সাইফুল মাসুম, ঢাকা
দুই দশক আগেও গরুর মাংসের দাম ছিল কেজিপ্রতি ৮০ টাকা। এখন তা বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা দরে। দামের এই ঊর্ধ্বগতিতে এখন আর মাংসের নাগাল পাচ্ছে না সাধারণ মানুষ। যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ করতে সরকার নানা পদক্ষেপ নিলেও মাঠপর্যায়ে তা বাস্তবায়িত হয়নি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গবাদিপশুর উৎপাদন খরচ বাড়ায় প্রভাব পড়ছে মাংসের দামে। আর উৎপাদন খরচ বাড়ার বড় কারণ গবাদিপশুর খাদ্য পরিবর্তন।
খামারি ও প্রাণিসম্পদ বিশেষজ্ঞরা জানান, আগে গবাদিপশুর খাদ্যতালিকায় বড় অংশ ছিল সবুজ ঘাস। এখন চারণভূমি কমে যাওয়ায় এবং কম সময়ে গরু মোটাতাজা করতে খামারিরা সবুজ ঘাসের পরিবর্তে দানাদার পশুখাবারে ঝুঁকেছেন। সবুজ ঘাসের ব্যবহার বাড়াতে পারলে গবাদিপশুর উৎপাদন খরচ কমবে। তাতে নেমে আসবে মাংসের দামও।
ঢাকার সাভার উপজেলার ভাকুর্তা ইউনিয়নের শ্যামলাসী কলাতিয়া পাড়ায় গত বৃহস্পতিবার কয়েকটি পারিবারিক গরুর খামার ঘুরে দেখা যায়, গবাদিপশুর খাদ্যতালিকায় সবুজ ঘাস আছে নামমাত্র। পাঁচটি গরুর পারিবারিক খামারের মালিক মো. মোস্তফা বলেন, ‘আগে শুধুই ঘাস খাওয়াতাম, এখন তো ঘাস তেমন পাওয়া যায় না। পশুখাদ্যও কিনতে হচ্ছে দ্বিগুণ দামে।’
এলাকার মো. ইমরান হোসেনের ফাহিমা অ্যাগ্রোতে ১৫টি ষাঁড় ও ৫টি গাভি। খামারে অর্ধশত বস্তা গরুর ফিড মজুত থাকতে দেখা যায়। অন্যদিকে সবুজ ঘাস পাওয়া যায় মাত্র কয়েক আঁটি। ইমরান হোসেন বলেন, এখন গবাদিপশুকে সয়াবিন, গম, খেসারি, মাষকলাইয়ের ভুসি খাওয়ানো হয় বেশি।
খামারিদের তথ্যমতে, কয়েক বছরে দেশে পশুখাদ্যের দাম অনেক বেড়েছে। গত তিন মাসেই প্রতি কেজিতে বেড়েছে ৭ থেকে ১০ টাকা। তিন মাস আগে ৩৭ কেজির এক বস্তা গমের ভুসির দাম ছিল ১৭০০ টাকা, এখন তা বিক্রি হচ্ছে ১৯০০ টাকায়।
পশুখাদ্যের দাম বাড়ার প্রভাব পড়েছে গরুর মাংসের দামে। কনজুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) ও ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্যমতে, ২০০১ সালেও মাত্র ৮০ টাকায় পাওয়া যেত প্রতি কেজি গরুর মাংস। ২০১০ সালে ছিল ২৪৭ টাকা। ২০১৮ সালে ছিল ৫০০ টাকা। ২০২২ সালের চেয়ে ৫০ টাকা বেড়ে ২০২৩ সালে হয় ৭৫০ টাকা। এখন গরুর মাংস ৮০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব রবিউল আলম জানান, আগে চাষিরা গরুকে ভাতের ফেন, খড়, কুঁড়া আর সবুজ ঘাস খাওয়াতেন। এখন ফিড আর মেডিসিনের ওপর রাখা হয়।
সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুরের আইমান অ্যাগ্রো ভেটের মালিক আলী আজম রহমান শিবলী অবশ্য ১৫০ গরুর খামারে উচ্চফলনশীল ঘাসের চাষ করেছেন। শিবলী বলেন, ‘সিন্ডিকেটের কারণে দানাদার খাবারের দাম আকাশছোঁয়া। তাই আমরা গরুর খাদ্যতালিকায় ঘাসের পরিমাণ বাড়াচ্ছি।’
প্রাণিসম্পদ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাংসের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে পশুখাদ্য হিসেবে ঘাসের বিকল্প নেই।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের (এলডিডিপি) মাধ্যমে খামারিদের উন্নত জাতের ঘাস (নেপিয়ার, পাকচং, জাম্বু, পারা ইত্যাদি) চাষে উদ্বুদ্ধ করার চেষ্টা করছে। এলডিডিপির চিফ টেকনিক্যাল কো-অর্ডিনেটর ড. মো. গোলাম রব্বানী বলেন, খামারিদের কাছে পশুখাদ্য হিসেবে সবুজ ঘাসের গুরুত্ব আবার বাড়ছে। দিনাজপুর, রংপুর, শেরপুর, বগুড়ায় ঘাসের হাট বসে।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কেন্দ্রীয় গো প্রজনন ও দুগ্ধ খামারের (সাভার) বায়ার অফিসার মো. সাইফুল ইসলাম জানান, ১০০ কেজি ওজনের গরুর জন্য এক কেজি দানাদার খাবার এবং ৫-৭ কেজি সবুজ ঘাস খাওয়াতে হবে।
শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণী পুষ্টি বিভাগের চেয়ারম্যান ডা. আল-নূর মো. ইফতেখার রহমান বলেন, গবাদিপশুর খাদ্যাভ্যাসে সবুজ ঘাসের ওপর জোর দিতে হবে। সবুজ ঘাসসহ প্রাকৃতিক খাবার সংরক্ষণ ও বাণিজ্যিকীকরণের ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে।
দুই দশক আগেও গরুর মাংসের দাম ছিল কেজিপ্রতি ৮০ টাকা। এখন তা বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা দরে। দামের এই ঊর্ধ্বগতিতে এখন আর মাংসের নাগাল পাচ্ছে না সাধারণ মানুষ। যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ করতে সরকার নানা পদক্ষেপ নিলেও মাঠপর্যায়ে তা বাস্তবায়িত হয়নি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গবাদিপশুর উৎপাদন খরচ বাড়ায় প্রভাব পড়ছে মাংসের দামে। আর উৎপাদন খরচ বাড়ার বড় কারণ গবাদিপশুর খাদ্য পরিবর্তন।
খামারি ও প্রাণিসম্পদ বিশেষজ্ঞরা জানান, আগে গবাদিপশুর খাদ্যতালিকায় বড় অংশ ছিল সবুজ ঘাস। এখন চারণভূমি কমে যাওয়ায় এবং কম সময়ে গরু মোটাতাজা করতে খামারিরা সবুজ ঘাসের পরিবর্তে দানাদার পশুখাবারে ঝুঁকেছেন। সবুজ ঘাসের ব্যবহার বাড়াতে পারলে গবাদিপশুর উৎপাদন খরচ কমবে। তাতে নেমে আসবে মাংসের দামও।
ঢাকার সাভার উপজেলার ভাকুর্তা ইউনিয়নের শ্যামলাসী কলাতিয়া পাড়ায় গত বৃহস্পতিবার কয়েকটি পারিবারিক গরুর খামার ঘুরে দেখা যায়, গবাদিপশুর খাদ্যতালিকায় সবুজ ঘাস আছে নামমাত্র। পাঁচটি গরুর পারিবারিক খামারের মালিক মো. মোস্তফা বলেন, ‘আগে শুধুই ঘাস খাওয়াতাম, এখন তো ঘাস তেমন পাওয়া যায় না। পশুখাদ্যও কিনতে হচ্ছে দ্বিগুণ দামে।’
এলাকার মো. ইমরান হোসেনের ফাহিমা অ্যাগ্রোতে ১৫টি ষাঁড় ও ৫টি গাভি। খামারে অর্ধশত বস্তা গরুর ফিড মজুত থাকতে দেখা যায়। অন্যদিকে সবুজ ঘাস পাওয়া যায় মাত্র কয়েক আঁটি। ইমরান হোসেন বলেন, এখন গবাদিপশুকে সয়াবিন, গম, খেসারি, মাষকলাইয়ের ভুসি খাওয়ানো হয় বেশি।
খামারিদের তথ্যমতে, কয়েক বছরে দেশে পশুখাদ্যের দাম অনেক বেড়েছে। গত তিন মাসেই প্রতি কেজিতে বেড়েছে ৭ থেকে ১০ টাকা। তিন মাস আগে ৩৭ কেজির এক বস্তা গমের ভুসির দাম ছিল ১৭০০ টাকা, এখন তা বিক্রি হচ্ছে ১৯০০ টাকায়।
পশুখাদ্যের দাম বাড়ার প্রভাব পড়েছে গরুর মাংসের দামে। কনজুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) ও ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্যমতে, ২০০১ সালেও মাত্র ৮০ টাকায় পাওয়া যেত প্রতি কেজি গরুর মাংস। ২০১০ সালে ছিল ২৪৭ টাকা। ২০১৮ সালে ছিল ৫০০ টাকা। ২০২২ সালের চেয়ে ৫০ টাকা বেড়ে ২০২৩ সালে হয় ৭৫০ টাকা। এখন গরুর মাংস ৮০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব রবিউল আলম জানান, আগে চাষিরা গরুকে ভাতের ফেন, খড়, কুঁড়া আর সবুজ ঘাস খাওয়াতেন। এখন ফিড আর মেডিসিনের ওপর রাখা হয়।
সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুরের আইমান অ্যাগ্রো ভেটের মালিক আলী আজম রহমান শিবলী অবশ্য ১৫০ গরুর খামারে উচ্চফলনশীল ঘাসের চাষ করেছেন। শিবলী বলেন, ‘সিন্ডিকেটের কারণে দানাদার খাবারের দাম আকাশছোঁয়া। তাই আমরা গরুর খাদ্যতালিকায় ঘাসের পরিমাণ বাড়াচ্ছি।’
প্রাণিসম্পদ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাংসের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে পশুখাদ্য হিসেবে ঘাসের বিকল্প নেই।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের (এলডিডিপি) মাধ্যমে খামারিদের উন্নত জাতের ঘাস (নেপিয়ার, পাকচং, জাম্বু, পারা ইত্যাদি) চাষে উদ্বুদ্ধ করার চেষ্টা করছে। এলডিডিপির চিফ টেকনিক্যাল কো-অর্ডিনেটর ড. মো. গোলাম রব্বানী বলেন, খামারিদের কাছে পশুখাদ্য হিসেবে সবুজ ঘাসের গুরুত্ব আবার বাড়ছে। দিনাজপুর, রংপুর, শেরপুর, বগুড়ায় ঘাসের হাট বসে।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কেন্দ্রীয় গো প্রজনন ও দুগ্ধ খামারের (সাভার) বায়ার অফিসার মো. সাইফুল ইসলাম জানান, ১০০ কেজি ওজনের গরুর জন্য এক কেজি দানাদার খাবার এবং ৫-৭ কেজি সবুজ ঘাস খাওয়াতে হবে।
শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণী পুষ্টি বিভাগের চেয়ারম্যান ডা. আল-নূর মো. ইফতেখার রহমান বলেন, গবাদিপশুর খাদ্যাভ্যাসে সবুজ ঘাসের ওপর জোর দিতে হবে। সবুজ ঘাসসহ প্রাকৃতিক খাবার সংরক্ষণ ও বাণিজ্যিকীকরণের ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
৩ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪