রেজা করিম, ঢাকা
পরিবর্তিত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে নতুন রূপ পেয়েছে বিএনপির সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর সম্পর্ক। এই দুই মিত্রের সম্পর্ক ভালো যাচ্ছে না। ভেতরে-ভেতরে টানাপোড়েন এতটাই যে, সম্পর্ক ছিন্ন করার তাগিদও আছে উভয় দলের তরফে। এই বাস্তবতাকে আড়াল করে ভোট ও মাঠের রাজনীতির স্বার্থে ‘বাইরে ফিটফাট’ নীতিতে অনেকটা লোকদেখানো সুসম্পর্ক দেখিয়ে চলেছে দুই দলই।
বর্তমান আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকারকে সরিয়ে নির্দলীয় সরকারের অধীনে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি তুলছে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো। পরিকল্পনা অনুযায়ী জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে বিভিন্ন দলের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক আলোচনা শেষ করেছে বিএনপি। এখন শুরু হয়েছে আনুষ্ঠানিক আলোচনা। এসব আলোচনার মাধ্যমে আগামী বছরের শুরু থেকে আন্দোলনের রূপরেখা ঠিক করার কথা দলগুলোর পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে। এই অবস্থায় বিএনপির সঙ্গে জামায়াতের সম্পর্কের বিষয়টি আবারও আলোচনায় এসেছে জোরেশোরে। একই আলোচনায় আছে দুই দলের সম্পর্ক ছিন্ন হওয়ার আভাস। বিষয়টি নিয়ে উভয় দলের ভেতরে চলছে নানা গুঞ্জন।
বিএনপির কেন্দ্রীয় একাধিক নেতা বলেছেন, জামায়াতকে নিয়ে দলে ও জোটে অস্বস্তি রয়েছে। এই অস্বস্তি বৃহত্তর আন্দোলনের জন্য জাতীয় ঐক্য গড়ার পথে অন্তরায় হয়ে দাঁড়াচ্ছে। জামায়াতের কারণেই ২০ দলীয় জোটকে সক্রিয় করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না। অন্যদিকে দলের তরুণ নেতারা জামায়াতের সঙ্গে সম্পর্ক রাখার বিষয়টিকে ভালোভাবে নিচ্ছেন না। জামায়াতের সঙ্গ ত্যাগ করার এই তাগিদ দলের হাইকমান্ডও গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করছেন।
বিএনপি জাতীয় ঐক্য গড়তে সমমনা দলগুলোর সঙ্গে যে বৈঠক করছে, সেখানে বিভিন্ন পরামর্শের সঙ্গে জামায়াতকে বাদ দেওয়ার প্রসঙ্গও আসছে বলে জানিয়েছেন দলের কয়েকজন নেতা। তবে কৌশলগত কারণে এই বিষয়ে আপাতত চুপ থাকার কৌশল নিয়েছে দল।
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা শেষে জামায়াতের সঙ্গে সম্পর্ক রাখা না-রাখার বিষয়ে দল চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারে বলে জানিয়েছেন বিএনপির কয়েকজন নেতা। এ যাত্রায় জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করার সম্ভাবনাও আছে বলে মনে করছেন কিছু নেতা।
জামায়াতের সঙ্গে সম্পর্ক রাখা না-রাখার বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘বিভিন্ন দলের সঙ্গে আমরা আলাপ-আলোচনা করছি। তাদের মতামত ও পরামর্শ বিবেচনায় নিয়ে আমরা এই বিষয়ে একটা সিদ্ধান্ত নেব। এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি।’
জামায়াতের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত কিছু বলার সময় আসেনি বলে উল্লেখ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। অন্য দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার অংশ হিসেবে জামায়াতের সঙ্গেও বিএনপি আলোচনায় বসবে বলে জানান তিনি।
অন্যদিকে জামায়াত নেতাদের দাবি, দুই দলের সম্পর্ক অটুট আছে। কোনো টানাপোড়েন নেই। আর দুই দলের সম্পর্ক নিয়ে বাজারে যেসব কথা চালু আছে, তা ক্ষমতাসীন দলের অপপ্রচার ছাড়া আর কিছুই নয়। তাঁরা বলছেন, বিএনপির সঙ্গে রাজপথের সব কর্মসূচিতেই জামায়াতের অংশগ্রহণ আছে ও থাকবে। তবে এবারের আন্দোলনে রাজপথে থাকার কৌশলটা একটু অন্য রকম হবে। তা হচ্ছে এবার জোটগতভাবে বিএনপির সঙ্গে আন্দোলনে থাকবে না জামায়াত। যুগপৎভাবে আন্দোলনে জামায়াতের অংশগ্রহণ থাকবে। অনেকটা নব্বইয়ের আগের এরশাদবিরোধী আন্দোলনের মতো।
জামায়াতের বিষয়ে বিএনপিতে অস্বস্তি এবং সম্পর্ক ছিন্ন করার আলোচনা প্রসঙ্গে দলের এক নেতা বলেন, বিএনপি জামায়াতকে ছাড়তেই চায়—এমন কথা তো তারা বলছে না। বিএনপি-জামায়াত তো একসঙ্গে একই মঞ্চে সভা-সমাবেশ করছে। যেখানে প্রকাশ্যে সভা-সমাবেশ করছে, সেখানে তো অপ্রকাশ্যেও আলোচনা চলে, এটা তো খুব পরিষ্কার। বিএনপির কর্মকাণ্ড নিয়ে জামায়াতেও ক্ষোভ আছে জানিয়ে ওই নেতা আরও বলেন, জামায়াতেরও অনেকে আছেন, যারা বিএনপির সঙ্গে সম্পর্ক রাখার বিপক্ষে।
বিএনপির সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল হালিম বলেছেন, বিএনপির সঙ্গে জামায়াতের নিয়মিত যোগাযোগ আছে। সম্পর্ক যেমন ছিল, তেমনই আছে। তাঁর মতে, ‘যারা বিএনপি-জামায়াতের সুসম্পর্ক থাক চায় না, তারাই এই ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছে।’
বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির এক সদস্য বলেন, ‘জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির কোনো আদর্শিক মিল নেই। তাদের সঙ্গে সম্পর্কটা নির্বাচনী কৌশলের একটা অংশ। আর জামায়াতকে ছাড়লে তো আওয়ামী লীগ তাদের কাজে লাগাবে।’
পরিবর্তিত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে নতুন রূপ পেয়েছে বিএনপির সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর সম্পর্ক। এই দুই মিত্রের সম্পর্ক ভালো যাচ্ছে না। ভেতরে-ভেতরে টানাপোড়েন এতটাই যে, সম্পর্ক ছিন্ন করার তাগিদও আছে উভয় দলের তরফে। এই বাস্তবতাকে আড়াল করে ভোট ও মাঠের রাজনীতির স্বার্থে ‘বাইরে ফিটফাট’ নীতিতে অনেকটা লোকদেখানো সুসম্পর্ক দেখিয়ে চলেছে দুই দলই।
বর্তমান আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকারকে সরিয়ে নির্দলীয় সরকারের অধীনে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি তুলছে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো। পরিকল্পনা অনুযায়ী জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে বিভিন্ন দলের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক আলোচনা শেষ করেছে বিএনপি। এখন শুরু হয়েছে আনুষ্ঠানিক আলোচনা। এসব আলোচনার মাধ্যমে আগামী বছরের শুরু থেকে আন্দোলনের রূপরেখা ঠিক করার কথা দলগুলোর পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে। এই অবস্থায় বিএনপির সঙ্গে জামায়াতের সম্পর্কের বিষয়টি আবারও আলোচনায় এসেছে জোরেশোরে। একই আলোচনায় আছে দুই দলের সম্পর্ক ছিন্ন হওয়ার আভাস। বিষয়টি নিয়ে উভয় দলের ভেতরে চলছে নানা গুঞ্জন।
বিএনপির কেন্দ্রীয় একাধিক নেতা বলেছেন, জামায়াতকে নিয়ে দলে ও জোটে অস্বস্তি রয়েছে। এই অস্বস্তি বৃহত্তর আন্দোলনের জন্য জাতীয় ঐক্য গড়ার পথে অন্তরায় হয়ে দাঁড়াচ্ছে। জামায়াতের কারণেই ২০ দলীয় জোটকে সক্রিয় করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না। অন্যদিকে দলের তরুণ নেতারা জামায়াতের সঙ্গে সম্পর্ক রাখার বিষয়টিকে ভালোভাবে নিচ্ছেন না। জামায়াতের সঙ্গ ত্যাগ করার এই তাগিদ দলের হাইকমান্ডও গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করছেন।
বিএনপি জাতীয় ঐক্য গড়তে সমমনা দলগুলোর সঙ্গে যে বৈঠক করছে, সেখানে বিভিন্ন পরামর্শের সঙ্গে জামায়াতকে বাদ দেওয়ার প্রসঙ্গও আসছে বলে জানিয়েছেন দলের কয়েকজন নেতা। তবে কৌশলগত কারণে এই বিষয়ে আপাতত চুপ থাকার কৌশল নিয়েছে দল।
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা শেষে জামায়াতের সঙ্গে সম্পর্ক রাখা না-রাখার বিষয়ে দল চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারে বলে জানিয়েছেন বিএনপির কয়েকজন নেতা। এ যাত্রায় জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করার সম্ভাবনাও আছে বলে মনে করছেন কিছু নেতা।
জামায়াতের সঙ্গে সম্পর্ক রাখা না-রাখার বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘বিভিন্ন দলের সঙ্গে আমরা আলাপ-আলোচনা করছি। তাদের মতামত ও পরামর্শ বিবেচনায় নিয়ে আমরা এই বিষয়ে একটা সিদ্ধান্ত নেব। এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি।’
জামায়াতের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত কিছু বলার সময় আসেনি বলে উল্লেখ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। অন্য দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার অংশ হিসেবে জামায়াতের সঙ্গেও বিএনপি আলোচনায় বসবে বলে জানান তিনি।
অন্যদিকে জামায়াত নেতাদের দাবি, দুই দলের সম্পর্ক অটুট আছে। কোনো টানাপোড়েন নেই। আর দুই দলের সম্পর্ক নিয়ে বাজারে যেসব কথা চালু আছে, তা ক্ষমতাসীন দলের অপপ্রচার ছাড়া আর কিছুই নয়। তাঁরা বলছেন, বিএনপির সঙ্গে রাজপথের সব কর্মসূচিতেই জামায়াতের অংশগ্রহণ আছে ও থাকবে। তবে এবারের আন্দোলনে রাজপথে থাকার কৌশলটা একটু অন্য রকম হবে। তা হচ্ছে এবার জোটগতভাবে বিএনপির সঙ্গে আন্দোলনে থাকবে না জামায়াত। যুগপৎভাবে আন্দোলনে জামায়াতের অংশগ্রহণ থাকবে। অনেকটা নব্বইয়ের আগের এরশাদবিরোধী আন্দোলনের মতো।
জামায়াতের বিষয়ে বিএনপিতে অস্বস্তি এবং সম্পর্ক ছিন্ন করার আলোচনা প্রসঙ্গে দলের এক নেতা বলেন, বিএনপি জামায়াতকে ছাড়তেই চায়—এমন কথা তো তারা বলছে না। বিএনপি-জামায়াত তো একসঙ্গে একই মঞ্চে সভা-সমাবেশ করছে। যেখানে প্রকাশ্যে সভা-সমাবেশ করছে, সেখানে তো অপ্রকাশ্যেও আলোচনা চলে, এটা তো খুব পরিষ্কার। বিএনপির কর্মকাণ্ড নিয়ে জামায়াতেও ক্ষোভ আছে জানিয়ে ওই নেতা আরও বলেন, জামায়াতেরও অনেকে আছেন, যারা বিএনপির সঙ্গে সম্পর্ক রাখার বিপক্ষে।
বিএনপির সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল হালিম বলেছেন, বিএনপির সঙ্গে জামায়াতের নিয়মিত যোগাযোগ আছে। সম্পর্ক যেমন ছিল, তেমনই আছে। তাঁর মতে, ‘যারা বিএনপি-জামায়াতের সুসম্পর্ক থাক চায় না, তারাই এই ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছে।’
বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির এক সদস্য বলেন, ‘জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির কোনো আদর্শিক মিল নেই। তাদের সঙ্গে সম্পর্কটা নির্বাচনী কৌশলের একটা অংশ। আর জামায়াতকে ছাড়লে তো আওয়ামী লীগ তাদের কাজে লাগাবে।’
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৫ দিন আগে