চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পাশেই একটি গ্রাম বরইতলী। পাহাড় ছাপিয়ে দেখা মেলে গ্রামটির সারি সারি গোলাপ বাগান। এই গোলাপ ফুলের আধিপত্যে জনমুখে গ্রামের নাম পরিবর্তিত হয়ে ‘বরইতলী গোলাপ গ্রাম’ হিসেবেও পরিচিতি পেয়েছে। করোনা কাটিয়ে এবার এখানকার ফুলচাষিদের মুখে হাসি ফুটেছে।
পয়লা ফাল্গুন ও ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে ফুলের আশানুরূপ দাম পেয়েছেন কৃষকেরা। একই সঙ্গে ২১ ফেব্রুয়ারিতে বড় পরিসরে ফুল বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছেন ফুলচাষিরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এই এলাকার অধিকাংশ মানুষের জীবিকার প্রধান উৎস ফুল। এখানে গোলাপ ফুলের পাশাপাশি গ্ল্যাডিওলাস, জারবেরা, গাঁদা ফুলের চাষও হয়। দীর্ঘ দুই দশক ধরে ঢাকাসহ সারা দেশে বরইতলীর ফুলের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, বরইতলী ইউনিয়নের নতুন রাস্তার মাথা, নামারপাড়া, উপরপাড়া, খয়রাতিপাড়া, মাইজপাড়াসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় এসব জমিতে গোলাপের চাষ করা হয়। তবে করোনার সময় কিছুসংখ্যক ফুলচাষি লোকসানে পড়ে জমিতে অন্য ফসল চাষ করেছেন। করোনার পর বিয়ে, সামাজিক অনুষ্ঠানে ফুলের চাহিদা বাড়ায় আবার অনেকে ফুল চাষে ফিরে এসেছেন। নতুনভাবে আশার আলো দেখছেন।
চকরিয়া পৌর শহর থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে বরইতলী গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, বাগানের হাজারো গাছে ফুটেছে গোলাপ। কয়েকজন নারী-পুরুষ গাছ থেকে গোলাপ কেটে ঝুড়িতে নিচ্ছেন। পাশে বাগানে কেউ কেউ পরিচর্যা করছেন। কেউ ফুলও তুলছিলেন। তা বান্ডিল করে খামারে নিয়ে যাচ্ছিলেন। সেখান থেকে গাড়িতে করে সারা দেশে সরবরাহ করা হয়। বরইতলীর ছাড়া উপজেলার হারবাং ও সাহারবিলেও গোলাপের চাষ হয়।
ফুলচাষি আহসান উল্লাহ বলেন, ২ একর জমিতে গোলাপ এবং ১ একর জমিতে গ্লাডিওলাস চাষ করেছেন এবং বোরহান উদ্দিনও ৩৩ শতক জমিতে গ্লাডিওলাস এবং ১ একর ৪০ শতক জমিতে গোলাপের চাষ করেছেন। দুজনের বাগানেই ১৫ জন করে শ্রমিক কাজ করছেন। শ্রমিকদের বেশির ভাগই নারী। মজুরি কম হওয়ায় বাগানের কাজে নারী শ্রমিকদের চাহিদা বেশি।
আহসান উল্লাহ ও বোরহান উদ্দিন বলেন, প্রতি কানি জমি ২০-২৫ হাজার টাকার বিনিময়ে বর্গা নিয়ে তাঁরা চাষ করেছেন। কলম দেওয়া গোলাপ একবার রোপণ করলে ৪-৫ বছর ফুল পাওয়া যায়। গ্লাডিওলাস চাষ করে তিন মাসের মধ্যেই ফুল বিক্রয় শেষ করতে হয়। তাঁদের মতে, ৪০ শতক জমিতে ফুল চাষ করতে ১ লাখ টাকা খরচা পড়ে। চাহিদা ও ন্যায্যমূল্য পাওয়া গেলে ভালো মুনাফা হয়।
বরইতলী গোলাপবাগান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মঈনুল ইসলাম বলেন, ‘করোনাভাইরাসের কারণে দুই বছর বন্ধ ছিল ফুল চাষ। তিন ভাগের এক ভাগ কৃষক চাষ ছেড়ে দিয়েছেন। ওই সময়টাতে আমরা বেশ ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছি। যার কারণে ফুল চাষ কমে গেছে। এখন মোটামুটি পরিস্থিতি ভালো রয়েছে।’
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা এস এম নাসির হোসেন বলেন, চকরিয়ার সরকারি হিসাবে ১৮৫ হেক্টর জমিতে গোলাপ ও গ্লাডিওলাসের চাষ হয়েছে। এর মধ্যে ১২৫ হেক্টর জমিতে শুধু গোলাপ চাষ হয়। সরকারিভাবে ফুলচাষিদের সাহায্য করার কোনো সুযোগ নেই। তাই তাঁদের সে রকম সহযোগিতা দেওয়া যাচ্ছে না। শুধু ফুল চাষ নিয়ে পরামর্শ দেওয়া হয়।
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পাশেই একটি গ্রাম বরইতলী। পাহাড় ছাপিয়ে দেখা মেলে গ্রামটির সারি সারি গোলাপ বাগান। এই গোলাপ ফুলের আধিপত্যে জনমুখে গ্রামের নাম পরিবর্তিত হয়ে ‘বরইতলী গোলাপ গ্রাম’ হিসেবেও পরিচিতি পেয়েছে। করোনা কাটিয়ে এবার এখানকার ফুলচাষিদের মুখে হাসি ফুটেছে।
পয়লা ফাল্গুন ও ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে ফুলের আশানুরূপ দাম পেয়েছেন কৃষকেরা। একই সঙ্গে ২১ ফেব্রুয়ারিতে বড় পরিসরে ফুল বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছেন ফুলচাষিরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এই এলাকার অধিকাংশ মানুষের জীবিকার প্রধান উৎস ফুল। এখানে গোলাপ ফুলের পাশাপাশি গ্ল্যাডিওলাস, জারবেরা, গাঁদা ফুলের চাষও হয়। দীর্ঘ দুই দশক ধরে ঢাকাসহ সারা দেশে বরইতলীর ফুলের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, বরইতলী ইউনিয়নের নতুন রাস্তার মাথা, নামারপাড়া, উপরপাড়া, খয়রাতিপাড়া, মাইজপাড়াসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় এসব জমিতে গোলাপের চাষ করা হয়। তবে করোনার সময় কিছুসংখ্যক ফুলচাষি লোকসানে পড়ে জমিতে অন্য ফসল চাষ করেছেন। করোনার পর বিয়ে, সামাজিক অনুষ্ঠানে ফুলের চাহিদা বাড়ায় আবার অনেকে ফুল চাষে ফিরে এসেছেন। নতুনভাবে আশার আলো দেখছেন।
চকরিয়া পৌর শহর থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে বরইতলী গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, বাগানের হাজারো গাছে ফুটেছে গোলাপ। কয়েকজন নারী-পুরুষ গাছ থেকে গোলাপ কেটে ঝুড়িতে নিচ্ছেন। পাশে বাগানে কেউ কেউ পরিচর্যা করছেন। কেউ ফুলও তুলছিলেন। তা বান্ডিল করে খামারে নিয়ে যাচ্ছিলেন। সেখান থেকে গাড়িতে করে সারা দেশে সরবরাহ করা হয়। বরইতলীর ছাড়া উপজেলার হারবাং ও সাহারবিলেও গোলাপের চাষ হয়।
ফুলচাষি আহসান উল্লাহ বলেন, ২ একর জমিতে গোলাপ এবং ১ একর জমিতে গ্লাডিওলাস চাষ করেছেন এবং বোরহান উদ্দিনও ৩৩ শতক জমিতে গ্লাডিওলাস এবং ১ একর ৪০ শতক জমিতে গোলাপের চাষ করেছেন। দুজনের বাগানেই ১৫ জন করে শ্রমিক কাজ করছেন। শ্রমিকদের বেশির ভাগই নারী। মজুরি কম হওয়ায় বাগানের কাজে নারী শ্রমিকদের চাহিদা বেশি।
আহসান উল্লাহ ও বোরহান উদ্দিন বলেন, প্রতি কানি জমি ২০-২৫ হাজার টাকার বিনিময়ে বর্গা নিয়ে তাঁরা চাষ করেছেন। কলম দেওয়া গোলাপ একবার রোপণ করলে ৪-৫ বছর ফুল পাওয়া যায়। গ্লাডিওলাস চাষ করে তিন মাসের মধ্যেই ফুল বিক্রয় শেষ করতে হয়। তাঁদের মতে, ৪০ শতক জমিতে ফুল চাষ করতে ১ লাখ টাকা খরচা পড়ে। চাহিদা ও ন্যায্যমূল্য পাওয়া গেলে ভালো মুনাফা হয়।
বরইতলী গোলাপবাগান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মঈনুল ইসলাম বলেন, ‘করোনাভাইরাসের কারণে দুই বছর বন্ধ ছিল ফুল চাষ। তিন ভাগের এক ভাগ কৃষক চাষ ছেড়ে দিয়েছেন। ওই সময়টাতে আমরা বেশ ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছি। যার কারণে ফুল চাষ কমে গেছে। এখন মোটামুটি পরিস্থিতি ভালো রয়েছে।’
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা এস এম নাসির হোসেন বলেন, চকরিয়ার সরকারি হিসাবে ১৮৫ হেক্টর জমিতে গোলাপ ও গ্লাডিওলাসের চাষ হয়েছে। এর মধ্যে ১২৫ হেক্টর জমিতে শুধু গোলাপ চাষ হয়। সরকারিভাবে ফুলচাষিদের সাহায্য করার কোনো সুযোগ নেই। তাই তাঁদের সে রকম সহযোগিতা দেওয়া যাচ্ছে না। শুধু ফুল চাষ নিয়ে পরামর্শ দেওয়া হয়।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৩ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৭ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৭ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৭ দিন আগে