এম কে দোলন বিশ্বাস, ইসলামপুর
জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলায় নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বেড়েই চলছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বাড়ায় দুর্ভোগে স্বল্প আয়ের সাধারণ মানুষ। তেল, পেঁয়াজ থেকে শুরু করে অনেক পণ্যের দাম ইতিমধ্যে সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। পণ্যের দাম অস্বাভাবিক হারে বাড়লেও তা নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের পক্ষ থেকে তেমন কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যাচ্ছে না। তবে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, কেউ সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি মূল্যে জিনিসপত্র বিক্রি করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গতকাল শুক্রবার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি ঢ্যাঁড়স ১০০ থেকে ১০৫ টাকা, করলা ১১০, এক কেজির বেশি মধ্যম আকারের মিষ্টি কুমড়ার দাম ১০০ থেকে ১২০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। সয়াবিন তেলের দাম ২০০ টাকা। শজনে বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ২০০ টাকায়। ডিমের হালি ৩৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকা কেজি দরে। সোনালী মুরগি ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। দেশি মুরগির কেজি ৪৩০ টাকা।
উপজেলার গাইবান্ধা ইউনিয়নের নাপিতেরচর বাজারের সবজি ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘পাইকারি বাজারে দাম বেড়ে যাওয়ায় আমাদের বিক্রি ও লাভ দুটোই কমে গেছে। ১৯০ টাকা কেজি দরে শজনে কিনে বিক্রি করছি ২০০ টাকায়। ঢ্যাঁড়স ও করলা কিনেছি ১০০ টাকা কেজি। বিক্রি করতে হচ্ছে ১২০ টাকা দরে। দোকানের স্থানের ভাড়া আছে। বাজারের খাজনা আছে। আছে, বিদ্যুৎ ও জেনারেটরের বিল। এসব খরচ অন্তর্ভুক্ত করেই আমাদের বাজার দাম ধরতে হয়।’
পোড়ারচর গ্রামের দিনমুজুর আকবর হোসেন বলেন, ‘গরিবের অইছে মরণ। দুসপ্তাহ আগে পেঁয়াজ কিনছি ৩০ টাকা কেজি। এখন ৭০ টাকা দরে কিনতে হচ্ছে। সয়াবিন তেল মাত্র কিনতে হচ্ছে প্রতি লিটার ২০০ টাকায়। চিনি ৮৫ টাকা কেজি। মসুরের ডাইল তাও ১০০ টাকার বেশি।’
উপজেলার নোয়ারপাড়া ইউনিয়নের উলিয়া মোড় এলাকার ব্যবসায়ী সাইদুর রহমান বলেন, ‘বাজারে দেশি মাছ পাওয়াই দুষ্কর। চাষের মাছের দামও অন্য সময়ের চেয়ে অনেক বেশি। ইলিশের নাম নিলেই ১ হাজার ৪০০ টাকা কেজি। একটু বড় সাইজের কিনলেই দাম গুনতে হয় কেজি প্রতি ১ হাজার ৬০০ থেকে ২০০০ টাকা।’
সাপধরী ইউনিয়নের প্রজাপতি গ্রামের গৃহবধূ পারভীন আক্তার বলেন, ‘লাউয়ের দাম হাফ সেঞ্চুরি অতিক্রম করেছে। অনেক দামদর করে ৭০ টাকা দিয়ে লাউটি কিনতে পারলাম।’
পৌর শহরের বাসিন্দা নাজমা বেগম, বিলকিস, মহিরন বেগম বলেন, ‘গরুর মাংসের দাম হইছে কেজি প্রতি ৬০০ টাকা। ২৫ থেকে ৩০ টাকার নিচে কোনো শাকও পাওয়া যায় না। আমরা কই যামু? কী বা খামু? ৩০ টাকায় কিনতে হচ্ছে চারটা ডাঙ্গা (ডাঁটা)।
বেলগাছা ইউনিয়নের জারুলতলা এলাকার বাসিন্দা বেসরকারি চাকরিজীবী বেলাল শেখ বলেন, ‘আমরা কম বেতনে চাকরি করি। আমাদের আয়ের সঙ্গে ব্যয়, সাধের সঙ্গে সাধ্য কোনোটারই সমন্বয় নেই।
গাইবান্ধা নাপিতেরচর বাজার বণিক সমিতির সভাপতি মেজবাহ উদ্দিন সাদা মিয়া বলেন, ‘নিয়ন্ত্রণ না থাকায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যগুলো মানুষে ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। সরকার এ ব্যাপারে উদাসীন। এই সুযোগে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে জনগণের কষ্টার্জিত অর্থ তাদের পকেটে নিয়ে নিচ্ছে।’
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট এস এম জামাল আব্দুন নাছের বাবুল বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, বাজার নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের তরফ থেকে তদারকি করা হবে। কেউ পণ্য মজুদ করে দাম বাড়ালে, আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলায় নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বেড়েই চলছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বাড়ায় দুর্ভোগে স্বল্প আয়ের সাধারণ মানুষ। তেল, পেঁয়াজ থেকে শুরু করে অনেক পণ্যের দাম ইতিমধ্যে সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। পণ্যের দাম অস্বাভাবিক হারে বাড়লেও তা নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের পক্ষ থেকে তেমন কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যাচ্ছে না। তবে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, কেউ সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি মূল্যে জিনিসপত্র বিক্রি করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গতকাল শুক্রবার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি ঢ্যাঁড়স ১০০ থেকে ১০৫ টাকা, করলা ১১০, এক কেজির বেশি মধ্যম আকারের মিষ্টি কুমড়ার দাম ১০০ থেকে ১২০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। সয়াবিন তেলের দাম ২০০ টাকা। শজনে বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ২০০ টাকায়। ডিমের হালি ৩৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকা কেজি দরে। সোনালী মুরগি ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। দেশি মুরগির কেজি ৪৩০ টাকা।
উপজেলার গাইবান্ধা ইউনিয়নের নাপিতেরচর বাজারের সবজি ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘পাইকারি বাজারে দাম বেড়ে যাওয়ায় আমাদের বিক্রি ও লাভ দুটোই কমে গেছে। ১৯০ টাকা কেজি দরে শজনে কিনে বিক্রি করছি ২০০ টাকায়। ঢ্যাঁড়স ও করলা কিনেছি ১০০ টাকা কেজি। বিক্রি করতে হচ্ছে ১২০ টাকা দরে। দোকানের স্থানের ভাড়া আছে। বাজারের খাজনা আছে। আছে, বিদ্যুৎ ও জেনারেটরের বিল। এসব খরচ অন্তর্ভুক্ত করেই আমাদের বাজার দাম ধরতে হয়।’
পোড়ারচর গ্রামের দিনমুজুর আকবর হোসেন বলেন, ‘গরিবের অইছে মরণ। দুসপ্তাহ আগে পেঁয়াজ কিনছি ৩০ টাকা কেজি। এখন ৭০ টাকা দরে কিনতে হচ্ছে। সয়াবিন তেল মাত্র কিনতে হচ্ছে প্রতি লিটার ২০০ টাকায়। চিনি ৮৫ টাকা কেজি। মসুরের ডাইল তাও ১০০ টাকার বেশি।’
উপজেলার নোয়ারপাড়া ইউনিয়নের উলিয়া মোড় এলাকার ব্যবসায়ী সাইদুর রহমান বলেন, ‘বাজারে দেশি মাছ পাওয়াই দুষ্কর। চাষের মাছের দামও অন্য সময়ের চেয়ে অনেক বেশি। ইলিশের নাম নিলেই ১ হাজার ৪০০ টাকা কেজি। একটু বড় সাইজের কিনলেই দাম গুনতে হয় কেজি প্রতি ১ হাজার ৬০০ থেকে ২০০০ টাকা।’
সাপধরী ইউনিয়নের প্রজাপতি গ্রামের গৃহবধূ পারভীন আক্তার বলেন, ‘লাউয়ের দাম হাফ সেঞ্চুরি অতিক্রম করেছে। অনেক দামদর করে ৭০ টাকা দিয়ে লাউটি কিনতে পারলাম।’
পৌর শহরের বাসিন্দা নাজমা বেগম, বিলকিস, মহিরন বেগম বলেন, ‘গরুর মাংসের দাম হইছে কেজি প্রতি ৬০০ টাকা। ২৫ থেকে ৩০ টাকার নিচে কোনো শাকও পাওয়া যায় না। আমরা কই যামু? কী বা খামু? ৩০ টাকায় কিনতে হচ্ছে চারটা ডাঙ্গা (ডাঁটা)।
বেলগাছা ইউনিয়নের জারুলতলা এলাকার বাসিন্দা বেসরকারি চাকরিজীবী বেলাল শেখ বলেন, ‘আমরা কম বেতনে চাকরি করি। আমাদের আয়ের সঙ্গে ব্যয়, সাধের সঙ্গে সাধ্য কোনোটারই সমন্বয় নেই।
গাইবান্ধা নাপিতেরচর বাজার বণিক সমিতির সভাপতি মেজবাহ উদ্দিন সাদা মিয়া বলেন, ‘নিয়ন্ত্রণ না থাকায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যগুলো মানুষে ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। সরকার এ ব্যাপারে উদাসীন। এই সুযোগে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে জনগণের কষ্টার্জিত অর্থ তাদের পকেটে নিয়ে নিচ্ছে।’
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট এস এম জামাল আব্দুন নাছের বাবুল বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, বাজার নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের তরফ থেকে তদারকি করা হবে। কেউ পণ্য মজুদ করে দাম বাড়ালে, আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১২ ঘণ্টা আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৪ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৪ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৪ দিন আগে