রাশেদ নিজাম রামপাল (বাগেরহাট) থেকে
কয়লাই ভোগাচ্ছে বাগেরহাটের রামপাল তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রকে। দুটি ইউনিটের মধ্যে উৎপাদনে আসা ইউনিটটিও কয়লাসংকটে ইতিমধ্যে প্রায় এক মাস বন্ধ থেকেছে। এখন যে কয়লা মজুত আছে, তাতে চলবে আগামী মার্চের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত। কয়লাসংকটে দ্বিতীয় ইউনিট চালুর তারিখও বারবার পিছিয়েছে।
রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণ ও পরিচালনায় রয়েছে বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ মালিকানার বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড (বিআইএফপিসিএল)। দুই ইউনিটের এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটির মোট উৎপাদনক্ষমতা ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট। এর মধ্যে একটি অর্থাৎ ৬৬০ মেগাওয়াটের ইউনিটে গত বছরের ১৫ আগস্ট প্রথম পরীক্ষামূলক উৎপাদন শুরু হয়। বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হয় ১৭ ডিসেম্বর রাতে। কিন্তু কয়লাসংকটে ২২ দিনের মাথায় বন্ধ হয়ে যায় উৎপাদন। ৯ ফেব্রুয়ারি ইন্দোনেশিয়া থেকে ৩০ হাজার টন কয়লা আসার পর ১৬ ফেব্রুয়ারি আবারও শুরু হয় উৎপাদন। দিনে লাগে ৫ হাজার টন কয়লা। ১৯ ফেব্রুয়ারি রাতে আসে আরও ৫৫ হাজার টন কয়লা। এখন এই কয়লাতেই চলছে, যা চলবে মার্চের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত।
কেন্দ্র সূত্র জানায়, গত আগস্ট থেকে কয়লার সাতটি চালান এসেছে। আজ ২৫ ফেব্রুয়ারি আরও ৫৫ হাজার টন কয়লা নিয়ে অষ্টম চালানের জাহাজ মোংলা বন্দরে ভেড়ার কথা।
সাধারণত প্রথম ইউনিট চালুর তিন মাসের মধ্যে দ্বিতীয় ইউনিট চালু করা হয়। দ্বিতীয় ইউনিটের অবকাঠামোগত কাজও শেষ। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কয়েক দফা সংশোধনের পর দ্বিতীয় ইউনিট ২৮ ফেব্রুয়ারি উৎপাদনে আসার কথা থাকলেও তা হচ্ছে না। এর পেছনে ডলার সংকট, কয়লা আমদানির ধীরগতিসহ কিছু কারণও রয়েছে।
বিআইএফপিসিএলের উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) আনোয়ারুল আজিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, রামপালের দ্বিতীয় ইউনিট আগামী জুলাইতে পরীক্ষামূলক উৎপাদন শুরু করবে।
বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদনে যেতে পারবে সেপ্টেম্বরে। তখনই ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াটের মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্ট পূর্ণ সক্ষমতা প্রমাণ করতে পারবে।
২০১০ সালে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সমঝোতা স্মারকের আওতার ফসল রামপাল তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প। গত বছরের ৬ সেপ্টেম্বর ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লি থেকে বিদ্যুৎকেন্দ্রটির প্রথম ইউনিট উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
কেন্দ্রের এক কর্মকর্তা বলেন, যত দিন কয়লার সরবরাহ থাকবে, তত দিন বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে। নইলে বন্ধ হয়ে যাবে। কয়লার নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ পাওয়া নিয়েই তাঁদের বড় সংশয়।
কেন্দ্রের তথ্যমতে, চালু থাকা ইউনিটে পূর্ণ সক্ষমতায় অর্থাৎ ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে প্রতিদিন ৫ হাজার টন কয়লা লাগে। প্রতি ইউনিট উৎপাদনে লাগে ৪৫০ গ্রামের মতো কয়লা। তবে কোনো ইউনিট সাধারণত সারা দিন পূর্ণ ক্ষমতায় বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারে না। চাহিদা বুঝে কম-বেশি হয়।
বিদ্যুৎকেন্দ্রের একটি সূত্র জানায়, দুটি ইউনিট চালু হলে দিনে ৯-১০ হাজার টন কয়লা পোড়াতে হবে। আগে পাওয়া ক্রয়াদেশে এখন কেন্দ্রে ৬ লাখ টন কয়লা সরবরাহ করছে দেশের একটি শীর্ষ ব্যবসায়িক গ্রুপ। সম্প্রতি নতুন দরপত্রে অংশ নিয়ে আরও ৬০ লাখ টন কয়লার কার্যাদেশ পেয়েছে তারাই। সব কয়লাই আনা হচ্ছে ইন্দোনেশিয়া থেকে। ১৬ হাজার কোটি টাকায় নির্মিত বিদ্যুৎকেন্দ্রটির কয়লা খালাসের জন্য পশুর নদের তীরে আলাদা জেটি নির্মাণ করা হয়েছে।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবনের কাছে হওয়ায় এই বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে শুরু থেকেই আপত্তি জানিয়েছেন, আন্দোলন করেছেন পরিবেশবাদীরা। বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্যের ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় আপত্তি তুলেছিল ইউনেসকোও। তবে প্রকল্প কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন সময় জানিয়েছে, তাদের কাছে আসা আপত্তিগুলো আমলে নিয়েই রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে। কয়লার ধোঁয়া নির্গমনের জন্য ২৭৫ মিটার উচ্চতার চিমনি করা হয়েছে, যাতে ধোঁয়া সুন্দরবনে ছড়াতে না পারে। সর্বাধুনিক প্রযুক্তিতে পরিশোধনের মাধ্যমে ধোঁয়া ওপরে চলে যাবে। আশপাশে ছড়াবে না।
কয়লাই ভোগাচ্ছে বাগেরহাটের রামপাল তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রকে। দুটি ইউনিটের মধ্যে উৎপাদনে আসা ইউনিটটিও কয়লাসংকটে ইতিমধ্যে প্রায় এক মাস বন্ধ থেকেছে। এখন যে কয়লা মজুত আছে, তাতে চলবে আগামী মার্চের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত। কয়লাসংকটে দ্বিতীয় ইউনিট চালুর তারিখও বারবার পিছিয়েছে।
রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণ ও পরিচালনায় রয়েছে বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ মালিকানার বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড (বিআইএফপিসিএল)। দুই ইউনিটের এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটির মোট উৎপাদনক্ষমতা ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট। এর মধ্যে একটি অর্থাৎ ৬৬০ মেগাওয়াটের ইউনিটে গত বছরের ১৫ আগস্ট প্রথম পরীক্ষামূলক উৎপাদন শুরু হয়। বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হয় ১৭ ডিসেম্বর রাতে। কিন্তু কয়লাসংকটে ২২ দিনের মাথায় বন্ধ হয়ে যায় উৎপাদন। ৯ ফেব্রুয়ারি ইন্দোনেশিয়া থেকে ৩০ হাজার টন কয়লা আসার পর ১৬ ফেব্রুয়ারি আবারও শুরু হয় উৎপাদন। দিনে লাগে ৫ হাজার টন কয়লা। ১৯ ফেব্রুয়ারি রাতে আসে আরও ৫৫ হাজার টন কয়লা। এখন এই কয়লাতেই চলছে, যা চলবে মার্চের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত।
কেন্দ্র সূত্র জানায়, গত আগস্ট থেকে কয়লার সাতটি চালান এসেছে। আজ ২৫ ফেব্রুয়ারি আরও ৫৫ হাজার টন কয়লা নিয়ে অষ্টম চালানের জাহাজ মোংলা বন্দরে ভেড়ার কথা।
সাধারণত প্রথম ইউনিট চালুর তিন মাসের মধ্যে দ্বিতীয় ইউনিট চালু করা হয়। দ্বিতীয় ইউনিটের অবকাঠামোগত কাজও শেষ। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কয়েক দফা সংশোধনের পর দ্বিতীয় ইউনিট ২৮ ফেব্রুয়ারি উৎপাদনে আসার কথা থাকলেও তা হচ্ছে না। এর পেছনে ডলার সংকট, কয়লা আমদানির ধীরগতিসহ কিছু কারণও রয়েছে।
বিআইএফপিসিএলের উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) আনোয়ারুল আজিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, রামপালের দ্বিতীয় ইউনিট আগামী জুলাইতে পরীক্ষামূলক উৎপাদন শুরু করবে।
বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদনে যেতে পারবে সেপ্টেম্বরে। তখনই ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াটের মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্ট পূর্ণ সক্ষমতা প্রমাণ করতে পারবে।
২০১০ সালে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সমঝোতা স্মারকের আওতার ফসল রামপাল তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প। গত বছরের ৬ সেপ্টেম্বর ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লি থেকে বিদ্যুৎকেন্দ্রটির প্রথম ইউনিট উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
কেন্দ্রের এক কর্মকর্তা বলেন, যত দিন কয়লার সরবরাহ থাকবে, তত দিন বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে। নইলে বন্ধ হয়ে যাবে। কয়লার নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ পাওয়া নিয়েই তাঁদের বড় সংশয়।
কেন্দ্রের তথ্যমতে, চালু থাকা ইউনিটে পূর্ণ সক্ষমতায় অর্থাৎ ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে প্রতিদিন ৫ হাজার টন কয়লা লাগে। প্রতি ইউনিট উৎপাদনে লাগে ৪৫০ গ্রামের মতো কয়লা। তবে কোনো ইউনিট সাধারণত সারা দিন পূর্ণ ক্ষমতায় বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারে না। চাহিদা বুঝে কম-বেশি হয়।
বিদ্যুৎকেন্দ্রের একটি সূত্র জানায়, দুটি ইউনিট চালু হলে দিনে ৯-১০ হাজার টন কয়লা পোড়াতে হবে। আগে পাওয়া ক্রয়াদেশে এখন কেন্দ্রে ৬ লাখ টন কয়লা সরবরাহ করছে দেশের একটি শীর্ষ ব্যবসায়িক গ্রুপ। সম্প্রতি নতুন দরপত্রে অংশ নিয়ে আরও ৬০ লাখ টন কয়লার কার্যাদেশ পেয়েছে তারাই। সব কয়লাই আনা হচ্ছে ইন্দোনেশিয়া থেকে। ১৬ হাজার কোটি টাকায় নির্মিত বিদ্যুৎকেন্দ্রটির কয়লা খালাসের জন্য পশুর নদের তীরে আলাদা জেটি নির্মাণ করা হয়েছে।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবনের কাছে হওয়ায় এই বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে শুরু থেকেই আপত্তি জানিয়েছেন, আন্দোলন করেছেন পরিবেশবাদীরা। বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্যের ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় আপত্তি তুলেছিল ইউনেসকোও। তবে প্রকল্প কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন সময় জানিয়েছে, তাদের কাছে আসা আপত্তিগুলো আমলে নিয়েই রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে। কয়লার ধোঁয়া নির্গমনের জন্য ২৭৫ মিটার উচ্চতার চিমনি করা হয়েছে, যাতে ধোঁয়া সুন্দরবনে ছড়াতে না পারে। সর্বাধুনিক প্রযুক্তিতে পরিশোধনের মাধ্যমে ধোঁয়া ওপরে চলে যাবে। আশপাশে ছড়াবে না।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১০ ঘণ্টা আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৪ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৪ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৪ দিন আগে