টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
চার দিন ধরে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগে সব ধরনের অপারেশন বন্ধ রয়েছে। যন্ত্রপাতি জীবাণুমুক্ত করার যন্ত্র অটোক্লেভসহ রক্তক্ষরণ বন্ধের যন্ত্র ডায়াথার্মি মেশিন নষ্ট থাকায় এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। একই কারণে সিজারিয়ান অপারেশনও বন্ধ। ফলে দুর্ভোগে পড়েছেন প্রসূতি বিভাগে অপারেশনের জন্য আসা রোগীরা।
বিশেষ করে জরুরি সিজারিয়ান অপারেশন করতে আসা রোগীরা পড়েছেন চরম বিপাকে। হাসপাতালে এসে অপারেশনের সুযোগবঞ্চিত হয়ে তাঁদের ছুটতে হচ্ছে অন্য হাসপাতাল ও ক্লিনিকে। এতে রোগী ও তাঁদের স্বজনদের অনেককেই হয়রানির শিকার হচ্ছেন।
সরেজমিন জেনারেল হাসপাতালের প্রসূতি ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা যায়, অসহায় হয়ে বসে রয়েছেন সদর উপজেলার চরপৌলী গ্রামের আমিনা বেগম। প্রথম সন্তান সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে হয়েছে। দ্বিতীয় সন্তানের জন্যও অপারেশন করতে হবে। কিন্তু হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগের মেশিন নষ্ট থাকায় এখানে অপারেশন করা যাবে না।
আমিনা বেগম বলেন, ‘আমার স্বামী কৃষক। তার সামর্থ্য নেই বেসরকারি হাসপাতাল বা ক্লিনিকে অপারেশন করানোর। এখন আমরা কই যাব?’ কীভাবে করব অপারেশন, প্রশ্ন তাঁর।
টাঙ্গাইল পৌর এলাকার সোনালি বলেন, ‘আমার সন্তান জন্মদানের সময় হয়ে এসেছে। পেটব্যথা অনুভব করায় গত রোববার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি। পর দিন ডাক্তার দেখে সিজারিয়ান অপারেশন করা লাগবে বলে জানান। কিন্তু হাসপাতালের মেশিন নষ্ট থাকায় এখানে অপারেশন করা যাবে না। আমার স্বামী রাস্তার পাশে চায়ের দোকান করে। আমরা খুব গরিব মানুষ। এখন বেসরকারি ক্লিনিকে অপারেশন করাতে পারছি না।’
টাঙ্গাইল পৌর এলাকার কাজীপুর গ্রামের তামান্না বলেন, পেটের বাচ্চার বয়স প্রায় সাড়ে নয় মাস। গতকাল ডাক্তার দেখিয়েছি। বাচ্চার নড়াচড়া কম, অপারেশন করা লাগবে। তাই হাসপাতালে এসেছি অপারেশন করাতে। কিন্তু এখানে অপারেশন করা যাবে না। স্বামী ছোট একটা চাকরি করে। বেসরকারি ক্লিনিকে কীভাবে অপারেশন করাব? হাসপাতালে যাঁরা আছেন, তাঁরা কি একটা ব্যবস্থা করতে পারেন না?
রোগীর স্বজনেরা বলেন, ‘আমাদের সামর্থ্য নেই বলে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে আসি। কিন্তু হাসপাতালে আসলে আমরা তেমন চিকিৎসা পাই না। এবার তো মেশিন নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। কবে ঠিক হবে কেউ জানেন না। আমরা তাহলে কোথায় চিকিৎসা করাব?’ তাঁরা দ্রুত হাসপাতালের মেশিনগুলো ঠিক করার দাবি জানান।
হাসপাতালের প্রসূতি কনসালট্যান্ট নিসফুন নাহার বলেন, ‘প্রসূতি ওয়ার্ড চারটি ডায়াথার্মি রয়েছে, যার সবই নষ্ট। রক্তক্ষরণ বন্ধ করার যন্ত্র ছাড়া অপারেশন করতে গেলে বিভিন্ন জটিলতার সৃষ্টি হতে পারে। এমনকি রোগীর প্রাণহানিও হতে পারে। তাই আমরা অপারেশন করতে পারছি না। এখানে অনেক গরিব রোগী আসেন, তাঁদের সেবা দিতে না পেরে আমাদেরও বেশ খারাপ লাগছে।’
প্রসূতি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, এই যন্ত্রগুলো প্রায় ১৫ বছরের পুরোনো। যা মাঝেমধ্যেই নষ্ট হয়ে যায়। প্রতিবার মেরামতের পর মাত্র ১০-১৫ দিন ঠিক থাকত। এবার একেবারেই নষ্ট হয়ে গেছে।
২৫০ শয্যাবিশিষ্ট টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক খন্দকার সাদিকুর রহমান বলেন, ‘স্থানীয়ভাবে যন্ত্রগুলো মেরামত করার চেষ্টা করেছি, কিন্তু সেগুলো ঠিক হয়নি। যথানিয়মে অটোক্লেভ ও ডায়াথার্মি মেশিনের চাহিদা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে দেওয়া হয়েছে। আশা করছি দ্রুতই সমস্যা সমাধান করা হবে।’
চার দিন ধরে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগে সব ধরনের অপারেশন বন্ধ রয়েছে। যন্ত্রপাতি জীবাণুমুক্ত করার যন্ত্র অটোক্লেভসহ রক্তক্ষরণ বন্ধের যন্ত্র ডায়াথার্মি মেশিন নষ্ট থাকায় এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। একই কারণে সিজারিয়ান অপারেশনও বন্ধ। ফলে দুর্ভোগে পড়েছেন প্রসূতি বিভাগে অপারেশনের জন্য আসা রোগীরা।
বিশেষ করে জরুরি সিজারিয়ান অপারেশন করতে আসা রোগীরা পড়েছেন চরম বিপাকে। হাসপাতালে এসে অপারেশনের সুযোগবঞ্চিত হয়ে তাঁদের ছুটতে হচ্ছে অন্য হাসপাতাল ও ক্লিনিকে। এতে রোগী ও তাঁদের স্বজনদের অনেককেই হয়রানির শিকার হচ্ছেন।
সরেজমিন জেনারেল হাসপাতালের প্রসূতি ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা যায়, অসহায় হয়ে বসে রয়েছেন সদর উপজেলার চরপৌলী গ্রামের আমিনা বেগম। প্রথম সন্তান সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে হয়েছে। দ্বিতীয় সন্তানের জন্যও অপারেশন করতে হবে। কিন্তু হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগের মেশিন নষ্ট থাকায় এখানে অপারেশন করা যাবে না।
আমিনা বেগম বলেন, ‘আমার স্বামী কৃষক। তার সামর্থ্য নেই বেসরকারি হাসপাতাল বা ক্লিনিকে অপারেশন করানোর। এখন আমরা কই যাব?’ কীভাবে করব অপারেশন, প্রশ্ন তাঁর।
টাঙ্গাইল পৌর এলাকার সোনালি বলেন, ‘আমার সন্তান জন্মদানের সময় হয়ে এসেছে। পেটব্যথা অনুভব করায় গত রোববার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি। পর দিন ডাক্তার দেখে সিজারিয়ান অপারেশন করা লাগবে বলে জানান। কিন্তু হাসপাতালের মেশিন নষ্ট থাকায় এখানে অপারেশন করা যাবে না। আমার স্বামী রাস্তার পাশে চায়ের দোকান করে। আমরা খুব গরিব মানুষ। এখন বেসরকারি ক্লিনিকে অপারেশন করাতে পারছি না।’
টাঙ্গাইল পৌর এলাকার কাজীপুর গ্রামের তামান্না বলেন, পেটের বাচ্চার বয়স প্রায় সাড়ে নয় মাস। গতকাল ডাক্তার দেখিয়েছি। বাচ্চার নড়াচড়া কম, অপারেশন করা লাগবে। তাই হাসপাতালে এসেছি অপারেশন করাতে। কিন্তু এখানে অপারেশন করা যাবে না। স্বামী ছোট একটা চাকরি করে। বেসরকারি ক্লিনিকে কীভাবে অপারেশন করাব? হাসপাতালে যাঁরা আছেন, তাঁরা কি একটা ব্যবস্থা করতে পারেন না?
রোগীর স্বজনেরা বলেন, ‘আমাদের সামর্থ্য নেই বলে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে আসি। কিন্তু হাসপাতালে আসলে আমরা তেমন চিকিৎসা পাই না। এবার তো মেশিন নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। কবে ঠিক হবে কেউ জানেন না। আমরা তাহলে কোথায় চিকিৎসা করাব?’ তাঁরা দ্রুত হাসপাতালের মেশিনগুলো ঠিক করার দাবি জানান।
হাসপাতালের প্রসূতি কনসালট্যান্ট নিসফুন নাহার বলেন, ‘প্রসূতি ওয়ার্ড চারটি ডায়াথার্মি রয়েছে, যার সবই নষ্ট। রক্তক্ষরণ বন্ধ করার যন্ত্র ছাড়া অপারেশন করতে গেলে বিভিন্ন জটিলতার সৃষ্টি হতে পারে। এমনকি রোগীর প্রাণহানিও হতে পারে। তাই আমরা অপারেশন করতে পারছি না। এখানে অনেক গরিব রোগী আসেন, তাঁদের সেবা দিতে না পেরে আমাদেরও বেশ খারাপ লাগছে।’
প্রসূতি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, এই যন্ত্রগুলো প্রায় ১৫ বছরের পুরোনো। যা মাঝেমধ্যেই নষ্ট হয়ে যায়। প্রতিবার মেরামতের পর মাত্র ১০-১৫ দিন ঠিক থাকত। এবার একেবারেই নষ্ট হয়ে গেছে।
২৫০ শয্যাবিশিষ্ট টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক খন্দকার সাদিকুর রহমান বলেন, ‘স্থানীয়ভাবে যন্ত্রগুলো মেরামত করার চেষ্টা করেছি, কিন্তু সেগুলো ঠিক হয়নি। যথানিয়মে অটোক্লেভ ও ডায়াথার্মি মেশিনের চাহিদা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে দেওয়া হয়েছে। আশা করছি দ্রুতই সমস্যা সমাধান করা হবে।’
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৬ দিন আগে