সদর হাসপাতালে ওষুধসংকট

যশোর প্রতিনিধি
প্রকাশ : ৩০ জানুয়ারি ২০২২, ০৭: ৩৪
আপডেট : ৩০ জানুয়ারি ২০২২, ১২: ৩৪

যশোর সদর হাসপাতালে অম্বলের (গ্যাস্ট্রিক) কোনো প্রকার ওষুধ পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রায় এক মাস ধরে এই সমস্যা চলছে। ফলে বিনা মূল্যের ওষুধ নিতে এসে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে অসহায় রোগীদের।

গত বৃহস্পতিবার হাসপাতালের বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসেন শুভ নামের এ ব্যক্তি। তিনি বলেন, ‘আমি ঠান্ডা জ্বরের জন্য হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করেছি। তিনি আমাকে ছয় ধরনের ওষুধ লিখে দিয়েছে।’

রোগী শুভ বলেন, ‘তবে হাসপাতালের ফার্মেসি থেকে শুধু প্যারাসিটামল দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া অন্য কোনো ওষুধ দেওয়া হয়নি। চিকিৎসক গ্যাস্ট্রিকের ওষুধও লিখে দিয়েছেন। এই ওষুধও নেই হাসপাতালের ফার্মেসিতে।’

একই সময়ে শিমুল হোসেন নামের আরেক রোগীর সঙ্গে কথা হয়। তিনিও একই অভিযোগ করেছেন। শিমুল হোসেন বলেন, ‘আমরা গরিব মানুষ। হাসপাতালে এসে ডাক্তার দেখালে কিছু ফ্রি ওষুধ পাই। এ কারণে দূর থেকে এখানে এসেছি। এসে দেখি কোনো ওষুধই দিল না। জানতে চাইলে ডাক্তারের সহকারী বলল, এই ওষুধ সাপ্লাই নেই। তাহলে আমার এখানে এসে কি লাভ হলো। বাজারের ডাক্তারের কাছ থেকে ওষুধ কিনে খাইলেই তো হতো।’

চলতি মাসের ২৬ তারিখে হাসপাতালে ডাক্তার দেখতে আসেন মারুফা নামের এক নারী। কথা হয় তাঁর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘হাসপাতালে ফার্মেসি থেকে লাভ কি। দামি কোনো ওষুধ তো তাঁরা না-ই দেন। এখন গ্যাস্ট্রিকের ওষুধরও নাকি সাপ্লাই নেই। ডাক্তারেরা টিকিট (ব্যবস্থাপত্র) ভরে ওষুধের নাম লিখবে, আর আমাদের বাইরে থেকে সব কিনতে হবে। হাসপাতালে এসেছি কেন? গরিব বলে।’

হাসপাতালের ফার্মেসিতে কর্তব্যরত রতন সরকার বলেন, ‘ফার্মেসিতে কোনো ওষুধ থাকবে কি থাকবে না, এই বিষয়ে আমরা কিছু বলতে পারব না। তবে হাসপাতালে গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ সাপ্লাই নেই প্রায় এক মাস ধরে নেই এই ওষুধ।’

যশোর সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ‘আগে প্রতি দিনে ১০ হাজারটি গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ দেওয়া হতো। এখন সেটা কমিয়ে ৫ হাজার দেওয়া হচ্ছে। কেননা, যেখানে সরকারি ওষুধ তৈরি করা হয়, সেখানে কাঁচামালের সরবরাহ কম। তাই কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। তবে একেবারেই ওষুধ নেই, এটা ভুল।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত