রাশেদুজ্জামান, মেহেরপুর
জীবনযুদ্ধে হার না মানা যুবক সাহাকুল ইসলাম (৩৪)। প্রতিবন্ধীদের মধ্যে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন একজন সফল উদ্যোক্তা হিসেবে। দুটি হাত না থাকলেও অন্যের মুখাপেক্ষী হননি তিনি। সব প্রতিকূলতাকে জয় করে মেহেরপুরের প্রতিবন্ধী সাহাকুল ইসলাম গড়ে তুলেছেন একটি ছাগলের খামার। এখন দুই মেয়েকে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করাটা তাঁর মূল লক্ষ্য। না পাওয়ার কোনো বেদনা নেই তাঁর পরিবারে।
জানা গেছে, মেহেরপুর সদর উপজেলার গোপালপুর গ্রামের জামাত আলী ও বুলু খাতুনের ছয় সন্তানের মধ্যে সাহাকুল দ্বিতীয়। ১০ বছর বয়সে বন্ধুদের সঙ্গে মাঠে খেলতে গিয়ে বিদ্যুতায়িত হন সাহাকুল। পরে তাঁর দুটি হাত কেটে ফেলা হয়। ছেলেকে নিয়ে কি করবেন তা ভেবে কুল কিনারা পাচ্ছিলেন না মা-বাবা। অনেকেই তাঁকে ভিক্ষাবৃত্তি পেশা বেছে নেওয়ার উৎসাহ দেন। কিন্তু তাতে রাজি হননি সাহাকুল। নিজেই কিছু করে দেখাতে চেয়েছিলেন। বাবার সঙ্গে কিনে নেন ৫টি ছাগল। শুরু করেন ছাগল পালন। প্রতিদিন ছাগল নিয়ে চলে যান মাঠে। এভাবেই কয়েক বছর চলার পর তাঁর খামারে ছাগলের সংখ্যা বাড়তে থাকে। এখন তার খামারে ছাগলের সংখ্যা ৪০ টি। পরে প্রতিবেশী তারিফা খাতুনের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। এখন তাঁর দুই মেয়ে। বড় মেয়ে সাদিয়া খাতুন দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ে। দুই মেয়েকে ঘিরেই বুনছেন স্বপ্ন।
সাহাকুল বলেন, ‘দুই হাত হারিয়ে চিন্তায় পড়েছিলাম। কিন্তু কখনোই ভাবিনি অন্যের মুখাপেক্ষী হব। নিজেই কিছু করার দৃঢ় সংকল্প করেছিলাম। প্রথম দিকে অনেকেই আমাকে দেখে হাসি ঠাট্টা করত। কিন্তু ইচ্ছে ছিল নিজে কিছু করেই তার জবাব দেব। প্রতিদিন সকাল হলেই ছাগল নিয়ে বেরিয়ে পড়তাম। ছাগলগুলো বাচ্চা দিত। আমি চেষ্টা করতাম সংখ্যা বাড়ানোর। তারপর শুরু করি বিক্রি। এভাবেই কয়েক বছরের মধ্যে দাঁড়িয়ে গেলাম। বিয়ের সময় অনেকের কাছ থেকে কটু কথা শুনেছি। তারপর গ্রামের তারিফাকে বিয়ে করি। বিয়ের পর থেকেই নানাভাবে সে (স্ত্রী) আমাকে সাহায্য করছেন। তেমন একটা চাওয়া পাওয়া নেই জীবনে। সব সময় সৎ পথে উপার্জন করতে চাই।
স্ত্রী তারিফা খাতুন বলেন, ‘প্রথম দিকে স্বামীর সঙ্গে মানিয়ে নিতে কষ্ট হয়েছে। কিন্তু আমার চাওয়া পাওয়ার কোনো কিছুই কমতি করেননি তিনি। যা চেয়েছি, তাই পেয়েছি। এ জন্য স্বামীর প্রতি শ্রদ্ধাবোধ বেড়ে গেছে। এখন স্বামীকে নিয়ে গর্ব করি। কারণ দুই হাত না থাকার পরও নিজেই পরিশ্রম করে সংসার চালান।’
গোপালপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেম বলেন, ‘প্রতিদিন যখন এক পাল ছাগল নিয়ে সাহাকুল পাঠে যায়, তখন অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকি। ভাবি এই রকম দুই হাত হারানো মানুষও নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে। আসলে অদম্য ইচ্ছা শক্তি থাকলে সব অসম্ভবকে জয় করা যায়। তারই উদাহরণ সাহাকুল।’
সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) কাজী কাদের মোহাম্মদ ফজলে রাব্বি বলেন, ‘সাহাকুলকে আমরা চিনি। তিনি সমাজের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। সমাজসেবা অফিস থেকে সুদমুক্ত ক্ষুদ্র ঋণের ব্যবস্থা রয়েছে। দ্রুত তাঁকে সুদমুক্ত ক্ষুদ্র ঋণের আওতায় এনে খামারটি বাড়ানোর সহযোগিতা করব।’
জীবনযুদ্ধে হার না মানা যুবক সাহাকুল ইসলাম (৩৪)। প্রতিবন্ধীদের মধ্যে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন একজন সফল উদ্যোক্তা হিসেবে। দুটি হাত না থাকলেও অন্যের মুখাপেক্ষী হননি তিনি। সব প্রতিকূলতাকে জয় করে মেহেরপুরের প্রতিবন্ধী সাহাকুল ইসলাম গড়ে তুলেছেন একটি ছাগলের খামার। এখন দুই মেয়েকে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করাটা তাঁর মূল লক্ষ্য। না পাওয়ার কোনো বেদনা নেই তাঁর পরিবারে।
জানা গেছে, মেহেরপুর সদর উপজেলার গোপালপুর গ্রামের জামাত আলী ও বুলু খাতুনের ছয় সন্তানের মধ্যে সাহাকুল দ্বিতীয়। ১০ বছর বয়সে বন্ধুদের সঙ্গে মাঠে খেলতে গিয়ে বিদ্যুতায়িত হন সাহাকুল। পরে তাঁর দুটি হাত কেটে ফেলা হয়। ছেলেকে নিয়ে কি করবেন তা ভেবে কুল কিনারা পাচ্ছিলেন না মা-বাবা। অনেকেই তাঁকে ভিক্ষাবৃত্তি পেশা বেছে নেওয়ার উৎসাহ দেন। কিন্তু তাতে রাজি হননি সাহাকুল। নিজেই কিছু করে দেখাতে চেয়েছিলেন। বাবার সঙ্গে কিনে নেন ৫টি ছাগল। শুরু করেন ছাগল পালন। প্রতিদিন ছাগল নিয়ে চলে যান মাঠে। এভাবেই কয়েক বছর চলার পর তাঁর খামারে ছাগলের সংখ্যা বাড়তে থাকে। এখন তার খামারে ছাগলের সংখ্যা ৪০ টি। পরে প্রতিবেশী তারিফা খাতুনের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। এখন তাঁর দুই মেয়ে। বড় মেয়ে সাদিয়া খাতুন দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ে। দুই মেয়েকে ঘিরেই বুনছেন স্বপ্ন।
সাহাকুল বলেন, ‘দুই হাত হারিয়ে চিন্তায় পড়েছিলাম। কিন্তু কখনোই ভাবিনি অন্যের মুখাপেক্ষী হব। নিজেই কিছু করার দৃঢ় সংকল্প করেছিলাম। প্রথম দিকে অনেকেই আমাকে দেখে হাসি ঠাট্টা করত। কিন্তু ইচ্ছে ছিল নিজে কিছু করেই তার জবাব দেব। প্রতিদিন সকাল হলেই ছাগল নিয়ে বেরিয়ে পড়তাম। ছাগলগুলো বাচ্চা দিত। আমি চেষ্টা করতাম সংখ্যা বাড়ানোর। তারপর শুরু করি বিক্রি। এভাবেই কয়েক বছরের মধ্যে দাঁড়িয়ে গেলাম। বিয়ের সময় অনেকের কাছ থেকে কটু কথা শুনেছি। তারপর গ্রামের তারিফাকে বিয়ে করি। বিয়ের পর থেকেই নানাভাবে সে (স্ত্রী) আমাকে সাহায্য করছেন। তেমন একটা চাওয়া পাওয়া নেই জীবনে। সব সময় সৎ পথে উপার্জন করতে চাই।
স্ত্রী তারিফা খাতুন বলেন, ‘প্রথম দিকে স্বামীর সঙ্গে মানিয়ে নিতে কষ্ট হয়েছে। কিন্তু আমার চাওয়া পাওয়ার কোনো কিছুই কমতি করেননি তিনি। যা চেয়েছি, তাই পেয়েছি। এ জন্য স্বামীর প্রতি শ্রদ্ধাবোধ বেড়ে গেছে। এখন স্বামীকে নিয়ে গর্ব করি। কারণ দুই হাত না থাকার পরও নিজেই পরিশ্রম করে সংসার চালান।’
গোপালপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেম বলেন, ‘প্রতিদিন যখন এক পাল ছাগল নিয়ে সাহাকুল পাঠে যায়, তখন অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকি। ভাবি এই রকম দুই হাত হারানো মানুষও নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে। আসলে অদম্য ইচ্ছা শক্তি থাকলে সব অসম্ভবকে জয় করা যায়। তারই উদাহরণ সাহাকুল।’
সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) কাজী কাদের মোহাম্মদ ফজলে রাব্বি বলেন, ‘সাহাকুলকে আমরা চিনি। তিনি সমাজের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। সমাজসেবা অফিস থেকে সুদমুক্ত ক্ষুদ্র ঋণের ব্যবস্থা রয়েছে। দ্রুত তাঁকে সুদমুক্ত ক্ষুদ্র ঋণের আওতায় এনে খামারটি বাড়ানোর সহযোগিতা করব।’
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৬ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৬ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৬ দিন আগে