দুই বছর ধরে সেতু ভাঙা, জনভোগান্তি

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৪ নভেম্বর ২০২১, ০৯: ০৪
আপডেট : ১৪ নভেম্বর ২০২১, ১৭: ২১

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার বারোবাজার এলাকায় ভৈরব নদের ওপর অবস্থিত ফুলবাড়ি সেতুটি দু্ই বছর ধরে ভাঙা অবস্থায় পড়ে আছে। চলাচলের জন্য সেতুর পাশেই একটি বাঁশের সাঁকো তৈরি করা হলেও সেটির অবস্থাও জরাজীর্ণ। এই অবস্থাতেই কোনো রকমে চলাচল করছেন এলাকার মানুষজন।

গতকাল শনিবার সরেজমিনে দেখা গেছে, সেতুটির একপাশের অংশ ধসে গেছে। দুপাশের রেলিংগুলোও ভেঙে গেছে। কেউ যাতে সেতুটি ব্যবহার না করেন সে জন্য সেতুর দুপাশে টানানো হয়েছে লাল কাপড়। পাশেই বানানো হয়েছে একটি বাঁশের সাঁকো। ওই সাঁকো দিয়েই কোনোমতে যাতায়াত করছেন আশপাশের মানুষজন।

এলাকাবাসীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সেতুটি আকারে ছোট হলেও পার্শ্ববর্তী ফুলবাড়ি, ঝনঝনিয়া, কাস্টভাঙ্গা, বেলেঘাটসহ বিভিন্ন গ্রাম এবং যশোরের চৌগাছা উপজেলার মানুষ বারোবাজার, কালীগঞ্জ এলাকায় যাতায়াতের জন্য ব্যবহৃত হতো। এসব এলাকার মানুষেরা জরুরি প্রয়োজন ও ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য সেতুটি ব্যবহার করতেন। দুই বছর আগে ভৈরব নদীর এই অংশটি খনন করায় ওইবারের বর্ষা থেকে নদীতে পানির চাপ বেড়ে যায়। ফলে পানি তোড়ে ভেঙে পড়ে সেতুর একাংশ। কিছুদিন পর সেতুটির পাশে বাঁশের একটি সাঁকো তৈরি করা হয়েছিল। সেটিও ভেঙে গেছে।

আরও জানা গেছে, দুই মাস আগে এই স্থানে রাতে মোটরসাইকেল নিয়ে যাওয়ার সময় নদীতে পড়ে দুজনের মৃত্যু হয়। বর্তমানে এই স্থান দিয়ে সাবধানতার সঙ্গে কোনোরকমে মানুষ পার হলেও বন্ধ রয়েছে যানবাহন ও ভ্যান, রিকশা চলাচল।

এলাকার কৃষক ইসরাইল হোসেন জানান, সেতুটি ভেঙে থাকার কারণে পার্শ্ববর্তী ঝনঝনিয়াসহ অন্যান্য গ্রামে যেতে অনেক পথ ঘুরতে হয়। অনেক পথ ঘুরে যাওয়ার কারণে সময় ও অর্থের ব্যয়ও হয় অনেক বেশি।

ঝনঝনিয়া গ্রামের আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, ‘আমার বাড়ি থেকে বাজার মাত্র দুই কিলোমিটার দূরে। কিন্তু এই সেতু ভাঙার কারণে পাঁচ কিলোমিটার পথ ঘুরে যেতে হয়। খেতের কাচা তরকারি বারোবাজার ও যশোরের চুড়ামনকাঠি বাজারে নিতে অনেক সমস্যা হয়। সেতুটি যদি শিগগিরই মেরামত করা হয় কিংবা নতুন তৈরি করা হয় তাহলে আমাদের অনেক সুবিধা হতো।

একই এলাকার বাসিন্দা মিজানুর রহমান বলেন, ‘এলাকায় বড় বড় কথা বলার অনেকেই আছে। কিন্তু কাজের কাজ কেউ করে না। যদি কেউ কাজ করার মতো থাকত তাহলে গুরুত্বপূর্ণ এই সেতুটি বেহাল হয়ে এত দিন পড়ে থাকত না।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের কালীগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী রুহুল ইসলাম জানান, ২৫ মিটার প্রস্থের ভৈরব নদীর ওপর অবস্থিত ৬০ মিটার দৈর্ঘ্যের সেতুটির পুনঃনির্মাণের কাজ শিগগিরই শুরু হবে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত