২৭ মণ চাল কিনে বিতরণ করতে হবে চেয়ারম্যানকে

মনিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৫ ডিসেম্বর ২০২১, ০৬: ৪৫
আপডেট : ২৫ ডিসেম্বর ২০২১, ১৫: ৩৪

যশোরের মনিরামপুরের খেদাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) গুদামে পচানো সেই ৬৮ মণ ১০ কেজি (২ হাজার ৭৩০ কেজি) চালের মধ্যে ২৭ মণ ছাড়া বাকি চাল বিতরণযোগ্য বলে জানিয়েছে প্রশাসন। আর একেবারেই নষ্ট হওয়ায় বাদ দেওয়া ২৭ মণ চাল কিনে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে অভিযুক্ত ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান এস এম আব্দুল হককে।

করোনাকালে দুস্থদের জন্য বরাদ্দ চাল বিতরণ না করায় নষ্ট হয় এসব চাল।

গত বৃহস্পতিবার ট্যাগ অফিসার (ইউএনওর প্রতিনিধি), বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুল হক, নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান আব্দুল আলিম জিন্নাহ, পরিষদের সচিব মৃণালকান্তি সরকার ও স্থানীয় গণ্যমান্যদের সামনে এ চাল বাছাই করা হয়।

খেদাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদে দায়িত্বরত ট্যাগ অফিসার আজহারুল ইসলাম বলেন, ‘সবার উপস্থিতিতে গুদামজাত করা ৫৫ বস্তা চাল পরিষদের বারান্দায় ঢালা হয়েছে। এরপর নষ্ট হওয়া চাল বাছাই করা হয়েছে। এ চাল চেয়ারম্যান আব্দুল হক কিনে দেবেন। এর পর

তালিকা করে চাল বিতরণ করা হবে।’

খেদাপাড়া ইউপির নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান আব্দুল আলিম জিন্নাহ বলেন, ‘১ হাজার ৮০ কেজি (২৭ মণ) চাল বাদ গেছে। বাকি চাল ভালো আছে।’

খেদাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মৃণালকান্তি সরকার বলেন, ‘১০ কেজি করে ২৭৩ জন এ চাল পাবেন। তালিকা প্রস্তুতি নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হচ্ছে। তালিকা প্রস্তুত করতে পারলে চাল বিতরণ করা হবে।’

এর আগে খেদাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের গুদামে গরিবের চাল পচানো নিয়ে গত ৩১ অক্টোবর আকজের পত্রিকায় ‘গুদামে পচছে সরকারি চার’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। খবর প্রকাশিত হওয়ার পরপরই ইউপি চেয়ারম্যান ও সচিব কোনো তালিকা তৈরি করা ছাড়াই এলাকার কয়েক শ মানুষকে জড়ো করে সেই পচা চাল বিতরণের চেষ্টা করেন। অভিযোগ পেয়ে তখন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ জাকির হাসান পরিষদে হাজির হয়ে ৫৫ চাল জব্দ করেন।

গত জুলাই মাসে করোনাকালীন দুস্থদের মাঝে বিতরণের জন্য মনিরামপুর উপজেলার সব চেয়ারম্যানদের চাল বরাদ্দ দেয় সরকার। গত আগস্ট মাসের প্রথম ও শেষ সপ্তাহে দুই ধাপে ৫৫ বস্তা চাল তোলেন খেদাপাড়া ইউপির চেয়ারম্যান আব্দুল হক। পরে চাল বিতরণ না করে পরিষদের গুদামে রেখে দেন তিনি। ওই পরিষদের সচিব মৃণালকান্তিও চাল বিতরণে উদ্যোগী হননি। ফলে বাতাস লেগে চালে পচন ধরে।

কয়েক দফায় করোনার চাল পচানো নিয়ে আজকের পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। চাল বিতরণের অনুমতি চেয়ে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত আবেদন করেন সদ্য পরাজিত চেয়ারম্যান এস এম আব্দুল হক। আবেদনের পর চাল বিতরণের অনুমতি পেয়েছেন তিনি।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত