মিজানুর রহমান রিয়াদ, নোয়াখালী
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌরাস্তা থেকে সোনাপুর জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটার সড়কে ছয়টি পদচারী সেতু (ফুটওভার ব্রিজ) নির্মাণ করবে সড়ক বিভাগ। ইতিমধ্যে চারটির নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। সাধারণ মানুষ বলছেন, সেতুগুলো গুরুত্বপূর্ণ স্থানে নির্মাণ না হওয়ায় তাদের কোনো কাজে আসছে না। এতে সেতুগুলো থেকে মানুষ যেমন কোনো সেবা পাচ্ছে না তেমনি অপরিকল্পিতভাবে নির্মাণ হওয়ায় সরকারের অর্থ গচ্চা গেছে। কিন্তু কর্তৃপক্ষের দাবি, ডিপিপির নির্দেশনা অনুযায়ীই সেতুগুলো নির্মাণ হয়েছে এবং হচ্ছে।
জানা গেছে, জেলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ, যান ও জনবহুল এলাকা বেগমগঞ্জের চৌমুহনী চৌরাস্তা। আর চৌরাস্তা হয়ে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আসা-যাওয়া করে শত শত গাড়ি। প্রায় ২৪ ঘণ্টায় এ সড়কে যান চলাচলের পাশাপাশি মানুষের যাতায়াত থাকে।
সড়কের এক পাশ থেকে অন্য পাশে যাওয়ার সময় বিভিন্ন সময় অসাবধানতাবশত দুর্ঘটনা ঘটছে, হচ্ছে প্রাণহানি। ফলে চৌরাস্তায় একটি পদচারী সেতু স্থাপনের দাবিও ছিল এ অঞ্চলের মানুষের। অবশ্য সোনাপুর-চৌমুহনী চার লেন প্রকল্পের কাজ শুরু হলে চৌরাস্তায় একটি পদচারী সেতু নির্মাণও হয়। কিন্তু তা সঠিক স্থানে স্থাপন না করায় বর্তমানে পথচারীদের কাজে আসছে না।
পথচারীরা বলছেন, জেলার সবচেয়ে জনগুরুত্বপূর্ণ স্থান চৌমুহনী চৌরাস্তায় একটি পদচারী সেতু নির্মাণ করলে ভালো হতো। মানুষ নিরাপদে দ্রুত চারমুখো সড়কের এক পাশ থেকে অন্য পাশে সহজে যেতে পারত। কিন্তু দেখা গেছে চৌরাস্তার দক্ষিণ পাশে যে পদচারী সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে সেটি চৌরাস্তা মূল অংশ থেকে প্রায় ১৫০ ফুট দক্ষিণে, তাও একমুখী সড়কের ওপর। ফলে মানুষ সেটি ব্যবহার করছে না। উল্টো সেটি আড্ডা ও মাদকসেবীদের আস্তানায় পরিণত হয়েছে।
স্থানীয়রা বলছেন, শুধু চৌরাস্তার ফুটওভার ব্রিজটি নয়। চৌরাস্তা থেকে দক্ষিণ জেলা শহর মাইজদী পর্যন্ত মোট চারটি ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে। এর মধ্যে একটি জয়নাল আবেদিন উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে, একটি একলাশপুর বাজারে এবং একটি মাইজদী বাজার এলাকায়।
স্থানীয়রা জানান, চারটি পদচারী সেতুর মধ্যে চৌরাস্তা ও জয়নাল আবেদিন স্কুলের সামনের দুটির একটিও ব্যবহার হয় না। কারণ সেগুলোর কোনো প্রয়োজনই ছিল না। অপরদিকে একলাশপুর ও মাইজদী বাজার এলাকায় যে দুটি নির্মাণ করা হয়েছে, সেগুলো কিছুটা গুরুত্বপূর্ণ হলেও মানুষ তা ব্যবহার করছে না। পদচারী সেতু থাকা সত্ত্বেও মানুষ চার লেনের মতো গুরুত্বপূর্ণ সড়কের মাঝখান দিয়েই প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে। এতে প্রায় সময় দুর্ঘটনা ঘটছে।
সড়ক বিভাগের তথ্যমতে, প্রায় পাঁচ বছর আগে সোনাপুর-চৌমুহনী সড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্পের কাজ শুরু করে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। ১৩ কিলোমিটার চার লেন সড়কে দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি কমাতে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ছয়টি পদচারী সেতু স্থাপনের উদ্যোগও নেওয়া হয় তখন। এরই মধ্যে চারটি সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ স্থানে এসব সেতু নির্মাণ না হওয়ায় তেমন একটা কাজে আসছে না পথচারীদের। অথচ প্রতিটি সেতু নির্মাণে ৭৫ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে।
নোয়াখালী সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো. নজরুল ইসলাম বলেন, পদচারী সেতুগুলো নির্মাণের আগে বিশিষ্টজনদের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। তা ছাড়া ডিপিপির নির্দেশনা অনুযায়ী নির্মাণ হয়েছে। তবে ভবিষ্যতে যে কয়টা সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে সেগুলো নির্মাণের আগে স্থানীয়দের সঙ্গে আরও গুরুত্ব দিয়ে আলোচনা করা হবে।
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌরাস্তা থেকে সোনাপুর জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটার সড়কে ছয়টি পদচারী সেতু (ফুটওভার ব্রিজ) নির্মাণ করবে সড়ক বিভাগ। ইতিমধ্যে চারটির নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। সাধারণ মানুষ বলছেন, সেতুগুলো গুরুত্বপূর্ণ স্থানে নির্মাণ না হওয়ায় তাদের কোনো কাজে আসছে না। এতে সেতুগুলো থেকে মানুষ যেমন কোনো সেবা পাচ্ছে না তেমনি অপরিকল্পিতভাবে নির্মাণ হওয়ায় সরকারের অর্থ গচ্চা গেছে। কিন্তু কর্তৃপক্ষের দাবি, ডিপিপির নির্দেশনা অনুযায়ীই সেতুগুলো নির্মাণ হয়েছে এবং হচ্ছে।
জানা গেছে, জেলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ, যান ও জনবহুল এলাকা বেগমগঞ্জের চৌমুহনী চৌরাস্তা। আর চৌরাস্তা হয়ে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আসা-যাওয়া করে শত শত গাড়ি। প্রায় ২৪ ঘণ্টায় এ সড়কে যান চলাচলের পাশাপাশি মানুষের যাতায়াত থাকে।
সড়কের এক পাশ থেকে অন্য পাশে যাওয়ার সময় বিভিন্ন সময় অসাবধানতাবশত দুর্ঘটনা ঘটছে, হচ্ছে প্রাণহানি। ফলে চৌরাস্তায় একটি পদচারী সেতু স্থাপনের দাবিও ছিল এ অঞ্চলের মানুষের। অবশ্য সোনাপুর-চৌমুহনী চার লেন প্রকল্পের কাজ শুরু হলে চৌরাস্তায় একটি পদচারী সেতু নির্মাণও হয়। কিন্তু তা সঠিক স্থানে স্থাপন না করায় বর্তমানে পথচারীদের কাজে আসছে না।
পথচারীরা বলছেন, জেলার সবচেয়ে জনগুরুত্বপূর্ণ স্থান চৌমুহনী চৌরাস্তায় একটি পদচারী সেতু নির্মাণ করলে ভালো হতো। মানুষ নিরাপদে দ্রুত চারমুখো সড়কের এক পাশ থেকে অন্য পাশে সহজে যেতে পারত। কিন্তু দেখা গেছে চৌরাস্তার দক্ষিণ পাশে যে পদচারী সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে সেটি চৌরাস্তা মূল অংশ থেকে প্রায় ১৫০ ফুট দক্ষিণে, তাও একমুখী সড়কের ওপর। ফলে মানুষ সেটি ব্যবহার করছে না। উল্টো সেটি আড্ডা ও মাদকসেবীদের আস্তানায় পরিণত হয়েছে।
স্থানীয়রা বলছেন, শুধু চৌরাস্তার ফুটওভার ব্রিজটি নয়। চৌরাস্তা থেকে দক্ষিণ জেলা শহর মাইজদী পর্যন্ত মোট চারটি ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে। এর মধ্যে একটি জয়নাল আবেদিন উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে, একটি একলাশপুর বাজারে এবং একটি মাইজদী বাজার এলাকায়।
স্থানীয়রা জানান, চারটি পদচারী সেতুর মধ্যে চৌরাস্তা ও জয়নাল আবেদিন স্কুলের সামনের দুটির একটিও ব্যবহার হয় না। কারণ সেগুলোর কোনো প্রয়োজনই ছিল না। অপরদিকে একলাশপুর ও মাইজদী বাজার এলাকায় যে দুটি নির্মাণ করা হয়েছে, সেগুলো কিছুটা গুরুত্বপূর্ণ হলেও মানুষ তা ব্যবহার করছে না। পদচারী সেতু থাকা সত্ত্বেও মানুষ চার লেনের মতো গুরুত্বপূর্ণ সড়কের মাঝখান দিয়েই প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে। এতে প্রায় সময় দুর্ঘটনা ঘটছে।
সড়ক বিভাগের তথ্যমতে, প্রায় পাঁচ বছর আগে সোনাপুর-চৌমুহনী সড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্পের কাজ শুরু করে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। ১৩ কিলোমিটার চার লেন সড়কে দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি কমাতে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ছয়টি পদচারী সেতু স্থাপনের উদ্যোগও নেওয়া হয় তখন। এরই মধ্যে চারটি সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ স্থানে এসব সেতু নির্মাণ না হওয়ায় তেমন একটা কাজে আসছে না পথচারীদের। অথচ প্রতিটি সেতু নির্মাণে ৭৫ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে।
নোয়াখালী সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো. নজরুল ইসলাম বলেন, পদচারী সেতুগুলো নির্মাণের আগে বিশিষ্টজনদের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। তা ছাড়া ডিপিপির নির্দেশনা অনুযায়ী নির্মাণ হয়েছে। তবে ভবিষ্যতে যে কয়টা সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে সেগুলো নির্মাণের আগে স্থানীয়দের সঙ্গে আরও গুরুত্ব দিয়ে আলোচনা করা হবে।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
২ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
২ দিন আগে