শিপুল ইসলাম, তারাগঞ্জ
তারাগঞ্জে ফসলি জমির উপরিভাগের উর্বর মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রির রমরমা ব্যবসা চলছে। আবাদি জমির উপরিভাগের দেড় থেকে তিন ফুট পর্যন্ত কেটে নিচ্ছে একশ্রেণির অসাধু মাটি ব্যবসায়ী। এতে কেঁচোসহ উপকারী পোকামাকড় নষ্ট হচ্ছে। জমিগুলো দ্রুত হারিয়ে ফেলছে উর্বরতা শক্তি। কৃষকদের অসচেতনতার সুযোগে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা আশপাশের ২৯টি ইটভাটায় সেই মাটি জোগান দিয়ে লাভবান হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।
উপজেলা কৃষি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, তারাগঞ্জে ১১ হাজার ৫৫২ হেক্টর আবাদি জমি আছে। এ সব কৃষি জমিকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে ইটভাটা। একশ্রেণির মাটি ব্যবসায়ী কৃষকদের কাছে কম দামে কিনে ইটভাটায় বেশি দামে বিক্রি করে লাভবান হচ্ছেন।
গতকাল সোমবার উপজেলার ইকরচালী, কুর্শা, সয়ার, হাড়িয়ারকুঠি ও আলমপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, কোনো নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে কৃষি জমিতে গড়ে উঠেছে ইটভাটা। এ সব ইটভাটা নির্মাণের ক্ষেত্রে মানা হয়নি সরকারি বিধি। কোথাও কোথাও ৭০০-৮০০ গজের মধ্যে ৪-৫টি করে ইটভাটা গড়ে উঠেছে। সদ্য আমন ধান কেটে নেওয়া জমির উপরিভাগের মাটি কেটে ট্রলিতে ভরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ভাটাগুলোতে। মাটিবাহী মজুতের ভারী যান চলাচলের ফলে নষ্ট হচ্ছে গ্রামীণ রাস্তাগুলোও।
ইকরচালী গ্রামের কৃষক কপিল উদ্দিন জানান, ফসলি জমির মাটি বিক্রি করায় গর্তের সৃষ্টি হয়। এ গর্তের মধ্যে পাঁচ-ছয় বছর কোনো আবাদ হয় না।
কুর্শা জিগারতলা গ্রামের কৃষক রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ঠেকার সময় নগদ টাকা বাড়িত আসি দেয়। ওই জন্যে জমির মাটি বেচাই। কিন্তু মাটি বেচাইলে যে জমির ক্ষতি হয় এ কথা তো হামাক কায়ও কয় নাই?’
দোয়ালীপাড়া গ্রামের মাটি ব্যবসায়ী ফারুক হোসেন বলেন, ‘লাভের আশায় সবাই ব্যবসা করেন। আমরা করলে দোষ কী? তা ছাড়া হামরা তো আর জোর করি মাটি কিনি না। যায় বেচাই তারেটে নগদ টাকা দিয়া মাটি কিনি।’
ওই গ্রামের আরেক মাটি ব্যবসায়ী সাদেকুল ইসলাম জানান, ২৪ শতক জমিতে দেড় ফুট গভীর করে মাটি কেটে নিলে ১৫ হাজার সিএফটি মাটি পাওয়া যায়। এই মাটি শ্রমিক দিয়ে কেটে ট্রলিতে করে ইটভাটায় পৌঁছে দিলে মালিক প্রতি হাজার সিএফটি মাটি ৪ হাজার ৫০০ টাকা হিসেবে ৬৭ হাজার ৫০০ টাকা দেয়। এতে পরিবহন ও শ্রমিক বাবদ খরচ হয় ৩৯ হাজার টাকা। জমির মালিক পায় ১৪ হাজার টাকা। বাকি ১৪ হাজার ৫০০ টাকা তাঁদের লাভ থাকে।
উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান বায়েজিদ বোস্তামী বলেন, ‘ট্রলিতে মাটি ভরাট করে ইট ভাটায় নেওয়ার জন্য বিভিন্ন স্থানে রাস্তা কাটা হচ্ছে। মাটি পরিবহন শেষে ট্রলির চালকেরা রাস্তাগুলো ঠিকও করছেন না। এতে চলাচলের ক্ষেত্রে পথচারীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।’
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা ওয়াজেদ আলী বলেন, মাটি ব্যবসায়ীরা আবাদি জমির উপরিভাগের দেড় থেকে তিন ফুট পর্যন্ত কেটে নিচ্ছে। এতে ওই সব জমিতে জৈব পদার্থ থাকছে না। উর্বরতা শক্তি হারিয়ে ফলছে।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ঊর্মি তাবাসসুম বলেন, ‘ইটভাটার বিষাক্ত গ্যাসে প্রতি বছর কৃষকদের ফসল হানির ঘটনা শুনতে হয়। জৈব পদার্থ সম্পূর্ণ উপরিভাগের মাটি কেটে নেওয়ায় জমিগুলোতে কাঙ্ক্ষিত উৎপাদন ব্যবহৃত হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেছি।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি জানা ছিল না। খুব দ্রুত অভিযান চালিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
তারাগঞ্জে ফসলি জমির উপরিভাগের উর্বর মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রির রমরমা ব্যবসা চলছে। আবাদি জমির উপরিভাগের দেড় থেকে তিন ফুট পর্যন্ত কেটে নিচ্ছে একশ্রেণির অসাধু মাটি ব্যবসায়ী। এতে কেঁচোসহ উপকারী পোকামাকড় নষ্ট হচ্ছে। জমিগুলো দ্রুত হারিয়ে ফেলছে উর্বরতা শক্তি। কৃষকদের অসচেতনতার সুযোগে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা আশপাশের ২৯টি ইটভাটায় সেই মাটি জোগান দিয়ে লাভবান হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।
উপজেলা কৃষি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, তারাগঞ্জে ১১ হাজার ৫৫২ হেক্টর আবাদি জমি আছে। এ সব কৃষি জমিকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে ইটভাটা। একশ্রেণির মাটি ব্যবসায়ী কৃষকদের কাছে কম দামে কিনে ইটভাটায় বেশি দামে বিক্রি করে লাভবান হচ্ছেন।
গতকাল সোমবার উপজেলার ইকরচালী, কুর্শা, সয়ার, হাড়িয়ারকুঠি ও আলমপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, কোনো নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে কৃষি জমিতে গড়ে উঠেছে ইটভাটা। এ সব ইটভাটা নির্মাণের ক্ষেত্রে মানা হয়নি সরকারি বিধি। কোথাও কোথাও ৭০০-৮০০ গজের মধ্যে ৪-৫টি করে ইটভাটা গড়ে উঠেছে। সদ্য আমন ধান কেটে নেওয়া জমির উপরিভাগের মাটি কেটে ট্রলিতে ভরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ভাটাগুলোতে। মাটিবাহী মজুতের ভারী যান চলাচলের ফলে নষ্ট হচ্ছে গ্রামীণ রাস্তাগুলোও।
ইকরচালী গ্রামের কৃষক কপিল উদ্দিন জানান, ফসলি জমির মাটি বিক্রি করায় গর্তের সৃষ্টি হয়। এ গর্তের মধ্যে পাঁচ-ছয় বছর কোনো আবাদ হয় না।
কুর্শা জিগারতলা গ্রামের কৃষক রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ঠেকার সময় নগদ টাকা বাড়িত আসি দেয়। ওই জন্যে জমির মাটি বেচাই। কিন্তু মাটি বেচাইলে যে জমির ক্ষতি হয় এ কথা তো হামাক কায়ও কয় নাই?’
দোয়ালীপাড়া গ্রামের মাটি ব্যবসায়ী ফারুক হোসেন বলেন, ‘লাভের আশায় সবাই ব্যবসা করেন। আমরা করলে দোষ কী? তা ছাড়া হামরা তো আর জোর করি মাটি কিনি না। যায় বেচাই তারেটে নগদ টাকা দিয়া মাটি কিনি।’
ওই গ্রামের আরেক মাটি ব্যবসায়ী সাদেকুল ইসলাম জানান, ২৪ শতক জমিতে দেড় ফুট গভীর করে মাটি কেটে নিলে ১৫ হাজার সিএফটি মাটি পাওয়া যায়। এই মাটি শ্রমিক দিয়ে কেটে ট্রলিতে করে ইটভাটায় পৌঁছে দিলে মালিক প্রতি হাজার সিএফটি মাটি ৪ হাজার ৫০০ টাকা হিসেবে ৬৭ হাজার ৫০০ টাকা দেয়। এতে পরিবহন ও শ্রমিক বাবদ খরচ হয় ৩৯ হাজার টাকা। জমির মালিক পায় ১৪ হাজার টাকা। বাকি ১৪ হাজার ৫০০ টাকা তাঁদের লাভ থাকে।
উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান বায়েজিদ বোস্তামী বলেন, ‘ট্রলিতে মাটি ভরাট করে ইট ভাটায় নেওয়ার জন্য বিভিন্ন স্থানে রাস্তা কাটা হচ্ছে। মাটি পরিবহন শেষে ট্রলির চালকেরা রাস্তাগুলো ঠিকও করছেন না। এতে চলাচলের ক্ষেত্রে পথচারীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।’
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা ওয়াজেদ আলী বলেন, মাটি ব্যবসায়ীরা আবাদি জমির উপরিভাগের দেড় থেকে তিন ফুট পর্যন্ত কেটে নিচ্ছে। এতে ওই সব জমিতে জৈব পদার্থ থাকছে না। উর্বরতা শক্তি হারিয়ে ফলছে।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ঊর্মি তাবাসসুম বলেন, ‘ইটভাটার বিষাক্ত গ্যাসে প্রতি বছর কৃষকদের ফসল হানির ঘটনা শুনতে হয়। জৈব পদার্থ সম্পূর্ণ উপরিভাগের মাটি কেটে নেওয়ায় জমিগুলোতে কাঙ্ক্ষিত উৎপাদন ব্যবহৃত হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেছি।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি জানা ছিল না। খুব দ্রুত অভিযান চালিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৪ ঘণ্টা আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৪ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৪ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৪ দিন আগে