জসিম উদ্দিন, নীলফামারী
সৈয়দপুর শহর থেকে যে পথটি চলে গেছে উত্তরে নীলফামারীর দিকে, সে পথে ওয়াপদা পেরিয়ে পড়বে ঢেলাপীরের হাট। সেটি পার হয়ে ছোট্ট একটি বাজার। নাম শিমুলতলী। সেখান থেকে বাম দিকে যে সড়ক, সেটি ধরে একটুখানি এগিয়ে গেলেই পাওয়া যাবে সুবর্ণখুলী গ্রাম। বেশ প্রাচীন সেই গ্রামে আজ থেকে ঠিক ১০০ বছর আগে, ১৯২৩ সালে জন্মেছিলেন কিংবদন্তির ভাওয়াইয়াশিল্পী হরলাল রায়।
ভাওয়াইয়া গানের গীতিকার ও শিল্পী হিসেবে খ্যাতিমান হলেও বহুমুখী গুণের অধিকারী ছিলেন হরলাল রায়। গীতিকার ও কণ্ঠশিল্পী ছাড়াও তিনি ছিলেন একজন চলচ্চিত্র অভিনেতা। ছিলেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী। এ ছাড়া তিনি ছিলেন বগুড়া মেডিকেল স্কুল থেকে পাস করা একজন চিকিৎসক।
শিল্পী হরলাল রায় ১৯৪৩ সালে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার বগুলাগাড়ী গ্রামের জ্যোতিষ চন্দ্র রায়ের মেয়ে বীণাপাণি রায়ের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। বীণাপাণিও ভাওয়াইয়া গীতিকার ছিলেন।
আজ থেকে ৭০-৭৫ বছর আগে জনপদ হিসেবে নীলফামারী ছিল এক ‘অজপাড়াগাঁ’। সেখান থেকে গানের টানে হরলাল রায় চলে গিয়েছিলেন কলকাতায়। সেখানে শিল্পী তুলসী দাস লাহিড়ীর সান্নিধ্যে সংগীতচর্চা শুরু করেন। সে সময় তুলসী দাসের ‘দুঃখীর ইমান’ নাটকটি রংপুরের আঞ্চলিক ভাষায় মঞ্চস্থ করার প্রস্তুতি চলছিল। নাটকের সংলাপ শেখানোর সুবাদে হরলাল রায়ের কপালে একটি চাকরি জুটে যায়। অবসরে অন্যান্য নাটকেও নিয়মিত সংগীত পরিবেশনের সুযোগ পেয়ে যান তিনি। কলকাতায় থাকা অবস্থায় মেগাফোন রেকর্ড কোম্পানি থেকে হরলাল রায়ের একটি গানের ডিস্ক প্রকাশিত হয়। এর কিছুদিনের মধ্যে শুরু হয় দেশভাগের উত্তাল টানাপোড়েন। তিনি ফিরে আসেন নিজ দেশে। এরপর ঢাকা বেতার কেন্দ্র এবং পরবর্তীকালে টেলিভিশনে তালিকাভুক্ত শিল্পী হিসেবে গান পরিবেশন শুরু করেন তিনি।
রংপুর অঞ্চলের ভাওয়াইয়া গানকে নাগরিক পরিসরে জনপ্রিয় করার পেছনে হরলাল রায়ের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। ১৯৭১ সালে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে যোগ দিয়ে বেশ কিছু জনপ্রিয় গান রচনা ও পরিবেশন করেন তিনি। এগুলোর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ‘ফাঁন্দে পড়িয়া ইয়াহিয়া কান্দে রে’, ‘আজি কান্দে রে ওই পরাণ’, ‘জ্বলছে জ্বলছে দেশ আমার জ্বলছে’, ‘জয় বাংলার শুন রে খবর’।
শিল্পী হরলাল রায়ের অসংখ্য গান এখনো সংগীতপ্রেমী মানুষ ও শিল্পীদের দোলা দিয়ে যায়। ‘ও মুই না শোনোং, না শোনোং তোর বৈদেশিয়ার কথা রে’, ‘ঘরের পাছোত মোর হরিয়া রে’, ‘দোলা মাটির মোর বথুয়া রে শাক, বথুয়া হলফল করে রে’, ‘ও ডাইল পাক করো রে কাঁচা মরিচ দিয়া’—এমন অসংখ্য জনপ্রিয় ভাওয়াইয়া গানের স্রষ্টা তিনি। ১৯৫৪ সালে রেডিও পাকিস্তান, ঢাকা কেন্দ্রে নিয়মিত গান পরিবেশনের পাশাপাশি ঢাকার লক্ষ্মীবাজার এলাকায় তিনি স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। এ সময় তিনি বিভিন্ন চলচ্চিত্রের গানে প্লেব্যাক ছাড়াও বেশ কিছু চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। স্বাধীনতার পর ভারত-বাংলাদেশের যৌথ প্রযোজনায় পরিচালক রাজেন তরফদারের ‘পালঙ্ক’ এবং ঋত্বিক ঘটকের ‘তিতাস একটি নদীর নাম’ চলচ্চিত্রেও তিনি অভিনয় করেন।
চলচ্চিত্র নয়, বরং ভাওয়াইয়া গানেই বেঁচে আছেন হরলাল রায়। তাঁর গানগুলোকে আরও জনপ্রিয় করে তুলেছেন তাঁর পুত্র রথীন্দ্রনাথ রায়।
সৈয়দপুর শহর থেকে যে পথটি চলে গেছে উত্তরে নীলফামারীর দিকে, সে পথে ওয়াপদা পেরিয়ে পড়বে ঢেলাপীরের হাট। সেটি পার হয়ে ছোট্ট একটি বাজার। নাম শিমুলতলী। সেখান থেকে বাম দিকে যে সড়ক, সেটি ধরে একটুখানি এগিয়ে গেলেই পাওয়া যাবে সুবর্ণখুলী গ্রাম। বেশ প্রাচীন সেই গ্রামে আজ থেকে ঠিক ১০০ বছর আগে, ১৯২৩ সালে জন্মেছিলেন কিংবদন্তির ভাওয়াইয়াশিল্পী হরলাল রায়।
ভাওয়াইয়া গানের গীতিকার ও শিল্পী হিসেবে খ্যাতিমান হলেও বহুমুখী গুণের অধিকারী ছিলেন হরলাল রায়। গীতিকার ও কণ্ঠশিল্পী ছাড়াও তিনি ছিলেন একজন চলচ্চিত্র অভিনেতা। ছিলেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী। এ ছাড়া তিনি ছিলেন বগুড়া মেডিকেল স্কুল থেকে পাস করা একজন চিকিৎসক।
শিল্পী হরলাল রায় ১৯৪৩ সালে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার বগুলাগাড়ী গ্রামের জ্যোতিষ চন্দ্র রায়ের মেয়ে বীণাপাণি রায়ের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। বীণাপাণিও ভাওয়াইয়া গীতিকার ছিলেন।
আজ থেকে ৭০-৭৫ বছর আগে জনপদ হিসেবে নীলফামারী ছিল এক ‘অজপাড়াগাঁ’। সেখান থেকে গানের টানে হরলাল রায় চলে গিয়েছিলেন কলকাতায়। সেখানে শিল্পী তুলসী দাস লাহিড়ীর সান্নিধ্যে সংগীতচর্চা শুরু করেন। সে সময় তুলসী দাসের ‘দুঃখীর ইমান’ নাটকটি রংপুরের আঞ্চলিক ভাষায় মঞ্চস্থ করার প্রস্তুতি চলছিল। নাটকের সংলাপ শেখানোর সুবাদে হরলাল রায়ের কপালে একটি চাকরি জুটে যায়। অবসরে অন্যান্য নাটকেও নিয়মিত সংগীত পরিবেশনের সুযোগ পেয়ে যান তিনি। কলকাতায় থাকা অবস্থায় মেগাফোন রেকর্ড কোম্পানি থেকে হরলাল রায়ের একটি গানের ডিস্ক প্রকাশিত হয়। এর কিছুদিনের মধ্যে শুরু হয় দেশভাগের উত্তাল টানাপোড়েন। তিনি ফিরে আসেন নিজ দেশে। এরপর ঢাকা বেতার কেন্দ্র এবং পরবর্তীকালে টেলিভিশনে তালিকাভুক্ত শিল্পী হিসেবে গান পরিবেশন শুরু করেন তিনি।
রংপুর অঞ্চলের ভাওয়াইয়া গানকে নাগরিক পরিসরে জনপ্রিয় করার পেছনে হরলাল রায়ের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। ১৯৭১ সালে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে যোগ দিয়ে বেশ কিছু জনপ্রিয় গান রচনা ও পরিবেশন করেন তিনি। এগুলোর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ‘ফাঁন্দে পড়িয়া ইয়াহিয়া কান্দে রে’, ‘আজি কান্দে রে ওই পরাণ’, ‘জ্বলছে জ্বলছে দেশ আমার জ্বলছে’, ‘জয় বাংলার শুন রে খবর’।
শিল্পী হরলাল রায়ের অসংখ্য গান এখনো সংগীতপ্রেমী মানুষ ও শিল্পীদের দোলা দিয়ে যায়। ‘ও মুই না শোনোং, না শোনোং তোর বৈদেশিয়ার কথা রে’, ‘ঘরের পাছোত মোর হরিয়া রে’, ‘দোলা মাটির মোর বথুয়া রে শাক, বথুয়া হলফল করে রে’, ‘ও ডাইল পাক করো রে কাঁচা মরিচ দিয়া’—এমন অসংখ্য জনপ্রিয় ভাওয়াইয়া গানের স্রষ্টা তিনি। ১৯৫৪ সালে রেডিও পাকিস্তান, ঢাকা কেন্দ্রে নিয়মিত গান পরিবেশনের পাশাপাশি ঢাকার লক্ষ্মীবাজার এলাকায় তিনি স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। এ সময় তিনি বিভিন্ন চলচ্চিত্রের গানে প্লেব্যাক ছাড়াও বেশ কিছু চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। স্বাধীনতার পর ভারত-বাংলাদেশের যৌথ প্রযোজনায় পরিচালক রাজেন তরফদারের ‘পালঙ্ক’ এবং ঋত্বিক ঘটকের ‘তিতাস একটি নদীর নাম’ চলচ্চিত্রেও তিনি অভিনয় করেন।
চলচ্চিত্র নয়, বরং ভাওয়াইয়া গানেই বেঁচে আছেন হরলাল রায়। তাঁর গানগুলোকে আরও জনপ্রিয় করে তুলেছেন তাঁর পুত্র রথীন্দ্রনাথ রায়।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
৩ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪