দেখছেন বেশি কিনছেন কম

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
Thumbnail image

‘বিকেল গড়াতে চলল, এখন পর্যন্ত বিসমিল্লাহ করতে পারলাম না। কাস্টমার আসতেছে। কিন্তু কিনতেছে না। দেখে চলে যাচ্ছে।’ বলছিলেন রাজধানীর বসুন্ধরা সিটি বিপণিবিতানের সার্ক বাজারের স্বত্বাধিকারী বশির আহমেদ। রমজানের প্রথম শুক্রবার যে রকম বেচাবিক্রির প্রত্যাশা ছিল, তার কানাকড়িও পূরণ না হওয়ায় আক্ষেপ ঝরছিল তাঁর কথায়।

গতকাল শুক্রবার রাজধানীর মৌচাক মার্কেট ও বসুন্ধরা সিটি বিপণিবিতান ঘুরে কিছুটা হলেও বশির আহমেদের কথার সত্যতা পাওয়া গেল। বিক্রেতারা বলছেন, ঈদের কেনাকাটা করতে ক্রেতাদের ভিড় হচ্ছে বেশ। কিন্তু সেই তুলনায় বেচাবিক্রি নেই।

বসুন্ধরায় স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে কেনাকাটা করতে আসা মাশরিক ইসলাম বলেন, ‘রোজা মাত্র শুরু হলো। ঘুরে ঘুরে আগে দেখছি কী ধরনের ড্রেস কিনব। দাম কোথায় কেমন। আগামী সপ্তাহ থেকে মূল কেনাকাটা শুরু করব।’

বিভিন্ন দোকান ঘুরে দেখা যায়, এবার ঈদের পোশাকে নতুনত্বের সঙ্গে দামটাও চড়েছে বেশ। ক্রেতাদের অভিযোগ, পোশাকের মান ও ডিজাইনের তুলনায় দাম চাওয়া হচ্ছে বেশি। আর বিক্রেতারা বলছেন, সবকিছুর দাম বেড়েছে, তাই পোশাকের দামও বাড়তি।

এবারের ঈদে শিশুদের পোশাকের মধ্যে রয়েছে শার্ট, ফতুয়া, পাঞ্জাবি, শর্ট স্লিভ, ফুল স্লিভ, লং প্যান্ট, কোয়ার্টার প্যান্ট। মেয়েশিশুদের জন্য রয়েছে ফ্রক, পার্টি গাউন, থ্রি-পিস, লেহেঙ্গা ও নিমা সেট। এসব পোশাক ৫০০ থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত দাম হাঁকতে দেখা গেছে। পুরুষদের পোশাকের মধ্যে রয়েছে হালকা ফেব্রিকের তৈরি বিভিন্ন রং ও প্রিন্টের পাঞ্জাবি, শার্ট, টি-শার্ট, পাজামা, ডেনিম, গ্যাবার্ডিন ও ফরমাল প্যান্ট। নারীদের জন্য রয়েছে থ্রি-পিস, টু-পিস, লেহেঙ্গা, লং গাউন, কাজ করা জর্জেট কামিজ, টিউনিকস, শাড়ি ইত্যাদি।

ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, ২০২০ সাল থেকে ২০২২ পর্যন্ত করোনার বিধিনিষেধের কারণে ঈদের বেচাবিক্রি জমেনি। গত বছর করোনার ভয় না থাকলেও মহামারির অর্থনৈতিক ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে পারেনি মানুষ। তবে এ বছর করোনার ভয় নেই। আর্থিক ক্ষতিও পুষিয়ে উঠেছে সবাই। তাই এ বছর ভালো বেচাবিক্রি হবে বলে প্রত্যাশা ব্যবসায়ীদের।

বিক্রেতারা জানান, ছোটদের পোশাকের কেনাকাটা এখনো শুরু হয়নি বললেই চলে। তবে বড়দের আনস্টিচ পোশাক যেগুলো টেইলার্সে দিতে হবে, সেগুলোর বিক্রি শুরু হয়ে গেছে। মৌচাকের থ্রি-পিস বিক্রেতা আব্দুস সালাম বলেন, ‘থ্রি-পিস মোটামুটি বিক্রি হইতেছে। কিন্তু এখনো পুরোপুরি জমে নাই। কাস্টমার দেখতেছে বেশি, কিনতেছে কম। এই সপ্তাহটা গেলে ঈদের মূল বেচাবিক্রি শুরু হবে।’

মৌচাক মার্কেটে আসা তাসনুভা আক্তার বলেন, ‘বেশি দেরি হয়ে গেলে টেইলার্সে কাপড় নিতে চায় না। তাই থ্রি-পিসগুলো আগে কেনার চেষ্টা করছি। ছোটদের জামাকাপড় টেইলার্সে দেওয়ার ঝামেলা নাই। তাই ওগুলো দু সপ্তাহ গেলে দেখেবুঝে কিনব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত