লবণাক্ত জমিতে ভালো ফলন

বটিয়াঘাটা প্রতিনিধি
আপডেট : ১৭ জুন ২০২২, ১৩: ১৭
Thumbnail image

উপকূলীয় এলাকা বটিয়াঘাটায় ভুট্টা ও সূর্যমুখী চাষে ব্যাপক সাফল্য দেখিয়েছেন কয়েকজন কৃষক। কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শে উপজেলার সাচিবুনিয়া ও শুড়িখালি গ্রামে লবণাক্ত জমিতে এ দুটি ফসলের ভালো ফলন হয়েছে। এ সফলতায় চাষিদের আনন্দ দেখে অন্যরাও চাষাবাদে আগ্রহ দেখাচ্ছেন।

জানা গেছে, উপজেলার উপকূলীয় এলাকার মাটি ও পানিতে লবণের উপস্থিতি আছে। সাধারণত মার্চ মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে মাটি ও পানিতে লবণাক্ততার পরিমাণ বাড়তে থাকে। এ সময় লবণাক্ততার পরিমাণ ১০ ডিএস/মিটার বা এর চেয়ে বেশি থাকে। ফলে এই পানিতে ফসল উৎপাদন হয় না বললেই চলে।

এই লবণাক্ত এলাকায় ভুট্টা ও সূর্যমুখী চাষে ব্যাপক সাফল্য দেখিয়েছেন কৃষকেরা। তারা লবণ সহিষ্ণু ভুট্টা সুপার সাইন-২৭৬০ ও সূর্যমুখী হাইসন-৩৩ ও বারি-৩ চাষ করে চমক দেখিয়েছে। এ বীজের ভুট্টা ও সূর্যমুখী লবণ সহ্য করতে পারে।

ভুট্টা বিঘাপ্রতি উৎপাদন হয়েছে ১৫ থেকে ২০ মন। প্রতি মন বিক্রি হচ্ছে দেড় থেকে দুই হাজার টাকায়। সে হিসেবে বিঘাপ্রতি বিক্রি হবে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা। অথচ বিঘাপ্রতি খরচ মাত্র ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা। সূর্যমুখী বিঘাপ্রতি উৎপাদন হয় ৫ থেকে ৬ মন। প্রতি মণ বিক্রি হয় ১৮ থেকে ২০ হাজার টাকায়। খরচ মাত্র ৩ থেকে ৫ হাজার টাকা। কৃষক অল্প খরচে বেশি লাভবান হওয়ার জন্য ভুট্টা ও সূর্যমুখী আবাদ করে যাচ্ছেন।

বটিয়াঘাটা উপজেলায় মার্চ, এপ্রিল, মে ও জুন মাসজুড়ে চলে ভুট্টা ও সূর্যমুখীর চাষাবাদ। এই সময় বেশির ভাগ জমি পতিত থাকে। কিন্তু লবণ সহনশীল ফসল বিশেষ করে ভুট্টা ও সূর্যমুখী চাষ করতে পারলেই এই সব জমিতে ভালো ফলন সম্ভব বলে মনে করেন কৃষিবিদেরা।

শুড়িখালী গ্রামের কৃষক মো. খোরশেদ আলী বলেন, দায়িত্বপ্রাপ্ত উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা জীবনানন্দ রায়ের পরামর্শে এবার ভুট্টার চাষ করেছি। অল্পদিনে ভালো লাভ পেয়েছি। ভুট্টা চাষের খরচ কম, লাভ বেশি। পানি কম লাগে, ফসল ভালো হয়। তিনি আরও বলেন, আশা করি আগামীতে বেশি করে জমিতে চাষাবাদ করব।

কৃষক হায়দার আলী বলেন, সূর্যমুখী ও ভুট্টার জমিতে ভার্মি কম্পোস্ট সার ব্যবহার কারার ফলে ফলন ভালো হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত