মজুরির কাজও মেলে না সাফজয়ী রূপনার মার

হিমেল চাকমা, রাঙামাটি
প্রকাশ : ২২ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১২: ২৭

বাম চোখে সম্পূর্ণ দেখেন না। ডান চোখে দেখেন ঝাপসা। দুই পা মাঝে মাঝে ফুলে যায়। টাকা নেই। ফলে ডাক্তার দেখাতে পারেন না। তবুও বাঁচার তাগিদে প্রতিবেশীদের খেতে দৈনিক মজুরিতে কাজ করতে হয় সাফ মহিলা ফুটবল চ্যাম্পিয়নের সেরা গোলরক্ষক রূপনা চাকমার মা কালাসোনা চাকমাকে।
এ কাজে দৈনিক আয় হয় ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা। যা দিয়ে সংসার খরচ চলে তাঁর। এভাবেই চলে তাঁর জীবন।

গতকাল বুধবার সকালে রাঙামাটির নানিয়ারচর উপজেলা ঘিলাছড়ি ইউনিয়নের বুইয়ো আদাম গ্রামের জরাজীর্ণ বাড়ির সামনে কথা হয় রূপনার মায়ের সঙ্গে। এ সময় কালাসোনা চাকমা বলেন, ‘খুব কষ্টে দিন পার করি। মাঝে মাঝে রূপনা হাজার দেড়েক টাকা পাঠায়। ৬ মাস পর একবার বিধবা ভাতা পাই।’ 
সরেজমিন দেখা যায়, বাঁশের খুঁটি আর বেড়ার ঘরটি বেশ ঝরা জীর্ণ। এ ঘরে ছেলে বউ ও দুই নাতনির নিয়ে রূপনাদের বসবাস।

রূপনার মা জানা, তিনি রাতে মাটির ওপর মেঝেতে ঘুমান। বৃষ্টি হলে বাড়িতে পানি ঢুকে যায়। ঘুমানোর অবস্থা থাকে না। রূপনা এলে বাড়িতে থাকার জায়গা হয় না। বড় ভাইয়ের বাড়িতে থাকতে হয়। রূপনার মা কালাসোনা বলেন, আমার মোট ৪ সন্তান। দুই ছেলে ও দুই মেয়ে। রূপনা সবার ছোট। রূপনা যখন আমার পেটে, তখন ওর বাবা মারা যায়। খুব অভাবের সংসার আমার। আমার কষ্টের শেষ নেই। ছেলে–মেয়েদের লেখাপড়া শেখাতে পারিনি।

রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমি রূপনাদের বাড়িতে গিয়েছি। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দেড় লাখ টাকা সহায়তা দিয়েছি। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে আমাকে ফোন করে রূপনাদের বাড়ি নির্মাণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। শিগগির উদ্যোগ নেওয়া হবে।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত