যশোর প্রতিনিধি
যশোরে এক লাফে দ্বিগুণ বেড়েছে করোনা রোগী শনাক্তের সংখ্যা। গতকাল শুক্রবার এক দিনে শনাক্ত হয়েছেন ১২৯ করোনা রোগী। ৩৫৪টি নমুনা পরীক্ষা করে এ ফল পাওয়া গেছে। নমুনা বিবেচনায় শনাক্তের হার ৩৬.৪৫ শতাংশ।
আগের দিন বৃহস্পতিবার ১৮৭টি নমুনা পরীক্ষা করে ৬৬ জনের করোনা শনাক্ত হয় এবং তারও আগের দিন বুধবার ২০৪ জনরে নমুনা পরীক্ষা করে ৭৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়। কিন্তু দুই দিনের ব্যবধানে ১০০ ছাড়ায় শনাক্তের সংখ্যা।
শুক্রবার যশোরের সিভিল সার্জনের মুখপাত্র ডা. রেহেনেওয়াজ রনি এসব তথ্য জানিয়েছে।
এ দিকে জেলায় প্রাথমিক স্তরের ১৬ জন শিক্ষক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে এক স্কুলেই ৬ জন শিক্ষকের করোনা পজিটিভ এসেছে। আক্রান্তরা বর্তমানে বাসায় আইসোলেশনে রয়েছেন। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
যশোরের সিভিল সার্জনের মুখপাত্র ডা. রেহেনেওয়াজ রনি জানান, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে ২৬৮ নমুনা পরীক্ষা করে ৯৫ জনের করোনা পজিটিভ এসেছে।
এ ছাড়া র্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষায় ৮৬ টিতে পজিটিভ এসেছে ৩৪ জনের। মোট ৩৫৪টি নমুনাতে ১২৯ জনের করোনা পজিটিভ এসেছে। এর মধ্যে যশোর সদরে ৮০, ঝিকরগাছায় ২১, শার্শায় ১৬, কেশবপুরে ৬, চৌগাছায় ৪, অভয়নগরে ২ জন রয়েছেন।
ডা. রেহেনেওয়াজ আরও জানান, জেলায় এ পর্যন্ত ২২ হাজার ৪৩০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ২১ হাজার ৪১১ জন। বর্তমানে সক্রিয় রোগী রয়েছেন ৫০২ জন। আর মারা গেছেন ৫১৭ জন।
এ দিকে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শেখ অহিদুল আলম বলেন, ‘জেলায় ইতিমধ্যে ১৬ জন শিক্ষকের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। যেসব শিক্ষক করোনা আক্রান্ত হয়েছেন তাঁদের সবাই টিকার দুই ডোজ নিয়েছেন।’
শিক্ষা কর্মকর্তা শেখ অহিদুল আলম আরও বলেন, ‘শিক্ষকেরা করোনায় আক্রান্ত হওয়ার তথ্য মিললেও কোনো শিক্ষার্থীর আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।’
প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সংক্রমিত ১৬ শিক্ষকের মধ্যে যশোর সদর উপজেলায় ১৪ জন এবং অপর দুজনের মধ্যে একজন শার্শায় ও অন্যজন অভয়নগরের। এক স্কুলে সবচেয়ে বেশি করোনা আক্রান্ত হয়েছেন যশোর সদরের বালিয়াডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৬ জন সহকারী শিক্ষক। এই বিদ্যালয়ে প্রথমে করোনা আক্রান্ত হন সহকারী শিক্ষক তানিয়া জামান তমা। তাঁর শরীরে করোনার উপসর্গ দেখা দিলে ১০ জানুয়ারি যশোর জেনারেল হাসপাতালে নমুনা দেন। গত ১৩ জানুয়ারি খবর পান তিনি করোনা পজিটিভ।
করোনা উপসর্গ দেখা দেওয়ায় ওই দিন একই স্কুলের ১৭ জন শিক্ষকের মধ্যে ৫ শিক্ষক কানিজ ফাতেমা, হোসনে আরা, সুতপা রানি, সামছুন্নাহার সালমা ও জিনজিরা খাতুন নমুনা দেন। এর পর ১৫ ও ১৭ জানুয়ারি নমুনা দেওয়া সবারই করোনা শনাক্ত হয়।
সদরের বালিয়াডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক জেসমিন আক্তার বলেন, ‘আমার বিদ্যালয়ের ১৭ জন শিক্ষকদের মধ্যে ৬ জন শিক্ষক করোনায় আক্রান্ত। আক্রান্তদের মধ্যে তিন শিক্ষকের অবস্থা একটু খারাপ। বাকিরা সুস্থ আছেন। শিক্ষকেরা করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবরে ইতিমধ্যে শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের মধ্যে ভীতি দেখা দিয়েছে।’
জেলায় ৮টি উপজেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ১ হাজার ৮৯ টি। এসব বিদ্যালয়ে বর্তমানে কর্মরত ৪ হাজার ৪০০ শিক্ষকের সবাই করোনার টিকা নিয়েছেন।
যশোরে এক লাফে দ্বিগুণ বেড়েছে করোনা রোগী শনাক্তের সংখ্যা। গতকাল শুক্রবার এক দিনে শনাক্ত হয়েছেন ১২৯ করোনা রোগী। ৩৫৪টি নমুনা পরীক্ষা করে এ ফল পাওয়া গেছে। নমুনা বিবেচনায় শনাক্তের হার ৩৬.৪৫ শতাংশ।
আগের দিন বৃহস্পতিবার ১৮৭টি নমুনা পরীক্ষা করে ৬৬ জনের করোনা শনাক্ত হয় এবং তারও আগের দিন বুধবার ২০৪ জনরে নমুনা পরীক্ষা করে ৭৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়। কিন্তু দুই দিনের ব্যবধানে ১০০ ছাড়ায় শনাক্তের সংখ্যা।
শুক্রবার যশোরের সিভিল সার্জনের মুখপাত্র ডা. রেহেনেওয়াজ রনি এসব তথ্য জানিয়েছে।
এ দিকে জেলায় প্রাথমিক স্তরের ১৬ জন শিক্ষক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে এক স্কুলেই ৬ জন শিক্ষকের করোনা পজিটিভ এসেছে। আক্রান্তরা বর্তমানে বাসায় আইসোলেশনে রয়েছেন। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
যশোরের সিভিল সার্জনের মুখপাত্র ডা. রেহেনেওয়াজ রনি জানান, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে ২৬৮ নমুনা পরীক্ষা করে ৯৫ জনের করোনা পজিটিভ এসেছে।
এ ছাড়া র্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষায় ৮৬ টিতে পজিটিভ এসেছে ৩৪ জনের। মোট ৩৫৪টি নমুনাতে ১২৯ জনের করোনা পজিটিভ এসেছে। এর মধ্যে যশোর সদরে ৮০, ঝিকরগাছায় ২১, শার্শায় ১৬, কেশবপুরে ৬, চৌগাছায় ৪, অভয়নগরে ২ জন রয়েছেন।
ডা. রেহেনেওয়াজ আরও জানান, জেলায় এ পর্যন্ত ২২ হাজার ৪৩০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ২১ হাজার ৪১১ জন। বর্তমানে সক্রিয় রোগী রয়েছেন ৫০২ জন। আর মারা গেছেন ৫১৭ জন।
এ দিকে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শেখ অহিদুল আলম বলেন, ‘জেলায় ইতিমধ্যে ১৬ জন শিক্ষকের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। যেসব শিক্ষক করোনা আক্রান্ত হয়েছেন তাঁদের সবাই টিকার দুই ডোজ নিয়েছেন।’
শিক্ষা কর্মকর্তা শেখ অহিদুল আলম আরও বলেন, ‘শিক্ষকেরা করোনায় আক্রান্ত হওয়ার তথ্য মিললেও কোনো শিক্ষার্থীর আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।’
প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সংক্রমিত ১৬ শিক্ষকের মধ্যে যশোর সদর উপজেলায় ১৪ জন এবং অপর দুজনের মধ্যে একজন শার্শায় ও অন্যজন অভয়নগরের। এক স্কুলে সবচেয়ে বেশি করোনা আক্রান্ত হয়েছেন যশোর সদরের বালিয়াডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৬ জন সহকারী শিক্ষক। এই বিদ্যালয়ে প্রথমে করোনা আক্রান্ত হন সহকারী শিক্ষক তানিয়া জামান তমা। তাঁর শরীরে করোনার উপসর্গ দেখা দিলে ১০ জানুয়ারি যশোর জেনারেল হাসপাতালে নমুনা দেন। গত ১৩ জানুয়ারি খবর পান তিনি করোনা পজিটিভ।
করোনা উপসর্গ দেখা দেওয়ায় ওই দিন একই স্কুলের ১৭ জন শিক্ষকের মধ্যে ৫ শিক্ষক কানিজ ফাতেমা, হোসনে আরা, সুতপা রানি, সামছুন্নাহার সালমা ও জিনজিরা খাতুন নমুনা দেন। এর পর ১৫ ও ১৭ জানুয়ারি নমুনা দেওয়া সবারই করোনা শনাক্ত হয়।
সদরের বালিয়াডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক জেসমিন আক্তার বলেন, ‘আমার বিদ্যালয়ের ১৭ জন শিক্ষকদের মধ্যে ৬ জন শিক্ষক করোনায় আক্রান্ত। আক্রান্তদের মধ্যে তিন শিক্ষকের অবস্থা একটু খারাপ। বাকিরা সুস্থ আছেন। শিক্ষকেরা করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবরে ইতিমধ্যে শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের মধ্যে ভীতি দেখা দিয়েছে।’
জেলায় ৮টি উপজেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ১ হাজার ৮৯ টি। এসব বিদ্যালয়ে বর্তমানে কর্মরত ৪ হাজার ৪০০ শিক্ষকের সবাই করোনার টিকা নিয়েছেন।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১৭ ঘণ্টা আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৫ দিন আগে