেআমাদের লোকসংস্কৃতির অন্যতম ঐতিহ্য যাত্রাপালা। গণমানুষের সংস্কৃতি হিসেবে বিবেচিত এই যাত্রাপালা নিয়ে শিল্পকলা একাডেমি আয়োজন করছে ‘যাত্রা উৎসব-২০২৪’। আগামী ১ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চে শুরু হবে ৭ দিনব্যাপী এই উৎসব।
২ দিন আগে‘বঙ্গবন্ধু’ পদবি বিলীন হবে না। হতে পারে না। যেমনটি ‘দেশবন্ধু’ চিত্তরঞ্জন দাশের পদবি বিলীন হয়নি। ইতিহাসে এসব পদবি অম্লান ও অক্ষয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ব্যক্তিত্ব ছিল অনন্যসাধারণ। আপনজনকে তো অবশ্যই, শত্রুপক্ষের লোকেরাও ব্যক্তিগত পর্যায়ে তাঁর প্রতি আকৃষ্ট হতেন। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর উচ্চপদের
২ দিন আগে