গাছে গাছে আমের মুকুল

চৌহালী (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২০ মার্চ ২০২২, ০৭: ০৭
আপডেট : ২০ মার্চ ২০২২, ১৬: ০৪

গাছে গাছে আমের মুকুল। এ যেন হলুদ আর সবুজের মহামিলন। চারদিকে ছড়িয়ে পড়া মুকুলের ঘ্রাণ প্রকৃতিপ্রেমীদের মুগ্ধ করছে। পাশাপাশি জানান দিচ্ছে মধুমাসের আগমনী বার্তা। এ বছর শীতের প্রভাব কম থাকায় সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার গ্রামগুলোতে গাছে গাছে শোভা পাচ্ছে আমের মুকুল।

উপজেলার প্রায় সব ইউনিয়নে মুকুলে ছেয়ে গেছে আমগাছ। বর্তমানে চাষিরাও গাছ পরিচর্যায় ব্যস্ত। চাষিদের বলা হচ্ছে ফুল ফোটা অবস্থায় কোনো কীটনাশক ব্যবহার না করার জন্য। তবে আমগাছে পোকা বেশি দেখা দিলে অনুমোদিত কীটনাশক ছিটানোর কথা বলা হয়েছে।

এবার মৌসুমের শুরুতে আবহাওয়া অনুকূল থাকায় মুকুলে ভরে গেছে আমবাগান। বাগানগুলোতে রয়েছে আম্রপালি, লেংড়া, হাঁড়িভাঙা, বারি-৪, বারি-৫, বারি-২ ও কাতিমন জাতের গাছ। তবে ছোট আকারের চেয়ে বড় ও মাঝারি আকারের গাছে বেশি মুকুল এসেছে।

নিজ উদ্যোগে গাছ লাগিয়েছেন খাসকাউলিয়ার কুরকি গ্রামের মো. ফারুক হোসেন মাস্টার। তিনি জানান, আমগাছে এবার আগেভাগে মুকুল এসেছে। এখন আমের ভালো ফলন পেতে ছত্রাকনাশক প্রয়োগসহ আমগাছে পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর তাঁরা আমের বাম্পার ফলন পাবেন বলে আশা করছেন।

আমচাষি আব্দুস ছাত্তার বলেন, ‘বর্তমানে আবহাওয়া অনুকূল থাকায় আমগাছে মুকুল আসা শুরু করেছে। কৃষি বিভাগের বিভিন্ন পরামর্শ গ্রহণ করছি। মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তারাও বাগানে এসে ভালো ফলন পাওয়ার দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন।’

কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় বছরজুড়ে নিয়মিত পরিচর্যা, গাছের গোড়ায় বাঁধ দিয়ে পানি সেচের ফলে গাছ নিয়মিত খাদ্য পাচ্ছে। এতে পরিশ্রমের ফলও মিলছে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকা পর্যবেক্ষণে এমনই চিত্র দেখা গেছে।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. জেরিন আহমেদ জানান, চৌহালী উপজেলায় গত বছরের অর্জিত মাত্রা ছিল ২৫ হেক্টর জমি। এবার এসব জমির ৯০-৯৫ শতাংশ গাছে মুকুল চলে এসেছে।

মো. জেরিন আহমেদ আরও জানান, চাষিদের বলা হয়েছে ফুল ফোটা অবস্থায় কোনো ওষুধ বা কীটনাশক ব্যবহার না করার জন্য। পোকা খুব বেশি দেখা দিলে অনুমোদিত কীটনাশক ছিটানোর জন্য বলা হয়েছে।

আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ও বড় ধরনের প্রাকৃতিক বিপর্যয় না ঘটলে চলতি মৌসুমে চৌহালীতে কয়েক হাজার টন আম উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে। তা ছাড়া আশানুরূপ ফলন পাওয়ায় চৌহালীতে প্রতিবছর আমগাছের সংখ্যা বাড়ছে বলেও জানান এই কৃষি কর্মকর্তা।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত