আব্দুর রব, মৌলভীবাজার
চলছে পর্যটনের মৌসুম। এ সময় ভ্রমণপিয়াসী সমাগমে মুখর হয় মৌলভীবাজারের পর্যটনকেন্দ্রগুলো। তবে করোনার আঘাতে বারবার ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এ শিল্প। নতুন করে বিধিনিষেধের প্রভাব পড়বে পর্যটনশিল্পে, এমনটাই আশঙ্কা প্রকাশ করছেন সংশ্লিষ্টরা।
১৩ জানুয়ারি সরকারি বিধিনিষেধ আরোপের পর থেকে মৌলভীবাজারে পর্যটক কমতে শুরু করেছে। পাশাপাশি বিভিন্ন হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট ও কটেজগুলোতে বুকিংও কমে গেছে।
পর্যটকসংশ্লিষ্টরা জানান, গত বছরের শেষ তিন মাস থেকে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পর্যটক বাড়তে থাকে। পর্যটকদের আনাগোনায় মুখর ছিল দর্শনীয় স্থানগুলো। পর্যটন ব্যবসার মন্দা কাটিয়ে কিছুটা ঘুরে দাঁড়াতে পেরেছিল। ফের বিধিনিষেধের কারণে কমে গেছে পর্যটক।
শ্রীমঙ্গলের একটি রিসোর্টের মার্কেটিং ব্যবস্থাপক আতিয়া রহমান বলেন, ‘গত বছরের শেষ তিন মাস আমাদের রিসোর্টে পর্যটকের আনাগোনা ছিল, বুকিংও ভালো ছিল। বর্তমানে বিধিনিষেধের কারণে বুকিং কমেছে। পর্যটকের সংখ্যাও ধীরে ধীরে কমে আসবে।’
প্রতিবছরের মধ্য নভেম্বর থেকে জুলাই-আগস্ট পর্যন্ত মৌলভীবাজারে চলে পর্যটন মৌসুম। দফায় দফায় লকডাউন ও বিধিনিষেধে বিপর্যস্ত এ শিল্প। সংশ্লিষ্টদের আশঙ্কা, এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে লোকসানের অঙ্ক বাড়তে থাকবে।
চট্টগ্রাম থেকে মৌলভীবাজারে বেড়াতে আসা তাসলিমা জাহান বলেন, ‘করোনার প্রাদুর্ভাব বেড়েছে। বিধিনিষেধ মানতে ঘোরাঘুরি সংক্ষিপ্ত করেছি।’
আক্ষেপের সঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দা খাদিজা শবনম বলেন, ‘করোনা ভাইরাসের কারণে পর্যটন নগরীর দর্শনীয় স্থানগুলো দীর্ঘদিন ফাঁকা ছিল। এখন আবার হয়তো সেদিকেই যাচ্ছে।’
মৌলভীবাজারের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান, মাধবপুর লেক, বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান স্মৃতিসৌধ, মাধবকুণ্ড জলপ্রপাত, হামহাম জলপ্রপাত, হাকালুকি হাওরসহ অনেক দর্শনীয় কেন্দ্র রয়েছে। এ জেলার মধ্যে হোটেল ও রিসোর্টের অধিকাংশই শ্রীমঙ্গল উপজেলায়। পর্যটন গন্তব্য হিসেবে এ স্থান বেশ জনপ্রিয়। এখানে রয়েছে প্রায় ১০০টি হোটেল-মোটেল, গেস্টহাউস, রিসোর্ট ও কটেজ।
ট্যুর গাইড শ্রীমঙ্গল অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক তাপস দাশ বলেন, কয়দিন পর্যটনশিল্প স্বাভাবিক হয়েছিল। আবারও হয়তো ভাটা পড়বে।
রিসোর্ট মালিক শামসুল ইসলাম বলেন, ‘স্বাস্থ্যবিধি মেনে রিসোর্ট পরিচালনা করছি। বিধিনিষেধ থাকলে তেমন সমস্যা হবে না। কিন্তু কঠোর বিধিনিষেধ হলে আবারও ক্ষতির মুখে পড়তে হবে।’
দফায় দফায় পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ এ খাতে অনেক বড় লোকসান হয়েছে বলেও জানান শামসুল ইসলাম।
শ্রীমঙ্গল পর্যটন সেবা সংস্থার সাংগঠনিক সম্পাদক এস কে দাস সুমন বলেন, বাস, ট্রেনের টিকিটসহ বিভিন্ন শর্তে পর্যটনশিল্পে বিরূপ প্রভাব পড়বে। আগের সংকট এখনো কাটিয়ে ওঠা যায়নি, আবার নতুন বিধিনিষেধ। শুধু হোটেল-মোটেল নয়, জেলার কৃষিপণ্য ও চা-ব্যবসা পর্যটন খাতের ওপর নির্ভরশীল। পর্যটকেরাই শ্রীমঙ্গলের লেবু, আনারস, চা, মণিপুরি শাড়িসহ হাতে বানানো বিভিন্ন সামগ্রীর মূল ক্রেতা। কিন্তু করোনা মহামারির প্রাদুর্ভাবে সবখানে মন্দাবস্থা।
জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, মৌলভীবাজার দেশের পর্যটনশিল্পের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এখানে পর্যটননির্ভর লোকের সংখ্যা বেশি। বর্তমানে সরকার ১৩ দফা বিধিনিষেধ আরোপ করেছে, তা সর্বক্ষেত্রে মানতে হবে। বর্তমান করোনা পরিস্থিতি উত্তরণে প্রত্যেকের নিজ নিজ জায়গা থেকে ভূমিকা রাখা উচিত।
চলছে পর্যটনের মৌসুম। এ সময় ভ্রমণপিয়াসী সমাগমে মুখর হয় মৌলভীবাজারের পর্যটনকেন্দ্রগুলো। তবে করোনার আঘাতে বারবার ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এ শিল্প। নতুন করে বিধিনিষেধের প্রভাব পড়বে পর্যটনশিল্পে, এমনটাই আশঙ্কা প্রকাশ করছেন সংশ্লিষ্টরা।
১৩ জানুয়ারি সরকারি বিধিনিষেধ আরোপের পর থেকে মৌলভীবাজারে পর্যটক কমতে শুরু করেছে। পাশাপাশি বিভিন্ন হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট ও কটেজগুলোতে বুকিংও কমে গেছে।
পর্যটকসংশ্লিষ্টরা জানান, গত বছরের শেষ তিন মাস থেকে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পর্যটক বাড়তে থাকে। পর্যটকদের আনাগোনায় মুখর ছিল দর্শনীয় স্থানগুলো। পর্যটন ব্যবসার মন্দা কাটিয়ে কিছুটা ঘুরে দাঁড়াতে পেরেছিল। ফের বিধিনিষেধের কারণে কমে গেছে পর্যটক।
শ্রীমঙ্গলের একটি রিসোর্টের মার্কেটিং ব্যবস্থাপক আতিয়া রহমান বলেন, ‘গত বছরের শেষ তিন মাস আমাদের রিসোর্টে পর্যটকের আনাগোনা ছিল, বুকিংও ভালো ছিল। বর্তমানে বিধিনিষেধের কারণে বুকিং কমেছে। পর্যটকের সংখ্যাও ধীরে ধীরে কমে আসবে।’
প্রতিবছরের মধ্য নভেম্বর থেকে জুলাই-আগস্ট পর্যন্ত মৌলভীবাজারে চলে পর্যটন মৌসুম। দফায় দফায় লকডাউন ও বিধিনিষেধে বিপর্যস্ত এ শিল্প। সংশ্লিষ্টদের আশঙ্কা, এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে লোকসানের অঙ্ক বাড়তে থাকবে।
চট্টগ্রাম থেকে মৌলভীবাজারে বেড়াতে আসা তাসলিমা জাহান বলেন, ‘করোনার প্রাদুর্ভাব বেড়েছে। বিধিনিষেধ মানতে ঘোরাঘুরি সংক্ষিপ্ত করেছি।’
আক্ষেপের সঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দা খাদিজা শবনম বলেন, ‘করোনা ভাইরাসের কারণে পর্যটন নগরীর দর্শনীয় স্থানগুলো দীর্ঘদিন ফাঁকা ছিল। এখন আবার হয়তো সেদিকেই যাচ্ছে।’
মৌলভীবাজারের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান, মাধবপুর লেক, বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান স্মৃতিসৌধ, মাধবকুণ্ড জলপ্রপাত, হামহাম জলপ্রপাত, হাকালুকি হাওরসহ অনেক দর্শনীয় কেন্দ্র রয়েছে। এ জেলার মধ্যে হোটেল ও রিসোর্টের অধিকাংশই শ্রীমঙ্গল উপজেলায়। পর্যটন গন্তব্য হিসেবে এ স্থান বেশ জনপ্রিয়। এখানে রয়েছে প্রায় ১০০টি হোটেল-মোটেল, গেস্টহাউস, রিসোর্ট ও কটেজ।
ট্যুর গাইড শ্রীমঙ্গল অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক তাপস দাশ বলেন, কয়দিন পর্যটনশিল্প স্বাভাবিক হয়েছিল। আবারও হয়তো ভাটা পড়বে।
রিসোর্ট মালিক শামসুল ইসলাম বলেন, ‘স্বাস্থ্যবিধি মেনে রিসোর্ট পরিচালনা করছি। বিধিনিষেধ থাকলে তেমন সমস্যা হবে না। কিন্তু কঠোর বিধিনিষেধ হলে আবারও ক্ষতির মুখে পড়তে হবে।’
দফায় দফায় পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ এ খাতে অনেক বড় লোকসান হয়েছে বলেও জানান শামসুল ইসলাম।
শ্রীমঙ্গল পর্যটন সেবা সংস্থার সাংগঠনিক সম্পাদক এস কে দাস সুমন বলেন, বাস, ট্রেনের টিকিটসহ বিভিন্ন শর্তে পর্যটনশিল্পে বিরূপ প্রভাব পড়বে। আগের সংকট এখনো কাটিয়ে ওঠা যায়নি, আবার নতুন বিধিনিষেধ। শুধু হোটেল-মোটেল নয়, জেলার কৃষিপণ্য ও চা-ব্যবসা পর্যটন খাতের ওপর নির্ভরশীল। পর্যটকেরাই শ্রীমঙ্গলের লেবু, আনারস, চা, মণিপুরি শাড়িসহ হাতে বানানো বিভিন্ন সামগ্রীর মূল ক্রেতা। কিন্তু করোনা মহামারির প্রাদুর্ভাবে সবখানে মন্দাবস্থা।
জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, মৌলভীবাজার দেশের পর্যটনশিল্পের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এখানে পর্যটননির্ভর লোকের সংখ্যা বেশি। বর্তমানে সরকার ১৩ দফা বিধিনিষেধ আরোপ করেছে, তা সর্বক্ষেত্রে মানতে হবে। বর্তমান করোনা পরিস্থিতি উত্তরণে প্রত্যেকের নিজ নিজ জায়গা থেকে ভূমিকা রাখা উচিত।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৬ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৬ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৬ দিন আগে